মোল্লা জসিমউদ্দিন
গত বুধবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমাশাসক দপ্তরে আলমপুর অঞ্চলের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে গড়া নকশী কাঁথার বিপণন নিয়ে বৈঠক হয়।মহকুমাশাসক সৌমেন পাল ছাড়াও আলমপুর পঞ্চায়েতের গ্রাম প্রধান সহ দশজন উদ্যোগী মহিলা উপস্থিত ছিলেন।মূলত নকশা করা কাঁথার বিক্রি এবং ব্যাংকিং বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে।মহকুমাশাসক বলেন "আমরা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরের সরকারী মেলা গুলিতে যাতায়াত খরচ, বিনামূল্যে স্টল দেওয়া থেকে বিপণন বিষয়ে প্রসার ঘটাবার উদ্যোগ নিচ্ছি"।এদিন বৈঠকে থাকা সানোয়ারা বিবি বলেন - "আমাদের গ্রুপের তৈরি করা মাসে ৬ থেকে ৭ টি কাঁথা বিক্রি হয়।সেখানে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা গড়ে দাম উঠে।তাতে আমাদের রোজগার হয়না বললেই চলে।মুসলিম বিবাহ সময় বিক্রিটা একটু বেশি হয়।তাই সরকারি মেলাগুলিতে বিক্রির সুযোগ পেলে খুব ভালো হয়।"জানা গেছে কাটোয়া ১ নং ব্লকের আলমপুরে ২০ এর বেশি গৃহবধূ স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নকসা করা কাঁথা হাতে বোনেন।অর্ডার দেওয়া থেকে বিক্রি হয়।সেটা অত্যন্ত কম সংখ্যা।এই অবস্থার খোজ পেয়ে নিজেই উদ্যোগী হন কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল মহাশয়।তাই সরকারি ভাবে বিপণন বাড়ানো এবং ব্যাংক ঋণদান বিষয়টি সহজ করার জন্য আজ বৈঠকে ডাকেন নকশি করা কাঁথা শিল্পীদেরকে।দিল্লীতে আসন্ন কেন্দ্রীয়স্তরে সরকারী মেলাতে যাওয়ার প্রস্তাবনা দেন।সেইসাথে যাতায়াত খরচ, খাওয়া খরচ এবং স্টল বিনামূল্যে দেওয়ার কথা জানান মহকুমাশাসক। আর এতে বেজায় খুশি পল্লিকবির 'নকশি কাঁথার মাঠ' খ্যাত হাতে নকসা করা মহিলারা।