রবিবার, এপ্রিল ২৯, ২০১৮

মহিলা ফুটবল ম্যাচে প্রচার শালবনির সন্দিপের

সুকান্ত ঘোষ

মহিলাদের প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, তাও আবার সংখ্যালঘু অধুষ্যিত এলাকায় মেয়েদের স্বনির্ভরতা র লক্ষ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ফুটবল খেলে জীবনে সরকারি চাকরি পেয়ে স্বনির্ভর হওয়া একদল তরুনী দের নিয়ে আজকের কিশোরীদের আগামীর জন্য উদ্দীপ্ত করা। এক অভিনব জনসংযোগের মাধ্যামে আজকের নির্বাচনী প্রচার করলেন, এই বাঁকিবাঁধ গ্রাম। পঞ্চায়েতের বেনাচাপড়া অংশে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী শালবনীর যুবসমাজের আইকন সন্দীপ সিংহ। এখানে উল্লেখ্য মহিলাদের ফুটবল জেলা জুড়ে আজ যে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার অন্যতম কান্ডারী জেলা ক্রীড়ার গুরুত্ববহ পদে থাকা সন্দীপ। আজকের খেলায় মহিলাদের উতসাহ দিতে প্রায় হাজারেরও বেশী দর্শক উপস্থিত ছিলেন এবং মহিলাদের উপস্থিতি ছিলো নজরকাড়া। এখানে উপস্থিত  আঞ্চলিক নেতৃত্ব ও যুব নেতৃত্ব সন্দীপ সিংহকে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আবেদন রাখেন। সন্দীপ তার ভাষনে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা ও প্রকল্পগুলির কথা বলেন এবং ভবিষ্যতে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।

গরীব মেয়ের শাদিতে সাহায্য ময়নাগুড়ির সমাজসেবীর

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: রবিবার সকাল থেকেই ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি অঞ্চলের সরকার পাড়ার রক্ষিত সরকারের কন্যা বিশাখা সরকারের বিয়ে উপলক্ষে সমাজসেবি রবিউল ইসলাম, সঞ্জয় আগারওয়াল সহ প্রায় ৫০জন প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা বিয়ে বাড়িতে সামিল হন।বিশাখার বিয়ে উপলক্ষে সকাল থেকেই বিয়ে বাড়ির ব্যস্ততা তুঙ্গে।কেউ মঞ্চ সাজাচ্ছেন,কেউ কনে সাজানোতে ব্যস্ত,কেউ আবার রান্নার কাজে ব্যস্ত।অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ে হলেও আন্তরিকতার স্পর্শে বিয়ে বাড়ি জমজমাট।
এক দিকে যখন ছেলের বাড়ি থেকে ব্যস্ত জলপাইগুড়ি মহিত নিগরের ডাঙ্গাপাড়া পাত্র তাপস বিশ্বাসের বাড়ির লোকেরা কোণেকে আশীর্বাদে ব্যস্ত ঠিক তখনই ময়নাগুড়ির একটি সমাজ সেবি সংগঠনের সদস্য রবিউল ইসলাম,স্বপ্না সরকার সবুজ কে বাচানোর লক্ষ্যে মেহুগুনি গাছের চারা কোনে সহ সকলের হাতে তুলে দিয়ে আশীর্বাদ করেন তারা।তারা চান বিশাখার আগামী বৈবাহিক জীবন শান্তি এবং মঙ্গল ভাবে কাটুক এই কামনাই করেন ঈশ্বরের কাছে।এ ছাড়াও এই বিয়ে বাড়িতে আর্থিক ও বিয়ে বাড়ির দ্রব্য সামগ্রী তুলে দেন পরিবারের হাতে সমাজসেবক রবিউল ইসলাম।

শান্তিপুরে বাড়ীতে ঢুকে বিজেপি প্রার্থীর মহিলাদের মারধোর

শ্যামল রায়

প্রার্থীকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর জা ও শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের ঘোড়ালিয়া জোলপাড়া এলাকায়। শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।শান্তিুপুরের বেলঘরিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে BJP-র হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন উজ্জ্বলা বিশ্বাস। অভিযোগ, মনোনয়ন তোলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন একদল দুষ্কৃতী। আতঙ্কে এলাকাছাড়া ছিলেন তিনি। গতরাতে উজ্জ্বলাদেবীকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা জা ও শাশুড়িকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাটও করা হয়। উজ্জ্বলাদেবী বলেন, জাকে মারার পর তাঁর রক্তপাত হতে থাকে। তাঁকে শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে  শান্তিপুর থানার পুলিশl

শনিবার, এপ্রিল ২৮, ২০১৮

মনোনয়ন পেশ নিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ গর্জিয়েও কেন বর্ষালেন না!

মোল্লা জসিমউদ্দিন

যেভাবে গর্জিয়ে ছিলেন, ঠিক সেভাবে বর্ষালেন না সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ।প্রথমপর্বে মনোনয়ন পেশের শেষের দিনের পর অর্থাৎ ১০ এপ্রিল থেকে তিনি সরাসরি দলের সাথে সংঘাতে নেমেছিলেন।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মনোনয়ন পেশে গা জোয়ারি নিয়ে তিনি ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন।রামনবমী - হনুমান জয়ন্তী নিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করার অভিযোগও তিনি তুলেছিলেন।সেইসাথে সরকারি নিরাপত্তারক্ষী - গাড়ী ছেড়ে দেওয়া, রাজভবন - বিকাশভবন না যাওয়া এমনকি রাজ্য মন্ত্রীসভা বৈঠকে গড়হাজির থেকে মুখ্যমন্ত্রী কে তাঁর তীব্র অসন্তোষ এইবিধ অবস্থানে বুঝিয়ে দেন।ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ২৩ তারিখে মনোনয়ন পেশের বাড়তি সময় দেয়।উল্লেখ্য এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মঙ্গলকোটের ৩৪ টি আসন সিদ্দিকুল্লাহের অনুগামীদের জন্য বরাদ্দকৃত করেন।ওয়াকিবহাল মহল মনে করেছিল যে, ২৩ এপ্রিলের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর আসনরফার বিষয়টি সিদ্দিকুল্লাহের পক্ষে ইতিবাচক দিক।আর কোন বাধায় রইলো মঙ্গলকোটের বুকে।এমনকি মঙ্গলকোটের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল জানিয়েদেন - ওই ৩৪ টি আসনে মনোনয়ন পেশ করা দলের কর্মীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিবেন।সেইজায়গায় স্থানীয় বিধায়ক তাঁর অনুগামীদের তৃনমূলের পক্ষে মনোনয়ন জমা দিবেন। অথচ ২৩ এপ্রিল দেখা গেলো মঙ্গলকোটের কোন আসনেই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কোন অনুগামীরা মনোনয়ন পত্র তুলতে গেলেন না? এক বিধায়ক অনুগামী পদপ্রার্থী বলেন -" সাহেব কে আগের দিন ফোন করলাম, উনি বললেন মনোনয়ন পেশ করতে যেওনা, খুন হয়ে যাবে"।প্রায় অনুগামী পঞ্চায়েত ভোটের পদপ্রার্থীদের ফোন করে এই নির্দেশ দেন মঙ্গলকোট বিধায়ক।শুধুই কি দলীয় সন্ত্রাস কিংবা পুলিশি হয়রানী জনিত কারণ?  নাকি অন্য অংক রয়েছে এই ঘোষিত আসনরফা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে? যদি সন্ত্রাসই মুখ্য কারণ হয়, তাহলে প্রথমপর্বে মনোনয়ন পেশ করাতে ব্যর্থ হয়ে যে 'বয়কট' কর্মসূচী গুলি নিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী,  তাহলে দ্বিতীয় পর্বে মনোনয়ন পেশের সূযোগ তাও মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেয়েও কেন উদ্যোগী হলেন না সিদ্দিকুল্লাহ?  এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যরাজনীতিতে।তাহলে কি কোন কিছুর বিনিময়ে মঙ্গলকোট কে 'বলিদান' দিলেন সিদ্দিকুল্লাহ! হ্যা গত দুবছরে মঙ্গলকোটে যে পরিস্থিতির মধ্যে কাটিয়েছেন তিনি, সেখানে মঙ্গলকোটের প্রতি তাঁর কোন মোহ না থাকারই কথা।মঙ্গলকোট ব্লক,পঞ্চায়েত সমিতি, থানা সহ প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েতে তিনি ব্রাত্য। সর্বত্রই বয়কটের মধ্যে রয়েছেন তিনি।কালো পতাকা থেকে মহিলাদের হাতে ঝাঁটা জুতো সবই দেখেছেন দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সৌজন্যে।আর পঞ্চায়েত ভোটের আসনরফায় পনেরো টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র চৌত্রিশ টি আসন পেয়েছেন। কোন পঞ্চায়েতে একটি আবার কোথাও চারটি।তাই কোন পঞ্চায়েতে এককভাবে  ক্ষমতা দখল সম্ভব ছিলনা সিদ্দিকুল্লাহের পক্ষে।তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করে মঙ্গলকোট তিনি বলিদান দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।এহেন বলিদানের বিনিময়ে কি পাবেন বলে আশা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর? দাবিদাওয়া গুলি তিনি সরাসরি বলেন না, বলে জমিয়ত উলেমা হিন্দের কমিটি।চলতি মাসে দ্বিতীয় মনোনয়ন পেশের প্রাক্কালে জমিয়ত উলেমা হিন্দের রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়।সেখানে সব নেতারা সহমত পোষণ করে জানান - সাম্প্রদায়িক বিজেপি কে রুখতে তৃনমূল কে এই মুহুত্যে প্রয়োজন আছে।সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব তিনটি দপ্তর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সামলাছেন।তবে সংখ্যালঘু কিংবা মাদ্রাসা দপ্তর তাঁকে দেওয়া হোক।কেননা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী রাজ্য জমিয়ত উলেমা হিন্দের সভাপতির পাশাপাশি হাজারের বেশি খারিজি মাদ্রাসার কর্মকর্তা হিসাবে রয়েছেন। এহেন নানান দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দেওয়া হবে বলেও ওই রাজ্য কমিটির বৈঠকে স্থির হয়।তাই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃনমূল সিদ্দিকুল্লাহ কে মন্ত্রিত্বের স্বাদ দিলেও, স্থানীয় বিধায়কের ক্ষমতা দেয়নি।উল্টে পঞ্চায়েত ভোটে কোন অনুগামীকেই  মনোনয়ন পেশের সুযোগ না দিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ কে রাজনৈতিক সন্ন্যাসের বন্দোবস্ত করে দিয়েছে তৃনমূল। তাই অবস্থা বেগতিক দেখে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখিয়ে বাড়তি মন্ত্রক (সংখ্যালঘু / মাদ্রাসা)  চাইছেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তাতে দগদগে ক্ষত মঙ্গলকোট কে একপ্রকার বলিদান দিয়েই।পঞ্চায়েত ভোটের আগে যতবার মঙ্গলকোট গেছেন তিনি।তাতে কোনবার কালো পতাকা, কখনও বা মহিলাদের ঝাঁটা জুতো দেখেছেন। এমনকি তাঁর বিধায়ক অফিসে তালা মেরে দিয়েছেন ঘরমালিক।এছাড়া স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক, থানা, স্থানীয় নেতৃত্বর বয়কট তো আছেই।তাই সবদিক বিবেচনা করে মঙ্গলকোটের রাজনীতি থেকে হাত গুটিয়ে নিলেন সিদ্দিকুল্লাহ।শেষ আশা হিসাবে পঞ্চায়েতে প্রতীক বিলিটুকুও চলে যাওয়ায় হতাশ সিদ্দিকুল্লাহ আপস করলেন শীর্ষ নেতৃত্বর সাথে।এইরুপ মনে করছে রাজনীতিবিদরা।

সাপের কামড়ে মৃত মহিলা

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি:শুক্রবার রাত ১১:৩০ নাগাদ সাঁপের কামড়ে মৃত্যু হলো কনকা রায় নামে এক গৃহবধুর।ঘটনাটি ঘটে উত্তর খাগড়াবাড়ির রেলগেট এলাকায়।
কনকা রায়ের দেওর উপেন রায় বলেন-শুক্রবার রাত ১১:৩০নাগাদ কনকা রায় রাতে ঘুমি পড়লে পাশের ঘরে ছেলেরা টিভিতে খেলা দেখছিলো।সেই সময় ছেলেরা মা য়ের কোন আওয়াজ পেয়ে ঘরে গেলে কনকা রায় তার ছেলেকে বলেন তাকে পা য়ে কি যেন কামড়িয়েছে।এই অবস্থায় তার ছেলে মায়ের পায়ে কামড়ানোর চিহ্ন দেখতে গেলে তিনি দেখেন তার মাকে সাঁপে দংশন করেছে।এই অবস্থায় দড়ি দিয়ে পায়ে বেধে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হলে হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই মৃত্যু হয় কনকা রায়ের।ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কনকা রায় কে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়।এ দিন মৃতদেহ ময়নাগুড়ি থানা থেকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

বেড়াতে এসে এক বাংলাদেশি মহিলার মৃত্যু

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

গতকাল ২৭শে এপ্রিল রাতে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে পাসপোর্ট এ আসা মিনতীশীল (৬৩) স্বামী নিমাই শীল নামে এক বাংলাদেশীর মৃত্যুঃহয়।তার সাথে তার পরিবারের আরও তিন সদস্য-আছে।তারা এখানে বৈধভাবে বেড়াতে আসে।তাকে শাড়াপুল হাসপাতালে নিয়েগেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত্যুঃ বলে ঘোষনা করে। ঐ ব্যাক্তির মৃত্যুর কারনজান তে স্বরূপনগর থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট হাসপাতালে পাঠায়।

শুক্রবার, এপ্রিল ২৭, ২০১৮

মানিকচকে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পথঅবরোধ

মানস দাস,মালদা

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু  হলো এক যুবকের।এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত জনতা ঘাতক ট্রাককে ধরে চালায় ভাংচুর।চলে দীর্ঘক্ষণ সড়ক অবরোধ।পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।যুবক ছেলের এমন মৃত্যুতে গভীর শোকাহত পরিবার সহ এলাকাবাসী।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মালদার মানিকচক থানার মানিকচক-রতুয়া রাজ্য সড়কের ওপর নূরপুর এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানাগেছে,মৃতার নাম আশিক মিঞা(২৩)।স্থানীয় মতে, শুক্রবার সকাল নাগাদ বাড়ির বাজার সেরে জমিতে কাজের উদ্দেশ্যে সাইকেলে করে রওয়া দেন আশিক।সেই সময় একটি ইট বোঝাই ট্রাক রাতুয়ার দিক থেকে মানিকচকের দিকে যাওয়ার সময় সাইকেলের পেছন থেকে ধাক্কা মারে।সাইকেল আরোহী যুবক রাস্তায় পড়তেই ট্রাকের চাকা তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী।ঘাতক গাড়িটিকে ধরে চালায় ভাংচুর।সাথে মানিকচক রতুয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোপ দেখান।ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোপ দেখায় এলাকাবাসী।দীর্ঘ প্রায় তিন ঘন্টা অবরোধের পর পুলিশি হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,মৃত যুবকের বাবার নাম আবুল মিঞা।পরিবারে দুই ভাই ও দুই বোন রয়েছে।আশিক মিঞা ছিল পরিবারের বড়ো ছেলে।পরিবারের আর্থিক দুর্বলতার কারণেই খুব কম বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে বাবার কাজে হাত লাগিয়ে ছিলো আশিক।জমিতে চাষবাস আবার কখনো ভিনরাজ্যে পারি দিয়ে পরিবারের অর্থ যোগান দিত এই যুবক।পরিবারের মূল অর্থ উপার্জন কারীর এমন মৃত্যুতে শোকাহত সকলেই।সরকারের আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।ঘটনাস্থলে মানিকচক থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন।সাথে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।সাথে ঘাতক গাড়ি ও চালককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

বসতভিটে নিয়ে মারপিট, চাঞ্চল্য মোথাবাড়িতে

মানস দাস,মালদা

বসত ভিটা বন্টনকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে দুই পরিবারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইটের ঘায়ে আহত হয়েছে একই পরিবারের ১ মহিলা সহ ৪ জন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার সকালে মোথাবাড়ি থানার সাদিপুর মিঞাপাড়া এলাকায়। ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের মোথাবাড়ি থানায়। অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা হলেন, ধন্নু চৌধুরী(৬০), ফরজুল  চৌধুরী(২৩), হেমা বিবি(২২) এবং শাহু চৌধুরী(২৮)। তারা চিকিৎসাধীন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযুক্ত ডুব্বু চৌধুরি, জাকির চৌধুরি, সাবির চৌধুরি সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযুক্তরা পলাতক। জানা গিয়েছে, ধন্নু চৌধুরি এবং ডুব্বু চৌধুরি সম্পর্কে ভাই। অভিযোগ, ডুব্বুরা আমিন দিয়ে বসত ভিটা মাপজোপ  করছিল। সেই সময় ধন্নুদের জায়গা চেপে দেওয়ার অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই বচসার জেরে দুই পরিবারের সংঘর্ষ বেধে যায়। অভিযোগ, অভিযুক্তদের ইটের ঘায়ে আহত হয় এক মহিলা সহ ৪ জন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঙ্গিটোলা গ্রামীন হাসপাতালে ভরতি করে পরিজনেরা। সেখান থেকে তাদের স্থানান্তর করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তাদের চিকিৎসা। তবে কি কারনে এই সংঘর্ষ তা তদন্ত শুরু করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। 

ময়নাগুড়িতে বাড়ীর মধ্যে সাপ, উত্তেজনা

সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি

শুক্রবার ময়নাগুড়ি হাসপাতাল পাড়ার একটি বাড়িতে একটি দাঁড়াশ সাঁপ কোনভাবে ঢুকে পড়ে।বাড়ির কর্তা উৎপল রক্ষীত যিনি ময়নাগুড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক তিনি বলেন আমি স্কুলেই ছিলাম তখন বাড়ির থেকে ফোন করা হয় সাঁপ ঢুকেছে ঘরে,আমি তখন পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু কুমার কে খবর দেই।বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী ভয়ে একটি ঘরে বিছানায় বসে রয়েছেন।পাড়াপ্রতিবেশীরা এসেছেন।বাড়ির চারিদিকে ও ঘরে কার্বোলিক অ্যাসিড দেওয়া হয়।কিছুক্ষন পর উৎপল বাবুর বাড়িতে নন্দু কুমার আসেন ও সাঁপ টিকে উদ্ধার করেন।নন্দু বাবু বলেন এটি একটি দাঁড়াশ সাঁপ।এ সাঁপের বিষ নেই।এরপর নন্দু বাবু সাঁপ টিকে একটি বস্তায় ভরেন।সাঁপ টিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৬, ২০১৮

তৃনমূল কর্মীর নাক কাটলো কংগ্রেস কর্মীরা

মানস দাস,মালদা

এক তৃনমূল কর্মীর কামড়ে নাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, ইংরেজবাজার থানার নিমাই সরাই এলাকায়। দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইংরেজ বাজার থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তর নাম,রাজীব সেখ(২৭)। বাড়ি নিমাই সরাই এলাকায়। নাক কামড়ে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই কংগ্ৰেস কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দুই কংগ্রেস কর্মী সেন্টু সেখ ও আনোয়ার সেখের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্বাচনী প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী রাজিব সেখ। অভিযোগ সেই সময় একলা পেয়ে সেন্টু সেখ ও আনোয়ার সেখ তাকে ধরে মারধোর শুরু করে। সেই সময় সেন্টু রাজিবের নাকে কামড় দিয়ে ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। আরো জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সেন্টু রাজিবের মাসতুতো ভাই।  রাতেই আক্রান্তকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পরিজনেরা। পুরানো বিবাদ না রাজনৈতিক কারনে নাক কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই কংগ্রেস কর্মী ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আক্রান্ত যুবকের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে আক্রান্ত যুবক রাজীব সেখ জানান,আমি তৃণমূল করার কংগ্রেসীরা আক্রমণ করেছে।রাতে ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার সময় আমি আক্রান্ত হই।

মঙ্গলকোটে বৃষ্টিজলে বেশকিছু মাটির বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত

সুকান্ত ঘোষ

বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে তুমুল বৃষ্টিপাত চলছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লক জুড়ে।বেশ কিছু মাটির বাড়ী ধসে যাওয়ার খবর মিলেছে।সেইসাথে চলছে লোডশেডিং।

ময়নাগুড়িতে বাস দুর্ঘটনায় আহত ১৫


সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি


বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ময়নাগুড়ি নতুন বাজার  বিবেকেনন্দ পল্লী নিকট জলপাইগুড়ি থেকে বানার হাট যাওয়া একটি বেসরকারি যাত্রী বোঝাই বাস দুর্ঘটনায় মাঝরাস্তায় উলটে যায়। প্রায় ১৫ জন যাত্রী গুরুত্বর আহত হন।এ দের মধ্যে বেশ কিছু জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ার কারনে তাদের জলপাইগুড়ি স্থানান্তরিত করা হয়।ময়নাগুড়ি থেকে ডিউটি করে সেই গাড়িতেই বাড়ি ফেরার পথে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার্স ও গুরুত্বর আহত হয়েছেন।ঘটনার খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন।হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান ময়নাগুড়ি বিধায়ক সহ স্থানীও নেতৃত্ব ।দুর্ঘটনাগ্রস্থ সেই বাসে থাকা আহত একজন ব্যক্তি জানান হঠাৎ করে গাড়ি ব্রেক ধরে, মনে হয় গাড়ির ডান পাশের চাকার পাত ভেঙ্গে জায়।এর ফলেই গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মাঝ রাস্তায় উলটে যায়।

বুধবার, এপ্রিল ২৫, ২০১৮

গত বিধানসভা নির্বাচনের জবাব এই পঞ্চায়েতে হাতেনাতে পেলেন সিদ্দিকুল্লাহ


মোল্লা জসিমউদ্দিন



 চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে সর্বত্রই।বিরোধীদল গুলি তো বটেই শাসকদলের অনেকেই এই সন্ত্রস্ত পরিবেশের মধ্যে মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি।সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য দিক হল রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ৩৪ জন অনুগামীর মনোনয়ন মঙ্গলকোটে দিতে না পারা।যেখানে দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলকোটের আসনরফায় দলীয় প্রতীক দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ কে, সেখানে কোন বাঁধায় মনোনয়ন পেশে ব্যর্থ বিধায়কের অনুগামীরা?  এই প্রশ্ন রাজ্যরাজনীতি মহলে ক্রমশ দানা বাঁধছে।শুধু পঞ্চায়েত ভোটে 'রাজনৈতিক সন্ন্যাস'  দেওয়া নয়।গত বিধানসভা ভোট পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনায় কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে সিদ্দিকুল্লাহ কে।নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে কোন উন্নয়নকাজ করতে পারেননি বলা যায়, যে দু একটি করেছেন সেগুলিও বন্ধ বলা যায়।এমনকি বিধায়ক তহবিলের অনুদান ফিরে যাওয়ার নজির রয়েছে এই কেন্দ্রে।সিদ্দিকুল্লাহ রাজ্যের মন্ত্রী হলেও মঙ্গলকোটে বরাবরই ব্রাত,  বয়কটও বলা যায়।বিরোধী দলের বিধায়ক হয়েও বাম নেতা শাহজাহান চৌধুরী ২০১১ থেকে ২০১৬ অবধি যে সহযোগিতা স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক প্রশাসন, থানার কাছে পেয়েছিলেন, তার সিকিভাগ কপালে জোটেনি সিদ্দিকুল্লাহের!  তৃনমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে কোন উন্নয়নকাজে বিধায়ক কে রাখেনি ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। দলের নেতারা কালো পতাকা দেখিয়েছে, মহিলাদের দিয়ে ঝাঁটা - জুতো দেখিয়ে গালিগালাজ খাওয়ানোর ব্যবস্থা রেখেছে।এমনকি গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী হয়েও নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে জেলা গ্রন্থাগার মেলা করতে পারেননি তিনি।অথচ মঙ্গলকোটে জুয়া খেলা সহ অশ্লীল লেটো মেলা প্রায় সময় হয়ে থাকে।কেন এহেন আচরণ দলেরই বিধায়ক তথা রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি?  এখানে এই কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডলের সাথে কোন বিবাদের জন্য নয়, এটা সেই ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই সিদ্দিকুল্লাহ কে নখদন্তহীন বাঘ বানাবার প্রয়াস চলছে।দলে থেকেও দলের লোক নয়, আবার মন্ত্রী হয়েও কোন ক্ষমতা নাই এর মত।শয়ে শয়ে বিধায়ক অনুগামীদের গাঁজা - অস্ত্র সহ বিভিন্ন মামলায় যখন ফাঁসানো হচ্ছে।তখন কিছু করতে পারছেন না পুলিশের এই কর্মকান্ডের প্রতি, আবার পদিমপুরে বিধায়ক অফিসে দলের বিপক্ষ শিবিরের বাহিনী যখন বোমাবাজি করে মারধোর চালিয়েছে বেশ কয়েকবার। সেখানেও বড় অসহায় সিদ্দিকুল্লাহ।এমনকি গত ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলকোটের আটঘড়ায় দলের মহিলাদের ঝাঁটা জুতো দেখলেন।সেখানে জেলা পুলিশ প্রশাসন তো বটেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চুপচাপ। কেন এই নীরবতা সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি?  একজন বিধায়ক হিসাবে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া টা কি অপরাধ?  যেখানে একজন মন্ত্রী রাজ্যের যেকোন এলাকায় যেতে পারেন! এই বিমাতৃসুলভ আচরণের অন্তরালে কি?  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা তৃনমূলের এক দাপুটে নেতা জানান - "দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকেই আমাদের বলা হয়েছে সিদ্দিকুল্লাহ কে কোনভাবেই গুরত্ব না দিতে" কেন এই অলিখিত  নির্দেশ জানতে চাইলে তখন ওই নেতা বলেন - ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমাদের নেত্রী সিপিএম - কংগ্রেসের জোট অপেক্ষা সিদ্দিকুল্লাহের  ১০০ আসনে প্রার্থী দাঁড় করানো বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলেন।মূলত সংখ্যালঘু ভোট কিছুটা মাইনাস হয়ে গেলে, অনেকজায়গায় বিরোধী জোট জয়লাভ করত।তাই নবান্ন তে সিদ্দিকুল্লাহ কে ডেকে দুটি আসন এবং মন্ত্রিত্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নেত্রী। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই দুটি সমঝোতা মেনে নিলেও সিদ্দিকুল্লাহের ব্লাকমেলিং অন্তরে মানতে পারেননি দলনেত্রী।তাই মঙ্গলকোট কেন্দ্রে ২০১১ এর বিধানসভা ভোটে তৃনমূল প্রার্থী অল্পভোটে হেরে গেলেও ২০১৬ তে সিদ্দিকুল্লাহ কে ভোটের টিকিট দেন মমতা।অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ অপূর্ব চৌধুরী কে টিকিট না দিলেও, তার হাতে যাতে মঙ্গলকোটের যাবতীয় রাশ থাকে সেজন্য দলনেত্রীর সবুজ সংকেত বরাবরই ছিল।পুলিশ - প্রশাসন তাই প্রথম থেকেই বিধায়ক তথা মন্ত্রী কে গুরত্ব না দিয়ে 'জামাই আদরে' রাখত ২০১১ সালের পরাজিত বিধানসভা নির্বাচনের তৃনমূল প্রার্থী তথা ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী কে।পুলিশের দেওয়া সর্বক্ষণের দুজন নিরাপত্তারক্ষী,  ব্লকে আইসিডিএসের নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান,  থানার নাগরিক কমিটির সম্পাদক তারই নির্দেশন মাত্র।তৃনমূলের অন্দরে ক্ষমতালোভী হিসাবে পরিচিত সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কদর প্রথম থেকেই লোকদেখানো ছিল।২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কর্মসূচী ২০১৮ এর পঞ্চায়েত ভোটে ৩৪ আসনে গ্রাম পঞ্চায়েতের টিকিট তৃনমূলের সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি 'আই ওয়াস' করানো ছাড়া কিছুই নয়।যদি সিদ্দিকুল্লাহের প্রতি শীর্ষ নেতৃত্ব সহৃদয় থাকতো, তাহলে মঙ্গলকোটের পঞ্চায়েত আসনে দেখা যেত সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর অনুগামীদের কে 

ভাতারে সিপিএম অফিস সন্ত্রাসের আগুনে অগ্নিদগ্ধ

সুদিন মন্ডল

সোমবার নমিনেশন জমা দেওয়া কেন্দ্র করে ভাতারে  যে রাজনৈতিক অশান্তির আগুনে  পুড়ে ছাই হয়ে যায় ভাতার এর সিপিএম পার্টি অফিসের কাগজপত্র, পাশাপাশি ভাঙচুর হয় চেয়ার,টেবিল,মোটরসাইকেল  সহ আরও নানান সামগ্রী বলে অভিযোগ।  এই মর্মে ভাতার থানায় সিপিএম এর তরফ থেকে একটি অভিযোগও জমা হয়।অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকালে সিপিএম এর উচ্চ নেতৃত্ব ভাতার পার্টি অফিস পরিদর্শনে আসে ছিলেন আভাস রায়চৌধুরী, অমল হালদার,অচিন্ত্য মল্লিক,গণেশ চৌধুরী,উদয় সরকার প্রমুখরা।

সুমঙ্গল হোমে কোচিং বাঁকুড়া জেলাপুলিশের

সাধন মন্ডল

বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে সারা বছর ধরে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছে পুলিশকর্মীরা। এই সমস্ত সেবাকাজের মূল কান্ডারী বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা। তাঁর উদ্যোগে ও সিভিক পুলিশকর্মীদের সহযোগিতায় বাঁকুড়ার সুমঙ্গল হোমে থাকা ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে সপ্তাহে দুদিন কোচিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য পুলিশ সুপার কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁর এই অভিনব উদ্যোগে বাঁকুড়াবাসী আপ্লুত, অভিভুত।

লালগড়ের জঙ্গলে সদ্যজাত কন্যা

সঞ্জয় হালদার

লালগড়ের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল একটি সদ্যজাত শিশু কন্যা। আজ সকাল বেলায় প্রতিদিনের মতো জঙ্গলে কাঠ কুড়ানো ও পাতা তোলার কাজে গিয়েছিল গ্রামের মহিলারা।কান্নার আওয়াজ শোনার পর সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়ে জঙ্গলে পাতার উপর পড়ে রয়েছে এক সদ্যজাত শিশু কন্যাকে।
অসহায় ভাবে পড়ে থাকা বাচ্চাকে দেখে মায়া সমলাতে না পেরে কোলে তুলে নেন সুলেখা চালক। ততক্ষনে জঙ্গলে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা সি আর পি এফ কে খবর দেওয়া হলে তারা তৎক্ষনাৎ জঙ্গলে গিয়ে হাজির হয় এবং লালগড় হাসপাতালে খবর দেওয়া হলে গাড়ী পাঠিয়ে তাদের কাছ থেকে শিশু কন্যাকে লালগড়  হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করা হয় । ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মহেশ্বর মান্ডি বলেন পুলিশ জঙ্গলে পরিত্যাক্ত অবস্থায় শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে লালগড় হাসপাতালে পাঠানো হলে তারা শিশু কন্যাকে সুস্থ করে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।

ময়ুরেশ্বরে বালির গাড়ীতে হত বাইক আরোহী

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার অন্তর্গত কোটাসুর পেট্রলপাম্পের সামনে ছয় চাকা বালি বোঝাই লরি এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে বাইক আরোহী প্রান হারায়।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER