শনিবার, মার্চ ২৪, ২০১৮

জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, আহত ৪ উত্তেজনা বৈষ্ণবনগরে

মানস দাস, মালদা

খড়তুতো ভাইদের সাথে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিলই। তার উপর জমি থেকে গাছ কাটার ঘটনা।এর জেরেই একই পরিবারের এক মহিলা সহ ৪ সদস্যকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে ১০ জনের বিরুদ্ধে। আহতদের চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে, বৈষ্ণবনগর থানার সুখদেবপুর গ্রামে। ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তরা পলাতক।
    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের নাম, শম্ভু মন্ডল(৩৫), সবিতা মন্ডল(৩০), শুধন মন্ডল এবং শঙ্কর মন্ডল(৩২)। বাড়ি সুখদেবপুর গ্রামে। নয়ন মন্ডল, সূর্য মন্ডল, পিযুষ মন্ডল, চঞ্চল মন্ডল সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বৈষ্ণবনগর থানায়। অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
      জানা গিয়েছে, শম্ভু মন্ডল এবং সূর্য মন্ডলরা খুড়তুতো ভাই। তাদের শরিক জমিতে রয়েছে ৫টি পিঠালু গাছ। সেই গাছগুলি কাটা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা বাধে। সেই থেকে হামলার ঘটনা। শুক্রবার বিকালে ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হন ৪জন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভরতি করে পরিজনেরা। সেখান থেকে গভীর রাতে তাদের স্থানান্তর করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চলছে তাদের চিকিৎসা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

সংরক্ষিত কামরায় উঠে সিট নিয়ে ঝামেলায় আক্রান্ত ৩ যাত্রী তিস্তা তোর্সা ট্রেনে

মানস দাস,মালদা

ফের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে রেলযাত্রী সুরক্ষা। সংরক্ষিত কামরায় উঠে জোর করে সিটে বসার প্রতিবাদ করায় এক মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানি সহ আক্রান্ত হয়েছে ৩  যাত্রী। এবার হামলার অভিযোগ উঠেছে, আপ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ট্রেনের এস ৪নং কামরায়।
ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার রাত্রী এগারোটা নাগাদ ভালুকা স্টেশনে। উত্তজনার কারনে প্রায় ৩০ মিনিট ট্রেন দাড়িয়ে থাকে কুমেদপুর স্টেশনে। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেল পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়  যাত্রীরা। শনিবার ভোরে শিলিগুড়ি পৌছে অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তরা । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, জি আর পি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের নাম, জ্যোতির্ময় হালদার(২১), নন্দিনী ঘোষ(২০)। এরা স্টাফ সিলেকশনের পরিক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন শিলিগুড়ি। এদের বাড়ি মালদা শহরের সদরঘাট এলাকায়। ইটের ঘায়ে আহত হন আরেক যাত্রী আর ইসলাম। তার বাড়ি গাজোল এলাকায়। তিনিও শিলিগুড়ি যাচ্ছিলেন কোম্পানির কাজে।
জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ থেকে নিউ আলিপুরদুয়ার যাচ্ছিলো আপ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। শুক্রবার রাত্রী দশটা পনের নাগাদ, মালদা রেল স্টেশন থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। এগারোটা নাগাদ ভালুকা স্টেশনে ট্রেন পৌছালে সংরক্ষিত এস ৪ নং কামরায় উঠে পরে কয়েকজন। তারা যাত্রীদের জোর করে সরিয়ে সিটে বসার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে মহিলা যাত্রী সহ অন্যান্য যাত্রীদেরও মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। ট্রেনের বাইরে থেকেও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হন তিন যাত্রী। এরপর কুমেদপুর স্টেশনে ট্রেন দাড়ালে সেখানে রেল পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা। বিক্ষোভের কারনে প্রায় ৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়ে ট্রেনটি। শিলিগুড়ি পৌছে জি আর পির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যাত্রীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আক্রান্ত যাত্রী জ্যোতির্ময় হালদার জানান' সংরক্ষিত কামরায় যদি এমন হয় তাহলে রেলে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। এক মহিলার শ্লীলতাহানি ও তিন জন আক্রান্ত হয়েছে।

