শুক্রবার, জানুয়ারী ৩১, ২০২০

পল্লিমঙ্গল উৎসব পাঁচবছরে পা দিলো

পঞ্চমবর্ষের পল্লিমঙ্গল উৎসবের সূচনা
সেখ সামসুদ্দিন
 

 পাঁচ বছরে পা দিল পল্লিমঙ্গল উৎসব,  সূচনা করলেন মেমারীর বিধায়ক নার্গিস বেগম। বিতর্কসভা , পাল্লারোড গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের জিমন্যাস্টিক দিয়ে উদ্বোধন হয়। উৎসবের, আঁকা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ , শ্রুতিনাটক সহ সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে জমজমাট ছিল। এইবারের উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও নানারকম খেলাধূলার আয়োজন করা হয় উৎসবে, বিতর্কে অংশ নেন শিক্ষক থেকে রাজনীতিবিদ, বিষয় ছিল "মূল্যবোধ নয় বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধি , দেশ ভক্তি নাকি সরকার ভক্তি দরকার কার শ্রীবৃদ্ধি" স্থানিয়দের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন, মেলায় শিক্ষানিকেতনের স্টল নজর কাড়ে সবার, বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গায়ক সুরজিত চ্যাটার্জি (ভূমি), বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমাশাসক সুদীপ ঘোষ,  বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক,  মেমারীর বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিত্যানন্দ ব্যানার্জি।

উলুবেড়িয়ায় গান্ধীজির মৃত্যুদিবস পালন

ওয়াসিম বারি
  
জাতির জনক মহাত্মা গাঁধীর মৃত্যুদিন ।এই উপলক্ষে হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের চেঙ্গাইল স্টেশনের কাছে তূনমুল কংগ্রেসের উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর এক সভা হয়।উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিশ আলি বলেন, মহাত্মা গাঁধী ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক তাঁর আদর্শ ও অবদানের কথা আরও বেশি বেশি করে মানুষের মনে ছড়িয়ে দিতে হবে ।
 অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  সভাপতি বেনুকুমার সেন,তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি কাউন্সিলর বাদশা মিদ্দে, কাউন্সিলার  মহঃ সেলিম, সমাজসেবী আতিবর রহমান, শুক্লা ঘোষ প্রমুখ ।

বোরো ধান চাষ চলছে মঙ্গলকোটে

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  

  কৃষি প্রধান মঙ্গলকোটের কৃষকরা বছরের অধিকাংশ সময় কৃষিকাজে ব্যস্ত।সবে আমন ধান ঝাড়ানর কাজ শেষ করেছে। আলু তোলার সময় এগিয়ে আসছে।এরই মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বোরো ধান নিয়ে। যেহেতু সেচখালের মাধ্যমে জল পাওয়া যায়না,তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগেই শুরু হয়েছে বোরো চাষ। কোথাও দেখা যাচ্ছে ধান পোঁতার জন্য জমিতে জল দেওয়া হয়েছে,কোথাও বা বীজতলা থেকে ধান তুলে পোঁতা হচ্ছে।
     চাণক অঞ্চলের কৃষক রঘুনাথ পাল বললেন - যেহেতু বিকল্প কোনো ফসল চাষের ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি তাই আমরা ধান, আলু নিয়েই ব্যস্ত থাকি।

সুসম্পর্ক এর শিক্ষাঙ্গনে সরস্বতী পূজা

সুসম্পর্ক সামাজিক সংগঠনের শিক্ষাঙ্গনে দুস্থ পড়ুয়াদের নিয়ে সরস্বতী পূজোর আরাধনা হলো। সারাদিন ব্যাপি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।             

গলসিতে এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন

সেখ নিজাম আলম
  
: ""এন আর সির বিরুদ্ধে গলসীতে
বিক্ষোভ""-------

কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতি
এন,আর,সি ও সি,এ,এ এর বিরুদ্ধে গলসীতে গণ বিক্ষোভ শুরু হয়।জানা যায়, গলসি ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি
মাননীয় বাসুদেব চৌধুরী মহাশয় ও
যুবনেতা শ্রী শৈলেন হালদার মহাশয়ের নেতৃত্বে
কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতি এন,আর,সি,র বিরুদ্ধে গলসীতে এক বিশাল মিছিল বের হয়।গলসী ২নং ব্লক ও
গলসী পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত আশপাশের সমস্ত গ্ৰামের মানুষ জন এই মিছিলে সামিল হন।জাতিধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে এই মিছিলে প্রায় দশ হাজার লোকের সমাগম ঘটে।বি,জে,পি সরকারের এই জনবিরোধী নীতিতে সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এই মিছিলে নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো।তারা কেন্দ্র সরকারের খামখেয়ালি নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে পদব্রজে সারুল থেকে শুরু
করে গলসী পরিক্রমা করেন।
মাননীয় বাসুদেব চৌধুরী মহাশয়,শ্রী শৈলেন হালদার সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন কর্ণধার গন এই সভায় বক্তব্য রাখেন।তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা শ্রী শৈলেন হালদার বলেন,আমরা কেন্দ্র সরকারের এই জনবিরোধী নীতি মানছি না।আমরা কেও বাংলা  ছাড়ছি না ছাড়ব না, এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বুকচিতীয়ে লড়াই করে যাব।কেন্দ্র সরকারের এই এন আর সি নীতির বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী তথা বাংলার জননেত্রী মাননীয়া
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন।আমাদের মা মাটি মানুষের
সরকার লড়ছে ও 
লড়বে।শৈলেন বাবু র বক্তব্যে প্রায় হাজার দশেক জনতার করতালিতে মঞ্চ ভরে ওঠে।গলসী২নং পঞ্চায়েত সমিতির
সভাপতি মাননীয়
বাসুদেব চৌধুরী মহাশয়  তৃনমূল কংগ্রেসের উপস্থিত সকল জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই লড়াই চালিয়ে যাবার জন্য আহ্বান জানান।
তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, গলসি ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বান্টি বাগ প্রমুখ।

তারকেশ্বরের নছিপুরে সরস্বতী পূজা

সুভাষ মজুমদার
  
তারকেশ্বর  কেশবচক  গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন  নছিপুর সিদ্ধেশ্বরী ফুটবল ময়দানে দি কিশোর সংঘের পরিচালনায় পাঁচ দিন ব্যাপী মেলা চলবে, বিশেষ ভাবে নজর কারে  25 ফুট এর সরস্বতী ঠাকুর ও কিশোর মেলা ৷ এই মেলা 40 তম বর্ষে পা রাখলো ৷ এই মেলাকে কেন্দ্র করে শুধু গ্রামের মানুষ না বহু দূর-দূরান্ত থেকে এসে পূজা মন্ডপ ও মেলা উপভোগ করেন ৷  মেলাকে কেন্দ্র করে শুধু কচি কাঁচাদের ভীড় জমায় তা নয় বয়স্ক মানুষদের এই মেলায় দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে মেলার উদ্বোধন করে গেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক মিহির গঙ্গুলি, এছাড়াও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক দেব কুমার বেরা ,ও সভাপতি শ্রীবাস নন্দী,বুদ্ধদেব মাইতি, সহ আরো অনেকে, উল্লেখ্য যে প্রত্যহ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় ৷

প্রগেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশন সিএএ এর বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ আন্দোলন নিচ্ছে

পুলকেশ ভট্টাচার্য
  

উত্তর 24 পরগনা জেলার বারাসাতের প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের জেলা নেতৃত্ব নিয়ে এক বিশেষ বৈঠক হয়। বর্তমানে ব্লক ও জেলার বিভিন্ন সমস্যা গুলি নিয়ে আলোচিত হয়।বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালে দেশে কেন্দ্রীয় সরকার যে সংবিধান কে অবমাননা করে CAA চালু করতে চাইছে। যার বিরুদ্ধে গোটা দেশ উত্তাল ,মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে উঠেছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলি বলেন দেশে যে পরিমাণে হিংসা অসহিষ্ণুতা ও অসাংবিধানিক কার্যক্রম যেভাবে বেড়ে চলেছে তার প্রতিবাদে সারা রাজ্য জুড়ে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সি এ এ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদিনে জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত হয়। উত্তর 24 পরগনা জেলার নতুন সভাপতি হিসাবে মনোনীত করা হয় মাওলানা আবুল কালাম কে। তিনি বলেন এই আন্দোলন ব্লক তথা পঞ্চায়েত বুথ স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে হবে। রাজ্য সরকার দেরিতে হলেও বিধানসভায় সি এ এ এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানোর জন্য সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ অভিনন্দন জানানো হয়। এ দিনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পি ওয়াই এফ এর রাজ্য কোষাধক্ষ্য কাজী তৈয়েবুললা, জেলা সম্পাদক আজান আলি, যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান, সহ-সভাপতি সৌরভ লাহিড়ী, সহ-সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাইফুল মোল্লা প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২০

বস্ত্রবিলিতে বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন

তথাগত চক্রবর্তী

  সরস্বতী পুজোয় শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হল বীরভূম জার্নালিস্ট
ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। বুধবার দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পর ৭৫
জন দুঃস্থ মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। এক মঞ্চে
না থাকলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শীতবস্ত্র তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী আশিস
বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সরকারের সহ তথ্য অধিকর্তা মানস কুমার দাস,
রামপুরহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার, পুরসভার বিরোধী দলনেতা
বিজেপির শুভাশিস চৌধুরী, রামপুরহাট পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব
মল্লিক, তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রেকিব। উপস্থিত
ছিলেন রামপুরহাট মহকুমার অধিকাংশ সাংবাদিক।

বুধবার, জানুয়ারী ২৯, ২০২০

কোগ্রামে কুমুদ সাহিত্য মেলা পরিচালনা করেন কারা

কুমুদ সাহিত্য মেলা পরিচালনায় কারা? 

২৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি গড়া হলেও এই সাহিত্য - সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যুক্ত শতাধিক কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক প্রমুখ। 

আমাদের ২৯ জনের মধ্যে সিংহভাগই সাংবাদিক। ১০ এর বেশি সাংবাদিক আছেন যারা ৪০ বছর+ সাংবাদিকতা করছেন, বাকিদের ২০ বছর+ চলছে

অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট থেকে বিকাশ ভবনে শিক্ষার ল সেলের আধিকারিক আছেন। 

বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সেইসাথে তৃণমূল লিগ্যাল সেলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী আছেন 


এইরূপ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আত্মীক টানে একসাথে আমরা ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা করে আসছি। 

🙏💐 মোল্লা জসিমউদ্দিন সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি

বহুজন ক্রান্তী মোর্চার বনধ ঘিরে উত্তপ্ত জামুড়িয়া

সি এ এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে রাস্তা অবরোধ বহুজন ক্রান্তীমোর্চার, পুলিশের লাঠিচার্য়
  মোহন সিং
  
আজ বহুজন ক্রান্তীমোর্চার ডাকা ভারত বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা বিপল করল পুলিশ। তবে ভারত বনধের প্রভাব শিল্পাঞ্চল রানিগঞ্জ আসানসোলে না পড়লেও সরকারি বাস দেখা পাওয়া গেলেও বেসরকারি বাস জাতীয় সড়কের উপর দেখা যায়নি। 
কেন্দ্র সরকারের এন.আর.সি, সিএএ এর প্রতিবাদে ও তা প্রত্যাহারের দাবিতে বহুজন ক্রান্তীমোর্চার ডাকা ভারত বনধের সমর্থকেরা আজ বেলা ১২ নাগাদ জামুড়িয়া থানার বোগড়া চটি সংলগ্ন ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ তাদের অবরোধ হটিয়ে দেয়। তার কিছুক্ষন পরেই রানিগঞ্জের টিবি হাসপাতাল মোড়ে বহুজন ক্রান্তীমোর্চার সমর্থকেরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশে সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্য় করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। পাশাপাশি ২ জন সমর্থকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।

ওড়িশায় ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সফল পূর্ব বর্ধমান



ইস্ট ইন্ডিয়া কারাতে এসোসিয়েশন -এর পরিচালনায় গত ২৪ই & ২৫ই  জানুয়ারী, ২০২০ তারিখে ওডিশা এর ভূবনেশ্বরের উৎকল কারাতে স্কুল এ “১ম ইস্ট ইন্ডিয়া কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ - ২০২০” অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইস্ট ইন্ডিয়ার ৫ টি রাজ্যের প্রায় ৫০০ কারাতেকা এখানে অংশগ্রহণ করে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ২ জন অংশগ্রহণকারী,  ইশানী গুপ্ত এবং শ্রেয়সী ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে এবং মোট ১ টি পদক (১ ব্রোঞ্জ) লাভ করে।
পদক বিজয়ীর নাম নীচে দেওয়া হল।
১.   ইশানী গুপ্তা      ব্রোঞ্জ -   ১০ বছরের +৩০ কেজি বালিকা কুমিতে বিভাগ 
এছাড়া, শ্রেয়সী ঘোষ ১০ বছরের বালিকা কাতা বিভাগে ভাল খেলে কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ৫ম স্থান অর্জন করে।
   
শিহান দেবাশিস কুমার মন্ডল 
(সাধারণ সম্পাদক :: বর্ধমান কারাতে-ডো অ্যাসোসিয়েশন)

আসানসোলে দোকান বন্ধ নিয়ে হট্টগোল

মোহন সিং
  
বহু জন কান্তি মোর্চা সমর্থনে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া করলো দোকান বন্ধের সমর্থনে বুধবার দিন আসানসোল জি টি রোড এর উপরে বসে পথ অবরোধ করে সংখ্যালঘু মানুষরা পরে তারা এক এক করে দোকান বন্ধ করাতে লাগল। ব্যবসায়ীরা ভয় দোকানের শাটার নামাতে লাগেন। পরে বিরাট মিছিল বার করে আসানসোল বাস স্ট্যান্ড অব্দি এসে শেষ হয়

অধ্যাপক নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা বিভাগে প্রথম অনিকেত মহাপাত্র

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশন আয়োজিত অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়ার বাংলা বিষয়ে প্রথম হয়েছেন অনিকেত মহাপাত্র

মৌসুমি বিশ্বাস 

বঙ্গীয় বিদ্যায়তন জয় করলেন অনিকেত 
তাঁর নামের মানে যার কোনো ঘর নেই। যখন তাঁকে কেউ নামের মানে জিজ্ঞেস করেন তিনি বলেন তাঁর একটি নির্দিষ্ট ঘর নেই অর্থাৎ সব খানেই তাঁর ঘর। তিনি অনিকেত মহাপাত্র। বিদ্যাসাগরের দেশ মেদিনীপুর  থেকে আর এক দৃষ্টান্ত উঠে এলো। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশন আয়োজিত অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়ার শেষে দেখা গেল বাংলা বিষয়ে  প্রথম হয়েছেন অনিকেত মহাপাত্র। যাঁর জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা মেদিনীপুরে, প্রশাসনিক দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুর। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিহার, আসাম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যের অনেক প্রার্থী এই প্রক্রিয়াতে অংশ নিয়েছিলেন। 
আর একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য অনিকেত মহাপাত্র তথাকথিত কোনো নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা ও গবেষণা।

স্নাতকোত্তরে হয়েছিলেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিষয়ে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছিলেন। মুসলিম জীবনকে কাছ থেকে জানবেন বলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিলেন। শুধু তাই নয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র এবং বাংলা বিভাগের প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট।  শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ইউ. জি. সি  নেট কোয়ালিফাই করার কৃতিত্বও তাঁর। আলিয়া বিস্ববিদ্যালয়ে আজও তিনি মিথ। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা উপন্যাসের গঠনশৈলী বিচার বিষয়ে ড. সাইফুল্লার তত্বাবধানে গবেষণা করে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেছেন। 

স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনা কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ  থেকে। এই অভাবিত কৃতিত্বের বিষয়ে চর্চা চলেছে সারা রাজ্য জুড়ে। ডক্টর মহাপাত্র প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে ইতিমধ্যে চর্চিত। এই বইমেলায় কবি ও প্রকাশক ফারুক আহমেদ-এর 'উদার আকাশ' প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে 'উপন্যাসের ঘরে' নামের গ্রন্থ। স্প্যানিশ ভাষায় রবীন্দ্রনাথ নামের গ্রন্থ সম্পাদনা  করেছেন। বনফুলের উপন্যাস নিয়ে কাজ করেছেন। উপন্যাসের গঠনশৈলী নিয়ে তাঁর চর্চার সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের বুধমন্ডলী  যথেষ্ট পরিচিত। সমাজ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তাঁর নিয়মিত বিচরণ। 

প্রদেশ, দেশ, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক ঘটনা প্রবাহ আগ্রহের বিষয়। রাজনীতিতে যুব সমাজের অংশগ্রহণ নিয়ে বহুবার বক্তৃতা করেছেন। তাঁর লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায়। বিদ্যাসাগরের জেলার এগরা অঞ্চলের কৌড়দা-গোপাল চক এর থেকে আসা এই বঙ্গ তনয়কে নিয়ে অবিভক্ত মেদিনীপুরের সঙ্গে সঙ্গে সারা রাজ্য গর্বিত।

আরও গর্বিত তাঁর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তিনি ইতিহাস গড়লেন।

চাঁপাডাঙায় সেভ দ্য ন্যাচার থিম সরস্বতী পূজায়

সুভাষ মজুমদার

  
সেভ দ্যা নেচার  চাঁপাডাঙ্গা নস্করপুর গ্রামে সরস্বতী পূজার এবারের থিম।
অষ্টম বছরে পদার্পন করলো এই পুজো।
মূলত পৃথিবী থেকে বিলুপ্তির পথে গাছ,পশু ,পাখি কে বাঁচিয়ে রাখতে সাধরণ মানুষ কে বার্তা দেওয়া হয়েছে এই পূজা মণ্ডপ থেকে।এছাড়াও বর্তমানে জলের সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে পৃথিবতে।জল অপচয় বন্ধ করতে বার্তা দেওয়া হয়েছে পূজা মণ্ডপ থেকে।
থার্মোকল মাটির ভাঁড় কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। পুজো কমিটির কর্ণধার মহারাজ নাগ মহারাজ নাগ নাগ তিনি জানান যে ভাবে সমাজে পশুপাখি, জল, ও গাছ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেই দিকে নজর দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছে, সাধারণ মানুষের কাছে একটা আর্জি যে আপনারা জল অপচয় করবেন না, অযথা গাছ কেটে ফেলবেন না, অন্যদিকে পশু পাখিদের হত্যা করবেন না এই বিষয়বস্তু গুলোকে নিয়েই আমরা আমরা এই মণ্ডপে তুলে ধরতে পেরেছি ৷

বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় চার সাহিত্যিক সংবর্ধিত হলেন

সুসঙ্গ দুর্গাপুরে চার সাহিত্যিককে জলসিঁড়ি সম্মাননা প্রদান।
বাবুল সাহা
 
, কলকাতা থেকে: বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গাভিনা গ্ৰামে ২৩ জানুয়ারী ২০২০ বিকেলে জলসিঁড়ি পাঠকেন্দ্র রূপ নিয়েছিল এক মিলন মেলায়।
পাঠকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক জলসিঁড়ি পাঠকেন্দ্র  দীপক সরকার জানান, ৭ম বর্ষের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে চার সাহিত্যিককে গুনীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এ পাঠকেন্দ্রের সভাপতি এডভোকেট মানেস সাহা। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন , ড.তরুণ কান্তি শিকদার, কথাশিল্পী ও অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রাবন্ধিক অধ্যাপক বিধান মিত্র। লেখক ও সাংবাদিক ইশরাত জাহান উর্মি। গল্পকার দীলতাজ রহমান।৪ গুনীজন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন্দ্র সরকার। লেখক ও গবেষক আলী আহাম্মদ খান আইয়োব। সুসং সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান। দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম। সংস্কৃতি কর্মী জেসমিন আক্তার। জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম ও আলামিন। এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন ড. অর্ধেন্দু শেখর রায়, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়।

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২৮, ২০২০

ভেজাল ঘি কান্ডের সিন্ডিকেট চালায় কারা? জানতে চায় পুলিশ

সানি প্রসাদ
 
মঙ্গলবার দুপুরে  ভেজাল ঘি কাণ্ডে ধৃত ভুনেশ্বর সাউ ও অনিল সাউকে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। আরও ভেজাল ঘি উদ্ধারের জন্য এবং কারবারে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে ধৃতদের ৫ দিন হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার স্নেহময় চক্রবর্তী। ধৃতদের ৪ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।পুলিস জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে দুবরাজদিঘির মালিরবাগান এলাকায় একটি ঘি তৈরির কারখানায় হানা দেওয়া হয়। কারখানা থেকে ২২৫ কেজি ঘি, ৪ হাজার ৭১৫ কেজি মিষ্টির গাদ, ৩টি টেম্পো, ইলেকট্রনিক ওজোন মেশিন প্রভৃতি উদ্ধার হয়। দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটিতে ভেজাল ঘি তৈরি হচ্ছিল বলে দাবি পুলিসের। মিষ্টির গাদ এবং মানুষের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে ঘি তৈরি করা হচ্ছিল কারখানাটিতে।এতে চাঞ্চল্য দেখা যায় এলাকায়।     

দুস্থদের বস্ত্রবিলি মেমারির ১ নং ওয়ার্ডে

সেখ সামসুদ্দিন
 
 নির্বাচনী দামামা বাজিয়ে মেমারি পুরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার সামসুল হক মির্জার উদ্যোগে ওয়ার্ড কমিটির সহযোগিতায় দুঃস্থ ব্যক্তিদের কম্বল বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী, ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত সহ কাউন্সিলারবৃন্দ, মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তী, পুর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য চ্যাটার্জী, মেমারি ১ ব্লক যুব সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহ সভাপতি মুকেশ শর্মা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি, ত্রিপরা প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিনের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান মঞ্চ কার্যত পুরনির্বাচনী প্রচার মঞ্চ হয়ে যায়। অতিথিবৃন্দ বক্তব্যে বিজেপি সহ বিরোধী দলের কাজের সমালোচনা করার পাশাপাশি তৃণমূল সরকার ও পুরবোর্ডের কাজের খতিয়ান দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান। সামসুল হক মির্জা জানান এদিন পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের দুঃস্থ ৩০০ জনের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয়।

আইপিএস হুমায়ুন কবীরের 'উত্তরণ' উদঘাটনে মুখ্যমন্ত্রী

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় কলকাতা বইমেলার শুভ উদঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন চুঁচড়া পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের লেখা বই 'উত্তরণ' বইটি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আইপিএস অফিসারের ধারাবাহিক রচনা ইতিমধ্যেই এক প্রথম সারির দৈনিক কাগজে প্রতি রবিবার ক্রোড়পত্রে প্রকাশ পায়। 'উত্তরণ' বইটি আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রকাশনার স্টলে বই টি পাওয়া যাচ্ছে।                         

মঙ্গলকোটের কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি কে শুভেচ্ছা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর

মোল্লা জসিমউদ্দিন
সম্পাদক - কুমুদ সাহিত্যমেলা কমিটি

প্রতি বছর মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা হয়ে আসছে। গত দশ বছর ধরে কয়েকশো কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক দের নিয়ে এই সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। শুধু পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন ব্লক এলাকা থেকে নয় দক্ষিণবঙ্গের ৬ থেকে ৭ টি জেলা থেকে ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে আসেন বহু মানুষজন। গুণীদের সংবর্ধনা, বাউলগান,আবৃত্তি, সমবেত নৃত্য প্রভৃতি চলে সারাদিন ধরে। এহেন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ তিনটি দপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।  শুভেচ্ছাবার্তায় মন্ত্রী কুমুদ সাহিত্য মেলার উদ্যোগ কে ধারাবাহিকভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশংসা করেছেন।                                                                 

ভাঙড় বইমেলায় সম্মানিত কবি ফারুক আহমেদ

ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হল ভাঙড় বইমেলা‌‌য়


সংবাদদাতা, 


নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের জন্মদিন স্মরণ করে ২৩ জানুয়ারি তৃতীয় বর্ষ ভাঙড় বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন কথা সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রচেত গুপ্ত। ভাঙড় বইমেলা জীবনে ভুলবেন না, উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলেন কথা সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত। বইমেলায় এলাকার সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

ভাঙড় বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চে ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৯ বছর নিয়মিত 'উদার আকাশ' পত্রিকা সম্পাদনার জন্য বইমেলা আয়োজক বিডিও সৌগত পাত্র ও ভাঙড়-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহাজাহান মোল্লা সম্মাননা তুলে দিলেন ফারুক আহমেদ-এর হাতে। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পাল ও রেজিস্ট্রার ড. দেবাংশু রায়। মূল্যবান বক্তব্য রেখেছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. গৌতম পাল। তিনি বইমেলার প্রয়োজন ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি বিজ্ঞানের প্রসার ঘটাতে এবং দেশ গঠনে ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান আজ ইতিহাস হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। 

নিবন্ধক দেবাংশু রায় বলেছিলেন, ভাঙড়ে আন্তর্জাতিক মানের বইমেলা দেখে খুব ভাল লাগল। ভাঙড়ে সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে বইমেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

উজ্জ্বল উপস্থিতিতে সকলের মন কাড়েন সাংসদ ও চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। বইমেলা নিয়ে মিমি চক্রবর্তী আবেগময় বক্তব্য রেখেছিলেন।

মূল মঞ্চে জিনিয়া রায়-এর কাব্যগ্রন্থ "মনের আগের স্টেশন" উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর হতে তুলে দিয়েছিলেন। ভাঙড়ের এবং বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন এমন তিনজনের হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। 

বইমেলায় বক্তব্য রেখেছিলেন মহকুমা শাসক দেবারতি সরকার, বঙ্গ বিভূষণ সমাজসেবী শিস্ ডিরেক্টর এম এ ওহাব, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও বইমেলা কমিটির সভাপতি ড. বীরবিক্রম রায়, ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি যাথাক্রমে সাহাজাহান মোল্লা ও বিশ্বজিৎ মন্ডল, ঝর্ণা মন্ডল ও আরাবুল ইসলাম, ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত পাত্র ও কৌশিক মাইতি এবং কাশিপুর, ভাঙড় ও কেএলসি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।

ভাঙড় বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে সমস্ত অতিথিদের, ভাঙড়ের গর্বিত সন্তানদের এবং জেলার কর্মাধ্যক্ষ, ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, কর্মাধ্যক্ষ, প্রধান সহ অনান্য কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল। 

ভাঙড় বইমেলা কমিটির সম্পাদক তথা ভাঙড়-১ বিডিও সৌগত পাত্র জানিয়েছিলেন, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের মাঠে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল বইমেলা। প্রতিদিন দুপুর ১ থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত চলে এই বইমেলা। অনেক নামি-দামি প্রকাশনা সংস্থা ও লিটল ম্যাগাজিন এই বইমেলায় অংশ নিয়েছিল। 

এই বইমেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বইমেলা কর্তৃপক্ষ। 

ভাঙড় বইমেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চলেছিল আলোচনাসভা ও কবি সম্মেলন। এর সঙ্গে ছিল মুক্ত মঞ্চে বাউল গানের অনুষ্ঠান। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমন্ত্রিত কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকবৃন্দ অংশ নিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।

বইমলেলা কমিটির যুগ্ম-সচিব  ভাঙড়-২-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কৌশিক মাইতি জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিশেষ বার্তা বহন করছে এবারের ভাঙড় বইমেলা। বইমেলা সফল করতে বহু প্রকাশক ও লিটন ম্যাগাজিন অংশ নিয়েছিল। এক অন্য ভাঙড়কে আবিষ্কার করেছে বইমেলায় আগত বইপ্রেমীরা।

সমস্ত বিতর্ক ও রাজনীতির উত্তেজনা ভুলে ভাঙড় উন্নয়নের ভূমিপুত্রদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারিগর শাহাজাহান মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, নান্নু হোসেন, ওহিদুল ইসলাম, ঝর্ণা মন্ডল, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখেরা এই ভাঙড় বইমেলাকে সফল করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। 

দলমত নির্বিশেষে ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২-এর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৃতীয় বর্ষে এই বইমেলা সার্থক রূপ পেল।

এবারের বইমেলার থিম ছিল  পুরুলিয়া জেলা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর দ্বি-শতজন্মবর্ষপূর্তী উপলক্ষে  বিশেষ আলোচনাও মুগ্ধ করে। 

সমগ্র সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় ছিলেন ড. নিরুপম আচার্য, সুমন দাস, অভিক পাল।

সুমন দাসের পরিচালনায় ভাঙড় বইমেলার থিম সং এবং অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন সকলের মন কাড়ে। 

ভাঙড়ে গঠিত হল ভাঙড় প্রেস ক্লাব। এখানকার সাংবাদিকদের এটি ছিল একটি স্বপ্ন যা এদিন বাস্তবায়িত হল। ভাঙড় প্রেস ক্লাব গড়ে তুলতে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন ভাঙড় -১-এর বিডিও সৌগত পাত্র।

ভাঙড় বইমেলা উদ্বোধনের আগেই ভাঙড় প্রেসক্লাবের শুভ উদ্বোধন করেন আগত সমস্ত অতিথিদের সঙ্গে মহকুমা শাসক দেবারতী সরকার, সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, সহ উপাচার্য গৌতম পাল, এম এ ওহাব, কৌশিক মাইতি, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER