মেমারি শহর অভিযানে এসে এসডিপিও ভিজিট করলেন মেমারি ১ ব্লকের বাগিলা অঞ্চলের বাগিলা নিম্নবুনিয়াদী স্কুলে। লকডাউন পরিস্থিতিতে হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টার মধ্যে মেমারি থানা ১ মহিলা সহ ৩৭ জনকে ঐ স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করে। বাগিলা অঞ্চল সভাপতি তথা মেমারি ১ ব্লক যুব সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী ও যুব সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সদস্য প্রলয় পালের তত্বাবধানে তাদের থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় দেখভালের কাজ চলছে। ওখানে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা দিনের পাঁচ টাইম চা-বিস্কুট, টিফিন, দুপুর ও রাতের আহারের ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত খুশি এবং তারা বাড়িতেও জানিয়ে দেয় এখানে তারা খুব ভাল আছে, চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। তাদের বাড়ির লোকেরাও খুশি বলে জানায়। আজকের দুপুরের মেনু ছিল ভাতের সঙ্গে আম-আলু-মুসুর ডালের তরকারি এবং রাতের মেনুতে মুরগির মাংস রাখ আছে বলে জানান প্রলয় পাল। তিনি আরও জানান ইতিমধ্যে মেমারি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক রামকৃষ্ণ হাজরা ও সভাপতি কুমার কান্তি রায় চাদর ও মশারি দেয়। মেমারির আঁচল সংস্থা, বিবেকানন্দ ইয়ংস কর্নার, বাগিলা আলোক সংঘ, বাগিলা গনেশ পুজো কমিটি, দধিচী একদিন করে পৃথকভাবে খাবার দেয়। পাল্লা পল্লীমঙ্গল সমিতি খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ইত্যাদি দেয়। মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন লুঙ্গি, শাড়ি, মাজন, সাবান, মশকিট, হারপিক, ফিনাইল ইত্যাদি দেয়। তৃণমূল নেতা প্রসুন দাস ও সৌরভ সাঁতরা গেঞ্জি, মাদার টেরেসা নার্সিং হোম থেকে লুঙ্গি ও চুড়িদার এবং মেমারি নির্মাণ কর্মী ইউনিয়ন চিঁড়ে- চিনি দিয়ে যায়। এর বাইরে গ্রামের মানুষ ও মেমারি থানার পুলিশ সার্বিক সহায়তা দিচ্ছেন। প্রলয় পাল ক্ষোভ জানান এসডিও এবং এডিএম (জেলা পরিষদ) মেমারি ব্লকে এলেও একবার এই শিবির পরিদর্শনে না আসার জন্য। তবে লকডাউনের বিষয়ে ব্যাপক প্রচার করছেন অঞ্চলে, এদিনেও প্রচার পর্ব শেষ করে মধ্যাহ্নভোজের সময়ে শিবিরে আসেন। এসডিপি এই শিবিরে এসে মহিলা সহ সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। যতদিন লকডাউন চলবে নিশ্চিন্তে এখানে থাকুন শ্রমিকদের বলে যান এসডিপিও আমিনুল ইসলাম।
বুধবার, এপ্রিল ০৮, ২০২০
দক্ষিণেশ্বর যোগ্যাদা মঠের খাদ্য সামগ্রী বিলি
শ্যামল রায়
দক্ষিণেশ্বর যোগাদ্যা মঠের পক্ষ থেকে ত্রাণ প্রদান
করোনাভাইরাস এর জেরে গোটা বিশ্বের সাথে আমাদের ভারতবর্ষেও চলছে লকডাউন। লকডাউন এর জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই এই সকল গরীব অসহায় মানুষদের পাশে অনেকেই দাঁড়াচ্ছেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে।
এদিন যোগাদ্যা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া দক্ষিণেশ্বর শাখার পক্ষ থেকে ত্রাণ প্রদান অনুষ্ঠান হয়। বেলঘড়িয়া থানা কর্তৃপক্ষের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেন যোগাদ্যা মঠের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা অধ্যক্ষ স্বামী অচ্যুতানন্দ মহারাজ। জানা গিয়েছে মঠের পক্ষ থেকে বারোশো কেজি চাল দেড়শ কেজি ডাল দেড়শ কেজি তেল তিন শতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বেলঘড়িয়া থানা কর্তৃপক্ষের হাতে।
নবদ্বীপ হাসপাতাল জীবাণু মুক্ত করতে হাজির মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ
শ্যামল রায়
নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জীবাণুমুক্ত করল দমকল বাহিনীর কর্মীরা। ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
বুধবার নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গা জীবাণুমুক্ত করল নবদ্দীপ দমকল বাহিনীর কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অন্যতম প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং হাসপাতালে বাপ্পা ঢালী সহ অনেকে।
করোনাভাইরাস এর জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। লকডাউন এর প্রাক্কালে বিভিন্ন পৌরসভা পঞ্চায়েত সমিতি এবং হাসপাতালে চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ। ইতিমধ্যে এই কাজে যুক্ত হয়েছেন দমকল বিভাগের কর্মীরা। এদিন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন প্রান্তের বিল্ডিংগুলো জীবাণুমুক্ত করল দমকল কর্মীরা। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ উপস্থিত থেকে বলেন যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে কারণ এই রোগ অতি ভয়ঙ্কর প্রতিদিন বাড়ছে তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেমন যথেষ্ট তৎপর হয়েছেন সকলকে সচেতন করতে আমিও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অসহায় গরীবদের পাশে দাঁড়াচ্ছে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলি জীবাণুমুক্ত করার কাজে নিজেকে উপস্থিত রাখতে পারছি এবং সচেতন করছি মানুষকে।
মনের অজান্তে - আরতি সেন
মনের অজান্তে
আরতি সেন
মনটা আমার হারিয়ে গেছে
অজানা দিগন্তে।
আজ আবার হারিয়ে যাচ্ছি
মনের অজান্তেই।
খুঁজে আমায় পাবেনা কেউ
অচিনপুরের মাঝে।
পথে পথে ঘুরবো কেবল
সকাল এবং সাঁঝে।
ভোরের আকাশ রাঙিয়ে দিয়ে
উঠবে যখন রবি।
দূরের থেকে দেখবো তখন
আকশের ওই ছবি।
গাছের শাখে পাখিরা সব
করবে মাতামাতি।
তারার দেশে তারা গুনে
কাটিয়ে দেবো রাতি।
মনের খবর জানবে না কেউ
চাইবে ইতিউতি।
অন্ধকার কাটবে কিছু
জোনাকি দেবে বাতি।
রাতের ফুলের সৌরভতে
আসবে জুড়িয়ে আঁখি।
সকাল হলে ঘুম ভাঙবে
ডাকবে যখন পাখি।
হারিয়ে গেছি, হারিয়ে যাবো
আজ থেকে বহুদূর।
মরুভূমির বালিয়াড়ি
কিম্বা সমুদ্রর।
পথ দেখাবে শঙ্খচিলে
আকাশ পথে যেতে।
আবার আমি হারিয়ে যাবো
অন্য দিগন্তে।
ধুবুলিয়ায় ইটভাটা মালিকরা খাদ্য সামগ্রী বিলিতে
ধুবুলিয়া থানার বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
শ্যামল রায়
বুধবার সাত সকালেই ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে এলাকার গরিব ও দুস্থদের মধ্যে চাল ডাল আলু আটা বিতরণ করা হয়। এদিন বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর রাজাপুর বাহির দীপ ঈশ্বরচন্দ্রপুর বেলপুকুর গ্রাম এলাকার গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের সদস্য ইটভাটার মালিক সুব্রত ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন ভগিরথ ঘোষ তিনি উদ্দিন শেখ জগবন্ধু ঘোষ জগদিশ মণ্ডল মধুসূদন ঘোষ প্রমুখ। জেলা পরিষদের সদস্য সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন যে আমরা ধারাবাহিকভাবে এলাকার গরিবদের জন্য প্রতিদিন চাল ডাল আলু তেল সাবান লবণ তুলে দিচ্ছি। লকডাউন এর জেরে বহু গরিব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অথচ করোনাভাইরাস অতি ভয়ঙ্কর এর হাত থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদের লকডাউন মেনে চলতে হবে তাই আমাদের রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্থানীয় বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস আমাদের সাথে থেকে আমরা এলাকার গরিব মানুষ যাতে খেতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার দিকে নজর রেখে আমরা সকলের পাশে দাঁড়াচ্ছি এবং তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছি। এলাকার ১৫ টি ইটভাটার মালিকদের তরফ থেকে আমরাই খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি।
করোনায় মনোবল বাড়াতে ধনিয়াখালি পুলিশের গান
সুভাষ মজুমদার,
এবার করোনা সচেতনতায় রাস্তায় গান গাইলেন পুলিশকর্মী।
বেশ কয়েক দিন ধরেই করোনা সংক্রমণ এড়াতে লক ডাউন সফল করতে পুলিশি ভূমিকার যে ছবি দেখা গেছে এবারে তা একবারে ভিন্ন।
এবার রাস্তায় গান গেয়ে মানুষ কে সচেতন করতে পথে নেমেছে পুলিশ।
একধিক জনপ্রিয় হিন্দি বাংলা গানের সুরে করোনা সচেতনতায় ধনিয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার পুলিশ ক্যাম্পে গান গাইলেন ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়।
ধনিয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় করোনা সচেতনতা পুলিশের ক্যাম্প করা হয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশের উদ্দ্যোগে।মঙ্গল বার সন্ধ্যায় সাধরণ মানুষ কে করোনা সচেতন করতে একধিক জনপ্রিয় হিন্দি এবং বাংলা গানের সুরে করোনা সচেতন করতে গান গাইলেন ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়।দুদিন আগেই লক ডাউন নিয়ে ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়ের গাওয়া একটি গান ভাইরাল হয়েছিল।
মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৭, ২০২০
বিচারকদের সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিল ৫ লক্ষ টাকা
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে সক্রিয় ভাবে দাঁড়ালো ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন। এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসোসিয়েশনের সভাপতি মানস পাল মহাশয় ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডে অনুদান স্বরূপ পাঁচ লক্ষ টাকার একটি চেক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ফিনান্স সৈয়দ নাদীম আইজাজ এর হাতে তুলে দেন ।
সোমবার, এপ্রিল ০৬, ২০২০
করোনায় মঙ্গলকোটের শিক্ষকদের ১ লক্ষ অনুদান
পারিজাত মোল্লা
সোমবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ১ নং চক্রের অধীনে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকা, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ও অফিস কর্মীদের দ্বারা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ তিনশত টাকা দান করা হল। ত্রাণ তহবিল সংগ্রহে বিশেষ উদ্যোগ করেছিলেন চক্রের শিক্ষক মহম্মদ নাসারতুল্লা, শৈবাল চ্যাটার্জী, সৌরভ চ্যাটার্জী, জীবন পাল ,উদয় চ্যাটার্জী প্রমুখ।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সারা বিশ্বে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে মঙ্গলকোটের কাশেমনগর এলাকার প্রাথমিক শিক্ষকদের এহেন উদ্যোগ কে জানিয়েছেন বিডিও মুস্তাক আহমেদ।
আদালত গুলি জীবাণু মুক্ত গড়া হোক, দাবি আইনজীবীদের
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু),
মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৫ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন / আদালতে পেশ সংক্রান্ত মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৯ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়ে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে। আগামী ৯ এপ্রিল সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল এর অফিসে আদালতে লকডাউনে মেয়াদকাল নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে আদালত গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক দাবি নিয়ে প্রস্তাবনা উঠতে চলেছে। যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল।
শনিবার, এপ্রিল ০৪, ২০২০
যশ সাহিত্য পরিবার - শুভশ্রী চৌধুরী
যশ সাহিত্য পরিবার
শুভশ্রী চৌধুরী (চতুর্থ শ্রেণী)
সবাইকে তুমি দিয়েছো সুযোগ
তবে ছোট্ট বলে আমি কেন যাব বাদ।
আকাশে যেমন একটা সূর্য
তেমনি একটা চাঁদ। কবিতা লেখাই আমার নেশা
কচিহাতে তাই লিখছি দুই এক কলি।
যদি পরিবার অনুমতি দেয়
তবে কবিতাটি বলি।
শোনো শোনাে কবিগণ
বলি এক গল্প ।
এক যে ছিল রাজা
তার রাগ যে ভারি অল্প ।
বাসে ভালো তাকে সবাই
আট থেকে আশি ।
তিনি সবার আগে
ছুটে আসেন মাঝরাতে
উঠলে কারো কাশি ।
সকলকে ভালো বাসনে
আগলে রাখেন তিনি।
সবার থেকে মিষ্টি তিনি তাই দেখে লজ্জা পায় চিনি ।
আমি সেই যশ সাহিত্য পরিবারের
ছোট্ট এক সদস্য।
আমার লেখা পড়ে যেন করো না কেউ হাস্য।
শুক্রবার, এপ্রিল ০৩, ২০২০
৭০টি দিনমজুর পরিবারের পাশে দাঁড়ালো সরমস্তপুর যুব সংঘ
সেখ সামসুদ্দিন
নোবেল করোনা ভাইরাস (COVID 19 ) এর তান্ডবে জেরবার যখন গোটা বিশ্ব, লক আউট এর জেরে সরকারী নির্দেশ মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই সরমস্তপুর যুব সংঘ ৭০ টি দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হলো অত্যাবশ্যক ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ( চাল, ডাল, আলু, আটা, মুড়ি, লবন, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার)। এছাড়াও কিছু মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয় এবং কিছু বয়স্ক মানুষের প্রেসার মাপা হয়। যাদের ঔষধ প্রদান করা হয় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
মঞ্জু রায়- প্রেসার সংক্রান্ত,
গীতা সিং- সুগার,
জাইনাব বেগম- সুগার ও প্রেসার, রামপদ রায়- হাঁপানি,
চন্দ্রশেখর পাল- হাঁপানি,
শিবানী হাজরা- সুগার,
মানিক সিং - সুগার,
ববি সিং - চর্ম সংক্রান্ত বলে জানান সরমস্তপুর সরমস্তপুর যুব সংঘের সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও ৫ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়।
কবিতার নাম - নিশি
নিশি
সংযুক্তা দাঁ
রাতগুলো নিশ্চুপে
বলে কানে কানে।
নীরবের অবকাশে
সাড়া দেয় মনে।।
তারা যেথা ফুটফুটে
জ্বেলে দেয় আলো।
রাত কহে অভিমানে
ঝরাই সে কালো।।
আকাশের বাতি বুঝি
মেঘ মাখে আদরে।
বসন্তের রূপ ওঠে
ঘুম স্যাঁকা চাদরে।।
এবার আলো জ্বালিয়ে করোনায় একতা দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী
জুলফিকার আলি,
আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী করনা ভাইরাস মোকাবিলায় জাতির উদ্দেশ্যে একটা ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। 5 th এপ্রিল রবিবার রাত 9 টায় বাড়ির সমস্ত আলো বন্ধ রেখে বাড়ির দরজায়, বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে এবং কেউ বাড়ির বাইরে না গিয়ে।নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ, বা মোবাইল এর ফ্লাস লাইট জালিয়ে 9 মিনিট এর জন্যে ভারত মাতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবো। এটার মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা 130 কোটি ভারতবাসী জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। আর আমরা কেউ ভয় পায় না। কেউ একা নয় আমরা সবাই সবার পাশে আছি। আমরা জিতবোই করোনা ভাইরাস কে হারাবোই। মানুষ এর জিত হবেই। এবং গোটা বিশ্বকে আমারাই দিশা দেখাবো। দয়া করে এখন কেউ রাজনৈতিক তরজা করবেন না।
করোনা সচেতনতায় প্রচারে পূর্বস্থলী প্রধান
শ্যামল রায়
শুক্রবার ছিল লকডাউন এর ১২ তম দিন। এদিন করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষকে সতর্ক করার জন্য মাইক নিয়ে বের হয়েছিলেন পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলী। তিনি প্রচার করতে গিয়ে জানিয়েছেন যে সবাইকে লকডাউন মেনে চলতে হবে যদি কেউ বিকেলে লকডাউন না মেনে বের হন তাহলে তাকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে বাড়ি যেতে হবে এরকমটাই হুঁশিয়ার দিয়ে প্রচার সারলেন তিনি। প্রচারে জানিয়ে দিয়েছেন যে লকডাউন এ কোনোভাবেই ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না একমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে বেরিয়ে আবার বাড়িতে ঢুকে যেতে হবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিকেলে বের হন তাহলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়ি যেতেই হবে। কারণ করোনাভাইরাস হেটে হেটে তার নিজের বাড়িতে যাবে না বরং অন্যকেও করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার থেকেই এই মারণব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই সতর্ক তা দিয়ে মানুষকে সচেতন এবং সাবান দিয়ে হাত দেওয়ার কথা মাইকে প্রচার করছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বাজার এবং গ্রামে গ্রামে। কোন আড্ডা নয় কোন জমায়েত নয় দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি। ইতিমধ্যে জনবহুল এলাকা থেকে তার পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বাজার সরানো হয়েছে এবং বিভিন্ন মুদিখানার দোকান চত্বর গন্ডি।কেটে দেয়া হয়েছে যাতে মানুষ একসাথে না থাকতে পারে দূরত্ব বজায় রেখে জিনিসপত্র কেনার কথা বলা হয়েছে। এদিন পূর্বস্থলী রেল স্টেশন বাজারে মাইকে প্রচার করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলী। তিনি লকডাউন মেনে চলার পক্ষে জোরালো ভাবে প্রচার করেছেন বরং কেউ বের হলে তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়ি যেতে হবে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের এইরকম প্রচারে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে এলাকা সূত্রে খবর। অনেকেই বলছেন প্রধান সাহেব হুঁশিয়ারি না দিয়ে অন্য ভাবে আমাদের সর্তকতা করলে আমরা অনেকেই খুশি হতাম। তবে পূর্বস্থলী এলাকায় দেখা গিয়েছে বাজারসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিভিন্নস্থানে যুবকদের ভিড় লক্ষ্যণীয়।
মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মেমারিতে খাদ্য সামগ্রী বিলি
সেখ সামসুদ্দিন
বর্ধমান লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে অভুক্তদের ডিমভাত
সুকান্ত ঘোষ
বর্ধমান শহরে লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে করোনায় অভুক্তদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় এদিন। ক্লাবের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ জানান - এহেন বিপদে আমরা সাধ্যমতো অভুক্তদের একবেলা আহারের আয়োজন করেছি
করোনা পরীক্ষা করছেন হাঁসন বিধায়ক
তথাগত চক্রবর্তী,
সচেতনতা বাড়াতে বিধায়ক নিজেই ইম্ফেরেড থার্মোমিটার নিয়ে এলাকায় মানুষ দেখলেই তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন বীরভূমের হাসনের বিধায়ক মিল্টন রসিদ।
সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার নাম দিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন
সত্যজিৎ রায় এর সিনেমার নাম দিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।
করোনার ভয়ে *'অপুর সংসার'* তটস্থ। *'অপরাজিত'* থাকতে *'জলসাঘরে'* *'সীমাবদ্ধ'* থাকুন। বারবার *'ঘরে-বাইরে'* করলেই বিপদ। এমন কোনও *'পরশ পাথর'* বা *'দেবী'* নেই যা আপনাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাবে, এমনকি *'জয় বাবা ফেলুনাথ'* বললেও কোনও *'নায়ক'* এগিয়ে আসবে না আপনাকে বাঁচাতে। এই বাজারে *'পোস্টমাস্টার'* ও বাড়িতে। সংসারে সুখের' *'সমাপ্তি'* ঘটিয়ে লাভ আছে? *'সদগতি'* করতেও কিন্তু কাউকে পাবেন না। করোনা নিঃশব্দ *"আগন্তুক"* এর মতো তার *"শাখা-প্রশাখা"* বিস্তার করেছে। এই *'জন অরণ্য'* তে করোনাকে হালকা *'প্রতিদ্বন্দ্বী'* হিসেবে নিলে ভুল করবেন। এখন *'পথের পাঁচালী'* গাইতে গাইতে *'সোনার কেল্লা'* বা' *'কাঞ্চনজঙ্ঘা'* না দেখতে যাওয়াই ভালো। *'সিকিম'* এর দিকটাতেও সমস্যা। এদিকে বাড়িতে থেকে থেকে ' *'চিড়িয়াখানা'* মনে হচ্ছে তো? কুছ পরোয়া নেহি, বাইরে বেরিয়ে লোকের ভিড়ে রোগ না ছড়িয়ে, *'গণশত্রু'* না হয়ে দুপুর বেলা *'হীরক রাজার দেশে'* বা *'গুপি গাইন বাঘা বাইন'* দেখুন। অকারণে *"অভিযান'* করতে গিয়ে রোগ বাঁধিয়ে সংসারে *'অশনি সংকেত'* ডেকে আনার মানে আছে মশাই? একটা কিছু ঘটে গেলে সংসারটাই
*'মণিহারা'* হয়ে যাবে যে। বরং এই কদিন *'অরণ্যের দিন রাত্রি'* কে ফুলে ফলে ভরে উঠতে দিন। আপনার
*'চারুলতা'* কে নিয়ে বাড়িতেই থাকুন। *'মহানগর'* এ ঘুরে না বেরিয়ে একটু ঘরে থেকে ধৈর্য্য ধরুন তবেই না বোঝা যাবে আপনি কত বড় *'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি'*? এখানেই তো প্রমাণ হবে কে *'কাপুরুষ - মহাপুরুষ'*.
সংগৃহীত
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এড়াতে মেমারির ক্ষুদে বিজ্ঞানীর মাস্ক
সেখ জাহির আব্বাস
মারণ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী মাস্ক আবিষ্কার স্কুল পড়ুয়া দিগন্তিকার, বিজ্ঞানী মহলে আলোড়ন।। নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ করে মাস্ক নিয়ে যখন চলছে কালোবাজারি। ঠিক সেই সময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী অভিনব এক মাস্ক বানিয়ে ফেলল পূর্ব বর্ধমানের মেমারী বিদ্যাসাগরস্মৃতি বিদ্যামন্দির – শাখা ২ এর একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া দিগন্তিকা বোস। ইতিমধ্যেই তাঁর এই মাস্ক ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ সলিউশন চ্যালেঞ্জ এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অপরদিকে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা কিভাবে দিগন্তিকার এই মাস্ক কাজ করছে তা খতিয়ে দেখা শুরু করছে। দিগন্তিকা এর পোশাকি নাম দিয়েছে 'Pure air provider and virus destroyer mask'। উল্লেখ্য, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পরপর নতুন উদ্ভাবনের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার জয় করেছে দিগন্তিকা। এই বছরেই দিগন্তিকা তৈরী করে দুর্ঘটনারোধে চালককে নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্র।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে,এর আগে দিগন্তিকা যে সমস্ত আবিষ্কার তথা নতুন উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সেগুলি হল – ১) সুন্দরবনে জীবিকার তাগিদে যাঁরা জঙ্গলে যান, তাঁদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ চশমা, যা ব্যবহারে মাথা বা ঘাড় না ঘুরিয়েই পিছন দিকও দেখা যায়। ২) ডাষ্ট কালেক্টিং এটাচমেন্ট ফর ড্রিল মেশিন। এটি যেকোন হ্যান্ড ড্রিল মেশিনের সামনে সহজে যুক্ত করে ড্রিল বা ফুটো করলে কোন ধুলো উড়বেনা। ধুলো একটি চেম্বারে জমা হবে। আর এজন্য কোন অতিরিক্ত বিদ্যুত খরচও হবেনা। ড্রিল মেশিন এর কম্পন থেকেই শক্তি গ্ৰহণ করে এই কাজ করতে সক্ষম। ৩) স্মার্ট সার্ভিক্যাল কলার - বারনৌলির সূত্র কাজে লাগিয়ে বিশেষ কারিগরি পদ্ধতিতে তৈরি কলার সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলাইটিস রোগী পড়লে তাঁর প্রচণ্ড ঘাম বা অস্বস্তি হবে না। বস্তুত, এই সমস্ত আবিষ্কারের পর চলতি সময়ে করোনা নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক আর মৃত্যু মিছিলের মাঝেই দিগন্তিকা এই বিশেষ মাস্ক তৈরী করায় রীতিমত হৈ চৈ শুরু হয়ে গেছে। এই মাস্কের জন্য খরচ পড়বে মাত্র ২০০ টাকা।
নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বঙ্গকন্যার নয়া আবিষ্কার, গবেষণায় নতুন দিক খুলে দেবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীমহল। জানা গেছে,এই বিশেষ ধরনের মাস্ক, যা পরে প্রশ্বাস নিলে ধূলিকণা ও ভাইরাস মুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করবে। অপরদিকে নভেল করোনা পজেটিভ কোনো ব্যক্তি পরলে তাঁর ত্যাগ করা নিঃশ্বাস ,হাঁচি , কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেট এর মধ্যে থাকা করোনা ভাইরাস বা অন্য কোন ভাইরাসকে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে দেবার ক্ষমতা রয়েছে এই মাস্কের। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যাবে। এই মাস্কের দুটি অংশ। প্রথম অংশে রয়েছে দুটি একমুখী ভাল্ব এবং দ্বিতীয় অংশে রয়েছে দুটি আধার। প্রথমে প্রশ্বাস গ্ৰহণের বাতাস থেকে ধূলিকণা, জলকণাকে আটকে দেয় ও ভাইরাসের লিপিড প্রোটিনকে ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস একমুখী ভাল্বের মধ্যে দিয়ে মাস্কের ভিতর দিয়ে ফুসফুসে যায়। আবার নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় অন্য একটি একমুখী ভাল্বের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আর একটি আধারের ভিতরে প্রবেশ করে।ফলে ঐ আধারের মধ্যে বিশেষ প্রযুক্তি সাহায্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ভাইরাসের লিপিড প্রোটিনের স্তরটি ভেঙে দেয়।তখন ভাইরাসটি নষ্ট হয়ে গিয়ে আর সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই, নভেল করোনা পজেটিভ ব্যক্তি এই মাস্ক পরলে তার থেকে নির্গত ড্রপলেটে আর ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকবে না। তবে দিগন্তিকার বাবা সুদীপ্তবাবু জানিয়েছেন, যেহেতু এটি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।তাই এখন দিগন্তিকার এই আবিষ্কার সম্পর্কে প্রকাশ্যে বেশি কিছু জানতে জানাতে চাই না
বলগনায় তিনশো পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বৃহন্নলাদের
আমিরুল ইসলাম
বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় ভাতারের বলগোনা বাজারের বৃহন্নলাদের উদ্যোগে ৩০০টি পরিবারকে দেওয়া হলো খাদ্য সামগ্রী।করোনা মোকাবেলায় পুলিশ প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চালিয়ে যাচ্ছে জনজীবন কে ভালো করার কাজ। পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষ গৃহবন্দি রয়েছেন তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন। আজ ভাতারের বলগোনা বাজারে রয়েছে ৮ জন বৃহন্নলা। তারা দারিদ্র্য মানুষের পাশে দাঁড়ালো। আজ ৩০০ টি পরিবারকে দিলেন খাদ্য সামগ্রী মানুষ।আলু - চাল - নুন - সাবান প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল সেখানে।
বলগনা পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মোদক জানান - "সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য করা হচ্ছে দারিদ্র্য মানুষদের ।আজ আমাদের বলগোনা বাজারের এই বৃহন্নলা গুলি যে সাধারণ গরিব মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন, সত্যিই আমরা অবাক হয়ে গেছি । উনারাও যে ভাল মনের মানুষ হয় তা আজ প্রমান দিলেন"।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...