বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৬, ২০১৮

তৃনমূল কর্মীর নাক কাটলো কংগ্রেস কর্মীরা

মানস দাস,মালদা

এক তৃনমূল কর্মীর কামড়ে নাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, ইংরেজবাজার থানার নিমাই সরাই এলাকায়। দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইংরেজ বাজার থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তর নাম,রাজীব সেখ(২৭)। বাড়ি নিমাই সরাই এলাকায়। নাক কামড়ে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই কংগ্ৰেস কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দুই কংগ্রেস কর্মী সেন্টু সেখ ও আনোয়ার সেখের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্বাচনী প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী রাজিব সেখ। অভিযোগ সেই সময় একলা পেয়ে সেন্টু সেখ ও আনোয়ার সেখ তাকে ধরে মারধোর শুরু করে। সেই সময় সেন্টু রাজিবের নাকে কামড় দিয়ে ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। আরো জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সেন্টু রাজিবের মাসতুতো ভাই।  রাতেই আক্রান্তকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পরিজনেরা। পুরানো বিবাদ না রাজনৈতিক কারনে নাক কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই কংগ্রেস কর্মী ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আক্রান্ত যুবকের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে আক্রান্ত যুবক রাজীব সেখ জানান,আমি তৃণমূল করার কংগ্রেসীরা আক্রমণ করেছে।রাতে ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার সময় আমি আক্রান্ত হই।

মঙ্গলকোটে বৃষ্টিজলে বেশকিছু মাটির বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত

সুকান্ত ঘোষ

বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে তুমুল বৃষ্টিপাত চলছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লক জুড়ে।বেশ কিছু মাটির বাড়ী ধসে যাওয়ার খবর মিলেছে।সেইসাথে চলছে লোডশেডিং।

ময়নাগুড়িতে বাস দুর্ঘটনায় আহত ১৫


সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি


বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ময়নাগুড়ি নতুন বাজার  বিবেকেনন্দ পল্লী নিকট জলপাইগুড়ি থেকে বানার হাট যাওয়া একটি বেসরকারি যাত্রী বোঝাই বাস দুর্ঘটনায় মাঝরাস্তায় উলটে যায়। প্রায় ১৫ জন যাত্রী গুরুত্বর আহত হন।এ দের মধ্যে বেশ কিছু জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ার কারনে তাদের জলপাইগুড়ি স্থানান্তরিত করা হয়।ময়নাগুড়ি থেকে ডিউটি করে সেই গাড়িতেই বাড়ি ফেরার পথে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার্স ও গুরুত্বর আহত হয়েছেন।ঘটনার খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন।হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান ময়নাগুড়ি বিধায়ক সহ স্থানীও নেতৃত্ব ।দুর্ঘটনাগ্রস্থ সেই বাসে থাকা আহত একজন ব্যক্তি জানান হঠাৎ করে গাড়ি ব্রেক ধরে, মনে হয় গাড়ির ডান পাশের চাকার পাত ভেঙ্গে জায়।এর ফলেই গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মাঝ রাস্তায় উলটে যায়।

বুধবার, এপ্রিল ২৫, ২০১৮

গত বিধানসভা নির্বাচনের জবাব এই পঞ্চায়েতে হাতেনাতে পেলেন সিদ্দিকুল্লাহ


মোল্লা জসিমউদ্দিন



 চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে সর্বত্রই।বিরোধীদল গুলি তো বটেই শাসকদলের অনেকেই এই সন্ত্রস্ত পরিবেশের মধ্যে মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি।সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য দিক হল রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ৩৪ জন অনুগামীর মনোনয়ন মঙ্গলকোটে দিতে না পারা।যেখানে দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলকোটের আসনরফায় দলীয় প্রতীক দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ কে, সেখানে কোন বাঁধায় মনোনয়ন পেশে ব্যর্থ বিধায়কের অনুগামীরা?  এই প্রশ্ন রাজ্যরাজনীতি মহলে ক্রমশ দানা বাঁধছে।শুধু পঞ্চায়েত ভোটে 'রাজনৈতিক সন্ন্যাস'  দেওয়া নয়।গত বিধানসভা ভোট পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনায় কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে সিদ্দিকুল্লাহ কে।নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে কোন উন্নয়নকাজ করতে পারেননি বলা যায়, যে দু একটি করেছেন সেগুলিও বন্ধ বলা যায়।এমনকি বিধায়ক তহবিলের অনুদান ফিরে যাওয়ার নজির রয়েছে এই কেন্দ্রে।সিদ্দিকুল্লাহ রাজ্যের মন্ত্রী হলেও মঙ্গলকোটে বরাবরই ব্রাত,  বয়কটও বলা যায়।বিরোধী দলের বিধায়ক হয়েও বাম নেতা শাহজাহান চৌধুরী ২০১১ থেকে ২০১৬ অবধি যে সহযোগিতা স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক প্রশাসন, থানার কাছে পেয়েছিলেন, তার সিকিভাগ কপালে জোটেনি সিদ্দিকুল্লাহের!  তৃনমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে কোন উন্নয়নকাজে বিধায়ক কে রাখেনি ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। দলের নেতারা কালো পতাকা দেখিয়েছে, মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা - জুতো দেখিয়ে গালিগালাজ খাওয়ানোর ব্যবস্থা রেখেছে।এমনকি গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী হয়েও নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে জেলা গ্রন্থাগার মেলা করতে পারেননি তিনি।অথচ মঙ্গলকোটে জুয়া খেলা সহ অশ্লীল লেটো মেলা প্রায় সময় হয়ে থাকে।কেন এহেন আচরণ দলেরই বিধায়ক তথা রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি?  এখানে এই কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডলের সাথে কোন বিবাদের জন্য নয়, এটা সেই ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই সিদ্দিকুল্লাহ কে নখদন্তহীন বাঘ বানাবার প্রয়াস চলছে।দলে থেকেও দলের লোক নয়, আবার মন্ত্রী হয়েও কোন ক্ষমতা নাই এর মত।শয়ে শয়ে বিধায়ক অনুগামীদের গাঁজা - অস্ত্র সহ বিভিন্ন মামলায় যখন ফাঁসানো হচ্ছে।তখন কিছু করতে পারছেন না পুলিশের এই কর্মকান্ডের প্রতি, আবার পদিমপুরে বিধায়ক অফিসে দলের বিপক্ষ শিবিরের বাহিনী যখন বোমাবাজি করে মারধোর চালিয়েছে বেশ কয়েকবার। সেখানেও বড় অসহায় সিদ্দিকুল্লাহ।এমনকি গত ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলকোটের আটঘড়ায় দলের মহিলাদের ঝাঁটা জুতো দেখলেন।সেখানে জেলা পুলিশ প্রশাসন তো বটেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চুপচাপ। কেন এই নীরবতা সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি?  একজন বিধায়ক হিসাবে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া টা কি অপরাধ?  যেখানে একজন মন্ত্রী রাজ্যের যেকোন এলাকায় যেতে পারেন! এই বিমাতৃসুলভ আচরণের অন্তরালে কি?  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা তৃনমূলের এক দাপুটে নেতা জানান - "দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকেই আমাদের বলা হয়েছে সিদ্দিকুল্লাহ কে কোনভাবেই গুরত্ব না দিতে" কেন এই অলিখিত  নির্দেশ জানতে চাইলে তখন ওই নেতা বলেন - ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমাদের নেত্রী সিপিএম - কংগ্রেসের জোট অপেক্ষা সিদ্দিকুল্লাহের  ১০০ আসনে প্রার্থী দাঁড় করানো বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলেন।মূলত সংখ্যালঘু ভোট কিছুটা মাইনাস হয়ে গেলে, অনেকজায়গায় বিরোধী জোট জয়লাভ করত।তাই নবান্ন তে সিদ্দিকুল্লাহ কে ডেকে দুটি আসন এবং মন্ত্রিত্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নেত্রী। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই দুটি সমঝোতা মেনে নিলেও সিদ্দিকুল্লাহের ব্লাকমেলিং অন্তরে মানতে পারেননি দলনেত্রী।তাই মঙ্গলকোট কেন্দ্রে ২০১১ এর বিধানসভা ভোটে তৃনমূল প্রার্থী অল্পভোটে হেরে গেলেও ২০১৬ তে সিদ্দিকুল্লাহ কে ভোটের টিকিট দেন মমতা।অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ অপূর্ব চৌধুরী কে টিকিট না দিলেও, তার হাতে যাতে মঙ্গলকোটের যাবতীয় রাশ থাকে সেজন্য দলনেত্রীর সবুজ সংকেত বরাবরই ছিল।পুলিশ - প্রশাসন তাই প্রথম থেকেই বিধায়ক তথা মন্ত্রী কে গুরত্ব না দিয়ে 'জামাই আদরে' রাখত ২০১১ সালের পরাজিত বিধানসভা নির্বাচনের তৃনমূল প্রার্থী তথা ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী কে।পুলিশের দেওয়া সর্বক্ষণের দুজন নিরাপত্তারক্ষী,  ব্লকে আইসিডিএসের নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান,  থানার নাগরিক কমিটির সম্পাদক তারই নির্দেশন মাত্র।তৃনমূলের অন্দরে ক্ষমতালোভী হিসাবে পরিচিত সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কদর প্রথম থেকেই লোকদেখানো ছিল।২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কর্মসূচী ২০১৮ এর পঞ্চায়েত ভোটে ৩৪ আসনে গ্রাম পঞ্চায়েতের টিকিট তৃনমূলের সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি 'আই ওয়াস' করানো ছাড়া কিছুই নয়।যদি সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি শীর্ষ নেতৃত্ব সহৃদয় থাকতো, তাহলে মঙ্গলকোটের পঞ্চায়েত আসনে দেখা যেত সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর অনুগামীদের কে 

ভাতারে সিপিএম অফিস সন্ত্রাসের আগুনে অগ্নিদগ্ধ

সুদিন মন্ডল

সোমবার নমিনেশন জমা দেওয়া কেন্দ্র করে ভাতারে  যে রাজনৈতিক অশান্তির আগুনে  পুড়ে ছাই হয়ে যায় ভাতার এর সিপিএম পার্টি অফিসের কাগজপত্র, পাশাপাশি ভাঙচুর হয় চেয়ার,টেবিল,মোটরসাইকেল  সহ আরও নানান সামগ্রী বলে অভিযোগ।  এই মর্মে ভাতার থানায় সিপিএম এর তরফ থেকে একটি অভিযোগও জমা হয়।অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকালে সিপিএম এর উচ্চ নেতৃত্ব ভাতার পার্টি অফিস পরিদর্শনে আসে ছিলেন আভাস রায়চৌধুরী, অমল হালদার,অচিন্ত্য মল্লিক,গণেশ চৌধুরী,উদয় সরকার প্রমুখরা।

সুমঙ্গল হোমে কোচিং বাঁকুড়া জেলাপুলিশের

সাধন মন্ডল

বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে সারা বছর ধরে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছে পুলিশকর্মীরা। এই সমস্ত সেবাকাজের মূল কান্ডারী বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা। তাঁর উদ্যোগে ও সিভিক পুলিশকর্মীদের সহযোগিতায় বাঁকুড়ার সুমঙ্গল হোমে থাকা ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে সপ্তাহে দুদিন কোচিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য পুলিশ সুপার কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁর এই অভিনব উদ্যোগে বাঁকুড়াবাসী আপ্লুত, অভিভুত।

লালগড়ের জঙ্গলে সদ্যজাত কন্যা

সঞ্জয় হালদার

লালগড়ের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল একটি সদ্যজাত শিশু কন্যা। আজ সকাল বেলায় প্রতিদিনের মতো জঙ্গলে কাঠ কুড়ানো ও পাতা তোলার কাজে গিয়েছিল গ্রামের মহিলারা।কান্নার আওয়াজ শোনার পর সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়ে জঙ্গলে পাতার উপর পড়ে রয়েছে এক সদ্যজাত শিশু কন্যাকে।
অসহায় ভাবে পড়ে থাকা বাচ্চাকে দেখে মায়া সমলাতে না পেরে কোলে তুলে নেন সুলেখা চালক। ততক্ষনে জঙ্গলে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা সি আর পি এফ কে খবর দেওয়া হলে তারা তৎক্ষনাৎ জঙ্গলে গিয়ে হাজির হয় এবং লালগড় হাসপাতালে খবর দেওয়া হলে গাড়ী পাঠিয়ে তাদের কাছ থেকে শিশু কন্যাকে লালগড়  হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করা হয় । ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মহেশ্বর মান্ডি বলেন পুলিশ জঙ্গলে পরিত্যাক্ত অবস্থায় শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে লালগড় হাসপাতালে পাঠানো হলে তারা শিশু কন্যাকে সুস্থ করে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।

ময়ুরেশ্বরে বালির গাড়ীতে হত বাইক আরোহী

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার অন্তর্গত কোটাসুর পেট্রলপাম্পের সামনে ছয় চাকা বালি বোঝাই লরি এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে বাইক আরোহী প্রান হারায়।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৪, ২০১৮

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকাতেও মঙ্গলকোটে মনোনয়নপত্র তুলতে পারলনা সিদ্দিকুল্লাহের ৩৪ জন প্রতিনিধি

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বিরোধী দল তো বটেই শাসকদলের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী হওয়া স্বতেও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীরর ৩৪ জন প্রতিনিধি মঙ্গলকোটে দ্বিতীয় দফা মনোনয়ন পর্বে ফর্ম তুলতে পারলো না।সেখানে তৃনমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন আসনরফায় সবুজ সংকেত ছিল। যে সন্ত্রস্ত পরিবেশ গত ১ এপ্রিল থেকে মঙ্গলকোটে তৈরি হয়েছে।সেখানে অবস্থার উন্নতি তো দূর অস্ত, উল্টে শাসকদলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর এবং পুলিশি সন্ত্রাস বহুগুন বেড়ে যাওয়ায় বিধায়ক অনুগামীরা সোমবার মনোনয়ন পেশের  ফর্ম তুলতে যায়নি।গত রবিবার ঝিলু ২ নং অঞ্চলের নপাড়া গ্রামে এক বিধায়ক অনুগামী পঞ্চায়েত ভোটের পদপ্রার্থীরর বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয় দলের বিপক্ষ গোষ্ঠী। তিনটি পশু পুড়ে যাবার পাশাপাশি ওই পদপ্রার্থীর নাবালক ছেলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গেছে।এই ধরনের সন্ত্রাস বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি খুন রাহাজানি শুরু হয়ে যাবে মাঠে ময়দানে নামলে।এই যুক্তিতেই গত রবিবার মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর অনুগামীদের ফোন করে হাত গুটিয়ে নিতে বলেন মনোনয়ন পর্ব থেকে।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্বর আসনরফার নির্দেশ টি 'আই ওয়াস' ছাড়া কিছুই নয়।সেভাবে নির্দেশ টি দলের বিপক্ষ শিবির কে এবং পুলিশ কে কড়া হাতে আইনশৃঙ্খলা দেখতে বলা হয়নি বলেই সিদ্দিকুল্লাহ এই পরিস্থিতির শিকার হলেন। দল এক্ষেত্রে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর অনুগামীদের মনোনয়ন পেশে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারতো।বিরোধীশুন্য মঙ্গলকোটে এবার দলের ক্ষমতাহীন গোষ্ঠী কে জব্দ করলো বলা যায়।গত ১ এপ্রিল মঙ্গলকোট থানা লাগোয়া পদিমপুর বাইপাসে বিধায়ক অফিসে দেড়শত মোটরবাইক বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসের তাস টি প্রথম খেলে ব্লক তৃনমূল সভাপতির অনুগামীরা।সেদিনই দুটি বিধায়ক অনুগামীর দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়।সেইসাথে বিধায়কের পঞ্চায়েত ভোটের পদপ্রার্থীদের বাড়ীর সামনে সশস্ত্র বাহিনীর নজরদারী বেড়ে যায়।২ এপ্রিল থেকে মঙ্গলকোট ব্লক অফিস লাগোয়া কৃষাণ মান্ডিতে এই বাহিনী কে রাখা হয় মনোনয়ন যাতে কেউ তুলতে না পারে সেজন্য।নির্বাচন কমিশন ব্লক অফিসের পাশাপাশি মহকুমাশাসক অফিসে ফর্ম তুলবার নির্দেশ দিলে, তাতেও সন্ত্রাসের মাত্রা বেড়ে যায়।বিভিন্ন সড়কমোড়ে সশস্ত্র বাহিনী কে রেখে ধরপাকড় চলে।পালিশগ্রাম মোড়ে গতবারের তৃনমূল জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যা লিপিকা সুলতানা কে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ উঠে বিপক্ষ শিবিরের দিকে।কাটোয়া মহকুমাশাসক ঢুকতে গেলে পুলিশের বাধাদানের অতিসক্রিয়তা দেখা যায়।দশের বেশি বিধায়ক অনুগামী আটক হয় মনোনয়ন ফর্ম তুলতে গিয়ে।৮ এপ্রিল মঙ্গলকোটের পদিমপুরে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আসেন অনুগামীদের মনোনয়ন তুলতে ৯ এপ্রিল নিয়ে যাবেন বলে।মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী, কনভয়, স্থানীয় থানার গাড়ী থাকা স্বতেও খুন রাহাজানি ঘটবে যুক্তি দেখিয়ে পুলিশের তরফে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠে। শান্তিপ্রিয় সিদ্দিকুল্লাহ অশান্তি এড়াতে কলকাতা চলে আসেন।এরপরে সরকারী নিরাপত্তারক্ষী, গাড়ী ছেড়ে দেওয়া।রাজভবন কিংবা বিকাশভবন সর্বোপরি রাজ মন্ত্রীসভা বৈঠকে না গিয়ে দলীয় ক্ষোভ ব্যক্ত করেন।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্দিকুল্লাহের ৩৪ টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়।উল্লেখ্য মনোনয়ন পেশের প্রথম পর্বেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সুব্রত বকসী, ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস একজায়গায় বসে ৩৪ টি আসনের প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছিল।এবারেও সেই একই পেক্ষাপট দেখা যায়।তাতে সিদ্দিকুল্লাহ ভেবেছিলেন - দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী মনোনয়ন পেশে আর বাঁধা হবেনা।কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে বিধায়ক অনুগামীদের উপর দলের একাংশের বাহিনী এবং পুলিশের একাংশের হাতে সন্ত্রাস বহুগুণ বেড়ে গেল।অভিযোগ, মঙ্গলকোট থানায় কোন বিধায়ক অনুগামী আক্রান্ত অবস্থায় গেলে অভিযুক্তদের সাথে পুলিশের একাংশের দহরমমহরম দেখে তারা সিটিয়ে যায়।উল্টে মিথ্যা মামলার প্রাপ্তিযোগে বিধায়ক অনুগামীদের বড় অংশ এলাকাছাড়া।কয়েকজনের বাড়ীতে রীতিমত দিনেরাতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ব্লক সভাপতির বেপরোয়া সশস্ত্র বাহিনী। যদিও ব্লক তৃনমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।মঙ্গলকোটের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে হিংস্বা হানাহানি রুখতে পিছিয়ে গেলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি নিজে অনেক পঞ্চায়েত ভোটের পদপ্রার্থীদের মনোনয়ন তুলতে বারণ করেন গত রবিবার থেকে।যেভাবে বাড়ীতে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে তাঁর এক অনুগামী কে।তাতে তিনি বলেছেন - মনোনয়ন পত্র তুলবার পর, স্কুটিনি, মনোনয়ন প্রত্যাহার,  ভোটের দিন, গণনার দিন অনুগামীদের প্রাণ সংশয়ে তিনি ফেলতে চাননা।দল যদি কড়া নির্দেশ দিত,  তাহলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতনা কোনদিন। তাই চাপা ক্ষোভ এখনও রইলো মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর অন্তরে।তার বহিঃ প্রকাশ ঘটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

সিটি কেবল নেটওয়ার্ক রক্তদান শিবির করলো আসানসোলে

মোহন সিং

গরমে রক্ত সংকট যাতে না হয় তারজন্য রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করে সিটি কেবল নেটওয়ার্ক।
আসানসোলের পুলিশ লাইনের কাছে একটি হোটেলে হয় এই অনুষ্ঠান।  সংস্থার পক্ষ থেকে জয়দীপ মুখার্জী বলেন প্রায় দুশো জন এই ক্যাম্পে রক্ত দেয়।  আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক রক্ত সংগ্রহ করে। 
এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, তাপস ব্যানার্জী, অমরনাথ চ্যাটার্জী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আসানসোলে লেলিনের ১৪৯ তম জন্মদিন পালন

মোহন সিং

ভ্লাদিমির লেনিনের ১৪৯ তম জন্মদিন পালিত হল আসানসোলে। আসানসোলের হটন রোড মোড়ে লেনিনের মুর্তিতে মাল্যদানের পাশাপাশি তার জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়। শুধু তাই নয় সোভিয়েত ইউনিয়ন কিভাবে ভারতকে নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে সে কথা উল্লেখ করেন বিশিষ্ট CPI(M)নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিল্পাঞ্চলের সমস্ত বাম নেতৃত্ব।

আসানসোল কেবল অপারেটরদের রক্তদান শিবির

মোহন সিং

আসানসোল সি টি কেবল পক্ষ থেকে  রক্তদান শিবির হল। সমস্ত কেবল অপরেটররা রক্তদান শিবিরে অংশগ্রহণ করেন।

স্বরুপনগরে তৃনমূল কর্মী কে ফোন করে ডেকে খুন

ওয়াসিম বারি

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরুপনগরে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরুপনগর থানার নিত্যানন্দকাটি গ্রামে । মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম আমিরুল মল্লিক  (32)। এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন আমিরুল । সোমবার ভোরে মোবাইলে একটি ফোন আসে আমিরুলের । ফোন পাওয়ার পর সে ঘর থেকে বের হয় । তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। সোমবার সকালে তার বাড়ি থেকে তিনশো মিটার দূরে গলাকাটা মৃতদেহ এলাকার মানুষেরা দেখতে পেলে তারা খবর দেয় স্বরুপনগর থানায় । স্বরুপনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় । তবে এই ঘটনায় সরাসরি সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব । গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্বরুপনগর থানার পুলিশ । তবে এখনো পর্যন্ত কোনো দুষ্কৃতী কে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।আজ এই ঘটনাস্থলে মৃত তৃনমূল কর্মীর বাড়িতে আসেন রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী তথা উঃ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ৷

সোমবার, এপ্রিল ২৩, ২০১৮

অধ্যাপক নিগ্রহের প্রতিবাদে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি

মানস দাস,মালদা

ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরিজিৎ দাসকে নিগ্রহের ঘটনায় অন্যায়ভাবে নাম জড়ানো হয়েছে এক অশিক্ষক কর্মীর। এই অভিযোগ তুলে সোমবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে ডেপুটেশন দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ। পাশাপাশি ওই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করে দোষীকে চিহ্নিত করারও দাবি জানান তারা । এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পঞ্চাশজন অশিক্ষক কর্মী একত্রিত হয়ে রেজিস্ট্রার সাধন সাহার কাছে ডেপুটেশন দিতে যান। তারা অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে অধ্যাপক অরিজিৎ দাস  হেনস্থার অভিযোগ আনছেন। তাকে কোনও রকম হেনস্থা করা হয়নি বলেও জানান অশিক্ষক কর্মীরা। নিগ্রহের অভিযোগ মানস ঘোষ নামে যে অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে উঠেছে তিনি বলেন," যেভাবে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে মর্মাহত । একজন অধ্যাপকের সঙ্গে যেচে কথা বলতে গিয়ে এরকম অভিযোগ উঠবে, ভাবতে পারছি না।" ঘটনার নিন্দা করেছেন অন্যান্য অশিক্ষক কর্মীরাও। রেজিস্ট্রারের কাছে তারা দাবি করেন, নিগ্রহের ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে সামনে আনার জন্য। যদি ওই ঘটনায়  কোনও অশিক্ষক কর্মী জড়িত থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক বলেও দাবি তাদের।  এদিকে ওই দিন ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মী ও অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলেন রেজিস্ট্রার সাধন সাহা। তিনি জানান," আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরা অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনার সত্য উদঘাটনের দাবি নিয়ে আসে। তারা চক্রান্তের অভিযোগ এনেছেন ভূগোল বিভাগের ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধেই। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।" এদিন অশিক্ষক কর্মচারীদের বিক্ষোভকে সমর্থন করেন অধ্যাপকদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের পরিবেশ নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে বলে মত প্রকাশ করেন তারা। অন্যদিকে ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক অরিজিৎ দাস এদিনের ডেপুটেশন প্রসঙ্গে জানান, " আমি প্রকৃত সত্য উদঘাটনের যে দাবি জানিয়ে আসছিলাম, অশিক্ষক কর্মী সেই দাবিই জানিয়েছেন বলে আমি খুশি।"

প্রশাসনের সাহায্যে এবার পড়াশোনা চালাবে দুই বোন


মানস দাস, মালদা

মাস ছয়েক আগেও নিয়মিত স্কুল যেত দুই বোন ৷ কিন্তু হঠাৎ করে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয় তারা ৷ স্কুলের শিক্ষকরা ভেবেছিলেন, হয়তো অসুস্থতার জন্য দুই বোন স্কুলে আসতে পারছে না ৷ দিন পেরিয়ে যায় ৷ কিন্তু আর স্কুলে দেখা যায়নি ওই দুই বোনকে ৷ খোঁজখবর নিতে শুরু করেন স্কুলের শিক্ষকরা ৷ তখনই উঠে আসে করুন এক তথ্য ৷ শুধুমাত্র আর্থিক অনটনের কারণে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে দুই কন্যাশ্রী ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি প্রশাসনের নজরে নিয়ে আসে ৷ এদিন দুপুরে বিডিও, থানার আইসি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক সটান হাজির হন ওই দুই বোনের পিসির বাড়িতে ৷ তাঁরা দুই বোনের পড়াশোনার জন্য সমস্ত ধরনের সরকারি ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন ৷ দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে দুই বোনকে স্কুলে পাঠাতে রাজি হয়েছেন অভিভাবকরা ৷বছর দেড়েক আগেই সাংসারিক ঝড়ে মাথার উপর থেকে ছাউনি উড়ে গিয়েছিল চিন্তামণি আর শিউলির ৷ বাবা সোনারাম কোল মারা গিয়েছেন বছর চারেক আগে ৷ তারা ৪ বোন ৷ দেড় বছর আগে মা শ্রীমতী কোল ছোটো মেয়েকে নিয়ে অন্য এক পুরুষের হাত ধরে নতুন ঘর বাঁধতে চলে যান ৷ বাবা-মা’র অবর্তমানে চিন্তামণি আর শিউলি তাদের বিধবা পিসির বাড়িতে আশ্রয় নেয় ৷ তাদের সঙ্গে পিসির ঘরে ওঠে তাদের দিদি মৌসুমিও ৷ অভাবের জন্য দশম শ্রেণিতে পড়াকালীনই মৌসুমির বিয়ে দিয়ে দেন তাদের পিসি ৷ পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমাদিঘি গ্রামের রায়পাড়ায় সেই পিসির বাড়ি ৷ অবশ্য তাদের বাড়িও একই গ্রামে ছিল ৷ পিসি লক্ষ্মী কোল স্থানীয় এক ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন ৷ সেই উপার্জনেই নিজের ছেলেমেয়ে সহ ভাইয়ের দুই মেয়ের গ্রাসাচ্ছদন চলে ৷এত কিছুর পরেও ১৫ বছরের চিন্তামণি কোল স্থানীয় রাম মার্ডি হাইস্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল ৷ সে এখন নবম শ্রেণিতে পড়ে ৷ এক বছরের ছোটো শিউলি কোল একই স্কুলে পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে ৷ কিন্তু অভাবকে আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি তারা ৷ স্কুলে যাওয়ার থেকে তাদের কাছে বড়ো হয়ে দেখা দেয় পিসির বাড়ির কাজ কিংবা পোষা গোরু-ছাগলের দেখভাল ৷ তাই ৬ মাস ধরে স্কুলের রাস্তায় আর হাঁটতে দেখা যায়নি তাদের ৷ সেকথা জেনে ফেলে স্কুল কর্তৃপক্ষও ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সব ঘটনা শুনে এদিন দুপুরে আদিবাসী অধ্যুষিত ধুমাদিঘি গ্রামে লক্ষ্মী কোলের বাড়িতে সটান চলে যান পুরাতন মালদার বিডিও নরোত্তম বিশ্বাস ৷ সঙ্গে ছিলেন মালদা থানার আইসি মানবেন্দ্র সাহা ও রাম মার্ডি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপালচন্দ্র দাস ৷ বিডিও জানান, কিছুদিন আগে জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি এই গ্রামে এসেছিলেন ৷ তখনই তাঁরা জানতে পারেন, গ্রামের একটি মেয়ে স্কুলে পড়তে পড়তে পড়া ছেড়ে দিয়েছে ৷ তার নাম চিন্তামণি কোল ৷ পরে তাঁরা রাম মার্ডি হাইস্কুলের তরফ থেকে চিন্তামণির বিষয়ে জানতে পারেন ৷ এদিন গ্রামে এসে দেখেন, শুধু চিন্তামণি নয়, তার বোন শিউলি কোলও অভাবের তাড়নায় স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ৷ তারা পিসির বাড়িতে থাকে ৷ পিসি কাজে চলে গেলে তারা বাড়ির কাজকর্ম দেখাশোনা করে ৷ এদিন তাঁরা চিন্তামণি ও শিউলি সহ তাদের অভিভাবকদের বুঝিয়েছেন ৷ লক্ষ্মীদেবী ও দিদি মৌসুমি তাদের ফের স্কুলে পাঠাতে রাজি হয়েছেন ৷ রাম মার্ডি হাইস্কুলেই কস্তুরবা গান্ধি হস্টেল রয়েছে ৷ শিউলিকে তাঁরা এখনই সেখানে রাখার বন্দোবস্ত করছেন ৷ চিন্তামণিকেও সেখানে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা ৷ কোনওভাবেই এই দুটি মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হতে দেবেন না তাঁরা ৷ প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রথমে মৌসুমি ও লক্ষ্মীদেবী চিন্তামণি ও শিউলিকে স্কুলে পাঠাতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন ৷ অনেক বোঝানোর পর তাঁরা শেষ পর্যন্ত তাদের স্কুলে পাঠাতে রাজি হয়েছেন ৷
ফের পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় চোখে যেন ঝিলিক খেলে গিয়েছে চিন্তামণির ৷ সে বলে, পিসির অবর্তমানে ঘরের কাজ করার জন্য তারা স্কুলে যেতে পারছিল না ৷ এদিন স্যাররা তাঁদের বাড়িতে এসেছেন ৷ তাঁদের ফের স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ৷ কন্যাশ্রীর চোখে এখন আরেক উড়ানের স্বপ্ন ৷

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER