বুধবার, মে ০৯, ২০১৮

মুকুল পুত্র পঞ্চায়েত ভোটে ঘরে বসে আছে : জ্যোতিপ্রিয়

ওয়াসিম বারি

"শুভ্রাংশু তৃনমূলের বিধায়ক হওয়া স্বত্তেও এই পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে যে কর্মযজ্ঞ চলছে, দলের সমস্ত বিধায়ক, মন্ত্রী,  এমপি, সকলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, সেখানে মুকুল পুত্র এই সময় তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে ঘরে বসে আছে।তৃনমূলের বিধায়ক হয়েও ও যেই কাজ টা করছে সেটা অনৈতিক "। ----বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার কাশীপুরের তৃনমূল প্রার্থীদের সমর্থনে একটি প্রচারে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথাই বললেন রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃনমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এছাড়া তিনি আরও বলেন,  "সিপিএম এখন ক্ষয়িষ্ণু দলে পরিণত হয়েছে। আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে জীবাশ্মে পরিনত হবে। সেই সিপিএম এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে"। এছাড়া মন্ত্রী চ্যালেঞ্জ করে বলেন, " এই জেলায় ১৯৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ  পঞ্চায়েত পাবে না বিজেপি ও সিপিএম"। মুকুল রায় কে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, " মুকুল রায় তৃণমূল থেকে সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিজেপি তে গিয়েছে, তার কাছে নাকি এই জেলার সব পঞ্চায়েত হাতের তালুর মতো পরিষ্কার । যদি তাই হয়, তাহলে এই জেলার মধ্যে দু হাজার আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি । এটা মুকুল রায়ের ব্যার্থতা"।

দুহাজার কেজি পচা ছানা উদ্ধার মঙ্গলকোটের হিমঘরে



 মোল্লা জসিমউদ্দিন



 সারারাজ্যে ভাগাড় এর মাংস থেকে পচা মাছ নিয়ে যখন তোলপাড়।ঠিক তখনি বিপুল পচা ছানা উদ্ধার হল মঙ্গলকোটের বুকে।মঙ্গলবার সকালে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল মঙ্গলকোটের কৈচর ২ নং অঞ্চলে বাজার বনকাপাসি এলাকায় এক হিমঘরে হানা দেন।সেখানে গিয়ে দেখেন আড়াইশো জারে প্রায় দুহাজার কেজির ছানা রাখা হয়েছে।এগুলি পচে যাওয়ার পাশাপাশি ছত্রাক তৈরি হয়েছে।প্রশাসনের তরফে পচা ছানার জার গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।হিমঘরের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা রেখেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল।উল্লেখ্য মঙ্গলকোটের বনকাপাসি গ্রামে কয়েকশো ঘোষ পরিবার রয়েছে। যারা প্রতিদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন অংশ সহ সীমান্তবর্তী বাঁকুড়া - বীরভূম - নদীয়া - মুর্শিদাবাদ সহ পুরুলিয়ায় নিয়মিত ছানা আমদানি করে থাকে।বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিদিন ৮ টা ৪০ মিনিটে পুরুলিয়া ( ভায়া আসানসোল)  প্যাসেঞ্জার ট্রেনে কয়েকটি বগি বুক করে দীর্ঘদিন ধরে মঙ্গলকোটের বনকাপাসি থেকে ছানা সরবরাহ করা হয়।এই ট্রেনে এই ছানার জন্য পাশ্ববর্তী লেডিস কামরায় মহিলারা দুর্গন্ধের শিকার হন।জানা গেছে শুধু আসানসোল রেলরুট নয়, হাওড়ার কর্ড এবং মেন লাইনেই দুপুরের ট্রেনে নিয়মিত যায়।এর বেশিরভাগই মঙ্গলকোটের কৈচর ২ নং এলাকা থেকে আসে।তাই মঙ্গলবার সকালে মহকুমাশাসকের বিশেষ অভিযানে দুহাজার কেজির পচা ছানা, তাও হিমঘরে সংরক্ষিত করে রাখার ঘটনায় মিষ্টান্নভোজন প্রেমিদের পচা মাংসের মত চাপা আতংক এনে দিয়েছে।কেননা পূর্ব বর্ধমান জেলার বড় অংশ তো বটেই দক্ষিনবঙ্গের চার থেকে পাঁচটি জেলার একাংশে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ছানা সরবরাহ করা হয় মঙ্গলকোটের এই এলাকা থেকেই!

মিলন পাঠাগারে রবীন্দ্রজয়ন্তী

সুকান্ত ঘোষ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালিত হল মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারে।পাঠাগার সম্পাদক নুর আনসারী জানান - কবিগুরুর জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মিডিয়ায় কথা বলা বারণ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর


মোল্লা জসিমউদ্দিন





 চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসনরফায় নি:স্ব হওয়া 'বিদ্রোহী' সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিশস্ত সুত্রে প্রকাশ।মিডিয়াতে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে বিরত থাকতে বলা হয়েছে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে।যেভাবে শাসকদলের মন্ত্রী হয়ে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বিভিন্ন গনমাধ্যমে দলেরই শীর্ষ নেতৃত্বর প্রতি বিষেদগার হয়েছিলেন, তাতে তৃনমূলের অন্দরে ক্রমশ সিদ্দিকুল্লাহ কে নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়।সর্বোপরি সিদ্দিকুল্লাহ একজন রাজ্যস্তরের মুসলিম ধর্মীয়গুরু হওয়ায় চলতি পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে চিড় ধরতে পারে, এহেন আশংকায় তড়িঘড়ি সিদ্দিকুল্লাহ কে সর্তক করার পাশাপাশি মিডিয়াতে রাজনৈতিক বক্তব্য পেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা যাচ্ছে। যেভাবে রাজ্য বিজেপি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু প্রার্থী 'প্রমোট' করেছে, তাতে সিদ্দিকুল্লাহর মত একজন সংখ্যালঘু নেতা তৃনমূলের অন্দরে থেকে তীব্র অসন্তোষ সহ রণংদেহী বক্তব্য নিয়মিত বললে, ক্ষতি হবে শাসকদলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে।যদিও সিদ্দিকুল্লাহ প্রকাশ্য কিছু না বললেও ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন - "দলনেত্রী চুপ থাকতে বলেছেন এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি ভোট মিটলেই মঙ্গলকোটে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন "। উল্লেখ্য এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে মনোনয়ন পেশের সময় সিদ্দিকুল্লাহ কে মঙ্গলকোটে ৩৪ টি আসন দেওয়ার কথা শীর্ষ নেতৃত্ব জানালেও কোন আসনেই মনোনয়নের ফর্ম তুলতে পারেনি বিধায়কের অনুগামীরা।আবার হাইকোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন পেশের দ্বিতীয় দফাতেও অনুরুপ ছবি দেখা যায় বিধায়ক শিবিরে।সেসময় মিডিয়ায় সিদ্দিকুল্লাহ বিভিন্ন সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন - " দলনেত্রীর নির্দেশে সুব্রত বকসী, ফিরহাদ হাকিম,অরুপ বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় অনুব্রত মন্ডল সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে ৩৪ টি আসনের প্রতীক তুলে দেন।এই প্রতীক তুলে দেওয়া হয় ফিরহাদ হাকিমের বাড়ীতে।" প্রথমপর্বে মনোনয়ন পেশে ব্যর্থ হওয়ার পর কয়েকদিনের জন্য সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সরকারী গাড়ী - নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দেন।সেইসাথে রাজভবন - বিকাশভবন যাওয়া বন্ধ করে দেন।এমনকি রাজ্যমন্ত্রীসভার মাসিক বৈঠক এড়িয়েও যান।এইবিধ অবস্থান গুলি মিডিয়ায় ফলাও করে প্রকাশ হওয়ায় রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় বলে মুখ্যমন্ত্রী মনে করেছেন বলে প্রকাশ। শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেও দ্বিতীয়দফাতেও মঙ্গলকোটে মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি সিদ্দিকুল্লাহের অনুগামীরা।তখন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সিদ্দিকুল্লাহ দলেরই বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখান।প্রথমত মনোনয়ন পেশে শাসকদলের সন্ত্রাস নিয়ে গাঁ জোয়ারি প্রসঙ্গ টানেন সিদ্দিকুল্লাহ।উন্নয়নের প্রশ্নে সওয়াল করে ভোট পেত তৃনমূল  তা তিনি মনে করে দলের সংগঠিত সন্ত্রাস কে সুকৌশলে তুলে ধরেন। এতে তৃনমূলের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুন্ন হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন প্রশ্নে।বিরোধী দলের কোন নেতা নয়, দলেরই একজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে এহেন বক্তব্য পেশ করায় চাপে পড়ে যায় তৃনমূল। দ্বিতীয়ত মঙ্গলকোটে আসনরফা নিয়ে যে অংক সিদ্দিকুল্লাহ বারবার তুলে ধরেন, তাতে দলের মধ্যে গোষ্ঠীবাজী বারবার মদত পাচ্ছে।এতে বিক্ষুব্ধদের দাবিদাওয়া ক্রমাগত বেড়েই চলছিল সারারাজ্য জুড়ে।তৃতীয়ত বিজেপির সাথে উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে বিশেষত রামনবমী - হনুমান জয়ন্তী পালনে তৃনমূল যে লড়াই শুরু করেছে।তাতে বিজেপির হাত শক্ত হবে বলে মন্তব্য সিদ্দিকুল্লাহ করাতে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক নিয়ে দোটানায় পড়ে যায় তৃনমূল। একাধারে উগ্র হিন্দুত্ব বজায় রাখা অপরদিকে মুসলিম সমাজ কে খুশি করা দুটো একসাথে সম্ভব নয়, তা ঘনিষ্ঠ মহলে সিদ্দিকুল্লাহ ব্যক্ত করেন।চতুর্থত যেভাবে বীরভূম জেলা সভাপতি তথা মঙ্গলকোট কেন্দ্রের দলীয়  পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল কে 'মহারাজ' সম্বোধনে সিদ্দিকুল্লাহ ব্যঙ্গ করেছেন, তাতে দলনেত্রী চরম রুষ্ট বলে জানা গেছে। সামগ্রিকভাবে মিডিয়ায় সিদ্দিকুল্লাহের সাক্ষাতকার পেশে দেখা যায় - দলনেত্রীর নির্দেশ থাকা সত্বেও মঙ্গলকোটে পঞ্চায়েত ভোটে কোন আসনেই মনোনয়ন দিতে পারেনি বিধায়ক অনুগামীরা।দলের একাধারে সুপ্রিমো,  অন্যধারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে কখনও সুব্রত বকসী কে, আবার কখনওবা শিক্ষামন্ত্রী কে দিয়ে সিদ্দিকুল্লাহের আসনরফার বৈঠক করেছেন।সেখানে কোন রসায়নে মঙ্গলকোটে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং স্থানীয় থানার প্রভাবে সিদ্দিকুল্লাহ মঙ্গলকোট গিয়েও পারলেন না অনুগামীদের মনোনয়ন তুলতে?  এই প্রশ্ন বারবার সিদ্দিকুল্লাহের বিভিন্ন মন্তব্যে উঠে আসায় একপ্রকার বাধ্য হলেন সতর্ক করতে। সেইসাথে মিডিয়ায় কথা না বলার ( রাজনৈতিক)  নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সিদ্দিকুল্লাহ কে দেওয়া হয়েছে বলে বিশস্ত সুত্রে প্রকাশ।এমনকি দলীয় শৃঙ্খলা না মানার অভিযোগে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইংগিত দেওয়া হয়েছে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে।

মঙ্গলবার, মে ০৮, ২০১৮

আইনজীবি নিগ্রহের সুবিচারের দাবিতে বিক্ষোভ বসিরহাটে

ওয়াসিম বারি

থানা ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষভ ও রাস্তা অবরোধ করল আইনজীবিরা , আইনজীবি নিগ্রহের ঘটনায় দোষিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এই ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ ৷
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার ঘটনা |
গত ২৩/০৪ তারিখে মহকুমা শাসকের অফিস চত্তরে দুস্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হন এক আইনজীবি ৷ সেই দুস্কৃতিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এই ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ ৷এই একই দাবিতে এর আগেও কয়েকবার রাস্তা অবরোধ  ও এসডিও অফিস ঘেরাও হয় , কিন্তু দোষীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আজ আবার থানা ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধে সামিল হল আইনজীবিরা।

কালিয়াগঞ্জে নাট মন্দিরের সামনে মার্কেট নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক

বিকাশ সাহা


নাট মন্দিরের জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ নিয়ে জনমানষে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে অবস্থিত মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির। বিশালার মন্দির সংলগ্ন ময়দান নাট মন্দিরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। এই ময়দানে প্রতিবছর রথ টানতে কয়েক হাজার ভক্তপ্রান মানুষের সমাগম ঘটে। সেই সঙ্গে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এই ময়দান জুড়ে বিশাল মেলা বসে। মেলায় জেলা সহ ভিন জেলার দোকানীরা তাঁদের হরেকরকম পসরা সাজিয়ে বসেন। নামযজ্ঞ দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তপ্রান মানুষ ছুটে আসেন মন্দির ও মেলা প্রাঙ্গনে। নাট মন্দির কমিটির তরফে নাট মন্দিরের এই ফাঁকা জমির পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক জুড়ে দোকান ঘর নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে কালিয়াগঞ্জবাসীর মধ্যে।
বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত কালিয়াগঞ্জবাসী ও কালিয়াগঞ্জের ভক্তপ্রান মানুষজনের বক্তব্য,  নাট মন্দির চত্তর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাইছে মন্দির কমিটি। মন্দিরের বিশালাকার জমির দুই দিকে ঘর তৈরি করলে মন্দিরের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। যারফলে  অনুষ্ঠান চলাকালীন মাঠে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী মেলার ব্যাঘাত ঘটবে। দোকান ঘর তৈরি হলে মাঠের জায়গা ছোট হয়ে যাবে। রথ টানতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হবেন ভক্তপ্রান মানুষজন। এভাবে বিল্ডিং তৈরি হলে হটাত কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে হাজার হাজার মানুষ এই আবদ্ধ ময়দান থেকে বেড়তে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হবেন। সেই কারণে অবিলম্বে মন্দির কমিটির একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে  আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কালিয়াগঞ্জবাসী। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদী জনমত দিতে পিছুপা হচ্ছেন অনেকেই।    শনিবার দুপুরে নাট মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তপ্রাণ মানুষের ক্ষোভ আচরে পরল মন্দির কমিটির উপর।মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির কমিটির সভাপতি তথা কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সাহা জানান, মন্দিরের সাফসাফাই, বিদ্যুৎ বিল সহ নানান কর্মযজ্ঞ চালাতে গিয়ে প্রতিদিন প্রায় দের থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হয়। সেই কারণে মন্দিরের লাগোয়া মাঠের দক্ষিন ও পশ্চিম দিকে ৪৫ থেকে ৪৭ টি দোকান ঘর তৈরি করে ভারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোকানের স্থান অনুযায়ী সারে ৩ লক্ষ, ৪ লক্ষ ও ৫ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কেউ দোকানঘর ছেড়ে দিতে চাইলে অগ্রিম দেওয়া পুরো টাকাটাই তাঁকে ফেরত দেওয়া হবে। দোকান ঘরের উপর তলায় কৃত্তণ শুনতে আসা আবাসিকদের থাকার ঘর,  সেবা সমিতির কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে বিনা মুল্যে ছাত্র ছাত্রীদের গোটা বছর যে কোচিং দেওয়া তার জন্য ঘর তৈরি করা হবে। সে সঙ্গে জগন্নাথ দেবের মন্দির নির্মাণ করা হবে। তৃতীয় তলায় বহিরাগত অতিথি ভক্তদের নুন্যতম অর্থের বিনিময়ে থাকার ব্যাবস্থা করা  সহ অনুষ্ঠানে আগত কৃত্তণ দলের থাকার ব্যবস্থা থাকবে । সেই সঙ্গে পূর্বদিকে বিশালাকার প্রবেশদ্বার তৈরি করা হবে। বর্তমান অফিস ভেঙ্গে দোতলা করা হবে। নিচে নতুন অফিস ঘর ও দোতলায় রাধাকৃষ্ণের মন্দির নির্মাণ করা হবে।  পূর্ব দিকের মন্দির গুলির চূড়া নির্মাণ করা হবে।  পরবর্তী প্রজম্মের মন্দির কমিটির সদস্যদের কোনও দিক থেকে যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় সেই কথা মাথায় রেখে মন্দির চত্তরের উন্নয়ন করা  হচ্ছে।

পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে মেমারী ছাত্রপরিষদের মিছিল

সেখ সামসুদ্দিন

আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্ৰামের পাড়ায় পাড়ায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে মেমারি কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদে উদ‍্যোগে মেমারি ব্লক ও শহর ছাত্র পরিষদ সভাপতি মুকেশ শর্মার নেতৃত্বে বিশাল মিছিল বের করা হয়। মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও   যুব নেতা অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের বিশাল মাপের কাটাউট সহযোগে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে এই মিছিল মেমারি শহর প্রদক্ষিণ করে।

ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ জয়নগর ১ ব্লকে

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

১৪ ই মে ভোট হবে কিনা তা মঙলবারের আগে জানা না গেলেও ভোটের সব রকমের প্রস্তুতির কাজ সেরে  ফেলছেন প্রশাসন।জয়নগর ১নং ব্লকের ডিসিআরসি করা হয়েছে বহরু হাইস্কুলকে।গননাকেন্দ্র সহ ভোটের সব কাজ আজ থেকে চলছে ওই স্কুলে।আজ থেকে ঐ স্কুলে শুরু হয়েছে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষন। কালও হবে প্রশিক্ষণ। ভোটের গননা কেন্দ্র হবার কারনে স্ট্রং রুম তৈরি করা হয়ে গেছে। এই  রুম সহ সারা স্কুলে সিসি ক্যামেরা লাগানো হছে।চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ।ব্লক  সূত্রে জানা গেল,তারা ভোটের জন্য সবরকম ভাবে তৈরি আছে।সোমবার ওখানে পিসাইডিং ও  পোলিং অফিসার হিসাবে ৮৩৬ জন প্রশিক্ষণ  নিয়েছেন।জেলা ও জেলার বাইরে থেকেও  অনেক ভোট কর্মী আজ এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন।আজ থেকেই বহরু হাইস্কুলভবন  ব্লক প্রশাসনের হাতেই চলে গেলো।

হাবড়া ১ ব্লকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সভা সারলেন

ওয়াসিম বারি

বিজেপি দল টা হলো একটা অসভ্য, গুন্ডাদের দল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেখানেই যান তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের কর্মীরা বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয় । বিজেপির  হয়ে দালালি শুরু করেছে সিপিএম ও কংগ্রেস । বাংলার  মানুষ এ সব  মেনে নেবে না। বাংলার মানুষ ভরসা রাখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপর"---- সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের কুমড়ো কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খারো স্কুল মাঠে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে তৃনমূল প্রার্থীদের  একটি প্রচার  সভায় এসে এ কথাই বললেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ।

সোমবার, মে ০৭, ২০১৮

মদ্যপ মোটরবাইক আরোহী পড়লো নয়নজুলিতে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

স্বরূপনগর থানার বিথারী কাট গোলার মোড়ে দুপুর ২টা নাগাদ এক মদ্যপ আরোহী নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে নয়নজুলিতে পরে অচৈতন্য-হয়েপরে।স্থানীয়রা ধরাধরী করে তাকে উদ্ধার করে।

নির্বাচনী সেক্টর অফিস হিসাবে প্রস্তুতি স্বরুপনগরে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

আসন্ন ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন আগামী ১৪ই মে অনুষ্ঠিত হবে এই উপলক্ষে স্বরূপনগর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় মালঙ্গপাড়া কে.সি.বি.ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনে স্বরূপনগর নির্বাচনী সেক্টর অফিসের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

স্বরুপনগর - বাদুড়িয়ার ইটভাঁটা শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

স্বরূপনগর-বাদুড়িয়া থানার মধ্য অংশে রামচন্দ্রপুর খাসপুর এলাকায় গত ১৬ই এপ্রিল থেকে এলাকার ১৬ টি ইটভাটা অনিদৃষ্টকালের জন্য শ্রমিকদের কর্ম-বিরতী চলছে।শ্রমিক দের নায্য মজুরী আদায়ের জন্য-এই কর্ম বিরতী বলে জানান শ্রমিক সংগঠন (সিটু)র সম্পাদক শংকর কুমার ঘোষ।চলতি মৌসুমে অগ্রীম কোন নোটিশ ছাড়াই শ্রমিক দের এই কর্ম বিরতীতে কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবী করেন উঃ ২৪ পরগনা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি উদয় চন্দ্র মন্ডল।তিনি জানান শ্রমিকরা কর্ম বিরতী না করে কাজের পরিবেশ ঠিক রেখে আলোচনার মাধ্যমে মজুরী ঠিক করা যেত।এখন ইট তৈরীর সময় চলছে। দুই দিন বাদে বর্ষার মৌসুম শুরু হলে এই কাজ ব্যাহত হবে।যার ফলে কাজের সময় শ্রমিকরা কর্ম বিরতী করে মালিক দের ব্যাপকভাবে লোকসানের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

গুড়িয়াহাটি ২ নং অঞ্চলে ভোট প্রচারে মন্ত্রণ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

সুজিত ঘোষ

কোচবিহারে গুঁড়িয়াহাটি -২ অঞ্চলে  পঞ্চায়েত নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ.

রবিবার, মে ০৬, ২০১৮

যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে পুরুলিয়ায় জনরোষ বাড়ছে

সঞ্জয় হালদার

আজকেও পুরুলিয়ার জেলার জঙ্গলমহল তথা মানবাজার 2 ব্লক আদিবাসী ও মুলনিবাসীদের মিটিং, মিছিল ও জনসভাতে সরগরম রইলো। গতকাল জঙ্গলমহল এলাকার সুসুনিয়া একলব্য আবাসিক স্কুলে অভিযোগ ওঠে একজন অশিক্ষক গ্রুপ" ডি" কর্মচারী  দীর্ঘদিন যাবৎ নাবালিকা আদিবাসী ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা করে আসছিলেন বিভিন্ন কাজের অছিলায়, ভয় ও ভীতি প্রদর্শন করে এবং অনেক সময় জোরপূর্বকও । খবরে প্রকাশ এই রকম নোংরা কাজকর্ম করতে গিয়ে খবরটা জানাজানি হয় যখন একজন আবাসিক ছাত্রী শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে । আর এরেই প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেপ্তার ও  শাস্তি প্ৰদান, প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত ,এলাকার বাসিন্দা তথা স্থানীয় বিধায়ক এখন পর্যন্ত স্কুল পরিদর্শনে না আসা ও নির্যাতিতা ছাত্রীদের পাশে না দাঁড়ানো এমন হাজারো অভিযোগ এবং দাবী দাবা নিয়ে আজকেও সুসুনিয়া একলব্য স্কুল সন্নিকট মাঠে " ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল "" জুয়ান মহল ,' "ভারত জাকাত পাঠুয়া গাঁওতা ' ও আদিবাসী একতা মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে বিশাল আদিবাসী ও মুলনিবাসী জমায়েত করলো,ও কুস পুত্তলিকা পোড়ানো হয় ।এই মুহুর্তে শাসক ও বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলেদের কাছে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন আগে ।

পথবাতির দাবি লোচনদাস সেতুতে


 মোল্লা জসিমউদ্দিন


 বর্ধমান এবং বীরভূম জেলার সংযোগকারী মঙ্গলকোটের অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুতে পথবাতি লাগানোর দাবি দীর্ঘদিনের।প্রায় এক কিমি বিস্তৃত এই সেতুটি শুধুমাত্র এই দুটি জেলা নয়, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগকারী মূল সেতু হিসাবে পরিচিত। ৭ নং রাজ্য সড়ক ধরে প্রতিনিয়ত হাজারের বেশি যানবাহন যাতায়াত করে এই সেতুটির উপর।গত দুই বছরে পাঁচের বেশি এলাকাবাসী প্রাণ হারিয়েছেন লোচনদাস সেতু সংলগ্ন এলাকায়।পথবাতি না থাকায় রাতে যেমন এই সেতুর উপর গাড়ী চালালে দৃশ্যমান কম থাকে, আবার নদী থেকে পঞ্চাশ ফুট উপরে থাকায় গাড়ী নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে গেলে হানাহানির সম্ভাবনা বিপুল থাকে।এমনিতেই সন্ধে নামলে সেতুর উপরে ইভিটিজারদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়, মদ্যপদের বাড়বাড়ন্তও কম নয়।অন্ধকারের সূযোগে নানান অসামাজিক কাজকর্ম চলে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। তাই মঙ্গলকোটের লোচনদাস সেতুতে পথবাতি দেওয়াটা আবশ্যিক হয়ে উঠছে।তবে ভাতার পূর্ত বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি পথবাতি লাগানোর প্রস্তাবনা জেলাপ্রশাসন কে দেওয়া হবে।

দলত্যাগী তৃনমূল নেতাদের ভাগারের মাংসের সাথে তুলনা অভিষেকের

ওয়াসিম বারি

"বিজেপি মানে এখন আর ভারতীয় জনতা পার্টি নেই, বিজেপি মানে এখন ভাগাড় জঞ্জাল পার্টি তে পরিনত হয়েছে"---শনিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মাটিয়া হাইস্কুল মাঠে তৃনমূলের এক জনসভায় এসে এ কথাই বললেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এ দিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, " ভাগাড়ের মাংস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা হচ্ছে ।এই ভাগাড়ের মাংসের খবর দেখলে বিজেপির কথা মনে পড়ে যায় ।ভাগাড় মানে পশু মারা গেলে কিংবা পচে গেলে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয় । আমরা যাকে দল থেকে বাদ দিয়ে আবর্জনা তে ফেলে দিয়েছি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড়ো করার চেষ্টা করছেন" । এছাড়া তিনি আরও বলেন,  আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনারা প্রার্থী কে দেখবেন না, সব কটি আসনের প্রার্থীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জোড়াফুলে ফোট দেওয়া মানে উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেওয়া । এদিনের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া উপস্থিত ছিলেন  রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,  মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ জেলার একাধিক বিধায়ক ও তৃনমূলে র নেতারা।

শনিবার, মে ০৫, ২০১৮

নবদ্বীপে রেলের জায়গা ঘিরে নেওয়ায়, টোটো চালকরা বিপাকে


শ্যামল রায়

নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশন কাউন্টারের পেছনে রেলের জায়গায়  টোটো চালকরা গাড়ি রেখে যাত্রী তুলতেন। এই জায়গা রেল কর্তৃপক্ষ ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু করতে যায় শনিবার।
টোটো চালকদের অভিযোগ যে আমরা দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ এই রেলের জায়গায় দাড়ি রেখে যাত্রীদের তুলি। হঠাৎ করে রেল কর্তৃপক্ষ ওই জায়গাটি ঘিরে ফেলতে চেয়ে কাজ শুরু করতে আসে এ দিন। আমরা দাবী করতে থাকি যে এই জায়গা ঘিরে ফেললে টোটো চালকরা কোথায় গাড়ি রেখে যাত্রীদের তুলবেন?এই নিয়ে চরম বিবাদ সৃষ্টি হয় রেল কর্তৃপক্ষের সাথে অটোচালকদের।এর প্রতিবাদে শনিবার টোটো চালকরা সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কর্মবিরতির ডাক দেয়।তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের আওতাভুক্ত নবদ্দীপ  টোটো চালক তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা দলবদ্ধভাবে কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করে‌।টোটো চালক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা সমীর দেবনাথ জানিয়েছেন যে আমাদের এই টোটো স্ট্যান্ডে কমপক্ষে ৬০ জন টোটো চালক রয়েছেন।টোটো ওয়েস্টার্ন করার মত সেরকম জায়গা না থাকার কারণে আমাদের এই রেলের জায়গাতেই টোটো রেখে যাত্রীদের তোলা নামা করতে হয়‌।
এই জায়গাটি ঘিরে ফেলা হলে আমাদের পক্ষে চরম সমস্যা তৈরি হবে। কেননা পাশ দিয়ে রয়েছে দোকান এবং মাঝ বরাবর নবদ্বীপ বাস এষ্টান থেকে কৃষ্ণনগর বর্ধমান যাবার প্রধান সড়ক। টেটু গুলো জায়গার অভাবে যদি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হবে। চরম সমস্যার সম্মুখীন হবেন যাত্রীসাধারণ। তাই এখন আমরা নিজেরাও ভেবে পাচ্ছিনা কোন জায়গায় তত রেখে যাত্রীদের পরিষেবা দেব। এই নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশন চালকদের সাথে রেল কর্তৃপক্ষের।
অথচ রেলের আই ডব্লিউ ডি আধিকারিক দেবব্রত বালা জানিয়েছেন যে টোটো চালকদের সাথে আমাদের শান্তিপূর্ণ সম্মতির ভিত্তিতে আলোচনা শেষ হয়েছে। টোটো চালকরা এই জায়গায় টোটো রাখবেন না বলেও আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। আর বাদবাকি বিষয়টি টোটো চালকরা ঠিক করবেন তারা কোথা থেকে যাত্রী তুলবেন আর কোথায় টোটো রাখবেন এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।তাই ভিতরে ভিতরে অটোচালকদের সাথে রেল কর্তৃপক্ষের একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেল শনিবার থেকে।অন্যদিকে নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশন মাস্টার এস এল সরকার  জানিয়েছেন যে আমরা টোটো চালকদেরকে জানিয়েছিলাম যে রেলস্টেশনের প্রধান গেটের ডানদিকে বড় জায়গা রয়েছে ওখানেই টোটো চালকরা টোটো রেখে যাত্রীদের নেওয়া আশা করতে পারেন। ওখানে যে রিকশা স্থান রয়েছে উভয়ই নিজেরা সম্মতির ভিত্তিতে যাত্রীদের যাতায়াত করানো আলোচনার মধ্যে দিয়ে সহজেই করতে পারতেন কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি টোটো পরিচালকরা।এছাড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন কোথাও সে রকম বড় জায়গা নেই।তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং যাত্রীসাধারণ বলছেন যে নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশন চত্বর ঘেঁষে একাধিক টোটো সট‍্যানড গড়ে উঠেছে। এছাড়াও একটু এগিয়ে যে নেতাজি স্টেডিয়াম ঢোকার মুখে যে দুটো চালকদের ইউনিয়ন অফিস গুলো রয়েছে এখানে অনেকটা জায়গা রয়েছে টোটো চালকরা ওখানেও টোটো গাড়ি রেখে যাত্রীদের নিয়ে আসা  করতে পারেন বলেও অনেকে সহমত পোষণ করেছেন।
অন্যদিকে রেলস্টেশনের প্রধান গেটের পাশে যে রিকশা স্ট্যান্ড রয়েছে এখানে টোটো স্টান্ট করতে দেবেনা রেলপুলিশ। এই নিয়ে টোটো চালকদের সাথে ও ভেতরে ভেতরে একটা ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেছে রেল পুলিশের সাথে‌।তবে এখন টোটো চালকরা কোন জায়গায় গাড়ি রেখে যাত্রী তুলা নামানো করবেন এই নিয়েই উঠেছে নানান প্রশ্ন?
এর সমাধান না হলে যাত্রীদের ক্ষেত্র তৈরি হবে চরম সমস্যা পাশাপাশি দুটো চালকরাও একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনযাপন করবে বলে অভিযোগ তুলেছেন ।শনিবার রেলের জায়গা থেকে উচ্ছেদ হলো টোটো চালকরা সেই সাথে টোটো চালকরা পালন করল কর্মবিরতি। এই দিয়ে একটা চরম বিবাদ তৈরি হয়েছে টোটো চালকদের সাথে নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের।

মমতার মুখোশ পড়ে ভোটের প্রচার মাধবডাঙ্গায়

সোমনাথ চক্রবর্তী

শনিবার ময়নাগুড়ি ২নং ব্লকের মাধবডাঙ্গা এলাকায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে ১৬/১২৬ ব্যাধ পাড়া বুথের পঞ্চায়েত প্রার্থী অনিমা রায়,পঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী শিবম রায় বসুনিয়া এবং জেলাপরিষদ প্রার্থী গোবিন্দ রায় তাদের নির্বাচনী প্রচার করলেন।এদিন দলীয় সমর্থকদের মুখে মমতা ব্যনার্জীর মুখোশ পড়ে প্রচারে সামিল হন।এলাকার পঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী শিবম রায় বসুনিয়া বলেন আমরা ১০০%নিশিত জিতবই।বিগত দিনে এই এলাকায় ব্যপক উন্নতি হয়েছে।এবারে জিতে আরো এলাকার উন্নতি করবো বলে জানান তিনি।তিনি আরো বলেন চারিদিকে মমতাব্যনার্জীর যে উন্নয়ন তারই নিরিখে মানুষ জোরা ফুল চিহ্নেই ভোট দেবে বলে জানান শিবম বাবু।

গরুর গাড়ীতে ভোটের প্রচার

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের মল্লারপুরে গ্রামে গ্রামে  তৃণমূলের গুরুর গাড়িতে চেপে ভোট প্রচার চলছে।এহেন প্রচারে খুশি এলাকাবাসী।

শুক্রবার, মে ০৪, ২০১৮

গত বিধানসভা ভোটে তৃনমূল সমর্থিত নির্দল প্রতীকে সিদ্দিকুল্লাহ দাঁড়ালে এই পরিস্থিতি হতনা


মোল্লা জসিমউদ্দিন



 এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মঙ্গলকোটের প্রায় দুশো আসনে ( ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩ টি জেলাপরিষদ গুলির সর্বমোট আসন)  একটিতেও প্রার্থীপদ পাইনি স্থানীয় বিধায়কের অনুগামীরা।বিরোধীশুন্যর পাশাপাশি বিক্ষুব্দদের শুন্য হতে হয়েছে মঙ্গলকোটে।একপ্রকার বলা যায় মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অধ্যায় ক্রমশ সমাপ্তির পথে।এমন পরিস্থিতি স্থানীয় বিধায়ক তাঁর নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে কোন কর্মসূচীতে যেতে পারছেন না।বিধায়কের ভাড়াটে অফিস থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তিনি।সবথেকে প্রধান বিষয়, তাঁর হাতেগোনা কয়েকজন অনুগামী ছাড়া কেউ তাঁর পাশে নেই।মঙ্গলকোট ঢুকলে কালো পতাকা প্রদর্শন ,  মহিলাদের ঝাঁটা জুতো দেখানোর গালিগালাজ থেকেও বেশি 'খারাপ' ঘটনা (অপদস্থ) অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য।রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী সর্বোপরি রাজ্যস্তরের মুসলিম ধর্মীয়গুরু হওয়া সত্বেও কেন এই পরিস্থিতি সিদ্দিকুল্লাহের?  তাও এমএসডিপি ব্লক হিসাবে স্বীকৃত মঙ্গলকোটে?  শুধুই কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুগামীদের প্রতীক বিলিতে ব্যর্থতা!  না কি আরও অনেককিছু। একাধারে তৃনমূলের শীর্ষস্তরের ষড়যন্ত্র যেমন দায়ী, ঠিক তেমনি মঙ্গলকোটের প্রতি 'দায়সারা' অবস্থানও সমান দায়ী সিদ্দিকুল্লার এহেন পরিণতিতে।তৃনমূলের বিশস্ত সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিদ্দিকুল্লাহের তৎকালীন রাজনৈতিক দল পিডিসিআই এর একশো আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার রণকৌশল তৃনমূল নেত্রী কে বাধ্য করেছিল - নবান্ন তে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে ডাকতে।বাংলার ত্রিশ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটারদের কথা ভেবে দুটি আসন এবং মন্ত্রিত্বের রফা হলেও তৃনমূল নেত্রী অত্যন্ত কায়দায় তৃনমূল প্রতীক দিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ কে।অর্থাৎ সিদ্দিকুল্লাহের দলের কোন অস্তিত্ব রইল যেমন, ঠিক তেমনি সিদ্দিকুল্লাহ একজন দলনেত্রীর অনুগত কর্মী হিসাবে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।এখান থেকেই সিদ্দিকুল্লাহের ব্যক্তিগত কারিশ্মার পতন শুরু হয় বলে রাজনীতিবিদদের দাবি।যদি তৃনমূল সমর্থিত নির্দল হয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াতেন,  তাহলে দলের অন্দরে এতটা কোণঠাসা হতে পারতেন না সিদ্দিকুল্লাহ।বিষয়টি নিয়ে সেসময় জমিয়ত উলেমা হিন্দের নেতৃত্বর মধ্যে তুমুল বিতর্ক দেখা দিয়েছিল।যদিও সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব 'ম্যানেজ' করে ফেলেছিলেন এই বিদ্রোহের সুপ্ত লেলিহান শিখা টি কে।গত বিধানসভা ভোটে নাম ঘোষনার পর থেকেই মঙ্গলকোটের ব্লক নেতৃত্ব সহ স্থানীয় থানার অসহযোগিতার শিকার হতে লাগেন।কৈচরে ব্লক তৃনমূল অফিসে সিদ্দিকুল্লাহ কে হুশিয়ারীও দেওয়া হয় মঙ্গলকোট আসন ছেড়ে মন্তেশ্বর নিতে।নাছোড়বান্দা সিদ্দিকুল্লাহ পরোয়া না করেই ভোটের ময়দানে নামেন সেসময়। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে যেখানে তৃনমূলের লিড ছিল ২৪ হাজার, সেখানে ২০১৬ সালের বিধানসভায় সিদ্দিকুল্লাহের জয় আসে ১২ হাজারে।অর্থাৎ বাকি ১২ হাজার শাসকদলের অন্তর্ঘাতে বিজেপির ঝুলিতে পড়ে।সিদ্দিকুল্লাহের হয়ে যেসময় জনপ্রতিনিধি সহ নেতৃত্ব ছিল।তাদের প্রতি যখন  মঙ্গলকোট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।তখন সিদ্দিকুল্লাহ চুপচাপ হয়ে যান।দাবি,গত দুবছরে পাঁচশোর বেশি বিধায়ক অনুগামী মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন।এরমধ্যে কুড়িজন মত গাঁজার মামলা।এইবিধ মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যাওয়ার পরিবারগুলির পাশে আইনি ও আর্থিকভাবে পাশে দাড়াননি স্থানীয় বিধায়ক।একশোর বেশি বিধায়ক অনুগামী জেলে গেছে। যেসব অনুগামীরা কলকাতায় যাতায়াত করতেন, তাদের রাহাজানি খরচ তো দূর অস্ত খাবার খরচও দিতেন না বিধায়ক। এইরুপ দাবি ভুক্তভোগী নিম্নবিত্ত - গরীব অনুগামীদের।যদিও বিধায়ক শিবিরে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।বিধানসভা নির্বাচনে কোনরকম জিতলেও, জেতার পর মঙ্গলকোটে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক,  থানা সহ প্রায় অফিসে সর্বাত্মক বয়কটের শিকার হন।এর প্রভাব পড়ে বিধায়ক তহবিলের বার্ষিক ৬০ লক্ষ অনুদান খরচে।স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতা না থাকলে এই তহবিল খরচ করা কঠিন।২০১১ থেকে ২০১৬ সাল অবধি মঙ্গলকোটের তৎকালীন বাম বিধায়ক ৩ কোটি বিধায়ক তহবিল খরচে সারারাজ্যে প্রথমসারিতে উঠে এসেছিলেন।সেখানে সিদ্দিকুল্লাহ শাসকদলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী হয়েও বিধায়ক তহবিল খরচ করতে পারেননি।উল্টে টাকা ফেরত যাবার নজির রয়েছে।গত বিধানসভা নির্বাচনে নাম ঘোষনা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে শুন্যহাত হওয়া অবধি মঙ্গলকোটে কালোপতাকা যেমন দেখেছেন ঠিক তেমনি ঝাঁটা জুতো হাতে মহিলাদের অশ্রাব্য গালিগালাজ শুনেছেন। এইবিধ ঘটনার অন্তরালে দলেরই বড় অংশের ভূমিকা বারবার ফুটে উঠেছে।অনুগামীদের সুখদুঃখে সেভাবে থাকেননি সিদ্দিকুল্লাহের।পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যাওয়ায় শয়ে শয়ে অনুগামী পরিবারগুলির পাশেও দাড়াননি তিনি।এইবিধ নানান রসায়ন আগামী দিনে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে সিদ্দিকুল্লাহ অধ্যায় কে সমাপ্তি ঘোষনা করতে চলেছে।যদি গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলের প্রতীক না নিয়ে সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়াতেন। তাহলে এই দু:সময় সিদ্দিকুল্লাহর আসতনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।এবং সেইসাথে অনুগামীদের পাশে সেভাবে না দাড়ানোয় বর্তমানে মঙ্গলকোটে লোক না খুঁজে পাওয়ার পরিস্থিতিও আদৌও হতনা বলে মনে করছেন অনেকেই।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER