শুক্রবার, এপ্রিল ০৬, ২০১৮

ইসলামপুরে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে বিরোধীরা

ভাস্কর ঘোষ

মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেওয়ার চতুর্থ দিনেও সন্ত্রাস অব্যাহত মুর্শিদাবাদে। বৃহস্পতিবার সাড়া জেলার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরের সন্ত্রাস চালালো শাসকশ্রেণী। এদিন রানিনগরের বিধায়ক ফিরোজা বেগম এলাকার বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পত্র তুলতে ইসলামপুর বিডিও অফিসে যান। ব্লক চত্বর পৌঁছানোর আগেই তাদের মারধোর করে সেখান থেকে তারিয়ে দেয় শাসক দল তৃনমূলের কর্মীরা এমনটাই অভিযোগ। শুধু তাদেরই নয় সিপিএম ও বেজিপি কেউ মারধোর করে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে এদিন কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম একযোগে অবস্থান বিক্ষোভ করে।
    রানিনগরের কংগ্রেসে বিধায়ক ফিরোজা বেগম বলেন, তৃনমূল সারা জেলায় যা খুশি তাই করছে। বিরোধীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি মারধোর করছে। ওরা ভয় দেখিয়ে, মারধোর করে বিরোধীদের মনোনয়ন করতে দিচ্ছে না। আর পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এটা মানা যায় না। তাই আমরা বিরোধীরা এদিন অবস্থান বিক্ষোভ করি।
       যদিও শাসক দল তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মানতে রাজি নন। জেলা তৃনমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। ওদের দলের সংগঠন শেষ হয়ে গেছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতে আর টিভিতে মুখ দেখানোর জন্যই মিথ্যা নাটক করছে বিরোধীরা।

মুর্শিদাবাদ জুড়েই শুধু সন্তাস

ভাস্কর ঘোষ

মনোনয়ন জমা দেওয়ার চতুর্থ দিনেও সন্ত্রাস অব্যাহত মুর্শিদাবাদে। ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। এদিন তা চতুর্থ দিনে পড়ল। জেলার প্রায় সকল ব্লকেই তৃনমূলের সন্ত্রাস অব্যাহত। এদিন লালবাগ ব্লকে পিএম ও কংগ্রেসের ২ জন মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তৃনমূলের গুন্ডারা তাদের ব্যাপক মারধোর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল লালবাগে। ব্লক চত্বরে মুর্শিদাবাদ থানার প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, পুলিশের সামনেই বিরোধীদের মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এই ঘটনা এদিন প্রথম নয়। এর আগে মঙ্গলবার বিজেপি -র জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষকেও ব্যাপক মারধোর করে তৃনমূলের কর্মীসমর্থেরা। এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল নোমান তাঁর কর্মীসমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হরিহরপাড়া ব্লকে মনোনয়ন পত্র জমা করতে আসেন। সেইসময় তাদের মারধোর করে তৃনমূলের লোকেরা। তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষন পরে এসে কংগ্রেসিরা তৃনমূল কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা দোকান পাট বন্ধ করে দিয়ে পালায়। পুলিশ হরিহরপাড়া কংগ্রেস কার্যালয়ে তল্লাসি চালিয়ে সেখান থেকে ৪ টি নাইন এম এম পিস্তল, ৩ টি ওয়ান সার্টার, কয়েকটি ম্যাগাজিন ও বেশকিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। যদিও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ভরতপুরে মনোনয়ন দিতে তটরস্ত বিরোধীরা


ভাস্কর ঘোষ

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর - ২ ব্লকে ডিসিআর কাটছেন তৃনমূলের গ্রামপঞ্চায়েতের প্রার্থীরা। এদিন এলাকার ৭ টি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রার্থীরা ডিসিআর কাটেন। এদিন সারা দিনেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোন নেতা কর্মীর দেখা পাওয়া যায়নি। ব্লক চত্তরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ২০০ মিটার এলাকা পর্যন্ত প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখানে বিরোধীদের অভিযোগ, তাদের মনোনয়ন জমা করতে আসতে দিচ্ছেনা তৃনমূলের গুন্ডারা। জোরকরে আসার চেষ্টা করা হলে তাদের ব্যপক মারধোর করে তারিয়ে দেওয়া হচ্ছে।  বিরোধীদের অভিযোগকে মানতে রাজি নন শাসক দল। ভরতপুর -২ ব্লক তৃনমূলের সভাপতি মহম্মদ আজাহার উদ্দিন ( সিজার)  বলেন, আমরা বিরোধীদের কোন বাধা দিচ্ছিনা। বরং তাদের মনোনয়ন জমা দিতে বলছি। আসলে ওরা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেনা। তাই আসছেননা। আমাদের দলের কেউ তাদের কোনরকম মারধোর করেনি।
সালারে পুলিশের সামনেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃনমূল।

বীরভূমে মনোনয়ন সন্ত্রাসে আক্রান্ত সাংবাদিক

তথাগত চক্রবর্তী

অশান্ত বীরভূমের নলহাটি বোমা গুলি লাঠি অস্ত্র নিয়ে তান্ডব ।সিপিএমের নমিনেশন জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের সাথে মারামারি ।ফাটল বোমা চলল গুলি ।লাঠির ঘায়ে মাথা ফাটল সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক রামচন্দ্র ডোমের আহত হয়েছে অনেক বাম সমর্থক ।বাদ যায়নি সাংবাদিকও।দুষ্কৃতীদের ছোরা গুলির আঘাতে আহত আনন্দবাজারের সাংবাদিক অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়।তবে তৃণমূলের দাবি সিপিএম  অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে আমাদের আক্রমণ করে ।ঘটনাস্থলে নলহাটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিদ্দিকুল্লাহ কে কি তৃনমূল 'নখদন্তহীন' বাঘ বানালো?

মোল্লা জসিমউদ্দিন

গত সোমবার থেকে দক্ষিনবঙ্গের ১৩ টি জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র তোলা শুরু হয়েছে।সেইসাথে এই জেলাগুলির অধিকাংশ আসনে দলীয় প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তালিকা প্রকাশ ঘিরে বেড়েছে দলীয় সংঘর্ষ।এরেই মাঝে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতি অনুগামীদের দফায় দফায় মারপিট ঘটে চলেছে।তাও মঙ্গলকোট থানার এককিমি চৌহদ্দির মধ্যে! মূলত দলীয় প্রতীক কাদের দিকে আছে, সেই বিষয়টি নিয়ে এহেন সংঘাতময় পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে এই বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল সম্প্রতি দুবার মঙ্গলকোটের সভায় পরিস্কার করে দিয়ে গেছেন এই কেন্দ্রের পঞ্চায়েত নির্বাচনের যাবতীয় রাশ ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর হাতে তুলে দিয়েছেন।অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করবেন ব্লক সভাপতি।ইতিমধ্যে তারা মঙ্গলকোট ব্লক অফিস থেকে মনোনয়নপত্র তুলছেন। অন্য কেউ যাতে তুলতে না পারে সেজন্য দুপুর থেকে বিকেল অবধি ব্লক অফিস সংলগ্ন কৃষাণ মান্ডি বাজার,পদিমপুর বাইপাস এলাকাগুলিতে কয়েকশ মোটরবাইক বাহিনী রয়েছে নজরদারিতে।বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস অপেক্ষা দলীয় বিধায়ক শিবিরের লোকেদের গতিবিধির উপর একটু বেশি নজর এই বাহিনীর।গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ তাঁর অনুগামীদের বলে আসছেন - পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূলের প্রার্থী ঠিক হবে আমার হাতেই।এহেন আশ্বাস একজন বিধায়ক তো বটেই রাজ্যের তিনটি দপ্তরের মন্ত্রীর কাছে পাওয়ায় ব্লকের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই শুরু করে দেয় বিধায়ক অনুগামীরা।একের পর এক গাঁজা - অস্ত্র সহ নানান মিথ্যা মামলায় ফেসেও বিশ্বাস রেখেছিল তারা যে, পঞ্চায়েতে এবার আমরা কর্তৃত্ব করব।শুধু সময়ের অপেক্ষা।মন্ত্রীর পাশাপাশি একজন মুসলিম ধর্মগুরু হওয়াতে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি বিশ্বাস ছিল বহুগুণ। মঙ্গলকোটের বিভিন্ন সভায় সিদ্দিকুল্লাহ বাম জমানায় সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে একসাথে মমতার সাথে আন্দ্রোলনের পেক্ষাপটের কথা তুলে ধরতেন এবং বলতেন "আমি তৃনমূলে আসেনি, মমতা আমায় নবান্নতে ডেকে দলে এনেছে"।এই বিধ নানান কথায় উজ্জীবিত বিধায়ক শিবির এবার বলছে অন্য কথা।হাতেগোনা দু একজন বাদে অনুগামীদের বড় অংশ চাইছেন তাদের একদা প্রিয় বিধায়ক মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিক।কারণ যে পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রতীক আনবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন, তার বর্তমান কোন ভিক্তি নেই।বিপক্ষ শিবির ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র তুলে ফেলেছে।সেখানে বিধায়কের সংগ্রামে সাথী হতে গিয়ে শতাধিক কর্মী সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় জেলে পচতে হচ্ছে।সেইসাথে ব্লক সভাপতির লোকেদের সামনে জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি মারধোর খেতে হচ্ছে।মঙ্গলকোট থানায় ডেকে পুলিশি সন্ত্রাস তো জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে।একজন মন্ত্রী হয়েও আটঘড়া মোড়ে দলের একাংশের ষড়যন্ত্রে মহিলাদের ঝাঁটা জুতো হাতে অশ্রাব গালিগালাজ শুনতে হয়েছে।সেখানে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন নীরব থেকেছে।এমনকি মুখ্যমন্ত্রী গত ২০ মার্চ মঙ্গলকোট লাগোয়া আউশগ্রামে প্রশাসনিক সভায় এসেও চুপ থেকেছেন।তাই যেখানে মন্ত্রী হয়েও সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব 'বিচার' পাননি, সেখানে মন্ত্রীর অনুগামী হয়েও বিপদ আরও বাড়বে বলে মনে করছে বিধায়ক শিবির।তাই শেষ ভরসা হিসাবে পঞ্চায়েত টিকিট সম্বল ছিল মঙ্গলকোটের বিধায়ক অনুগামীদের।আর হাতে মাত্র পাঁচদিন মনোনয়নপত্র তুলা এবং জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে।গত মাসে চার থেকে পাঁচবার পূর্ব বর্ধমান সার্কিট হাউসে অনুগামী নেতাদের কাছ হতে ভোটে লড়বার জন্য কাগজপত্র জমাও নিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাহ।বিগত সাতদিন ধরে মঙ্গলকোটের অনেক নেতা কলকাতায় বিধায়কের সাথে ঘুরছেন। কখনও সুব্রত বকসী আবার কখনও অরুপ বিশ্বাসের সাথে কথা চলছে বলে অনুগামীদের বুঝিয়েছেন তিনি।কার্যক্ষেত্রে কোন সুফল না মেলায় তারা আশাহত। তাদের আশংকা ভোট পর্ব মিটলেই পরিকল্পিত খুনের শিকার হতে হবে বিপক্ষ শিবিরের কাছে।গ্রামছাড়া, মিথ্যা পুলিশ কেস, বয়কট প্রভৃতি বিষয়গুলি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।তাই অনুগামীরা চাইছেন - সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব ইস্তফা দিন মন্ত্রীসভা থেকে, কেননা মন্ত্রী হয়েও তিনি কোন সুবিচার আনতে পারেননি মঙ্গলকোটের বুকে।জমিয়ত উলেমা হিন্দের দক্ষ সংগঠক হিসাবে পুরানো মেজাজে ফিরুন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ।এই আশা রাখছেন অনেকেই।কেননা তারা মনে করছেন - তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জমিয়ত নেতা কে গত বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহার করে এখন নখদন্তহীন বাঘ বানিয়ে দিয়েছে অতীতের সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে।পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রতীক না দেওয়াটাই অন্যতম উদাহরণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ০৫, ২০১৮

স্বরুপনগরে মনোনয়ন চলছে অবাধে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

স্বরূপনগর ব্লকের এস,জি.এস.ওয়াই হল প্রাঙ্গনে চলছে আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা'৷শাসক দলের পক্ষ থেকে এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়।সাথে সি.পি.আই.এম ও বি.জে পির দলীয় প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা করতে আসে।শান্তি শৃংখলা বজায় রেখে এদিন প্রত্যেকে মনোনয়ন পত্র পেশ করে। মনোনয়ন পেশ চলবে আগামী ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত৷

ভাতারে ভুতুড়ে পুকুর, মরছে হাঁস - বেচে আছে মাছ

সুদিন মন্ডল

ভাতারের বামশোর গ্রামে এক ভূতুড়ে পুকুরের সন্ধান পাওয়া গেল। গ্রামের বাগান পাড়ার শেখের পুকুর পাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ বাড়ীর সুস্থ হাঁস পুকুরে নামার কিছু সময় পরেই ছটফট করে মারা যাচ্ছে। সারা দিনে 150 টিরও বেশী হাঁস মারা গেছে, অথচ পুকুরের কোনো মাছ মারা যায়নি।  এই ভূতুড়ে কাণ্ডে আতঙ্কে এলাকাবাসী।

উলটপূরণ, ভাতারে মনোনয়ন পেশে এগিয়ে বামফ্রন্ট!

সুদিন মন্ডল

তৃতীয় দিনের শেষেও ভাতাড়ে নমিনেশন তে এগিয়ে বামফ্রন্ট, দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। ভাতার এর 201টি পঞ্চায়েত আসনে বুধবার পর্যন্ত 111টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বামফ্রন্ট 41টি, বিজেপি 39টি ও তৃণমূল 30 টি ও নির্দল 01 আসনে মনোনয়ন জমা করেছে।  সমিতিতে 18টি জমার মধ্যে বামফ্রন্ট 07,তৃণমূল 06 ও বিজেপি 05 টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বিরোধীশিবির এর সাথে গত তিন দিন ধরে প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়ে স্বভাবতই নেতৃত্বের প্রতি হতাশ ভাতাড়ের শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা ।

আহত কালোসোনা মন্ডল কে দেখে এলেন সায়ন্তন বসু

তথাগত চক্রবর্তী

বীরভূমের সিউড়িতে আহত বিজেপি নেতা  কালোসোনা মন্ডলকে দেখতে হাজির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু।তিনি তৃনমূল কে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন - এইরকম চললে, ফল ভুগতে হবে তৃনমূল কে।

পূর্বস্থলীতে মনোনয়ন তুলতে গিয়ে রক্তাক্ত বিজেপির ৮

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বুধবার বেলা একটা নাগাদ পূর্বস্থলী ১ ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তুলতে এসে তৃনমূলের হাতে রক্তাক্ত হল বিজেপির ৮ কর্মী।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে আনা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।জানা গেছে এদিন জনা কুড়ি বিজেপির কর্মী সমর্থক শ্রীরামপুরে অবস্থিত পূর্বস্থলী ১ ব্লক অফিসে ভোটের ফর্ম তুলতে যান।অভিযোগ সেসময় তৃনমূল ব্লক সভাপতি দিলীপ মল্লিকের নেতৃত্বে শতাধিক অপেক্ষারত তৃনমূল বাহিনী হাতে লাঠিসোটা রাম দা - ভোজালি নিয়ে আক্রমণ চালায়।এতে বিজেপির শুভঙ্কর হালদার,সুনীল মুর্মু,  চন্দন বসাক,বাদল হালদার,বিমল বিশ্বাস প্রমুখ রক্তাক্ত হন।এই বিধানসভা কেন্দ্রটির বিধায়ক আবার রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাই রাজনৈতিক অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চরমে।পূর্বস্থলী ১ ব্লকে বরাবরই বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি শক্তিশালী। এখানে সিপিএম - কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।তাই মূল প্রতিপক্ষ হিসাবে বিজেপি যাতে মনোনয়ন তুলতে না পারে সেজন্য এই হামলা বলে বিজেপির অভিযোগ। যদিও তৃনমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।নাদনঘাট থানার পুলিশ এলাকার বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ না বাঁধে, সেই নিয়ে টহলদারি চালাচ্ছে।

বুধবার, এপ্রিল ০৪, ২০১৮

শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত ভাড়াটিয়া

ওয়াসিম বারি

বনগাঁ থানার রামকৃষ্ণপল্লীতে
রুপালি দেবনাথের বাড়িতে ভাড়া থাকত দেবাশিষ দত্ত (৩৫) নামে এক যুবক, গত ২৭.২.১৮ তারিখ সকালে রুপালি বাড়ি তে একা ছিলন , সকালে স্বামী বাড়ির কাজে বাইরে ছিলেন তখনই দেবাশিষ রুপালি কে শ্রীলতাহানি করে ৷১১ .৩ .১৮  তে এই ঘটনার জন্য রুপালি আত্নহত্যা করার চেষ্টা করে৷, বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়, তারই ভিত্তিতে দেবাশিষ দত্ত কে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত্রে নেমেছে বনগাঁ থানার পুলিশ ৷

মনোনয়ন পেশের সংবাদ সংগ্রহে কোচবিহারে তৃনমূলের হাতে আক্রান্ত ৪ সাংবাদিক

শিখা ধর

বুধবার কোচবিহার ১ নং ব্লকে মনোনয়ন পেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তৃনমূল নেতাদের হাতে মার খেলো ৪ জন সাংবাদিক। আহত সাংবাদিকরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন ভাতারে

সুদিন মন্ডল

ভাতার ব্লক অফিসে কড়া  পুলিশ পাহারায় নির্বিঘ্নে চলছে ভোটের  নমিনেশন ফর্ম  তোলা ও জমা দেওয়ার কাজ। এখনও পর্যন্ত 33 টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ও 3 টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের নমিনেশন জমা পড়েছে বলে ব্লক সূত্রে জানা গেছে ! যার মধ্যে তৃণমূল 1টি, বামফ্রন্ট 18 টি, বিজেপি 13 টি ও নির্দল 1টি পঞ্চায়েত আসনের জন্য মনোনয়ন পেশ করেছে।অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতিতে বামফ্রন্ট 2 ও বিজেপি 1টি আসনে মনোনয়ন জমা করেছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জ্বলছে খানাকুল

সুরজ আলি খান

খানাকুল রাজহাটি পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলা ও জমাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। জ্বালিয়ে দেওয়া হলো মোটরসাইকেল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।

পারিবারিক অশান্তিত্র ক্ষীরোগ্রামে আত্মঘাতী

অভিজিৎ দাঁ


মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত কোঁয়ার (48) পারিবারিক অশান্তি জেরে আত্মঘাতী হলেন। গত কাল অচিন্তবাবুর বাড়িতে কেউ ছিলনা সে সুযোগেই আত্মঘাতি। ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতি। বিকেলের দিকে পাশের বাড়ির এক প্রতিবেশি সন্দেহবসত অচিন্তবাবুর বাড়ি গিয়ে জানালা দিয়ে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। গ্রামবাসিদের দাবি পারিবারিক অশান্তির জন্য এই আত্মঘাতী।

শিয়ালদহ মেন শাখায় অনিয়মিত ট্রেন চলাচল

তারক মজুমদার

এদিন শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।একটি স্টেশনে সকাল দশ টা থেকে ঘণ্টা খানেক অবরোধ চলে।পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সাংবাদিকদের পেনশন ফর্ম

সাংবাদিকদের পেনশন প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করতে গেলে কি কি করতে হবে, সেই বিষয়ে নির্দেশনা এটি।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৩, ২০১৮

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ল বিভাগের রেজাল্ট প্রকাশে দেরী

মানস দাস,মালদা

পরীক্ষা হয়েছিল 2017 এর নভেম্বরে। প্রায় পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও বের হয়নি ফল। চরম অনিশ্চয়তার মুখে সাড়ে তিনশো ল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। আবারও কাঠগড়ায় গৌড়বঙ্গের উদাসীনতা । দ্রুত রেজাল্ট বের করার দাবি জানিয়ে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাগত সেনের দ্বারস্থ হন ল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দূর্জয় প্রসাদ । দীর্ঘক্ষণ উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।  বালুরঘাট ল কলেজের   বিভিন্ন সেমিস্টারের পরীক্ষার রেজাল্ট বের করতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়িমসি করছে বলে তিনি উপাচার্যকে অভিযোগ করেন। রেজাল্ট সময়মতো বের না করতে পারলে কলেজের অ্যাফিলিয়েশন সমর্পন করার হুঁশিয়ারিও তিনি দেন বলে খবর। এর জবাবে,  বিষয়টি দেখা হবে বলে ল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জানান উপাচার্য। এদিকে রেজাল্ট না বেরোনোয় ঘোর বিপাকে পড়েছেন প্রায় সাড়ে তিন'শ র পড়ুয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরের 15 তারিখ থেকে শুরু হয় ল কলেজের বিভিন্ন সেমিস্টারের পরীক্ষা । ছ'টি সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয় ডিসেম্বরের 4 তারিখে। এতদিনেও রেজাল্ট না বেরোনোয় আতান্তরে পড়েছেন পড়ূয়ারা। পরবর্তী সেমিস্টারের পঠনপাঠনও শুরু করা যাচ্ছে না বলে খবর। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দশম সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীদের । রেজাল্ট না বেরোনোয় কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের বিষয়ে সমূহ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের । যদিও তাতে গৌড়বঙ্গ কর্তৃপক্ষের  বিন্দুমাত্র হেলদোল নজরে পড়েনি। দেখছি দেখব ছাড়া আর কোনও আশার বাণী কর্তৃপক্ষ শোনাতে পারেনি বলে খবর। গোটা ঘটনায় উপাচার্যের উদাসীন মানসিকতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ল কলেজ কর্তৃপক্ষ । বিষয়টি ল  কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তথা তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে জানবেন বলে জানিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দূর্জয় প্রসাদ । এদিকে বিষয়টি নিয়ে সাংসদ অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, " এই মূহূর্তে দিল্লিতে আছি। বালুরঘাটে ফিরে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও কথা বলব।" তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আঠেরো মাসে বছর চালে আরও একবার ছাত্রছাত্রীদের কপাল পুড়ল সন্দেহ নেই ।

ছাগলে ফসল খাওয়া কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৪

মানস দাস,মালদা

ছাগলে জমির ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের চার সদস্যকে কোপানোর অভিযোগ উঠল ৫ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, ভূতনী থানার অনন্ত টোলা হরচন্দ্রপুর গ্রামে।  আক্রান্তরা চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা হলেন জহরলাল মন্ডল(৩০), ছায়া রানী মন্ডল, ছায়ারানী মন্ডল সহ ৪ জন। রঞ্জিৎ মন্ডল,অনিতা মন্ডল শ্যামলী মণ্ডল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ভূতনী থানায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।  জানা গিয়েছে, জহরলাল মন্ডলের জমিতে রঞ্জিত মণ্ডলের একটি ছাগল ভুট্টার চারা গাছগুলি খেয়ে নেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে যায় জহরলাল। তখনই  রঞ্জিত মণ্ডলের পরিবারের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় জহরলাল মন্ডলের পরিবারের উপর বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ভরতি করা হয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাকিদের ছেড়ে দিলেও মাথায় গুরুতর আঘাত থাকার কারণে জহরলালকে স্থানান্তর করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে সেখানেই। তবে কী কারণে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ তা তদন্ত শুরু করেছে ভুতনি থানা পুলিশ। অভিযুক্তরা পলাতক।

স্কুল বাস কে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে গেল কয়লা বোঝাই ট্রাক, চাঞ্চল্য শক্তিগড়ে

সেখ সামসুদ্দিন

পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড় থানার আমড়া মোড় এলাকায় ২নং জাতীয় সড়কে  সাতসকালে একটি স্কুল বাসকে বাঁচাতে গিয়ে একটি কয়লা বোঝাই দশ চাকার ট্রাক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা খাঁড়গ্ৰাম বর্ধমান রুটের বাসের পিছনে ধাক্কা মেরে রাস্তায় উল্টে যায়। আবার বেসরকারি বাসটি ধাক্কা খেয়ে সামনে থাকা একটি চারচাকা প্রাইভেট কারে ও একটি মোটর সাইকেলে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণের জন্য জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুততার সাথে শক্তিগড় থানার পুলিশ এসে আহত জনা দশেক বাসযাত্রীকে উদ্ধার করে বর্ধমান অনাময় হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। ক্রেন দিয়ে গাড়ি গুলিকে সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে যানচলাচল স্বাভাবিক করে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন দুর্ঘটনা প্রবণ এই এলাকায় পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব‍্যবস্থা না থাকায় নিত‍্য দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER