সুভাষ মজুমদার,
আরামবাগের বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দ জিয়াজুর রহমান সহযোগিতায় আজ তারকেশ্বর ব্লকের সন্তোষপুর কুমোরপাড়া শীতলা মন্দির এলাকায় ১৫০ পরিবারের হাতে চাল ডাল আলু তুলে দেওয়া হয় ৷ শুধু তারকেশ্বর নয় আরামবাগ মায়াপুর প্রভৃতি এলাকায় এই মহতী কাজ করে যাচ্ছেন আরামবাগ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট , যদিও এ ব্যাপারে মির্জা মোহাম্মদ তারিফ জানান যে জিয়া ভাইয়ের সহযোগিতায় আরামবাগ সহ বিভিন্ন এলাকায় আমরা এই রিলিফ দিয়ে যাবো মানুষের ঘরে ঘরে যতদিন লকডাউন চলবে' বহু গরীব মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় সেই সব মানুষের পাশে থাকবো, তাই আপনাদের কেউ বলছি আপনারা সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন ঘরের মধ্যে গৃহবন্দী' থাকুন ৷
রবিবার, এপ্রিল ১২, ২০২০
করোনায় অসহায়দের পাশে আনন্দমার্গী কান্দী শাখা
আনন্দমার্গী কান্দী শাখা এগিয়ে এল দুস্থমানুষের পাশে
রাজকুমার দাস,
সমাজের বহু সমাজসেবামূলক সংস্থার পাশাপাশি মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছে বহু সংগঠন।কোরোনা র মোকাবিলায় মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি তে
আজ আনন্দ মার্গি দের শাখা র কর্মকর্তা রা চাল ডাল তুলে দেন কান্দী শহরের প্রায় আড়াইশো মানুষের মধ্যে।
জীব সেবার মাধ্যমেই মানুষের যে পূর্ন লাভ ,তাই মহামারী কোরোনা র থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে এই মহাবিপদে তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ।
যদি চলে যাই - গাছ মাস্টার
যদি চলে যাই
গাছমাস্টার
যদি চলে যাই , না-দেখা কিছু দেখে গেলাম
দেখে গেলাম প্রকৃতির পায়ে মানুষের সেলাম।
দেখে গেলাম শর্তহীন বন্ধ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ
আর রক্তহীন কারবালার গভীর নৈঃশব্দ্য ।
মানুষ ভালোবাসে নিজেকে বড়, দেখলাম
হিসাব করে না -কী পাইনি আর কী পেলাম ।
এত সুবৈভব মাখা যে চাঁদ আর রজনী
নদীজলে স্ফটিক থাকে আগে ভাবিনি ।
শীতঘুমে কার্বন নাগ, স্তব্ধ বিষ নিঃশ্বাস
মুঠো নয়, ভুবন ভরা নির্মল স্নিগ্ধ বাতাস ।
দেখলাম, নিমফুল চৈতি চাঁদের মাখামাখি
ঘুম ভাঙ্গাতে ভোরে এত পাখির ডাকাডাকি ।
মানুষকে ও, দেখলাম তার সুপ্ত দেবত্ব
মানুষ বাঁচাতে বিলায় সে ,আছে তার যত ।
যদি চলে যাই , রেখে গেলাম অন্তিম বারতা-
ভাব যে দেব সে নয়, মানুষই দানব আর দেবতা ।
লকডাউনে কৃষির ক্ষতির জন্য শস্যবিমা দাবি
জুলফিকার আলি,
রক্তদান শিবির আয়োজনে ভগবানপুর যুব সংঘ
জুলফিকার আলি,
শনিবার, এপ্রিল ১১, ২০২০
আহত ভালোবাসা - দুর্গা মিত্র
আহত ভালোবাসা
দুর্গা মিত্র
সারাটি জীবনের কষ্ট দুঃখ
মোর কাছে গেলে রেখে,
আমার জগৎ ছিল তোমাকে ঘিরে
প্রানটা সঁপে ছিলাম হাসিমুখে।
কত ব্যথা-বেদনা সয়েছে
এই হৃদয় খানি,
সময়ের ঘাত-প্রতিঘাতে
হয়েছিল অভিমানী।
ভুগেছি অজানা রোগ-অসুখে
হারানোর ব্যাথা বেজেছে বুকে
খুশি ছিলাম তবু ব্যস্ত জীবনে
মিথ্যে পাওয়ার ক্ষনিক সুখে।
সারাটা জীবন অবহেলা দিয়ে
কাঁদালে তুমি আমায়,
চলে গেলে দুর হতে দুরে
একাকিনী আমি পথ চায়।
বেদনায় মন কাঁদে অবিরাম
অপুর্ন প্রেম নিয়ে বুকে,
তার ছেঁড়া বীণা বাজে হৃদি মাঝে
আহত ভালোবাসার পরশ মেখে।
তালিদে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে জয় হিন্দ বাহিনী
সেখ রতন
বর্ধমান ১ নং ব্লক জয় হিন্দ বাহিনী র সভাপতি সেখ হালিম সাহেবের উদ্যোগে আজ তালিত গ্ৰামে আনুমানিক ৮০০ জন মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হল। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা জয় হিন্দ বাহিনী র সভাপতি রবীন নন্দী মহাশয়,,, বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ মালিক মহাশয়,,, পুলিশ আধিকারিক মাননীয় সুব্রত মন্ডল মহাশয় ,,, বর্ধমান উত্তর বিধানসভা জয় হিন্দ বাহিনী র চেয়ারম্যান সেখ ডালিম,,, পূর্ব বর্ধমান জেলা কিষান ক্ষেতমজুর সেলের কার্যকারী সভাপতি আব্দুল খালেক খন্দেকার,,, বর্ধমান ১ ব্লক জয় হিন্দ বাহিনী র সভাপতি সেখ মালেক,,, রায়ান ১ অঞ্চল জয় হিন্দ বাহিনী র সভাপতি সেখ আলাউদ্দিন,,, চেয়ারম্যান পাপ্পু খান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব বৃন্দ।
দেবীপুরে ৭০০ জনের অন্নভোগ চললো
সেখ সামসুদ্দিন
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার পূণ্যগ্রামে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্রীকৃষ্ণানন্দ মিশনের উদ্যোগে দেবীপুর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে অন্য জেলা থেকে কৃষিকাজে আসা ৭০০ শ্রমিককে অন্নসেবা করা হয়। মহারাজ কৃষ্ণানন্দ বাল্য ব্রহ্মচারী জানান এই আশ্রমে নিয়মিত নীলমাধব গোপালের পূজা, আরতি হয়। এই আশ্রমে নিয়মিত প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২২ জনকে বিনাপারিশ্রমে পাঠ দেওয়া হয়, যার মধ্যে পাঁচজনই দেবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ফাস্টবয়। বছরে চক্ষু দান শিবির, শীতবস্ত্র প্রদান এবং চৈত্রমাসে বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে নয় কুমারী পূজা ও বস্ত্রদান করা হয়। এবছর করোনা মোকাবেলায় সমস্ত উৎসব বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পর চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষের সমাগমে একটা বড় অনুষ্ঠান হয়। এখানে সমস্ত কর্মসূচি ভক্তদের দানে চলে, কোনো সরকারি সহায়তা নেই। মহারাজের সহকারী সনৎ ব্রহ্মচারী বলেন এখানে মহাপ্রভুর আবির্ভাবের চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে এবং একটি আকবরী মুদ্রা সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। এখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিডিএস দিদিমণি, কর্মী, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আব্দুল হাকিম সহ ভক্ত মা ও পুরুষেরা। আব্দুল হাকিম বলেন আশ্রমে বিদ্যুৎায়ন করেছেন এবং রাস্তারও অর্ডার হয়ে আছে, লকডাউনে অর্থ না আসায় আটকে আছে। এদিন দুইটি ম্যাটাডোর গাড়িতে রান্না করা খাবার ভাত, ডাল, সবজি ও চাটনি নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে শ্রমিকদের বিতরণের উদ্দেশ্যে মহারাজ সহ ভক্তরা বেরিয়ে পড়েন। দেবীপুর অঞ্চলের পুন্যগ্রাম, বাগগড়িয়া, ধামাস, তাহেরপুর, নলসাড়া, গোবিন্দপুর, ছিলিন্দা, পূর্ব কাশীয়ারা, চৌপিড়া, ডাঙা পাড়া, দেবীপুর, পলতা, ইছাবাছা সহ বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া থেকে আসা চাষের কাজের ৭০০ শ্রমিককের মধ্যে অন্নভোগ দেওয়া হয়।
অপরদিকে পাশের বাগিলা গ্রামে ১৩৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হরিহর আশ্রমে থাকা দুই পুরোহিতের সাহায্যে এগিয়ে আসে গ্রামবাসী। এই আশ্রমেও গোপাল ঠাকুরের নিত্য পূজা, হোম, আরতি চলে। আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীমদ্ প্রাণ গোপাল গোস্বামী গুরুদেব। বর্তমানে তাঁর চতুর্থ বংশধররা চালাচ্ছেন। বর্তমানের পরিচালক দয়াল গোস্বামী। আশ্রমটি চলে সম্পূর্ণ দানের উপর। বর্তমানে লকডাউনে বাইরে থেকে ভক্তরা আসতে না পারায় খাদ্য সংকটে থাকা পুরোহিতদের পাশে দাঁড়াল গ্রামবাসী। পঞ্চায়েত সদস্য প্রলয় পাল, রাজেশ কুমার, শঙ্কর পাল, সুদীপ কৈবর্ত্য, অনুপ দাস, অমিত মন্ডল প্রমুখ গ্রামবাসীবৃন্দ ১৫কেজি চাল, ১০ কেজি আলু, মাস্ক, স্যানিটাইজার পুরোহিতদের হাতে তুলে দেন এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনে তারা আছেন এবং আরো দেবেন বলে আসেন।
বর্ধমান - দুর্গাপুর জাতীয় সড়কে অভুক্তদের খাওয়ানো চলছে
সেখ নিজাম আলম
গত ৩০ শে মার্চ থেকে আজ অবধি পথের ভিখারি থেকে শুরু করে মানসিক রোগী ও আটকে থাকা খালাসী-ড্রাইভারদের বিভিন্ন খাবার বিতরণ করলেন ন্যাসন্যাল হাইওয়ের পক্ষ থেকে। ন্যাশনাল হাইওয়ের ইনসিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার দেব সেনাপতি জানান, এই কর্মসূচি আমাদের চলতেই থাকবে। কখনও ফলের যুশ,কখনও খেচুরী রান্না আবার কখনও কাঁচা সব্জি যেমন,চাল,আলু,তেল,টমেটো প্রভৃতি বিতরণ করা হচ্ছে। জানা যায়, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জনকে কখনও রান্না করে খাবার দেওয়া আবার কখনও কাঁচা সব্জি বিতরণ করা হচ্ছে। দূর্গাপুরের অধীনে পি,আই,ইউ পানাগড়- পালসিট বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ও ব্যাবস্থাপক কারিগরির নেতৃত্বে নেতৃত্বাধীন পানাগড়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সি,ও,ভিউ-১৯ এর বর্তমান সঙ্কট পরিস্থিতি বিবেচনা করে দূর্গাপুরীদের মাঝে খাদ্যপ্যাকার বিতরণ করা হলো। পালসিট সেকশন আই,এম,টি সহ আদ্যা কনস্ট্রাকশনের অন্যান্য আধিকারীকরা সমস্ত গভঃ গাইড, গাইডলাইন পর্যবেক্ষণ করে এই প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন। দেব সেনাপতি জানান,আমদের দৃঢ় বিশ্বাস এই সংকট আমরা কাটিয়ে তুলবো।
নতুন দিনের অপেক্ষায় - রাজকুমার দাস
নতুন দিনের অপেক্ষায়
রাজকুমার দাস,
এক একটা দিন এখন বেশ ক্লান্ত
সারা রাত চোখে ঘুম নেই প্রায়;
নিঃস্তবধতার মাঝে পুরানো যত স্মৃতি
আজ যেন প্রতিধ্বনি হয়ে ভেসে বেড়ায় কোরোনা র বাতাসে।
সারা বিশ্বের মানুষ আজ কাতরে মর্মাহত,
কেউ স্বজন শোকে আবার কেউ আক্রান্ত
মরণ ভাইরাস চীন থেকে প্রস্ফুটিত;
তবে ভারতের মতো একশো ত্রিশ কোটির লড়াই যেন থমকে নেই।
আমরা করবো জয়,আমরা করবো জয় একদিন,
এই মন্ত্রতে আজ গোটা বিশ্ব
কোরোনা কে এই যুদ্ধে পরাজিত যে হতেই হবে! নতুন সূর্য্যের হাসিতে খেলবে নব জন্মের ন্যায়
আমাদের সবুজ ঘেরা হিংসামুক্ত পৃথিবী।
আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় মাত্র.......
মহিষাদল পুলিশের উদ্যোগে বাড়ি পাচ্ছে অসহায় ছাত্রী
পুলিশের উদ্যোগে বাড়ি পাচ্ছে ভিক্ষুক ছাত্রী
জুলফিকার আলি,
ভিক্ষুক ছাত্রীর সরস্বতী পন্ডার আগুনে বাড়ি পুড়ে যায়। এরপর সেই খবর জানায় মহিষাদল থানার সহযোগিতায় অবশেষে বাড়ি পাচ্ছে মহিষাদলের ভিক্ষুক ছাত্রী সরস্বতী পন্ডা। শনিবার সকালে মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস ভিক্ষুক ছাত্রী সরস্বতী ও তার মা শঙ্করীর হাতে যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি তা নতুন করে গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার বিকেলে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের জেরে আগুনে পুড়ে যায় মহিষাদলের ইটামগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনপুর উপেন্দ্র মিলন বিদ্যাপীঠের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সরস্বতী পন্ডার বাড়ি। এরপর ছাত্রী সরস্বতী ও ভিক্ষুক মা শঙ্করী কি খাবে বা কোথায় থাকবে তা নিয়ে ভাবতে রাতকুলোচ্ছিল ছিল না তাদের। মা ও মেয়ে দু'জনে ভিক্ষা করেই কোনরকম চলে যেত সংসার। কিন্তু তার মাঝেই আগুনে পুড়ে যায় তাদের থাকার একমাত্র বাসস্থান টুকুও। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বেশ কিছু সামগ্রী দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু থাকবে কোথায়? সেই প্রশ্ন জাগছিল তাদের মনে। বর্তমানে গ্রামের এর বাড়ি ওর বাড়ি কাটছিল তাদের রাত। কিন্তু তাও বা কতদিন? এরপর ভিক্ষুক মা ও মেয়ের দুর্দশার খবর জানতে পারেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। এরপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। শনিবার সকালে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় সাহায্য ও দ্রুত বাড়ি তৈরির আশ্বাস দেন। এছাড়াও ওই ছাত্রীর পুড়ে যাওয়া বই, খাতা সহ যাবতীয় সামগ্রী ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। পুলিশের এই ধরনের উদ্যোগে খুশি সকলেও। মা ও মেয়ে জানান, "আমরা খুবই খুশি। ওনার যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করলেন তা ভুলতে পারবো না।"
মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস বলেন, "আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি।"
কোলাঘাটে সিদ্ধা ২ নং অঞ্চলে আদিবাসীরা খাদ্য সামগ্রী চাইছে
জুলফিকার আলি,
কোলাঘাট ব্লকের সিদ্ধা - ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবনি শাসন, গোপালনগর, দেহাটী,কলিশ্বর গ্রামের প্রায় শতাধিক আদিবাসী পরিবার গত ২২মার্চের পর থেকে খুবই কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করছে। এ পর্যন্ত আলাদা করে কোনো সরকারি সাহায্য ওদের কাছে পৌঁছায়নি। ওই আদিবাসী পরিবারের হাতে খাওয়ার জন্য সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়ে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ কোলাঘাট ব্লকের বিডিও মদন মন্ডলের কাছে হোয়াটস্অ্যাপ মারফত স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পরিষদের সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র নায়ক বলেন, ঐ পরিবারগুলির প্রায় তিন শতাধিক মানুষ কয়েকদিন ধরে অর্ধভুক্ত রয়েছে। ওদের অবিলম্বে সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন।
করোনায় একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের দরবারে বিজেপি
জুলফিকার আলি,
শনিবার রাজভবনে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা। রাজ্যপালের কাছে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরতে চান তাঁরা।
করোনা মোকাবিলায় অন্যতম হাতিয়ার হল পরীক্ষা করানো। সেখানে বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে যথাযথভাবে পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। এছাড়াও করোনায় মৃতের সংখ্যাও রাজ্য গোপন করছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এদিন রাজ্যপালের কাছে সেই বিষয়টি তুলে ধরতে চান তাঁরা। লকডাউনে দুঃস্থ পরিবারগুলির মুখে অন্ন তুলে দিতে বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা চালু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেক্ষেত্রেও দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিজেপির অভিযোগ। বিজেপির নেতাদের দাবি, মুখ দেখে রেশন দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীরা বেশি চাল তুলে নিচ্ছেন।
নিম্নমানের রেশন সামগ্রীর অভিযোগ চন্ডিপুরে
জুলফিকার আলি,
বিশ্ব ত্রাস করোনা মহামারীর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুর থানার পাটনা গ্রামে সকালে রেশন দোকানের বিনিয়োগ ও অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার প্রতিবাদে, সংখ্যালঘু মানুষজন সহ প্রায় তিনশত গ্রাহক রেশন ডিলার কে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই রেশন দোকান থেকে অত্যন্ত নিম্নমানের অর্থাৎ দুর্গন্ধযুক্ত আটার প্যাকেট ও পুকালাগা গম চাল ডাল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ । এই খাদ্য সামগ্রী খেয়ে বাড়ির লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে দাবি । গতকাল ওই ধরনের রেশন সামগ্রী দেওয়ার প্রতিবাদ জানান গ্রাহকরা।আজ সকালে পুনরায় একই ধরনের রেশন সামগ্রী দেওয়া শুরু হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। তাদের বক্তব্য, যে রেশন সামগ্রী এখন দেওয়া হচ্ছে তা বহু পুরনো মজুদ করা। আটার প্যাকেট এর এক্সপায়ারি ডেট অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। আর সদ্য পৌঁছানো ভালোমানের রেশন সামগ্রী অন্যত্র পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় স্থানীয় পর্যায়ে।
এ বিষয়ে রেশন ডিলার সন্ধারানী মাইতির বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও জানা সম্ভব হয়নি। তবে, পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষণ মাঝির বক্তব্য, কিছু আটার প্যাকেট এক্সপায়ারি ডেট ছিল। কিভাবে এলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্যা মিটে গেছে। এখন রেশন সামগ্রী সুষ্ঠুভাবে দেওয়া হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে।
করোনায় ত্রাণ সামগ্রী বিলিতে তমলুকের নজরুল সংঘ
নজরুল সংঘের ত্রাণ বিতরণ।। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার আলিনান গ্রামে নজরুল সংঘ এর উদ্যোগ এ করোনা সংক্রমন ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে চলছে লক ডাউন সেই লকডাউন সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ জনের তাই তাদের কথা ভেবে এগিয়ে এলেন নজরুল সংঘ। নজরুল সংঘ এর তরফে এলাকার ২৫০ টি পরিবার এর হাতে আলু পিয়াজ ডাল সোয়াবিন। এবং এলাকার মানুষ জন কে করোনা নিয়ে সচেতন করলেন।
করোনায় চরম সর্তকতা পূর্ব মেদনীপুর হোমগুলিতে
জুলফিকার আলি,
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট, জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর , জেলা প্রশাসনের অফিস তমলুক,পূর্ব মেদিনীপুর এর তরফ থেকে আজ 9 ই এপ্রিল ২০২০ জেলা প্রশাসন দপ্তরের কনফারেন্স হলে জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর এর আওতায় জেলার মোট 22 টি আবাসিক হোম (জুভেনাইল জাস্টিস,বৃদ্ধাশ্রম, স্বধার গৃহ) করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে হোমের আবাসিকদের সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে ব্যবহারের জন্য 22 টি হোমের প্রতিনিধিদের হাতে 180 কেজি ব্লিচিং, 750 টি মার্কস,107 হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ১০৭ টি হ্যান্ডওয়াশ তুলে দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পূর্বমেদিনীপুর এর জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা শাসক সাধারণ সুদীপ সরকার, জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক শ্রী পূর্ণেন্দু পৌরাণিক ,জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের লিগ্যাল কাম প্রবেশন অফিসার শ্রী আলোক বেরা ।
শুক্রবার, এপ্রিল ১০, ২০২০
পায়ে ইনফেকশন নিয়ে লোকের দয়ায় মেমারিতে এক ভবঘুরে
সেখ সামসুদ্দিন
করোনা সচেতনতার গান গেয়ে সাহায্যের অনুদান তুলছে দেবাঙ্কিতা
সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব
করোনা ভাইরাস" এর মোকাবিলায় নিজের তিল তিল করে ঘটে জমানো খেলনা কেনার টাকা পুরোটাই তুলে দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে। খেলনা কেনার জন্য জমানো ১০০০০টাকা নিজের স্বইচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার পর মানুষকে লক ডাউন নিয়ে সচেতন করার লক্ষে এবার নিজের জীবন কে বাজি রেখে রাস্তায় নামলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গার ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে শিল্পী দেবাঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাবা,মায়ের একমাত্র ছোট্ট এই ৬ বছরের মেয়ে গানের সঙ্গে যুক্ত। বিগত দিনে বিভিন্ন ফাংশনে অর্কেষ্টাতে গান গেয়ে টাকা পেয়ে হাসতে হাসতে সেই টাকা তুলে দিত দুঃস্থ,গরীব মানুষের কল্যানার্থে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে লক ডাউন চলছে। কিন্তু টিভিতে সে খবরে দেখছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অনুরোধ করা স্বত্তেও লক ডাউন মানছেন না অনেকেই। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখছেন না অনেক মানুষ। তাই লক ডাউন নিয়ে মানুষ কে সচেতন করতে এবার রাস্তায় নামলো ওই ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে। সকাল থেকে কখনো বসিরহাট,বাদুড়িয়া আবার কখনো বা বনগাঁ,হাবড়া,গাইঘাটার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারগুলিতে গিয়ে নিজের গলাতে করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষ কে সচেতন করার লক্ষে করোনা সম্বন্ধীয় গান গেয়ে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চাইছে সে। পরে সেই ভিক্ষার পুরো টাকা সেই এলাকার থানার ওসি কিংবা আই সি অথবা বিডিওর হাতে তুলে দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য তার একটাই,সচেনতনা মূলক গান গেয়ে মানুষ কে বুঝিয়ে এই করোনা ভাইরাসের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা ও গরীব মানুষের কল্যানার্থে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে টাকা তুলে দেওয়া। তবে ৬ বছরের ক্ষুদে শিল্পীর এই ধরনের মানবিক প্রয়াস দেখে তাজ্জব সকলেই।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে আদালত গুলি কে স্যানিটাইজার করতে চিঠি
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে তথ্য সমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলে'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল। প্রধান বিচারপতি কে উদ্দেশ্য করে এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে। আনসার বাবু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু এর নির্দেশিকা সহ গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস এর মারণ থাবার ভয়াবহতা উল্লেখ করে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন টি রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল এই চিঠি ইমেল মারফত পাঠানো হয়। মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন সংক্রান্ত মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়েছে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে। যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ৯০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল। এরেই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল প্রধান বিচারপতি কে ১৩ পাতার তথ্যসমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালতগুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে।
জেনে নিন কবে বসছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল বলা যায়। নিম্ন আদালতে জামিন সংক্রান্ত মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া থমকে। দফায় দফায় করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লকডাউন বৃদ্ধি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের বার কাউন্সিলের অফিসে বৈঠক করে কলকাতা হাইকোর্টের ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত অচল থাকার সির্দ্ধান্তে সায় দিয়েছেন। বার কাউন্সিল এর ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - ",আগামী ১৭ এপ্রিল বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক বসছে আইনজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা সহ একাধিক বিষয়ে "। গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়ের জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে -' ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৫ দিন বিশেষ বেঞ্চে মামলার অনলাইন শুনানি / আদেশনামা চলবে । ২ টি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং ৩ টি করে সিঙ্গেল বেঞ্চ সর্বমোট ৫ টি বেঞ্চে চলবে ডিজিটাল বিচার-প্রক্রিয়া। ১৬ এপ্রিল, ২১ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল এবং ৩০ এপ্রিল জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে'। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশিকা। ধাপে ধাপে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ এপ্রিল অবধি রাখা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে বিচার প্রক্রিয়ায় মামলার পিটিশন থেকে শুনানি এমনকি রায়দান / আদেশনামা সবই হচ্ছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। মামলার প্রাক্কালে মামলাকারী আইনজীবির ইমেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগকারী আইপি নাম্বার সব বিশদে জানানো হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...