নজরুল সংঘের ত্রাণ বিতরণ।। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার আলিনান গ্রামে নজরুল সংঘ এর উদ্যোগ এ করোনা সংক্রমন ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে চলছে লক ডাউন সেই লকডাউন সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ জনের তাই তাদের কথা ভেবে এগিয়ে এলেন নজরুল সংঘ। নজরুল সংঘ এর তরফে এলাকার ২৫০ টি পরিবার এর হাতে আলু পিয়াজ ডাল সোয়াবিন। এবং এলাকার মানুষ জন কে করোনা নিয়ে সচেতন করলেন।
শনিবার, এপ্রিল ১১, ২০২০
করোনায় চরম সর্তকতা পূর্ব মেদনীপুর হোমগুলিতে
জুলফিকার আলি,
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট, জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর , জেলা প্রশাসনের অফিস তমলুক,পূর্ব মেদিনীপুর এর তরফ থেকে আজ 9 ই এপ্রিল ২০২০ জেলা প্রশাসন দপ্তরের কনফারেন্স হলে জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর এর আওতায় জেলার মোট 22 টি আবাসিক হোম (জুভেনাইল জাস্টিস,বৃদ্ধাশ্রম, স্বধার গৃহ) করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে হোমের আবাসিকদের সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে ব্যবহারের জন্য 22 টি হোমের প্রতিনিধিদের হাতে 180 কেজি ব্লিচিং, 750 টি মার্কস,107 হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ১০৭ টি হ্যান্ডওয়াশ তুলে দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পূর্বমেদিনীপুর এর জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা শাসক সাধারণ সুদীপ সরকার, জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক শ্রী পূর্ণেন্দু পৌরাণিক ,জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের লিগ্যাল কাম প্রবেশন অফিসার শ্রী আলোক বেরা ।
শুক্রবার, এপ্রিল ১০, ২০২০
পায়ে ইনফেকশন নিয়ে লোকের দয়ায় মেমারিতে এক ভবঘুরে
সেখ সামসুদ্দিন
করোনা সচেতনতার গান গেয়ে সাহায্যের অনুদান তুলছে দেবাঙ্কিতা
সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব
করোনা ভাইরাস" এর মোকাবিলায় নিজের তিল তিল করে ঘটে জমানো খেলনা কেনার টাকা পুরোটাই তুলে দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে। খেলনা কেনার জন্য জমানো ১০০০০টাকা নিজের স্বইচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার পর মানুষকে লক ডাউন নিয়ে সচেতন করার লক্ষে এবার নিজের জীবন কে বাজি রেখে রাস্তায় নামলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গার ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে শিল্পী দেবাঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাবা,মায়ের একমাত্র ছোট্ট এই ৬ বছরের মেয়ে গানের সঙ্গে যুক্ত। বিগত দিনে বিভিন্ন ফাংশনে অর্কেষ্টাতে গান গেয়ে টাকা পেয়ে হাসতে হাসতে সেই টাকা তুলে দিত দুঃস্থ,গরীব মানুষের কল্যানার্থে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে লক ডাউন চলছে। কিন্তু টিভিতে সে খবরে দেখছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অনুরোধ করা স্বত্তেও লক ডাউন মানছেন না অনেকেই। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখছেন না অনেক মানুষ। তাই লক ডাউন নিয়ে মানুষ কে সচেতন করতে এবার রাস্তায় নামলো ওই ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে। সকাল থেকে কখনো বসিরহাট,বাদুড়িয়া আবার কখনো বা বনগাঁ,হাবড়া,গাইঘাটার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারগুলিতে গিয়ে নিজের গলাতে করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষ কে সচেতন করার লক্ষে করোনা সম্বন্ধীয় গান গেয়ে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চাইছে সে। পরে সেই ভিক্ষার পুরো টাকা সেই এলাকার থানার ওসি কিংবা আই সি অথবা বিডিওর হাতে তুলে দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য তার একটাই,সচেনতনা মূলক গান গেয়ে মানুষ কে বুঝিয়ে এই করোনা ভাইরাসের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা ও গরীব মানুষের কল্যানার্থে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে টাকা তুলে দেওয়া। তবে ৬ বছরের ক্ষুদে শিল্পীর এই ধরনের মানবিক প্রয়াস দেখে তাজ্জব সকলেই।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে আদালত গুলি কে স্যানিটাইজার করতে চিঠি
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে তথ্য সমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলে'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল। প্রধান বিচারপতি কে উদ্দেশ্য করে এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে। আনসার বাবু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু এর নির্দেশিকা সহ গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস এর মারণ থাবার ভয়াবহতা উল্লেখ করে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন টি রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল এই চিঠি ইমেল মারফত পাঠানো হয়। মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন সংক্রান্ত মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়েছে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে। যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ৯০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল। এরেই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল প্রধান বিচারপতি কে ১৩ পাতার তথ্যসমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালতগুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে।
জেনে নিন কবে বসছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল বলা যায়। নিম্ন আদালতে জামিন সংক্রান্ত মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া থমকে। দফায় দফায় করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লকডাউন বৃদ্ধি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের বার কাউন্সিলের অফিসে বৈঠক করে কলকাতা হাইকোর্টের ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত অচল থাকার সির্দ্ধান্তে সায় দিয়েছেন। বার কাউন্সিল এর ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - ",আগামী ১৭ এপ্রিল বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক বসছে আইনজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা সহ একাধিক বিষয়ে "। গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়ের জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে -' ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৫ দিন বিশেষ বেঞ্চে মামলার অনলাইন শুনানি / আদেশনামা চলবে । ২ টি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং ৩ টি করে সিঙ্গেল বেঞ্চ সর্বমোট ৫ টি বেঞ্চে চলবে ডিজিটাল বিচার-প্রক্রিয়া। ১৬ এপ্রিল, ২১ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল এবং ৩০ এপ্রিল জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে'। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশিকা। ধাপে ধাপে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ এপ্রিল অবধি রাখা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে বিচার প্রক্রিয়ায় মামলার পিটিশন থেকে শুনানি এমনকি রায়দান / আদেশনামা সবই হচ্ছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। মামলার প্রাক্কালে মামলাকারী আইনজীবির ইমেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগকারী আইপি নাম্বার সব বিশদে জানানো হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে।
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ০৯, ২০২০
লকডাউনের শবেবরাত - মোল্লা জসিমউদ্দিন
লকডাউনের শবেবরাত
মোল্লা জসিমউদ্দিন ( টিপু)
ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়েই বেঁচে থাকা তাই শবেবরাত রাতে ওরা আসে নিজ নিজ ঘরে
ওরা বলতে, যারা বেঁচে নেই এই জগতে
যারা কবরে জেগে আছে অনন্তকাল
আব্বা, তোমাকে যে চিরতরে হারিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে
মাথার উপর বটবৃক্ষ নেই, তবে আছে তোমার অফুরন্ত আর্শীবাদ
তোমার নামে পরিচিত আজ সমাজের কাছে
তোমার রক্ত যে বইছে আমার শরীরে
শবেবরাতের রাতে স্মৃতি রোমন্থনে চোখের কোনে আসে পানি
যেখানেই থাকো
ভালো থেকো
সর্বদা আছো আমার পাশে
তা উপলব্ধির শেকড়ে তা মানি
ছবি - ফাইল চিত্র
কলকাতা হাইকোর্টে জামিন খারিজ তিন চিটফান্ড কর্তার
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে যে কয়েকটি মামলা উঠেছিল জরুরি শুনানির জন্য। তার মধ্যে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিনের আবেদন মামলাটি অন্যতম।উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল। তবে রাজ্যের আদালতগুলির এসিজেম এজলাসে শুধুমাত্র জামিন / অভিযুক্তদের পেশ সংক্রান্ত পিটিশন দেখা হচ্ছে। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ বিশেষ বেঞ্চ জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলাগুলি শুনছে। তবে সমগ্র বিচার প্রক্রিয়াটি ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বিশেষ বেঞ্চে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিনের শুনানি চলে। পিনকন কোম্পানির মালিক মনোরঞ্জন রায়, এমপিএস কোম্পানির মালিক প্রমথনাথ মান্না এবং পৈলান গ্রুপের মালিক অপূর্ব সাহার জামিনের আবেদনে শুনানি হয়। মনোরঞ্জন রায়ের পক্ষে আইনজীবী দেবাশীষ রায় সওয়াল করেন। প্রমথনাথ মান্নার পক্ষে তাঁর মেয়ে সওয়াল করেন ভিডিও কনফারেন্সে। সেখানেও বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ তিন চিটফান্ড কর্তার জামিন খারিজ করে দেয়। জামিনের পক্ষে যুক্তি হিসাবে এঁদের শারীরিক অবস্থার উল্লেখ করা হয়। এমপিএসের মালিক প্রমথনাথ মান্নার ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে, তাছাড়া জেলে থাকলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে বলে দাবি ও রিপোর্ট দেখানো হয়। সেখানে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গত ১ এপ্রিলে শুনানির সময় দমদম জেল সুপারের রিপোর্ট চেয়েছিল। সেখানে আজ সেই রিপোর্টে কোন নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয় জেলখানার তরফে। তবে চিটফান্ড কর্তার মেয়ের আর্থিক সঙ্গতি খারাপের উদাহরণ শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ আরজিকর হাসপাতালে এমপিএস কর্তার চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেয়। তবে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিন খারিজ করে দিলেও বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয় - শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তারা পুনরায় এখানে আবেদন করতে পারবেন জামিনের জন্য।
করোনায় রাজ্য তথ্য গোপন করছে, এই অভিযোগে মামলা হাইকোর্টে
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলে। করোনা পরিস্থিতিতে মামলা গুলির ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলে। এদিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চের এজলাসে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি তথ্য গোপন নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলে। মামলাকারী ডঃ ফুয়াদ হালিমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়। মামলার পিটিশনে উল্লেখ করা থাকে যে - আইসিএমআর এর গাইডলাইন মানছেনা রাজ্য। সেইসাথে করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত, নিহত সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । এহেন বক্তব্য মামলার প্রাক্কালে ইমেল মারফত এবং বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে রাখেন মামলাকারী এবং তাঁর আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতিরা রাজ্য কে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য গুলি কে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছেন আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পুনরায় জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি রয়েছে।রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন নিয়ে ডঃ ফুয়াদ হালিমের পাশাপাশি স্মরজিত রায় চৌধুরী নামে আরেক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলাটি করেন। স্মরজিত বাবুর ভিডিও কনফারেন্স সওয়ালে উঠে আসে - করোনায় কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্য প্রক্রিয়া টি কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা হচ্ছে? বস্তি এলাকায় সেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি প্রচার অভিযান নেই। তাছাড়া সরকারি / বেসরকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌছাছেনা দুর্গতদের কাছে। অপরদিকে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সদর প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে করোনা নিয়ে সর্বশেষ রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাতে এই রাজ্যে ৭১ জন আক্রান্ত তাও ১১ টি পরিবারের মধ্যে ৬১ জন রয়েছেন। সেইসাথে করোনায় ৫ জন মারা গেছেন বলে রাজ্যের তরফে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার, এপ্রিল ০৮, ২০২০
করোনা মোকাবিলায় মন্ত্রীর মা তুলে দিলেন বাৎসরিক পেনশন
সুভাষ মজুমদার
কোভিড ১৯(করোনা ভাইরাস) এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পাশে থাকতে এবারে ধনিয়াখালি বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অসীমা পাত্রের মা বেচারানী পাত্র নিজের এক বছরের পেনশনের ৬০,০০০( ষাট হাজার) টাকা রাজ্য সরকারের আপৎকালিন রিলিফ ফান্ডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে তিনি তুলেদেন ৷
সাংবাদিকদের করোনা সচেতনতা বাড়াতে মাস্ক বিলিতে সভাধিপতি
সেখ রতন
মেমারির বাগিলায় এসডিপিও দেখলেন করোনায় দুর্গতদের
সেখ সামসুদ্দিন,
মেমারি শহর অভিযানে এসে এসডিপিও ভিজিট করলেন মেমারি ১ ব্লকের বাগিলা অঞ্চলের বাগিলা নিম্নবুনিয়াদী স্কুলে। লকডাউন পরিস্থিতিতে হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টার মধ্যে মেমারি থানা ১ মহিলা সহ ৩৭ জনকে ঐ স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করে। বাগিলা অঞ্চল সভাপতি তথা মেমারি ১ ব্লক যুব সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী ও যুব সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সদস্য প্রলয় পালের তত্বাবধানে তাদের থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় দেখভালের কাজ চলছে। ওখানে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা দিনের পাঁচ টাইম চা-বিস্কুট, টিফিন, দুপুর ও রাতের আহারের ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত খুশি এবং তারা বাড়িতেও জানিয়ে দেয় এখানে তারা খুব ভাল আছে, চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। তাদের বাড়ির লোকেরাও খুশি বলে জানায়। আজকের দুপুরের মেনু ছিল ভাতের সঙ্গে আম-আলু-মুসুর ডালের তরকারি এবং রাতের মেনুতে মুরগির মাংস রাখ আছে বলে জানান প্রলয় পাল। তিনি আরও জানান ইতিমধ্যে মেমারি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক রামকৃষ্ণ হাজরা ও সভাপতি কুমার কান্তি রায় চাদর ও মশারি দেয়। মেমারির আঁচল সংস্থা, বিবেকানন্দ ইয়ংস কর্নার, বাগিলা আলোক সংঘ, বাগিলা গনেশ পুজো কমিটি, দধিচী একদিন করে পৃথকভাবে খাবার দেয়। পাল্লা পল্লীমঙ্গল সমিতি খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ইত্যাদি দেয়। মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন লুঙ্গি, শাড়ি, মাজন, সাবান, মশকিট, হারপিক, ফিনাইল ইত্যাদি দেয়। তৃণমূল নেতা প্রসুন দাস ও সৌরভ সাঁতরা গেঞ্জি, মাদার টেরেসা নার্সিং হোম থেকে লুঙ্গি ও চুড়িদার এবং মেমারি নির্মাণ কর্মী ইউনিয়ন চিঁড়ে- চিনি দিয়ে যায়। এর বাইরে গ্রামের মানুষ ও মেমারি থানার পুলিশ সার্বিক সহায়তা দিচ্ছেন। প্রলয় পাল ক্ষোভ জানান এসডিও এবং এডিএম (জেলা পরিষদ) মেমারি ব্লকে এলেও একবার এই শিবির পরিদর্শনে না আসার জন্য। তবে লকডাউনের বিষয়ে ব্যাপক প্রচার করছেন অঞ্চলে, এদিনেও প্রচার পর্ব শেষ করে মধ্যাহ্নভোজের সময়ে শিবিরে আসেন। এসডিপি এই শিবিরে এসে মহিলা সহ সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। যতদিন লকডাউন চলবে নিশ্চিন্তে এখানে থাকুন শ্রমিকদের বলে যান এসডিপিও আমিনুল ইসলাম।
দক্ষিণেশ্বর যোগ্যাদা মঠের খাদ্য সামগ্রী বিলি
শ্যামল রায়
দক্ষিণেশ্বর যোগাদ্যা মঠের পক্ষ থেকে ত্রাণ প্রদান
করোনাভাইরাস এর জেরে গোটা বিশ্বের সাথে আমাদের ভারতবর্ষেও চলছে লকডাউন। লকডাউন এর জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই এই সকল গরীব অসহায় মানুষদের পাশে অনেকেই দাঁড়াচ্ছেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে।
এদিন যোগাদ্যা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া দক্ষিণেশ্বর শাখার পক্ষ থেকে ত্রাণ প্রদান অনুষ্ঠান হয়। বেলঘড়িয়া থানা কর্তৃপক্ষের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেন যোগাদ্যা মঠের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা অধ্যক্ষ স্বামী অচ্যুতানন্দ মহারাজ। জানা গিয়েছে মঠের পক্ষ থেকে বারোশো কেজি চাল দেড়শ কেজি ডাল দেড়শ কেজি তেল তিন শতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বেলঘড়িয়া থানা কর্তৃপক্ষের হাতে।
নবদ্বীপ হাসপাতাল জীবাণু মুক্ত করতে হাজির মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ
শ্যামল রায়
নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জীবাণুমুক্ত করল দমকল বাহিনীর কর্মীরা। ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
বুধবার নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গা জীবাণুমুক্ত করল নবদ্দীপ দমকল বাহিনীর কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অন্যতম প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং হাসপাতালে বাপ্পা ঢালী সহ অনেকে।
করোনাভাইরাস এর জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। লকডাউন এর প্রাক্কালে বিভিন্ন পৌরসভা পঞ্চায়েত সমিতি এবং হাসপাতালে চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ। ইতিমধ্যে এই কাজে যুক্ত হয়েছেন দমকল বিভাগের কর্মীরা। এদিন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন প্রান্তের বিল্ডিংগুলো জীবাণুমুক্ত করল দমকল কর্মীরা। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ উপস্থিত থেকে বলেন যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে কারণ এই রোগ অতি ভয়ঙ্কর প্রতিদিন বাড়ছে তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেমন যথেষ্ট তৎপর হয়েছেন সকলকে সচেতন করতে আমিও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অসহায় গরীবদের পাশে দাঁড়াচ্ছে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলি জীবাণুমুক্ত করার কাজে নিজেকে উপস্থিত রাখতে পারছি এবং সচেতন করছি মানুষকে।
মনের অজান্তে - আরতি সেন
মনের অজান্তে
আরতি সেন
মনটা আমার হারিয়ে গেছে
অজানা দিগন্তে।
আজ আবার হারিয়ে যাচ্ছি
মনের অজান্তেই।
খুঁজে আমায় পাবেনা কেউ
অচিনপুরের মাঝে।
পথে পথে ঘুরবো কেবল
সকাল এবং সাঁঝে।
ভোরের আকাশ রাঙিয়ে দিয়ে
উঠবে যখন রবি।
দূরের থেকে দেখবো তখন
আকশের ওই ছবি।
গাছের শাখে পাখিরা সব
করবে মাতামাতি।
তারার দেশে তারা গুনে
কাটিয়ে দেবো রাতি।
মনের খবর জানবে না কেউ
চাইবে ইতিউতি।
অন্ধকার কাটবে কিছু
জোনাকি দেবে বাতি।
রাতের ফুলের সৌরভতে
আসবে জুড়িয়ে আঁখি।
সকাল হলে ঘুম ভাঙবে
ডাকবে যখন পাখি।
হারিয়ে গেছি, হারিয়ে যাবো
আজ থেকে বহুদূর।
মরুভূমির বালিয়াড়ি
কিম্বা সমুদ্রর।
পথ দেখাবে শঙ্খচিলে
আকাশ পথে যেতে।
আবার আমি হারিয়ে যাবো
অন্য দিগন্তে।
ধুবুলিয়ায় ইটভাটা মালিকরা খাদ্য সামগ্রী বিলিতে
ধুবুলিয়া থানার বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
শ্যামল রায়
বুধবার সাত সকালেই ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে এলাকার গরিব ও দুস্থদের মধ্যে চাল ডাল আলু আটা বিতরণ করা হয়। এদিন বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর রাজাপুর বাহির দীপ ঈশ্বরচন্দ্রপুর বেলপুকুর গ্রাম এলাকার গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের সদস্য ইটভাটার মালিক সুব্রত ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন ভগিরথ ঘোষ তিনি উদ্দিন শেখ জগবন্ধু ঘোষ জগদিশ মণ্ডল মধুসূদন ঘোষ প্রমুখ। জেলা পরিষদের সদস্য সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন যে আমরা ধারাবাহিকভাবে এলাকার গরিবদের জন্য প্রতিদিন চাল ডাল আলু তেল সাবান লবণ তুলে দিচ্ছি। লকডাউন এর জেরে বহু গরিব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অথচ করোনাভাইরাস অতি ভয়ঙ্কর এর হাত থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদের লকডাউন মেনে চলতে হবে তাই আমাদের রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্থানীয় বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস আমাদের সাথে থেকে আমরা এলাকার গরিব মানুষ যাতে খেতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার দিকে নজর রেখে আমরা সকলের পাশে দাঁড়াচ্ছি এবং তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছি। এলাকার ১৫ টি ইটভাটার মালিকদের তরফ থেকে আমরাই খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি।
করোনায় মনোবল বাড়াতে ধনিয়াখালি পুলিশের গান
সুভাষ মজুমদার,
এবার করোনা সচেতনতায় রাস্তায় গান গাইলেন পুলিশকর্মী।
বেশ কয়েক দিন ধরেই করোনা সংক্রমণ এড়াতে লক ডাউন সফল করতে পুলিশি ভূমিকার যে ছবি দেখা গেছে এবারে তা একবারে ভিন্ন।
এবার রাস্তায় গান গেয়ে মানুষ কে সচেতন করতে পথে নেমেছে পুলিশ।
একধিক জনপ্রিয় হিন্দি বাংলা গানের সুরে করোনা সচেতনতায় ধনিয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার পুলিশ ক্যাম্পে গান গাইলেন ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়।
ধনিয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় করোনা সচেতনতা পুলিশের ক্যাম্প করা হয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশের উদ্দ্যোগে।মঙ্গল বার সন্ধ্যায় সাধরণ মানুষ কে করোনা সচেতন করতে একধিক জনপ্রিয় হিন্দি এবং বাংলা গানের সুরে করোনা সচেতন করতে গান গাইলেন ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়।দুদিন আগেই লক ডাউন নিয়ে ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়ের গাওয়া একটি গান ভাইরাল হয়েছিল।
মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৭, ২০২০
বিচারকদের সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিল ৫ লক্ষ টাকা
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে সক্রিয় ভাবে দাঁড়ালো ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন। এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসোসিয়েশনের সভাপতি মানস পাল মহাশয় ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডে অনুদান স্বরূপ পাঁচ লক্ষ টাকার একটি চেক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ফিনান্স সৈয়দ নাদীম আইজাজ এর হাতে তুলে দেন ।
সোমবার, এপ্রিল ০৬, ২০২০
করোনায় মঙ্গলকোটের শিক্ষকদের ১ লক্ষ অনুদান
পারিজাত মোল্লা
সোমবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ১ নং চক্রের অধীনে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকা, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ও অফিস কর্মীদের দ্বারা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ তিনশত টাকা দান করা হল। ত্রাণ তহবিল সংগ্রহে বিশেষ উদ্যোগ করেছিলেন চক্রের শিক্ষক মহম্মদ নাসারতুল্লা, শৈবাল চ্যাটার্জী, সৌরভ চ্যাটার্জী, জীবন পাল ,উদয় চ্যাটার্জী প্রমুখ।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সারা বিশ্বে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে মঙ্গলকোটের কাশেমনগর এলাকার প্রাথমিক শিক্ষকদের এহেন উদ্যোগ কে জানিয়েছেন বিডিও মুস্তাক আহমেদ।
আদালত গুলি জীবাণু মুক্ত গড়া হোক, দাবি আইনজীবীদের
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু),
মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৫ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন / আদালতে পেশ সংক্রান্ত মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৯ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়ে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে। আগামী ৯ এপ্রিল সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল এর অফিসে আদালতে লকডাউনে মেয়াদকাল নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে আদালত গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক দাবি নিয়ে প্রস্তাবনা উঠতে চলেছে। যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...