হাবরায় নাবালিকার সাথে ধর্ষনে অভিযুক্ত ধৃত

ওয়াসিম বারি

নাবালিকার সাথে চারমাস ধরে সহবাস, ঘটনাটি ঘটে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবরা থানা এলাকায় l অভিযোগ, হাবড়া গণদিপায়ন এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর কুহুর বাড়িতে আত্মীয় তুহিন সরকার বেড়াতে আসে l এবং রাস্তায় যাতায়াতের পথে এক নাবালিকার সাথে আলাপ হয় ও তার সাথে প্রেমের ফাদ পেতে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তুহিন সরকার l স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে তুহিন বিবাহিত l তারপর স্থানীয় আর এক বাসিন্দা আকাশ বিশ্বাস এর বাড়িতে ঐ নাবালিকা কে নিয়ে গিয়ে তার নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ভয় দেখিয়ে প্রায় চার মাস ধরে ধর্ষণ করে l নাবালিকা ভয়ে বাড়িতে জানায়নি l তারপর ২৮.২.১৮ তারিখে ঘটনা জানাজানি হতেই সে তার মা কে পুরো ঘটনা খুলে বলে l এবং ১.৩.১৮ তারিখে হাবরা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় l তার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়ানো তুহিন কে গতকাল গনদিপায়ন থেকে হাবরা থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে l  জেরায় তুহিন সব কিছু স্বীকার করে নেয় l আজ তাকে বারাসত আদালতে হাজির করানো হয়েছেl

বাগদার আলিম পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

ওয়াসিম বারি

বাগদা নওয়া পাড়ার বাসিন্দা ২০১৮ শিক্ষা বর্ষের আলিম পরীক্ষাথী মনিরুজ্জামান মন্ডল গত রাতে অস্বাভাবিক ভাবে মরা যান।চাঞ্চল্য এলাকায় ।জানা যায় বাগদা বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মণ্ডলের পরীক্ষার সিট পরে গুমা খোশদেলপুর হাই মাদ্রাসায়।পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে থেকে মাদ্রাসার ঠিক উল্ট দিকে মনিরুজ্জামান তার দুই পরীক্ষাথী বন্ধুকে নিয়ে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন।১২ তারিখ পরীক্ষা শুরু হয় এতদিন সবই ঠিক ছিল,গতদিন শেষ রাতের দিকে মনিরুজ্জামান মারা যায় বলে জানান তার দুই বন্ধু মহাম্মদ আবুসাইদ ও মুক্তাইজ মন্ডল।আজ ২৪ তারিখ মনিরুজ্জামানের আর শেষ পরীক্ষাটা দেওয়া হলো না।মৃত পরীক্ষাথীর বাড়ির লোকের দাবি ওর বন্ধুরাই ওকে মেরেফেলেছে।তারা পুলিশি তদন্তের দাবি করছে।

পুলিশ কে পেটাবার অভিযোগে ধৃত প্রাত্তন মন্ত্রী পুত্র

ওয়াসিম বারি

পুলিশের কাজে বাধাঁ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলো মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংঙ্ঘাধিপতি তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রির ছোট ছেলে শান্তনু ঠাকুর এবং তার আরেক সহযোগী তপন কিরণ মজুমদারকে। সূত্রে জানা যায় গত উনিশ তারিখ মেলা চলাকালীন ঠাকুরবাড়ির মতুয়া মহাসঙ্ঘের মন্দির থেকে চুরি যায় একটি সোনার হার ৷ এরপর গাইঘাটা থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন অনুষ্ঠান কমিটির আহবায়ক ধ্যানের নারায়ন গুহ ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করে গত একুশ তারিখ অমিত মোহন্ত সরকার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আরো দুজনকে শনাক্ত করে পুলিশ ৷শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ ওই দুই ব্যক্তিকে ধরতে গেলে শান্তনু ঠাকুর সহ বেশ কয়েকজন পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি করে বলে অভিযোগ। গাইঘাটা থানার মেজবাবু রামকৃষ্ণ ঘুরিয়া সহ আরো তিনজন আক্রান্ত হয়। এরপর ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার বড়বাবু উপস্থিত হন এবং বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন তা সত্ত্বেও সান্তনু ঠাকুর ও তার দলবল উত্তেজনা বাড়াতে থাকে ধাক্কাধাক্কি চালাতে থাকে ধাক্কাধাক্কি সামলাতে গিয়ে বড়বাবুর হাতে আঘাত লাগে ৷ সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে গাইঘাটা থানার পুলিশ তপন কিরণ মজুমদার ও সান্তনু ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করে ৷এই ঘটনায় মঞ্জুল বাবু বলেন - এটা একটা চক্রান্ত আমাদের পরিবারের একজন আছে সে এই সব করাচ্ছে ,তার নাম মুখে আনতে ও রুচিতে বাধে। পাশাপাশি শান্তনু ঠাকুর বলেন আমরা পুলিশের কাজে বাধা দেইনি বরঞ্চ মেলা চলাকালীন পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে। আমরা পুলিশের কাজে সবসময় সহযোগিতা করি । আমরা ঠাকুরবাড়ির  লোক জানতাম না সোনার হার চুরি হয়েছে তা।চুরির  এমন কোনো অভিযোগ হয়েছে কিনা সেটাই পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে আসলো ৷মতুয়া মহাসঙ্ঘের ভক্তদের উপরেই এর বিচারের দায়িত্ব ছাড়লাম ৷আজ ঠাকুর এবং তার সহকারীকে বনগাঁ আদালতে পাঠানো হবে।

শুক্রবার, মার্চ ২৩, ২০১৮

বেলডাঙ্গায় লড়ির ধাক্কায় মৃত্যু দম্পতি, জখম ভাইঝি

    
ভাস্কর ঘোষ

লড়ি ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয় দম্পতির ভাইজি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তামান্না খাতুন (১২) কে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার মহেশপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম খদরুল শেখ (৪২) ও  সায়েদা বিবি (৩৯)। মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকায় তাঁদের বাড়ি । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বেলডাঙ্গা থানার পুলিশ। পুলিশ ঘাতক লড়িটিকে আটক করতে সক্ষম হলেও সেটির চালক ও খালাসি পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে বেলডাঙ্গা থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাড়ি থেকে নিজের বাইকে স্ত্রী সায়েদা ও ভাইজি তামান্নাকে সঙ্গে নিয়ে বেলডাঙায় এক আত্মীয়র বাড়িতে আসছিলেন খদুরুল শেখ। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেলডাঙ্গা থানার মহেশপুর এলাকায় উলটো দিক থেকে আসা একটি লড়ি  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।  ঘটনাস্থলেই সায়েদা বিবির মৃত্যু হয়। ঘটনায় খদরুল শেখ ও তমান্না খাতুন মারাত্মকভাবে জখম হলে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘন্টা খানেকের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় খদরুলের। তামান্না খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর লেখা পর্যন্ত সে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

রঘুনাথপুরে ১৫ লাখ অনুদানে রাস্তা

সঞ্জয় হাল্দার

পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের তহবিলের  ১৫ লাখ টাকার ঢালাই রাস্তা রঘুনাথপুর ব্লকের শাকাগ্রাম পঞ্চায়েত বাঘাডাবর গ্রামে শিলান্যাস করলেন রঘুনাথপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণ মাহাত,উপস্থিত ছিলেন  প্রধান কালিপদ বাউরি, মুকুল ব্যানর্জী।

মুখ্যমন্ত্রীর সবাইকে নিয়ে চলতে হবে বার্তায় উজ্জীবিত পূর্ব বর্ধমানের বিক্ষুব্ধরা

মোল্লা জসিমউদ্দিন

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে গত মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে উজ্জীবিত বিভিন্ন ব্লকের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর বড় অংশ।দুজন বিধায়ক কে এবং একজন ওসি কে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সবাই কে নিয়ে চলতে হবে রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন, তাতে আপাতত দলীয়ক্ষোভ অনেকেরই কমেছে।মনে করা হচ্ছে দলের গোষ্ঠীকোন্দল কমাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর এহেন অবস্থান।সেদিন ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল কে বলেছিলেন " বনমালী দা কে মাথায় রেখে সব কাজ করো"।বনমালী হাঁজরা ২০১১ সালে ভাতারে তৃনমূল প্রতীকে জিতেন এবং বিধানসভার কৃষির স্ট্যান্ডিং কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।তবে জেতা বিধায়ক ২০১৬ এর নির্বাচনে টিকিট পাননি, আর এতেই ভাতারের বড় অংশ এই বর্ষীয়ান নেতার এহেন বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হয়।আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় বঞ্চনার হিসাব নিত দলের একাংশ।এই আশংকা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আউশগ্রামে ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল কে বনমালী দা কে মাথায় রেখে সব কাজ করার নির্দেশ দেন।অপরদিকে মেমারির বিধায়িকা নার্গিস বেগম কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন - আবদুল্লাহ সাহেব উন্নয়নের সব কাজে রাখতে হবে।ভাতারের প্রাত্তন বিধায়ক বনমালী হাঁজরার মত মেমারির প্রাত্তন বিধায়ক হচ্ছেন আবদুল্লাহ। একই দলীয় বঞ্চনা তার শিবিরেও।মেমারির বিধায়িকার ওদ্ধত্য,  মেমারি পুর চেয়ারম্যানের একনায়কতন্ত্র এই প্রাত্তন বিধায়ক কোণঠাসা করে রেখেছে গত বিধানসভার পর থেকেই।অনুরুপভাবে মুখ্যমন্ত্রী মেমারির এই আদি নেতা কে গুরত্ব দিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় অন্তর্ঘাত আটকাতে চেষ্টা করলেন।বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান স্বরুপ দত্ত কে মুখ্যমন্ত্রী পথবাতি এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ভৎসনা করলেন।খাতাকলমে স্বরুপ দত্ত বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান হলেও এক কাউন্সিলার পুরসভা থেকে দামোদরের বালি কারবার সবই চালান।যিনি মুকুল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই ভৎসনার অন্তরালে একপ্রকার হুশিয়ারী রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।কেতুগ্রাম আইসি কে ঘনঘন এলাকায় ভিজিট করতে বলার পাশাপাশি আর কোন ঘটনা না ঘটে বলে সর্তক করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেতুগ্রাম বিধায়ক সেখ শাহনওয়াজের সাথে দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডলের সম্পক তিক্ত ছিল।২০১১ সালের পর ২০১৬ তেও কেতুগ্রামে প্রার্থীপদ পান শাহনওয়াজ।কেতুগ্রাম ঘেঁষা বীরভূমের নানুরে কাজল সেখের সৌজন্যে মৃতপ্রায় সিপিএম এখানে জয়লাভ পায়।তাতেও আরও সম্পক খারাপ হয় কাজল সেখের ভাই তথা কেতুগ্রাম বিধায়ক সেখ শাহনওয়াজের সাথে অনুব্রত মন্ডলের।উল্লেখ্য সারারাজ্যে দাপুটে নেতা হলেও তাঁর হোম বিধানসভা নানুরের বিধায়ক হচ্ছেন সিপিএমের।সম্প্রতি কেতুগ্রাম বিধায়কের ডানহাত ও সেইসাথে কেতুগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির সেখ খুন হয় অনুব্রত অনুগামীদের হাতে।তাই এই খুনের বদলা নিতে আর যাতে কোন খুন না হয়, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী কেতুগ্রাম আইসি কে সর্তক করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।এতে তৃনমূলের একাংশ খুশি।রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোটে বরাবরই উপেক্ষিত। দপ্তরের পরিচালনায় জেলা গ্রন্থাগার মেলা করতে পারেন নি মঙ্গলকোটে।বিধায়ক তহবিলে উন্নয়নকাজে মঙ্গলকোট ব্লক, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে 'বয়কট' বলা যায়।সর্বোপরি মঙ্গলকোট পুলিশের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ বিধায়ক শিবিরের পক্ষে।গাঁজা - অস্ত্র সহ নানান মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া, থানায় যখনতখন ডেকে পুলিশি সন্ত্রাস করা এমনকি বিপক্ষ গোষ্ঠীর সাথে সুপরিকল্পিতভাবে মার খাওয়ানো অভিযোগ আছে।বিধায়কের পদিমপুর অফিসে তিন থেকে চারবার সশস্ত্র হামলা পর্যন্ত হয়েছে।সেখানে কাটোয়া মহকুমাশাসক এর নামে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।সেইসাথে মঙ্গলকোটের আটঘড়ার মহিলাদের জুতো ঝাঁটা কান্ডে মঙ্গলকোট ওসি প্রসেনজিত দত্ত কে দায়ী করে পুলিশসুপার কে স্মারকলিপি দিয়েছে সিদ্দিকুল্লাহের জমিয়ত উলেমা হিন্দের  জেলা কমিটি।তাই মুখ্যমন্ত্রীর মঙ্গলকোট ওসি কে 'সবাই কে নিয়ে চলতে হবে'  নির্দেশ টি পক্ষান্তরে সিদ্দিকুল্লাহর জয় বলে মনে করা হচ্ছে।তবে যে ওসি গত দেড়বছরে বিধায়কের রুগী কল্যান সমিতির সরকারী বৈঠকে কোন বার আসেননি। তিনি কতটা 'পাত্তা' দিবেন মঙ্গলকোট বিধায়ক কে।তা নিয়েও উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। সামগ্রিকভাবে গত মঙ্গলবার আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভায় দলীয় বিধায়ক,পুরপিতা, ওসিদের কড়া বার্তা দিলেন দলের গোষ্ঠী বিবাদ নিরসনে,তাতে খুশি পূর্ব বর্ধমান জেলার বিক্ষুব্ধদের বড় অংশ।তবে সেটা সাময়িক, চুড়ান্ত দেখতে অপেক্ষা করতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বণ্টন অবধি।

রাজ্যসভা নির্বাচন শুরু হল বিধানসভায়

সুজিত ঘোষ

আজ রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যসভার ভোট গ্রহন পর্ব শুরু হোলো। নিজের ভোট দিতে উপস্তিত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রবীন্দ্র নাথ ঘোষ।

মঙ্গলকোটের চক গ্রামে পরপর চুরি, চাঞ্চল্য

মঙ্গলকোটের চক গ্রামে  মতিউল রহমান, ইজাজুল হক ও মজিবুর রহমানের বাড়িতে মাঝ রাতে কিছু দুঃস্কৃতি এসে চুরি করে বলে অভিযোগ। জানা যায় মতিউল বাবুর বাড়ি থেকে 10 ভরি রূপর গহনা, 2 ভরি সোনার গহনা, নগদ 5 হাজার টাকা ও একটি সাইকেল চুরি হয়। ইজাজুল বাবুর বাড়ি থেকে নগদ 10 হাজার টাকা ও মজিবুর বাবুর বাড়ি থেকে নগদ 32 হাজার টাকা চুরি হয়েছে।

সাগরে বিশ্ব জলদিবস

উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

বৃহস্পতিবার বিশ্ব জল দিবস পালন করা হলো সাগর থানার চৌরঙগী অবৈতনিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুস্তানের মধ্য দিয়ে।দৈনন্দিন জীবনে জল,গরম কালে দুষিত জল,বৃষ্টি জলে দূষণ,জলবাহিত রোগ,নিরাপদ পানীয়জল কিভাবে পাবো,জল শোষণ করার পদ্ধতি,জীবাণু মুক্ত জল কেন খাওয়া দরকার ।এই বিষয়গুলি সহ ভূপৃষ্ঠে পানীয় জল কতটা ,জলের অপচয় বন্ধে আমাদের  ও শিশুদের ভূমিকা কি তা নিয়ে আলোচনা ও জলের কবিতা আবৃত্তি হয়।

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২২, ২০১৮

অর্থের অভাবে আলিপুর জেল থেকে দেহ আনতে পারছেনা মালদার পরিবার

মানস দাস,মালদা

বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যু হল আলিপুর সংশোধনাগারে। ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দির অভাব অনটন থাকায় পরিবার দেহ বাড়ি আনতে অসক্ষম।তবে বাড়ির গৃহকর্তার দেহ একবার কাছে পেতে চাই পরিবার।দেহ নিয়ে আসতে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক,এখন এই অপেক্ষায় মৃত বন্দির পরিবার। এমন মৃত্যুতে প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবারবর্গ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত বন্দির নাম বুদ্ধু সাহা(৬২)।মালদা থানার মাধাইপুর ভাটারা পড়ার গ্রামের বাসিন্দা।শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ১ বছর ১ মাস আগে বিচারাধীন গ্রেফতার করা হয় তাকে।বর্তমানে আলিপুর সেন্ট্রাল সংশোধনাগারে ছিলেন।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,প্রায় ১৪ মাস আগে গ্রামের ইট ভাটায় নিয়ে গিয়ে বছর নয়ের এক নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিলো ষাটোর্ধ্ব এই বুদ্ধু সাহার বিরুদ্ধে।ধর্ষনের অভিযোগের ভিত্তিতে তারপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।মৃতার স্ত্রী ঊষা সাহা জানান,ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীকে ১৩ মাস আগে গ্রেফতার করেছিলো।আমার কোনো পুত্র সন্তান নেই।বৃদ্ধ অবস্থায় ভিক্ষা করে দিন কাটছি।এক মেয়ে আছে,তার বিয়ে হয়ে গেছে।যতটা সম্ভব মেয়ে সাহায্য করে।রাতে বাড়িতে পুলিশ এসে জানায় স্বামী মারা গেছে।গত ১৬ তারিখ মালদা আদালতে তোলার সময় কথা বলেছিলাম স্বামীর সাথে।সুস্থ ছিলো বলে জানিয়েছিলো সে।কিন্তু কি করে মারা গেলো জানানেই।আলিপুর সংশোধনাগারে কবে নিয়ে গেছে তাও আমাদের জানানেই।কেউ আমাদের জানাই নি।এখন কোনো রকম দেহ কাছে পেতে চাই আমি"।
এদিকে মেয়ে কাঞ্চন সাহা জানান,"বাবা ধর্ষণের মামলায় জেলে ছিলো।পয়সার অভাবে বাবাকে ছাড়াতে আইন পদক্ষেপ কিছুই করতে পারিনি।বুধবার রাতে পুলিশ বাড়ি এসে বলে বাবা মারা গেছেন,দেহ আনার ব্যবস্থা করতে।অভাবের তাড়নায় অতো দূর থেকে আমাদের পক্ষে দেহ আনা সক্ষম নয়।সুস্থ দেখার পর কি করে মারা গেলো কিছুই জানানো হয়নি আমাদের।আমাদের দেহ ফিরে পেতে চাই।কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে বাবার দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে দিক"।

বাসন্তী পুজোয় মেতেছে স্বরুপনগর

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

২২শে মার্চ শুভ পঞ্চমির পূন লগ্নে স্বরুপনগর হঠাৎগঞ্জ বাজারর শক্তিসংঘের পরিচালনার এবং গ্রামবাসীবৃন্দের সাহযোগীতায় সার্বজনীন বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ফিতে কেটে এলাকার  নারায়নগোস্বামী, সাথে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝুমা সাহা,  দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য, ষষ্টিপদ সরকার.আবেদ আলি গাজী, রমেন সরদার, স্বরূপনগর থানার আধিকারিক সত্যমকুমার ঘোষ, সহ এলাকাবাসী। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মুলক অনুষ্ঠান চলবে ৫ দিন ধরে।শক্তিসংঘের এই বাসন্তিপূজা অনুষ্ঠান বিগত ২৫ বছর ধরে চলে আসছে।

হেলিকপ্টারে বাংলা চষে পঞ্চায়েতে পদ্ম ফোটাবেন মুকুল রায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বাংলার রাজনীতিতে মনিষীদের ব্যবহার (জন্মদিন /মৃত্যুদিন পালনে), খুন হওয়া দলীয় কর্মীদের মৃতদেহ নিয়ে মিছিলের পর এবার বিজেপি নেতা মুকুল রায় হেলিকপ্টারে বাংলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত  ঘুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারে নামতে চলেছেন। তাতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে তৃনমূল নেতৃত্ব। দুই থেকে তিনটি জেলায় দিনে কমপক্ষে চার থেকে ছয়টি জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে একদা তৃনমূলের চাণক্য মুকুল রায়ের।ইতিমধ্যে টিকিট না পাওয়া তৃনমূল কর্মীদের বিজেপির তরফে দলীয় প্রতিক দেওয়ার পলিসিতে জেলায় জেলায় তৃনমূলের একাংশ তাদের মুকুল দার কাছে 'আডভান্স বুকিং ' করে ফেলেছেন বলে বিশস্ত সুত্রে জানা গেছে।



ছবি : ইন্টারনেট থেকে।

বাংলাদেশের রাজর এলাকায় ৪ জন ধৃত স্বরুপনগরে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করল স্বরুপনগর থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায় ধৃত দের বাড়ী বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার রাজর থানা এলাকায়৷অবৈধভাবে দালাল মারফত তারা এদেশে এসে ছিলো।ভিনরাজ্য যাওয়ার পথে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালতী বলফিল্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশী বলে স্বীকার করে বলে দাবি। ২২শে মার্চ সকালে স্বরুপনগর থানা ধৃত ৪ জনকে বসিরহাট আদালতে পাঠায়।পুলিশ দালালের খোজ শুরু করেছে।

অবৈধ সম্পকের জেরে ভাই খুন, ধৃত দাদা

সুরজ প্রসাদ

মাত্র দু দিনের মাথায় মেমারীতে যুবক খুনে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করল পুলিশ।পূর্ব বর্ধমানের বেহুলা নদী থেকে  রবিবার রাজা মালিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।ধৃত রামকৃষ্ণ মালিক মৃত যুবকের দাদা।তার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে ভাই রাজাকে খুন করে বেহুলানদীর জলে ফেলে দেয়।ধৃত অন্যজন মৃতের আত্মীয়।  রাজা মালিকের  বাড়ি মেমারীর পাতরা গ্রামে।ধৃতদের   বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER