বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১২, ২০১৮

পঞ্চায়েত টিকিট নিয়ে জীবনের কঠিন দু:খ পেয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ


মোল্লা জসিমউদ্দিন

গত দুবছরে জমিয়ত নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তৃনমূলে যোগদান করে যেমন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন,  ঠিক তেমনি দলীয়ভাবে অনেক অপমান, বঞ্চনার শিকারও হয়েছেন।পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিলি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বর কাছ থেকে 'প্রতারিত' হয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন তিনি।পরিস্থিতি এমন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতি ও ওসির বিরুদ্ধে চিঠি লিখতে চলেছেন।রাজনীতিগতভাবে এমন 'আঘাত' কোনদিন কোথাও পাননি তিনি।সুত্রের খবর মন্ত্রিত্ব এবং দল ছেড়ে দিয়ে পুনরায় স্বমহিমায় জমিয়তের আন্দ্রোলনে থাকতে চান সিদ্দিকুল্লাহ।কি এমন পরিস্থিতি যে তৃনমূলে  থাকতে চাননা তিনি?  পঞ্চায়েতে দলীয় প্রতীক বিলিতে শুন্য করে রাখাটা মুখ্য কারণ হলেও গত দুবছরে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে যেভাবে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তাঁকে বয়কট করার পাশাপাশি পুলিশি সন্ত্রাস চালিয়েছে।তাতে তিনি ক্ষুব্ধ।এমনকি মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা জুতো দেখিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ খেতে হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও।কালো পতাকা দেখানো থেকে বিধায়ক অফিসে বারবার সশস্ত্র হামলা।অনুগামীদের একের পর এক গাঁজা - অস্ত্র মামলায় ফাসিয়ে তটরস্থ করা।উল্টো দিকে ব্লক সভাপতি কে জামাই আদর করে প্রতিদিন থানায় আপ্যায়ন করা, পুলিশি রক্ষীর ব্যবস্থা স্থানীয় থানার পুলিশের দলবাজি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শাসকদলের বিধায়ক রাজ্যের সব জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় থাকলেও, মঙ্গলকোটে প্রথম থেকেই ব্রাত্য করে রাখা হয় সিদ্দিকুল্লাহ কে।কখনও অরুপ বিশ্বাস ( বর্ধমান জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক),  আবার কখনও সুব্রত বকসী (রাজ্য সভাপতি) দের সাথে মঙ্গলকোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে সিদ্দিকুল্লাহের কথা চললেও কেউ 'পাকা' কথা দেননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেও কথা চলে।চলতি সপ্তাহে তৃনমূল ভবনে শীর্ষ নেতৃত্বর উপস্থিতিতে ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী জানিয়ে দেওয়া হয় - গতবারে যারা যেখানে জিতেছিল, তারা এবারও দলীয় প্রতীক পাবে।হেরে যাওয়া ৩৮ টি আসনের মধ্যে ২০ টি বিধায়ক এবং ১৮ টিতে ব্লক সভাপতি পাবে।এটি গত ৭ এপ্রিল তৃনমূল ভবনে ফয়শালা হলেও গত ২ এপ্রিল থেকে ব্লক সভাপতির বিপুল বাহিনীর সামনে বিধায়ক অনুগামীরা মঙ্গলকোট ব্লক অফিসে ভয়ে যেতে পারেনি।এমনকি শেষপর্য্যায়ে কাটোয়া মহকুমাশাসক অফিসে গেলেও বিধায়কের অনুগামী  পঞ্চায়েত পদপ্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র তুলতে পুলিশ বাধা দেয়।বেশ কয়েকজন কে আটক করে।পুলিশের এহেন অতি সক্রিয়তার কাছে হার মানে বিধায়ক শিবির।বিধায়ক নিজ বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটের পদিমপুরে ৮ এপ্রিল নিজে এসে পরের দিন মনোনয়ন তুলতে যাবেন বলে আসেন।এক্ষেত্রেও মন্ত্রীর পাইলট কার, কনভয়, পুলিশি নিরাপত্তা থাকলেও, জেলা পুলিশের এক কর্তা মন্ত্রী কে জানান - ব্লক সভাপতি তার সশস্ত্র বাহিনী কে নাকি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, আপনি কলকাতা চলে যান।পক্ষান্তরে খুন হয়ে যাবার সাবধানী বাণী দেন বলে বিধায়কের অভিযোগ। রাজ্যের মন্ত্রী এত পুলিশের মাঝেও নিরাপদ নন, তাহলে একজন সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা কোথায়? মন্ত্রী অশান্তি এড়াতে কলকাতা চলে আসেন। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা দিয়েছিল।সেই রফায় মনোনয়ন পেশ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি বিধায়ক অনুগামীদের কে।দশ থেকে বারোজন বিধায়ক অনুগামী রয়েছেন যারা গতবারে জিতে ছিলেন।উদাহরণ হিসাবে পদিমপুরের লিপিকা সুলতানা, সদর মঙ্গলকোটের অঞ্জন মুন্সি, মাঝীগ্রামের বিকাশ চৌধুরী প্রমুখ।২০ আসনে যাদের কে প্রার্থী করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল, তাদের প্রত্যেক কে স্থানীয় থানার পুলিশ ও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বাহিনী মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া এবং প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। কেউ কেউ মারও খেয়েছে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সমস্ত বিষয়গুলি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিচ্ছেন।পরবর্তীতে সুবিচার না পেলে ইস্তফা দিতে পারেন।ওয়াকিবহালমহল মনে করছে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলের প্রতীকে না দাঁড়িয়ে সমর্থিত  নির্দল প্রার্থী হয়ে দাড়ালে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ভালো করতেন।টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বরকতির লালবাতি কান্ডে তৃনমূলের হয়ে লড়তে গিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের শিকার হয়েছেন।সর্বশেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক অনুগামীদের টিকিট না দিয়ে তৃনমূল সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে রাজনৈতিক সন্ন্যাস করে রাখার ব্যবস্থা করে দিল বলে মনে করছেন অনেকেই।

ভোটের প্রচার চলছে ময়নাগুড়িতে

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি

বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি ২নং এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী গোবিন্দ পাল ও পঞ্চায়েত প্রার্থী বাবলু রায় ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন।এ দিন তারা দলীয় সমর্থকদের নিয়ে টেকাটুলি বাজারে ঘোরেন ও সাধারন মানুষজনের সাথে বাক্যবিনিময় করেন।পঞ্চায়েত সমিতির আসন প্রার্থী গোবিন্দ পাল বলেন -আমি জয়ের ব্যপারে একশত শতাংশ আশাবাদী। আমি খাগড়াবাড়ি ২ নং আঞ্চলের ১৬এর১৫৯/১৬০/১৬৩এবং ১৬৪নং বুথের প্রার্থী। এ এলাকার সমস্ত মানুষ আমার সাথে আছে। মমতা ব্যনার্জীর চিন্তাধারা, উন্নয়ন এর দিকেই মানুষজন বিপুল ভোটে আমাকে জয়যুক্ত করবে।আমি ৪টি পঞ্চায়েত আসন অবশ্যই জিতিয়ে আনবো। জনগন আমার পাশেই থাকবে।মানুষের ভালোবাসা,আশীর্বাদে পঞ্চায়েত সমিতি আসন থেকে আমি বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবো।অপর দিকে ১৬/১৬২নং বুথের পঞ্চায়ত প্রার্থী বাবলু রায় বলেন -আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবো,শুধু সময়ের অপেক্ষা।এই এলাকায় ১১টা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ৩টা পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য। সবকটি আসনেই বিপুল ভোটে আমরা জিতবো।মমতা ব্যনার্জীর উন্নয়নে সাড়া দিয়ে মানুষের ঢল নেমেছে। অবশ্যই আমরা জিতব শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আমরা ভয় পাইনি, ভয় পাইনা

পুলকেশ ভট্টাচার্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা ঘিরে যে সংগঠিত সন্ত্রাস সাংবাদিকদের প্রতি চালানো হয়েছে শাসকদলের তরফে, সেখানে কলকাতার রাজপথে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ দেখালেন - আমরা ভয় পাইনি, ভয় পাইনা।

গুয়াহাটিতে তৃনমূলের শক্তি বাড়ল

শিখা ধর

আসামের গুয়াহাটিতে তৃনমূলের রাজ্য সম্মেলনে ১০০ জন কংগ্রেস কর্মী তৃনমূলে যোগদান করলেন।উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেব।

আরামবাগে আগুনে পুড়ে মৃত ১, আহত ২

সুরজ আলি খান

একই পরিবারে দুই পুত্র সন্তান ও মা অগ্নিদগ্ধ হলেন। তাঁদের মধ্যে বড় ছেলের মৃত্যু হয়।আগুনে  আহত মা বেলা ক্ষেত্রপাল  ও তার ছোট ছেলে শুভ ক্ষেত্রপাল  কে হাসপাতালে প্রাথমিক  চিকিৎসা করা হয়।মৃত সন্তানের নাম শান্তনু ক্ষেত্রপাল(১২)।সে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনা আরামবাগের ২ নং ওয়ার্ডের বাঁধ পাড়ায় ঘটে মঙ্গলবার রাত 9 টা থেকে সাড়ে নটা নাগাদ।
জানা গিয়েছে, আরামবাগের ২ নং ওয়ার্ডের বাঁধ পাড়ায় একটি ঝুপড়ি বাড়িতে বেলা তার দুই সন্তান কে নিয়ে থাকেন। তাঁর স্বামী প্রদীপ  কাজের সূত্রে বর্ধমানের সেহারা বাজারে ছিলেন।মঙ্গল বার রাতে ঘরের  মধ্যে মোম বাতি জ্বালিয়ে শুয়ে পড়েন তাঁরা। মোমবাতি নেভাতে ভুলে যান তাঁরা। এদিন আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকায় বেলা দেবী তার দুই ছেলেকে নিয়ে সকাল করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত সাড়ে নটা নাগাদ দাউ দাউ করে পুরো বাড়ি জ্বলে যায়।কিন্তু তারা বুঝতে পারেননি।  জানতে পেরে পাড়া প্রতিবেশি ছুটে আসেন। মা ও ছোট ছেলেকে উদ্ধার করা গেলেও বড় ছেলে শান্তনু কে উদ্ধার করা যায় নি। কারণ তাঁরা বাঁশের  মাচার মধ্যে শুয়ে ছিলেন এবং তাঁর বড় ছেলে শান্তনুর একটি পা মাচার মধ্যে গলে যায়। এর ফলে সে বেশি অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসা চলা কালীন বুধবার সকালে মারা যায়।ছেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা বেলা। এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমেছে। হাসপাতালের বেডে বসে বেলা দেবী আফসোস করে বলেন, আমি মোমবাতি জ্বালিয়ে শুয়েছিলাম, ভাবলাম একটু পরে নিভিয়ে দেব কিন্তু ঘুমিয়ে পড়েছি। কখন যে মোমবাতি উল্টে ঘরে আগুন লেগে গেল বুঝতে পারিনি। যখন বুঝতে পারলাম তখন ছোট ছেলেটাকে নিয়ে বের হলাম ।আর বড় ছেলেটার পা মাচায় আটকে যাওয়ায় তাকে বের করতে পারিনি।আমি আমার বড় ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না।

ফোন এলো, মেইন লাইন অফ করতে ভূল করায় তড়িতাহত হয়ে মৃত্যু

ওয়াসিম বারি

ইলেকট্রিক শক খেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বছর ৩৫ এর শেখ আকবর আলি।
হাবড়া থানার বিড়া ইছাপুরের  কলুপাড়া এলাকার ঘটনা।জানা যায় আজ বিকেলে ৫ টার সময় ইলেক্টটিক লাইনের কাজ করতে গিয়ে একটা ফোন আসাতে মেইন লাইন অফ করতে ভুলে যায় সে আর তার জেরেই বিপত্তি,ঘটানস্থলেই মারা যায় শেখ আকবর আলি।বাড়ি দেগঙ্গা থানার বারোগাছিয়া।

বুধবার, এপ্রিল ১১, ২০১৮

মঙ্গলকোটে পীড়িত মানুষদের পাশে থাকবে 'সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন '

সুকান্ত ঘোষ

অরাজনৈতিক সন্ত্রাস মঙ্গলকোটে ঘটলে, সেইসব পীড়িত মানুষদের পাশে থাকবে 'সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন '।আজ দুপুরে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ কামরুজাম্মানের সাথে মঙ্গলকোট সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিনের এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়।কোন সংখ্যালঘু ব্যক্তি অরাজনৈতিকভাবে সন্ত্রাসের শিকার হলে পথে নামবে রাজ্যস্তরের এই সংগঠনটি।ইতিমধ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক হানাহানি রুখতে রাজভবনে রাজ্যপালের দারস্থ হন কামরুজাম্মান সাহেব।

নাবালিকার সাথে অবৈধ সম্পক, স্ত্রী কে খুন করে ধৃত স্বামী

ওয়াসিম বারি

বাড়িতে পালিতা নাবালিকা আত্মীয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় স্ত্রী তাজমিরা বিবি কে গলায় শাড়ি জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগ তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ ঘটনা টি ঘটেছে বাদুড়িয়া থানার বাগজোলা তে ৷ মৃত তাজমিরা বিবির ভাই ও পালিতা নাবালিকা বাদুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে৷  লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জামশেদ মন্ডল কে গ্রেফতার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে স্ত্রী কে খুনের কথা কবুল করেছে ধৃত ৷

রাঙ্গামাটি জেলাপরিষদ দখলে তৃণমূল

সাধন মন্ডল

রাঙ্গামাটির জেলা বাঁকুড়ার জেলা পরিষদও তৃনমূল কংগ্রেসের দখলে।৪৬ টি আসনের ২৬ টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় জয়লাভ  করেছে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা।  বিরোধীরা এই জয়কে কটাক্ষ করলেও  শাসক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন " মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের কাছে মানুষ আত্মসমর্পণ  করেছেন।  ২০১১ সালে  মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে সরকার গঠনের আগে পয্যর্ন্ত স্বাধীনতার এত বছর পরেও জঙ্গলমহলের  গ্রামগুলোতে ছিলনা বিজলী বাতি, উপযুক্ত রাস্তা,বিশুদ্ধ  পানীয় জলের ব্যবস্হা,বাসকরার জন্য একটুকরো ঘর, চিকিৎসা পরিষেবা সহ  কন্যাশ্রী,যুবশ্রী,সহ এলাকায় শান্তিপ্রতিষ্ঠা। এইজন্যই আজ চারিদিকে মমতা ব্যানার্জীর জয়জয়কার।বিরোধীরা এই উন্নয়নটা মানতে পারছেন না। এটা দুর্ভাগ্য। "  সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন" যারা সমালোচনা করছেন তারা বিরোধীতার জন্যই বিরোধীতা করছেন। "  রাইপুর বিধানসভার বিধায়ক বীরেন্দ্রনাথ টুডু বলেন " যারা সন্ত্রাসের কথা বলছেন তারা সারেঙ্গায় এসে দেখে যাক সম্প্রীতি  কাকে বলে। এখানে শাসক,বিরোধী একসাথে বসে মনোনয়নপত্র দাখিল করছ।" এটাই জঙ্গলমহলের গর্ব।

দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত বাইক চালক

মানস দাস,মালদা

দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হলেন এক যুবক। ঘটনায় আহত আরও দুই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রতুয়া থানার ভাদো ব‍্যাঙ্ক মোর সংলগ্ন এলাকায়।ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সেখ বিটন(১৯)। কাহালা  হরোগোবিন্দপুর গ্রামেরই বাসিন্দা। আহত আরো দুই তরুণের নাম এসানুর আনসারী(২১) ও সেরাজুল ইসলাম(২০)। তাঁদের বাড়ি রতুয়ার পূর্ব চৌধুরী মোড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,সোমবার বিকেলে সেখ বিটন নামের ওই তরুণ বাইকে করে চাঁচলের দিক থেকে রতুয়ার দিকে যাচ্ছিল এবং অপর দুই যুবক একটি বাইকে করে রতুয়া থেকে চাঁচলের দিকে যাচ্ছিল।ভাদো ব‍্যাঙ্ক মোরের সামনে দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।দুর্ঘটনায় জখম ওই তিন বাইক আরোহীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রতুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সেখ বিটন নামক যুবককে মৃত বলে ঘষণা করেন। বাকি দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।স্থানীয়দের মতে বাইক আহরীরা হেলমেট হীন অবস্থায় ছিলো।

প্রতিবেশী যুবকের প্রেমে সাড়া না দেওয়ায়, নাবালিকার দাদু কে পিটিয়ে খুন

মানস দাস,মালদা

প্রতিবেশী যুবকের প্রেম প্রস্তাবে বরাবরই নারাজ ছিলো নাবালিকা।অবশেষে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা যুবকের।আর তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নাবালিকার দাদু।ঘটনায় যুবকের সহ পরিবার মিলে দাদুকে বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাবালিকার দাদুর।ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে যুবক সহ তার পরিবারের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার আলীনগর অঞ্চলের নাসিরুদ্দিন বিশ্বাস পাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, মৃতার নাম সিদ্দিক শেখ(৬৫)।পুলিশ মৃতদহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,একই গ্রামের বাসিন্দা মানু শেখ ও আব্দুল বারেক।পরিবারের অভিযোগ,বেশ কয়েক মাস ধরে আব্দুল বারেকের ছেলে মজহিত শেখ উত্যক্ত করতো মানু শেখের নাবালিকা মেয়েকে।মজহিত শেখের প্রেমের প্রস্তাব বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছিলো নবম শ্রেণীর পড়ুয়া নাবালিকা।এই উত্যক্তের জেরে নাবালিকা প্রায় গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছিল।স্কুল-টিউশন যাওয়ার পথে চলতো যুবকের প্রেম নিবেদন।সেমতো সোমবার সন্ধ্যায় নাবালিকা রেশন দোকান থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক মজহিত শেখ আবারও নাবালিকাকে উত্যক্ত করতে থাকে।এমনকি নাবালিকার বাড়িতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত যুবক।সেইসময় নাবালিকার মা ওই যুবককে বকাবকি করতেই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক।তখন পথ আটকায় নাবালিকার দাদু সিদ্দিক শেখ।অভিযোগ সেই সময় দাদুকে বেধরক মারধর শুরু করে অভিযুক্ত যুবক সহ তার পরিবার।মারধরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দাদুর।স্থানীয়রা বৃদ্ধ ডাহুকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পরই অভিযুক্ত যুবক মজহিত শেখ,বাবা আব্দুল বারেক এবং তার পরিবারের সদস্য নুরফুল শেখ,মাইনুরা খাতুন,সেলিম শেখ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার।ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ।পাশাপাশি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বেপরোয়া বাস চালানোর বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে জুটলো মারধোর

মানস দাস,মালদা

বেপরোয়া বাস চালানোর প্রতিবাদ করায়, এক যুবককে মারধোর দিয়ে  চোখে আঘাত করার অভিযোগ উঠল বাস চালক, খালাসী ও কন্ডাকটরের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত যুবক চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল  কলেজ হাসপাতালে। এক চোখে দেখতে পাচ্ছেননা তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে, রতুয়া থানার বাহারাল এলাকায়, মালদা-রতুয়া রাজ্য সড়কে। তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের রতুয়া থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম,আরিফ সেখ(২৮)। বাড়ি বাহারাল এলাকায়। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় একটি চায়ের দোকানের সামনে দারিয়ে বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলেন, আরিফ সেখ। এমন সময় রতুয়াগামী বেপরোয়া একটি বেসরকারী বাস ধাক্কা মারে তাকে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই বাস থেকে নেমে চালক, খালাসী এবং কন্ডাকটর কিল ঘুষি দিয়ে মারধোর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে রতুয়া গ্রামীন হাসপাতালে ভরতি করে স্থানীয়রা। পরে তাকে স্থানান্তর করে হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা। রতুয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা না দিতে স্বামীর চাপ, আত্মঘাতী নববধূ

মানস দাস, মালদা

স্বপ্ন পুরন হলনা নববধূর।  স্ত্রী পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাড়াতে চেয়েছিল। বাধা দিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিতে বসাই গন্ডগোল পাকায় শশুর বাড়ির লোকেরা। ফোনে স্বামীর অকথ্য গালিগালাজ শুনে অভিমানে আত্মঘাতী স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে,চাঁচল থানার আশাপুর বাজার এলাকায়। বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিয়ের পর থেকে নববধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারেরও অভিযোগ রয়েছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সুপ্রিয়া সিনহা(‌১৯)‌। বাড়ি চাঁচল থানার আশাপুর গ্রামে। খরবা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেনীতে পড়াশোনা করত। আড়াই মাস আগে চাঁচল থানার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা  সন্তোষ সিনহার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডে চাকরি করেন। সুপ্রিয়ার শ্বশুরবাড়ি চাঁচল থানার ঘোষপাড়া এলাকায়। দ্বাদশ শ্রেণির সঙ্গে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা দিতে সুপ্রিয়া বাবার বাড়ি আশাপুরে এসে ছিলেন। এদিন দর্শনের পরীক্ষা ছিল। রবিবার তার প্রস্তুতি চলছিল। পুলিস জানিয়েছে, সন্ধ্যার সময় তাঁর মোবাইলে স্বামীর ফোন আসে। চড়া সুরেই চলছিল তাদের কথাবার্তা। কিছুক্ষণ বাদে পরিবারের লোকেরা ঘরের ভেতরে এলে দেখেন মেয়ের ঝুলন্তদেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তর জন্য  মর্গে পাঠায়।
    পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বাবা কৃষ্ণচন্দ্র সাহা, সম্বন্ধ করে মেয়ের বিয়ে দেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো ৫ লক্ষ টাকা, ১২ ভরি সোনা-‌সহ ঘরের যাবতীয় আসবারপত্র বিয়েতে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও মেয়ের ওপর অত্যাচার। বৌভাতের দিন থেকে মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু করে ওরা। মৃতার কাকা সুদামচন্দ্র সাহা অভিযোগ করে বলেন,‘‌আমাদের মেয়ে একাদশে পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তা চায় নি। উল্টে এ ক’‌দিনের মধ্যেই শিশুর জন্ম দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। মেয়ে জোড় করে পরীক্ষা দিতে চলে আসে বলে ওদের ক্ষোভ।  জামাই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে গালিগালাজ শুরু করে। পরে মেয়ে আত্মহত্যার পথ খুঁজে নেয়। ওরাই আমাদের মেয়েকে মেরে ফেলল।’‌ কাকা আরও অভোযোগ করে বলেন,‘‌বিয়েতে প্রায় ২০ লাখ টাকার পণ দেওয়ার পরও ওরা চারচাকা দাবি করে। মেয়েকে বলে পাঠায় গাড়ির জন্য। ওরা মেয়েকে ঝি-‌চাকরের মতো কাজ করাত। খেতে দিত না। আমরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসতাম। তবুও মেয়েকে বুঝিয়েরেখেছিলাম, মুখ বুঁজে সব সহ্য করতে বলেছিলাম।’‌শ্বশুরবাড়ির ৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিজনেরা। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পলাতক। চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১০, ২০১৮

আজাদ মুন্সির পর অজয় নদের চরে মিললো মহিলার লাশ

তথ্য - মোল্লা জসিমউদ্দিন
ছবি - সুকান্ত ঘোষ

তৃনমূল নেতা আজাদ মুন্সির পর ফের অজয় নদের চরে মিললো মঙ্গলকোটের এক এলাকাবাসীর বালিতে পোতা লাশ।মিনা বিবি ( ৪০) নামে ওই মহিলার বাড়ি নুতনহাট স্টেট ব্যাংকের পাশের বাড়িতে।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পূর্ব পরিচিতিরা দিন পাচ ছয় পূর্বে মঙ্গলকোট - নানুর লাগোয়া অজয় নদের কোন নির্জন জায়গায় ডেকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। এই এলাকায় যারা কেরল যায় কাজের সুত্রে, তাদের মধ্যে পুরানো শত্রুতা জেরে এই ঘটনা।মোবাইল পাওয়া গেছে ঘটনাস্থলে, তাই কল ডিটেল দেখে সঠিক তদন্তর দাবি উঠেছে।

ছয়ঘরিয়ায় বিরোধী শুন্য জয়

ওয়াসিম বারি

বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের ২,ও ৮ নম্বর বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় তৃণমূল কর্মী দের ।
শাসক দলের প্রার্থীর  বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী দিতে পারলনা বিরোধীরা। বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের ২,ও ৮ নম্বর বুথ জয়ন্তীপুর দক্ষিণে তৃনমূলের মৌমিতা তরফদার ও খলিত পুর পশ্চিমে মালবিকা রজক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ  করল। সবুজ আবির খেলার পাশাপাশি এলাকার মানুষ দের মিষ্টি মুখ করান হয় স্থানীয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।  প্রার্থীরা নিজে ক্যামেরার সামনে জানায়,"এই ভাবে জয়লাভ চায়নি,বিরোধী দের সাথে ভোটের ময়দানে লড়ে জিততে চেয়ে ছিলাম। কিন্তুু শেষ পাঁচ বছরের মমতা ব্যনার্জীর উন্নয়নের সামনে বিরোধীরা কোন প্রার্থী খুজে পায়নি তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ" মা মাটি মানুষের।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER