শুক্রবার, মে ০৮, ২০২০

নেটিজেন বিদ্যাসাগর পল্লীর তরফে কাটোয়ায় ত্রাণ বিলি

সুকান্ত ঘোষ
 
কাটোয়া "নেটিজেন বিদ্যাসাগর পল্লী"  গ্রুপের উদ্যোগে ০৬.০৫.২০২০ তারিখে বাড়ি বাড়ি ও ০৭.০৫,২০২০ তারিখে কোভিড-১৯ উপলক্ষ্যে লকডাউন চলাকালীন অবস্থায় কর্মহীন জনিত কারণে অার্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্য করতে কাউন্টারের মাধ্যমে কাটোয়া বিদ্যাসাগর পল্লীর দুঃস্থ মানুষ, রিকশাচালক. পরিচারিকা,বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের প্রায় ১৫০ টি পরিবারের প্রতিনিধির হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও শুকনো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়৷
       কাটোয়া নেটিজেন গ্রুপ বিদ্যাসাগর পল্লীর পক্ষে সদস্যবৃন্দ। ছিলেন কামাল হোসেন, সেখ নুরুল হাসান প্রমুখ।     

বৃহস্পতিবার, মে ০৭, ২০২০

মেমারিতে ত্রাণ পাঠালেন সাংসদ সুনীল মন্ডল

সেখ সামসুদ্দিন
 

 বর্ধমান পূর্ব সাংসদ সুনীল মন্ডলের দেওয়া ত্রানের খাদ‍্য সামগ্রী বিতরণ করল মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল অফিস। ব্লক সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্য উপস্থিত থেকে দশটি অঞ্চলের সভাপতি বা প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন খাদ্য সামগ্রী। প্রতি অঞ্চলের জন‍্য ২৫ কেজি চাল, ২০ কেজি আলু, ১২ কেজি ডাল দেয়া হয়। তিনি জানান এই সময় রাজ‍্য সরকার রেশনে চাল দেয়ায় বেশিরভাগ পরিবারে খাদ‍্য সমস‍্যা নেই। কিন্তু তারই ম‍ধ‍্যে কেউ কেউ রেশন কার্ডজনিত সমস‍্যায় রেশনের চাল পায়নি, রেশন ডিলারদের মাধ্যমে সেই ধরনের পরিবারের খোঁজ  করে তাদের হাতে এই খাদ‍্য সামগ্রী দিতে বলা হয়েছে। এদিন ব্লক অফিসে দফায় অঞ্চল সভাপতিরা এসে খাদ‍্যদ্রব‍্য নিয়ে যায়। অফিসে উপস্থিত ছিলেন যুব কার্যকরী সভাপতি সন্দীপ পরামানিক, বাগিলা অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি অর্ক ব‍্যানার্জী, ছাত্র নেতা রাহুল ঘোষাল, বিকাশ সিংহ প্রমুখ।

ননস্টপ চেকিং চলছে কোলাঘাটে


জুলফিকার আলি

  কোলাঘাট সেতুতে নাকা তল্লাশি। আজ লকডাউন এর 44 তম দিন। কোলাঘাট  সেতুতে প্রত্যেকদিনই নাকা তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। 45 জন পুলিশ কর্মী সিভিক ভলেন্টিয়ার এই দক্ষযজ্ঞে শামিল হয়েছে।  তিনটে শিফটে কাজ চলছে। নাকা তল্লাশিতে দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন যথাক্রমে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিপ্লব মণ্ডল ও ট্রাফিক এ এস আই দিলিপ প্রামাণিক । ট্রাফিক ইনস্পেক্টর বিপ্লব মণ্ডল বলেন, আমরা 24 ঘণ্টাই নাকা তল্লাশিতে অব্যাহত রেখেছি। জেলায় যাতে কোন সংক্রমণ না ছড়াই তার জন্য এই ব্যবস্থা। নাকা তল্লাশি সব সময় চলবে।

অকারণে বাইরে বের হলে আটক করছে বর্ধমান পুলিশ

সুরজ প্রসাদ
 

বিনা কারনে বাইরে বেরুনোর জন্য কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বর্ধমান জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যে বর্ধমান শহরে করোনা ভাইরাসে একজন আক্রান্ত ও ২২জনের মতো করেন্ট্রাইনে রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। শহরের কার্জনগেট সহ বিভিন্ন রাস্তায় বসে পুলিশের নাকা-চেকিং।  অকারনে বাইরে বেরুলেই আটক করছে পুলিশ।

মেঘলা দিনে - স্বপ্না ব্যানার্জি

মেঘলা দিনে(হাইকু)
      স্বপ্না ব্যানার্জি
 


মেঘলা দিনে 
            মেঘলা আকাশ যে
                                  আমার মন,

মেঘলা দিনে 
            আলো-আঁধারির
                               সবুজ ক্ষণ,

মেঘলা দিনে 
            গভীর রাতে হেঁটে
                              আসবে তুমি,

মেঘলা দিনে 
            প্রকৃতি দীর্ঘশ্বাসে
                               গাইবে জানি,

মেঘলা দিনে 
             ভাবনার সমুদ্রে
                                হাঁটবে শুধু,

মেঘলা দিনে 
              চঞ্চল পায়ে তুমি
                                  আসবে তবু,

মেঘলা দিনে 
              বাতাসের বুকে
                                উঠবে ঝড়,

মেঘলা দিনে 
             আপন করো মোরে
                                     আমি তোমার,

মেঘলা দিনে 
              ভিজবো তুমি আমি 
                                     বৃষ্টি ছোঁয়ায়,

মেঘলা দিনে 
            অন্তর ছোঁরে ভালো
                                   লাগার ধোঁয়া,

মেঘলা দিনে 
            একটা জলছবি 
                             আঁকবে তুমি,

মেঘলা দিনে 
             বন্ধু হয়ে এসো গো
                                    অন্তর যামী,

মেঘলা দিনে 
             বাতাসের বুকে যে
                                  উঠবে ঢেউ

মেঘলা দিনে 
              ভালোবাসা জীবনে
                                  আসবে কেউ !

ভাতারের বামুনারায় খাদ্য সামগ্রী বিলি

আমিরুল ইসলাম
  
ভাতারে বামুনারা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজিপুর গ্রামে 300 পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হলো খাদ্য সামগ্রী। 

পূর্ব বর্ধমান ভাতারে বামুনারা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজিপুর গ্রামে প্রায় 300 টি দুস্থ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হলো খাদ্য সামগ্রী ।


বর্তমানে করোনা ভাইরাসের  জেরে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ।
সেই সমস্ত মানুষদের কথা চিন্তা করে আজ চাল-ডাল, সোয়াবিন, আলু ও সাবান, বিভিন্ন রকম সবজি দেয়া হলো। ভাতারে বামুনারা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের  উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ ।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বামুনারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা সাঁতরা, উপপ্রধান মনোয়ার ইসলাম সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বৃন্দ। 

বামুনারা অঞ্চলের তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী শেখ ডালিম   জানান, এই সময় মানুষ কাজ হারিয়েছে ।তাই তাদের কথা চিন্তা করে আমরা সামান্য কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলাম। আগামীতেও আমরা মানুষের পাশে থাকব। 

গলসি তৃণমূলের পাশে আছি বার্তায় খুশি শ্রমিকরা

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি

  
     কিছু বুঝে ওঠার আগে মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে লকডাউন ঘোষণায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়ে  অন্য রাজ্যে বা দূরের গ্রামে কাজ করতে যাওয়া    'দিন আনি দিন খাওয়া' গরীব মানুষগুলি।বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে অনেক গরীব মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় পেটের দায়ে কাজ করতে যায়। এদিকে লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ। জমানো টাকাও শেষ।লকডাউন কবে উঠবে, কখনই বা কাজ শুরু হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নাই।ফলে বাড়ি ফেরার জন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠে। বাস বন্ধ।অতএব হেঁটেই তারা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।অধিকাংশকে পূর্ব বর্ধমানের গলসীর লোয়াপুর-কৃষ্ণরামপুর অঞ্চলের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ডি.ভি.সির ক্যানাল রাস্তা দিয়ে যেতে হয়।বাড়ি  ফেরার পথে এইসব মানুষরা যাতে অভুক্ত না থাকে তার জন্য কয়েকদিন আগে বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা গলসী ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জাকির হোসেনের উদ্যোগে কৃষ্ণরামপুর গ্রামে চালু হয়  'পাশে আছি' পরিষেবা।   
      এই সংস্থা গত ৬ ই মে বিহারের ছাপড়া জেলার উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে যাত্রা করা ২৫ জন অসহায় মানুষের মুখে একমুঠো অন্ন তুলে দেয়। জাকির হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গলসী ১ নং ব্লকের জয় হিন্দ বাহিনীর ভাইস  চেয়ারম্যান স্বপন কুমার বাউরী সহ কৃষ্ণরামপুর গ্রামের তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। দীর্ঘ চলার পথে ক্লান্ত ও নিঃস্ব মানুষগুলি একমুঠো খাবার পেয়ে খুব খুশি।
        জাকির বাবু বলেন - আমাদের দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর নির্দেশ মেনে  লকডাউনের পর থেকে এই রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া বহু মানুষকেই আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। এই মানুষগুলি চলার পথে যাতে অভুক্ত  না থাকে তারজন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে 'পাশে আছি' পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। দলীয় কর্মীরা সবসমই সেখানে থাকে।

বুধবার, মে ০৬, ২০২০

বোরোধান চাষের ক্ষতিপূরণ সহ বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি

জুলফিকার আলি

  
 
আজকের কালবৈশাখী ঝড় ও সাম্প্রতিক নিম্নচাপ জনিত বৃষ্টির কারণে চলতি বোরো মরশুমে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ঐ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, বীমা কোম্পানী কর্তৃক বীমার টাকা প্রদান, সরকারী সহায়ক মূল্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবির করে ধান ক্রয়, আগামী আমন মরশুমের জন্য বিনামূল্যে বীজ- সার- কীটনাশক সরবরাহ, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু এবং ওই প্রকল্পে পাকা ধান কাটার কাজকে যুক্ত করা প্রভৃতি একগুচ্ছ দাবিতে অল ইন্ডিয়া কিষান ও ক্ষেতমজদুর সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর নিকট ই. মেলে এক স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পঞ্চানন প্রধান বলেন,লকডাউন পরিস্হিতিতে কৃষকেরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিন গুজরান করছে। সেই প্রেক্ষিতে আজকের এই স্মারকলিপি পেশ। 
অন্যদিকে ঐ একই দাবীতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক, বিভিন্ন ব্লকের বিডিও/এডিও/ খাদ্য দপ্তরের পরিদর্শকের কাছে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

রেললাইন ধরে আসতে গিয়ে কাঁথিতে আটক বীরভূমের ৯ শ্রমিক

জুলফিকার আলি
  

রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে কাঁথি স্টেশনে  আটক ৯  শ্রমিক

বীরভূমের ৯জন শ্রমিক কাঁথি স্টেশনে আটক . দিঘাতে রাজমিস্ত্রি কাজ করতে আসা  লকডাউনের কারণে সেখানেই আটকে পড়েন তাঁরা । তাই তারা রেল লাইনের উপর   হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন । কিন্তু মাঝপথেই তাঁদের আটকে দিল রেল পুলিশ  ।

কাঁথি  ৬ মে : রেল লাইনের উপর  হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন ভিন জেলার  ৯ জন নির্মাণ শ্রমিক । কিন্তু,কাঁথি রেলস্টেশনের উপর দিয়ে যাওয়া দেখে  রেল পুলিশের সন্দেহ হয়  । জিজ্ঞাসা করতেই জানা যায়, দিঘা থেকে তাঁরা বীরভূমের  উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন । সেখানেই রেল পুলিশ  তাঁদের আটকে কাঁথি থানায় খবর দেয়  দেয় । কাঁথি থানার পুলিশ এসে তাদের  নিয়ে যায় কাঁথি থানা তে l   শ্রমিকদের পরিচয় নথিভুক্ত করেন কাঁথি থানার  পুলিশকর্মীরা । ফের তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কর্মস্থানে ।

বীরভূমের  ওই ৯ জন শ্রমিক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা তে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন  । কিন্তু, লকডাউনের কারণে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে  । রোজগার নেই । কন্টাকটার ও তাদের দেনা-পাওনা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন ছেড়ে দিয়েছেন l  এর ফলে আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন  । ভেবেছিলেন, দ্বিতীয় দফার লকডাউন উঠলে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরবেন । কিন্তু, লকডাউনের মেয়াদ আরও দু'সপ্তাহ বেড়ে যাওয়ায় তাই পায়ে হেঁটে দীঘা থেকে  রওনা দিয়েছিলেন  রেললাইন ধরে  । কিন্তু থেকে 35 কিলোমিটার পায়ে হেঁটে  কাঁথি  স্টেশনের কাছে এসেই রেল পুলিশের হাতে ধরা দিলেন l    সেই সময় কাঁথি স্টেশনে  কাছে তাঁদের আটকান কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা । সঙ্গে ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের । জিজ্ঞাসা করতেই বাড়ি ফেরার কথা জানান তাঁরা ।এক শ্রমিক বলেন, "লকডাউনের জেরে প্রায় দেড় মাস ধরে আমরা দিঘাতে আটকে রয়েছি । খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছি । হাতে না আছে টাকা না আছে কাজ । এই অবস্থায় বাড়ি ফেরার জন্য প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন জানিয়েছিলাম । কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি । এরই মধ্যে আবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে । তাই নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য রেললাইন ধরে  রওনা হয়েছিলাম । কিন্তুরেল রেল  পুলিশ কাঁথি স্টেশনে  আটকে দিল । এখানে না খেতে পেয়ে মরার চেয়ে বাড়ি ফেরা অনেক ভালো ।" কাঁথি  থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিন জেলার  ওই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।

স্বপ্নের রাণী - সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বপ্নের রানী
         সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়
 
 
ভুল বুঝে সরে আছো 
তুমি অনেক দূরে, 
ছিলাম তোমায় আঁকড়ে ধরে 
তুমি কেন গেলে সরে,
শত কষ্টের মাঝে তুমি 
ছিলে আশার আলো, 
সারা জীবন তোমায় আমি 
বেসে যাব ভালো,
ভুল বুঝে আছো তুমি 
রাখলে না কথা, 
তুমিও যে বুঝলে না 
আমার কষ্ট মনের ব্যথা,
ধৈর্য ধরে থাকি আমি 
তোমার ফেরার আশায়, 
ফিরবে জানি একদিন তুমি 
থাকবো আমি আশায়,
জানি আমায় তোমার মনে 
তুমি নেবে না কোনদিন, 
তবুও রানী থাকবে তুমি   
আমার মনেই চিরদিন,
ভালোবাসার মানে তুমি 
সত্যিই কি বোঝ, 
ভালোবাসতে চাও যদি 
আমার মনটাকে খোঁজ,
খুঁজলে পাবে নিজের দেখা, 
মিশে আছি তুমি আমি 
 মনের সেই রাজপ্রাসাদে 
যেখানের তুমি রানী,
হোক না যতই কষ্ট আমার 
আসুক যতই বাধা, 
তোমার আমার ভালোবাসা 
সে যে সাত পাকে বাঁধা!

করোনা থেকে বাঁচতে হবে


করোনা হইতে বাঁচতে হবে
মহঃ রহিম মল্লিক

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাবধান বাণী 
পাথেয় করে চলবো
লক ডাউনে "ঘরে বন্দী"
    থাকার কথায় বলবো।।
সাবান জলে হাত ধোয়ার
  পরামর্শ মানবো সবাই - মাস্কে মুখ - নাক ঢাকার -
  কথা মনে রাখবো সদাই।।
পারস্পরিক দূরত্ব বজায় -
  রাখলে বিপদ ঝুঁকি কম।
কে জানে কখন ঘায়েল করে  
পৌছে যায় করোনা যম।।
নিজের সাথে আপন জনের
পরিবারের কথাও ভাববো -
অকারণ কোন আতঙ্ক নয়-
 লিখবো জীবন জয়ের কাব্য।
গুজবে কেউ কান দেবো না
মানবো আইন নিয়ম বিধান-
  প্রশাসনের সহোযোগিতায়-
বাঁচবে দেশ ও জাতির প্রাণ।।
মৃত্যু মিছিল প্রতিরোধে 
  অবহেলা নয় কোনমতে -
"করোনা ভাইরাস" হার মানবে  
  নাগরিক সচেতনাতে।।

মঙ্গলবার, মে ০৫, ২০২০

রামনগর ১ নং ব্লকে তালগাছাড়ী অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে তৃনমূল

জুলফিকার আলি
  

খাদ্যদ্রব্য বিতরণ!  পূর্ব মেদিনীপুর ঃ রামনগর ঃ এলাকার আর্থিক ভাবে দুর্বল ৩০০ পরিবারকে সোমবার চাল, ডাল, সোয়াবিন, তেল, কুমড়ো দিল রামনগর-১ ব্লকের তালগাছাড়ী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস।এ দিন তালগাছাড়ী গ্রামের ৩০০ জনকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয় বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি দীপক সার বলেন, "তালগাছাড়ী-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু গ্রামের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।" উপস্থিত ছিলেন রামনগর- ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিতাই চরণ সার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম বারিক প্রমুখ।

মদের দোকানে হুটোপুটি, নন্দকুমারে গ্রেপ্তার ৩

জুলফিকার আলি
  


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার অন্তর্গত বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি মদের দোকান খোলায়, সকাল থেকে দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ার মতো। মদ হাতে পেতে দেরি হয় ধৈর্য হারিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যাপক উত্তেজনা র সৃষ্টি হয়, এরপর  ইটপাটকেল ফোড়া দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা করে মানুষজন, এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নন্দকুমার থানার পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি আনে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নন্দকুমার থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

এগরা ২ নং ব্লকে অধিকাংশ অফিস স্যানিটাইজ করা হয়েছে

জুলফিকার আলি
  
পূর্ব মেদিনীপুর ঃ এগরাঃ একদিকে করোনা আতঙ্ক। আবার অন্যদিকে লকডাউন। এই দুই'য়ের জেরে মানুষ আতঙ্কিত। এই অবহে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মোতাবেক এগিয়ে এলো ব্লকের গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা। সোমবার এগরা-২ ব্লক গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের উদ্যোগে ৭ নম্বর সর্বোদয় গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় স্যানিটাইজ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এ দিন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়, এস আই অফিস এবং আর আই অফিস পুরোপুরিভাবে স্যানিটাইজ করা হয়। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য স্যানিটাইজার করা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন সর্বোদয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অন্নপূর্ণা মাইতি, উপ-প্রধান পূর্ণেন্দু শেখর দাস ও রাধাশ্যাম দীক্ষিত ও গ্রামীণ সম্পদ কর্মীর ব্লক সম্পাদক প্রদীপ দাস প্রমুখ।

করোনায় অভুক্তদের খাদ্য বিলিতে বাঁকুড়া পুলিশসুপার

সাধন মন্ডল
 

বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রায় একমাস ব্যাপী চলছে অন্নদান  মহাদান প্রকল্পের কাজ।  সারা জেলা জুড়ে পুলিশের এই মানবিক মুখ প্রথম  দেখতে শুরু করেছিল  খাতড়া মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় মানুষগুলো। আস্তে আস্তে সারা জেলাজুড়ে এই প্রকল্পে অসহায় মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছে জেলা পুলিশ। প্রতিটি কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের মনোবল বাড়াতে উপস্থিত থাকছেন বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও এবং অতিরিক্ত  পুলিসসুপার। লকডাউন এর 40 দিন পার হয়ে গেছে খেটে খাওয়া গরীব অসহায় মানুষদের খাবার এ টান পড়েছে যদিও সরকারিভাবে রেশনে বিনা পয়সায় চাল বিলি হচ্ছে কিন্তু হাতে পয়সা না থাকায় তেল ডাল মসলা কিনতে অসুবিধায় পড়ছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো। সেই মানুষগুলোকে যাতে খাবারের অভাবে অনাহারে দিন কাটাতে না হয় তার জন্য জেলা পুলিশ অন্ন দান মহাদান প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যার মূল কান্ডারী জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। এই প্রকল্পে আজ সারেঙ্গা থানার শালডহরা হাই স্কুলে প্রায় 300 জন অসহায় মানুষের হাতে রান্না করা খাবার তুলে দিলেন জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও, খাতড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিবেক ভার্মা,সারেঙ্গা থানার আইসি সূর্য শংকর মন্ডল সহ পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিক বৃন্দ। বরাদ্দ ছিল ভাত, ডাল,সবজি ও ডিম।  খাবার পপেয়ে খুশী অসহায় মানুষগুলো। খাবার হাতে নিয়ে সোমবারি মাণ্ডি বলেন অনেকদিন  পর আজ পেটভরে ও তৃপ্তি করে খেলাম পুলিসবাবুদের জন্য।এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আমাদের এই প্রকল্প চলছে। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন  সারা জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দিনে অন্নদান পরিষেবা চালু থাকবে। এই পরিষেবা চালু রাখতে পুলিশের সমস্ত কর্মচারি আধিকারিকরা সাহায্য-সহযোগিতা করে চলেছেন। সারেঙ্গা থানার আইসি সূর্য শংকর মন্ডল বলেন পুলিশ মানুষের সাথে মানুষের পাশে সব সময় আছে ও থাকবে। আমাদের ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে অসহায় মানুষদের চিহ্নিত করার কাজ আমাদের সিভিক ভলেন্টিয়াররা করছেন তাদের চিহ্নিত করার পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষদের হাতে কখনো রান্না করা খাবার আবার কখনো চাল-ডাল মশলাপাতি ও সবজি তুলে দিচ্ছি সবটাই আমাদের সমস্ত কর্মচারীদের সহযোগিতায় এর জন্য সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

দেশপ্রাণ ব্লকে কার্ল মার্ক্স এর জন্মতিথি পালিত হলো

জুলফিকার আলি

  

সারা দুনিয়া,দেশ ও রাজ্যের সাথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সর্বত্র অাজ  বিশ্বখ্যাত দার্শনিক কার্ল মার্কসের ২০৩ তম জন্মদিন পালিত হয়। সিপিঅাইএম দেশপ্রাণ এরিয়া কমিটির অফিসে কার্ল মার্কসের জন্মদিন পালন উপলক্ষে দলীয় পতাকা উত্তোলন সহ কার্ল মার্কসের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সিপিঅাইএম নেতা কানাই মুখার্জী,মামুদ হোসেন, সম্পাদক সঞ্জিত দাস, সুতনু মাইতি, তাপস মিশ্র, অতশী দিন্ডা,তরুণ মাইতি,সলিল বরণ মান্না প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। কাঁথি এরিয়া কমিটির অফিসে কর্মসূচি তে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, প্রনব পণ্ডা,অরুণ দাস,অতুল্য সুন্দর উকিল , জয়দেব পণ্ডা, কৃষ্ণেন্দু বারিক, মলয় কর,বিদ্যুৎ দে,মধুসূদন জানা,সুব্রত দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মারিশদা এরিয়া কমিটির অফিসে কার্ল মার্কসের জন্মদিন পালন উপলক্ষে কর্মসূচী তে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা কালীপদ শীট, হিমাংশু পণ্ডা, রাজনারায়ণ দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। হেঁড়িয়া র কর্মসূচী তে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা গোকুল ঘোড়াই, পীযূষ রায়,জাহারাজ অালি,অাশীষ দেবনাথ,সেক সাকিল,কুঞ্জপুরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা মৃন্ময় মাইতি।রামনগরে অাশীষ প্রামাণিক, বালিসাই তে সব্যসাচী জানা,এগরা তে সুব্রত পণ্ডা, ভগবানপুরে সত্যরঞ্জন দাস,মুগবেড়িয়া তে ভরত মাইতি, পটাশপুরে কালীপদ মহাপাত্র,বালিঘাই তে কৃষ্ণপদ দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ নানা অনুষ্ঠানে  শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন সারা দুনিয়ায় যতদিন শোষণ, অত্যাচার,নিষ্পেষণ থাকবে ততদিন মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতা অমলিন থাকবে। করোনা সঙ্কটে সমাজবাদের প্রয়োজনীয়তা বিশ্বজুড়ে অাজ অনুভূত হচ্ছে।

ফের হলদিয়ায় করোনা পজিটিভের সন্ধান

জুলফিকার আলি

  

পুর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প শহর হলদিয়াতে ফের আরও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল। সোমবার তাঁকে রাতেই ভর্তি করা হল মেচগ্রামের করোনা হাসপাতালে।

হলদিয়ার মাখনবাবুর বাজারে ফ্ল্যাটে থাকেন আক্রান্তের পরিবার।আক্রান্ত রোগী আইওসির প্রাক্তন কর্মী,বয়স ৬৫। তাঁর বাড়ির বাকী ৫ জন সদস্যকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এর ফলে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ২৯। হলদিয়ায় ১১

বরাহনগর ১ নং কলোনিতে অভিনব বাজার

গোপাল দেবনাথ

 
 বরানগরের ১নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত  বেলঘরিয়া  এক্সপ্রেসওয়ের গা  ঘেঁষে অবস্থান করছে দুটি উদ্বাস্তু কলোনী। ভিটেমাটি হারিয়ে সন্তান-সন্ততি  নিয়ে যখন বহু পরিবার হন্যে হয়ে মাথার উপর ছাদ খুঁজছিলেন, সে সময় তাঁদেরই  কয়েকজন যুবকের সাহসী নেতৃত্বে ১৯৬৮ সালে এই অঞ্চলটিকে দখল করে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবী জানানো হয় । পাশের বাগজোলা খাল প্লাবিত হয়ে বন্যার প্রকোপে বহু মানুষ শরণার্থী হয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তৎকালীন সরকারী সাহায্যে স্হাপিত হয় ভারতপল্লী ও সর্বহারা উদ্বাস্তু  কলোনী।

 মূলত নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাসকৃত এই কলোনীর রূপায়ণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বিশিষ্ট উদ্বাস্তু নেতা গণপতি মজুমদার, স্বপন চক্রবর্তী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। তবুও সরকারী আনুকূল্য তেমন ভাবে না মেলায় পরিবর্তিত সরকারে  মমতা ব্যানার্জী আসার পরে কলোনীর কিছু সংস্কার ও উন্নতি সাধন হয়েছে। এখনও  দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলো গণপতি মজুমদারের সুযোগ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা রেখে চলেছেন।
 মাঝখান থেকে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন  তাঁদের কতিপয় আন্দোলনের গতিপথকে অবরুদ্ধ করলে একদিকে যেমন বেঁচে থাকার দাবি নিয়ে প্রস্তাব পেশ ধাক্কা খেয়েছে, অন্যদিকে পেট চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।  কিন্তু তাঁদের সমস্যা ও সঙ্কটকে  যাঁরা বোঝেন, তাঁদের মধ্যে সক্রিয় হয়ে হাল ধরেছেন ভারতপল্লীর সম্পাদক নবীন চক্রবর্তী ও সর্বহারা কলোনীর সম্পাদক রাজু পাল। সকলের কথা মাথায় রেখে অভিনব পদ্ধতিতে ৩রা মে তাঁরা আয়োজন করেছিলেন প্রায় চারশো বাসিন্দার  “বিনামূল্যে বাজার পরিষেবা“ নামক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচী। 

চাল-ডাল থেকে শুরু করে আলু-পেঁয়াজ, ডিম, সোয়াবিন, পাউরুটি, বিস্কুট, দুধ, মুড়ি, তেল এমনকি ডাবের জল পর্যন্ত রাখা ছিল নির্দিষ্ট টেবিলে। কুপন দেখিয়ে প্রতিটি কাউন্টার থেকে খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে প্রাপকদের গেটের অপর প্রান্ত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ ভাবে আকর্ষিত ছিল রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো- অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ নামাঙ্কিত কিছু হাট-বাজারে যেভাবে বিকিকিনি চলত, তাঁরই ক্ষুদ্র সংস্করণ ছিল উক্ত পরিষেবা বাজার, তবে সবটাই ছিল বিনামূল্যে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকলের হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি পালনে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে কলোনীর তরুণ-তরুণীরা। 

গণপতি মজুমদার, দুই কলোনী-কমিটির সম্পাদক সহ রাকেশ কৌশল, বাবুনবাবু, সোমনাথবাবু ও অন্যান্য নারী সদস্যরা সংবেদনশীলতার সাথে কর্মসূচী পালন করেন। নবীন চক্রবর্তী বলেন, রবীন্দ্রনাথের প্রভাবে মানুষ কতটা শক্তিশালী হতে পারেন, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তাঁরাই। মানুষের স্বার্থে, মানুষের পাশে থাকার মনোবল বৃদ্ধির পেছনে কবিগুরুর নিরন্তর প্রেরণা রয়েছে। তাই এই দুর্দিনেও এলাকার সমস্ত সহৃদয় ব্যক্তি তাঁদের য্ৎসামান্য খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। 

গণপতি মজুমদার কিছুটা নস্ট্যালজিক হয়ে তাঁর আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি করে এ প্রজন্মের  সহমর্মিতা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আজ এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিকে তাঁরা দান কিম্বা ত্রাণ হিসেবে দেখছেন না। মানুষের বিবেক বোধ ও ভালবাসাকে সম্মান জানিয়ে বাজার নামক সুসংহত পরিকল্পনার মাধ্যমে মাথা তুলে বাঁচার লড়াইকে প্রতিষ্ঠা করছেন মাত্র। পাশাপাশি কলোনীর উন্নয়ন ও প্রকল্পে  সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সর্বহারা উদ্বাস্তু কলোনীর সম্পাদক রাজু পাল জানান, কলোনীর অবৈজ্ঞানিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের উন্নতিকল্পে এবং পরিবারপিছু এক কাঠা করে জমি পুনর্বাসন হিসেবে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বাসিন্দাদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি চিঠি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। 
ছবি: সুবল সাহা

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পঞ্চাশ হাজার দিল নন্দীগ্রামের এই পাঠাগার

জুলফিকার আলি 
  

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিলেন 
নন্দীগ্রামের দক্ষিণ ঘোলপুকুর সোনালী সংঘ পাঠাগার।

 বিশ্বত্রাস করোনা মহামারীর আবহে সারা বিশ্বের মতো অপামর মানুষ যখন আতঙ্কিত, আক্রান্ত আমরা সারা বাংলার মানুষজন ও সেই আবহে গৃহবন্দী।  মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নিরলস ও অক্লান্ত সেবা ও আহবানে উদ্বুদ্ধ হয়ে মরন ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করতে পাশে দাঁড়ালেন নন্দীগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা ঘোলপুকুর এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঘোলপুকুর সোনালী সংঘ পাঠাগার পরিচালকমণ্ডলী সদস্যবৃন্দ ও সংঘের কর্মচারীবৃন্দের সামর্থ্য অনুযায়ী মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকার চেক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক মহোদয়ের হাতে তুলে দিলেন ঘোল পুকুরিয়া সোনালী সংঘের সভাপতি মাননীয় শ্রীযুত দেব প্রসাদ মাইতি ,সম্পাদক অশোক কুমার দাস ও কর্মী প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঋতু প্রধান। এই সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলাশাসক।

শিশুদের পুস্টিকর খাদ্য বিলিতে লাইন্স ক্লাব অফ নবদ্বীপ

শ্যামল রায়

  

ছোট ছোট শিশুদের হাতে খাবার তুলে দিল লায়ন্স ক্লাব অফ নবদ্বীপ

লায়ন্স ক্লাব অফ নবদ্বীপ এবং লিও ক্লাব অফ নবদ্বীপ এর যৌথ উদ্যোগে পথ শিশুদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার তুলে দেয়া হলো। মঙ্গলবার নবদ্বীপ থানার বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিকের শিশুদের মধ্যে সেইসাথে মালঞ্চ পাড়ার একটা অংশের পরিবারের শিশুদের মধ্যে শুকনো পুষ্টিকর খাবার তুলে দেয়া হয়। পুষ্টিকর খাবার এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল হরলিক্স, গুড়ো আমুল দুধ, হরলিক্স বিস্কুট, চিড়ে ও ফলের  প্যাকেট।
বিভিন্ন জায়গায় এই প্যাকেট গুলো শিশুদের মধ্যে তুলে দেন সম্পাদক অলোক দাস, অমরেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য দিলীপ ব্যানার্জি অন্যতম কর্ণধার সুজিত কুমার দে। এছাড়াও ছিলেন লিও ক্লাব অফ নবদ্দীপ সম্পাদক সিদ্ধার্ত কর্মকার ও সৌমিক সিংহ সহ অনেকে। সুজিত কুমার দে জানিয়েছেন যে এদিন  ২৭৬ জন পথ শিশুদের মধ্যে এই ধরনের পুষ্টিকর খাবার তুলে দেয়া হয়।
আরো জানা গিয়েছে যে নিয়মিতভাবে লকডাউন চলাকালীন বহু মানুষ আছেন যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা অভাবের মধ্যে দিন যাপন করছেন তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছেন লায়ন্স ক্লাবের কর্মকর্তারা।

কবিতার নাম - লকডাউনের পুলিশ

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
করোনার মারণ থাবায় দিশেহারা আমরা সবাই
নেতা নেত্রীরা ব্যস্ত স্বার্থসিদ্ধিতে সিদ্ধিলাভ করতে
ডাক্তার আর পুলিশ ছাড়া নেই কেউ সেভাবে
ডাক্তারবাবুর ডিউটি তো শুধুই হাসপাতালে
আর পুলিশ সর্বত্রই বিরাজমান
দিন কিংবা রাত, প্রখর রোদ কিংবা কালবৈশাখীর ঝড়
ঘর-সংসার ছেড়ে দেশ ও দশের সেবায় 'অন ডিউটি'
সড়কে হেঁটে আসা মানুষজনদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া
কখনো প্রসূতি কে গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতাল
আবার কখনো বা পরিচিত ব্যক্তির বেওয়ারিশ লাশ হওয়া শেষকৃত্যেও অবিচল পুলিশ
এই তো সেদিন জাতীয় সড়কে বাড়ী ফেরার আনন্দে পথের বলি দুজন
ওদের তো সংসার ছিল
আমাদেরই মত…

সোমবার, মে ০৪, ২০২০

লকডাউনে আকাশটা যেন আগুনরঙা হয়ে গেছে - অদিতি তালুকদার

অদিতি তালুকদার
 
     বিকেল পাঁচটা কি সাড়ে পাঁচটা বাজে হয়তো। আমি এ ঘরে শুয়ে খবরের কাগজ পড়ছিলাম। মেয়ে এসে ডাকলো - "মা, মা, তাড়াতাড়ি এসো। আকাশটা কেমন আগুনরঙা হয়ে গেছে।" আমিও ছুটে গেলাম আকাশ দেখবো বলে। সত‍্যিই তো! অদ্ভূত লাগছে আকাশটা। এতো সুন্দর রং তো আগে চোখে পড়েনি। ওর বাবাও সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল নিয়ে হাজির ছবি তুলবে বলে। অনেক চেষ্টা করে দু-তিনটে তুললো বটে, কিন্তু খুব সুবিধের হলো না। সামনের ফ্ল‍্যাটের জানলার ওপর দুটো পাখি খুব ছটফট করছিল। ওদের সজাগ দৃষ্টি আমাদের ওপর। কখনো কখনো লাফিয়ে আমাদের বারান্দার মধ‍্যেই ঢুকে আসতে চাইছিল। আসলে  বারান্দার ঝাড়লন্ঠনের মধ্যেই ওদের বাসা। তাতে হয়তো ওদের বাচ্চা রয়েছে। আর খেয়াল রাখছে কোনোভাবে যেন ওদের বাসার কাছে আমরা না যাই। তাই আমরাও তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ি। এমনিতেই লকডাউনের বাজার। হাতে এখন মস্ত সময়। রুটিনটা সব যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। সকালের ঘুম ভাঙছে দেরি করে। তারপর চা-জলখাবারের পালা। মেয়ে নেটে বন্ধুদের তৈরি নানারকম খাবারের ছবি দেখে উৎসাহিত হয়ে নিজেও হরেকরকম খাবার বানাচ্ছে। মোটের ওপর মন্দ কাটছে না। তবে সবচাইতে পরিবর্তন দেখছি মেয়ের বাবার।ছাব্বিশ বছরের বিবাহিত জীবন। বাইরের জগৎ আর পড়াশোনা নিয়ে যাকে সবসময়ই ব‍্যস্ত থাকতে দেখেছি,খুব প্রয়োজন হলে যিনি নুন আনতে বললে অবধারিত চিনি নিয়ে আসতেন, সেই ভদ্রলোকই এখন কথায় কথায় ডেটল ফিনাইল সহযোগে ঘর মোছা বা বাসন মাজায় মেতে উঠেছেন। আবার নেট ঘেঁটে উৎসাহিত হয়ে মিষ্টিও বানিয়ে ফেলছেন। যাক। স্বাদের কথা না-ই বা বললাম। মাঝে মেয়ে একদিন বলে উঠলো-"মা বাবার ইসকুলে পড়ানো এবার লাটে উঠলো বলে। যা কাজের নেশা ধরেছে বাবাকে, তাতে মনে হচ্ছে টিফিনের মধ‍্যেই হয়তো ঘর মুছতে চলে আসবে বাড়িতে।" 
     এতোগুলো বছর ধরে সংসারের সব কাজ একাই সামলে চলেছি। মাঝে মাঝে দুঃখ হলে মা-বাবার কাছে জানাতাম সেই অভিযোগের কথা। বাবা বলতেন - " ধৈর্য্য রাখো। সব একদিন ঠিক হয়ে যাবে।" সত‍্যি, বাবা। ছাব্বিশ বছর পর তোমার কথাটা অক্ষরে অক্ষরে ফলেছে। লকডাউন না-হলে তোমার জামাইয়ের এই বহুমুখী প্রতিভা আমার অজানাই থেকে যেত। এটা খুব সত‍্যি, এভাবে বাড়ির মধ্যে থেকে একে-অপরকে নতুন করে চিনতে পারলাম। এটা আমার ঘরের ভেতরের একটা ছবি। 
    কিন্তু লকডাউনে এই চারদেয়ালের বাইরে যে বৃহত্তর ঘর রয়েছে, তার চেহারাটা একেবারেই অন্যরকম। যেমন কালকের একটা ঘটনা আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে গেল। ওষুধ আনতে বেরিয়েছিলাম। দেখলাম দোকানের সামনে একটা ভ‍্যানে করে পনেরো-ষোলো বছরের একটি ছেলে কিছু ফুচকার প‍্যাকেট, বাদামের প‍্যাকেট,বিস্কুট আর কয়েকটা হ‍্যান্ড স‍্যানিটিইজার নিয়ে বসেছে। খুব আগ্রহ ভরে জিজ্ঞাসা করলো --- "কাকিমা। লাগবে কিছু?" হয়তো তেমন কিছুরই দরকার ছিল না। কিন্তু ছেলেটির মুখটি দেখে ভারী মায়া হলো। তাই কিছু জিনিস নিয়েও নিলাম। কথায় কথায় জানতে পারলাম, সে বারো ক্লাসে পড়ে। "ঘরে মা অসুস্থ। লকডাউনে বাবার কাজও বন্ধ। তাই কাকিমা, কিছু সামান্য জিনিস নিয়ে আস্তে আস্তে বসার চেষ্টা করছি। ঘরটাকে তো বাঁচাতে হবে।" নিজের অজান্তেই কখন চোখে জল চলে এলো। হাতে যা সামান্য টাকা ছিল, তাই দিয়ে বললাম- "তুমি রাখো।" ছেলেটি লজ্জায় কিছুতেই নিতে চাইলো না। আমি বললাম- "এতে তোমার বিরাট কিছু হবে না। কিন্তু তবুও তোমার পাশে থাকতে পারলে আমার ভালো লাগবে।" পিছন ঘুরে আসতে আসতে ভাবছি - এই লড়াই তো শুধু ওর একার নয়। সঙ্গে সঙ্গে চোখের সামনে ভেসে উঠলো সেই মলিন মুখের মিছিল। হাজার হাজার মাইল হেঁটে যারা বাড়ি ফিরছে। খাবার নেই, জল নেই। শুধুমাত্র ঘরে ফেরার বাসনা। এরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা দিন-আনা দিন-খাওয়া মানুষ। লকডাউনে এরা সবাই কাজ হারিয়েছে। কেউ বা পথেই প্রাণ হারিয়েছে। যারা ঘরে ফিরতে পেরেছে, তারা জানে না তাদের ভবিষ্যৎ কী। 
     তাই সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা - সবাই যেন তারা জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে পারে। এই লকডাউন হয়তো উঠে যাবে একদিন। আর তখনই আমরা হবো সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন। তা হলো একে অপরের পাশে দাঁড়ানো। সর্বশক্তিমান হয়তো সেটাই দেখতে চাইছেন।

পাল্লারোডে চললো থার্মাল স্কিনিং

সেখ সামসুদ্দিন
 

আজ পল্লি সমিতির পক্ষ হতে পাল্লারোড এলাকায় রেশন নিতে আসা বা বাজার করতে বেরুনো মানুষ জনকে থার্মাল গান ও পালস অক্সোমিটার ব্যবহার করে স্ক্রিনিং করা হয়। আনুমানিক ৪৫০ জনকে স্ক্রিনিং করা হয় এদিন। কারুর স্ক্রিনিং-এই কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। এই স্ক্রিনিং এখন চলবে নিয়মিত ভাবেই বলে জানান পল্লীমঙ্গল সম্পাদক সন্দীপন সরকার।

কালনা হাসপাতাল সুপারের খাদ্য সামগ্রী বিলি

শ্যামল রায়
  

কালনার সাতগাছিয়া অঞ্চলে চিকিৎসকের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণ চন্দ্র বড়াই এর উদ্যোগে  গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন । এদিন সাতগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রামসীতা মন্দির পাড়ায় এলাকার গরীব অসহায় দুস্থদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। চিকিৎসক কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই জানিয়েছেন যে এই গ্রামেই ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে ওঠা। আজ চিকিৎসক হয়ে তার নিজের এলাকায় কালনা হাসপাতালে সুপার। এদিন দুই শতাধিক গরীব পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তিনি। বলেছেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে চলছে লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় অভাবের মধ্যে পড়েছেন। সেই সকল গরীব মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে।

কাটোয়ার বিলেশ্বর অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী বিলি

শ্যামল রায়
  

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চলছে লকডাউন। দীর্ঘদিন লকডাউন চলার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে ।সেই সমস্ত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন সমাজকর্মী মানবাধিকারকর্মী সহ অনেকে ।
রবিবার জানা গিয়েছে যে কাটোয়া থানার বিলেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের  অনাথদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
বিশিষ্ট কবি ও রক্তদাতা জয়দেব দত্ত জানালেন এলাকার "বারন্দা পরমানন্দ সেবা আশ্রম" এবং গোয়াই প্রেমানন্দ প্রতিবন্ধী স্কুলের অনাথ আশ্রমে আন্তরিকতার সাথে তুলে দেওয়া হয়েছে পাউরুটি-কলা-মিষ্টি এবং নগদ অর্থ। ৩২ জন অনাথ শিশু  খুশি ।
এলাকার আরও কয়েকটি আশ্রমে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে পাশে দাড়িয়ে কাজ করে চলেছেন জয়দেব দত্ত। পরিস্থিতির শিকার মানুষদের অর্থ সাহায্য করেছেন সামর্থ অনুযায়ী। পথ কুকুর এবং রাস্তায় বিচরণ করা গরুদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাডব্যাংকে রক্তসংকট দূর করতে রক্তদাতা নিয়ে এসে ব্লাডব্যাংকে রক্তদান করে মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ রক্ষার্থে নীরবে কাজ করে চলেছেন জয়দেব দত্ত। সারাজীবন বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন সমাজকর্মী মানবাধিকার কর্মী ও রক্তদাতা জয়দেব দত্ত। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মহতী কাজের জন্য এলাকাবাসী তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।  

নবদ্বীপের গৌড়গঙ্গায় স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে

শ্যামল রায়
 

নবদ্বীপ শহরে  গৌরগঙ্গায় স্পোটিং ক্লাবের তরফ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

নবদ্বীপে গৌর গঙ্গা স্পোটিং ক্লাবের তরফ থেকে এলাকার গরিব মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। রবিবার শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পোড়া ঘাট রোডের অসহায় গরীব মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন সম্পাদক অরবিন্দ রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী কৃষ্ণ সাহা ও গৌড় হরি সহ সহ অনেকে। সম্পাদক অরবিন্দ রায় জানিয়েছেন যে তৃতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয়েছে তাই বহু গরিব মানুষ আছেন যারা খাবারের জোগাড়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। আমরা চাই কোন মানুষ যাতে অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার জন্য এদিন খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে আড়াইশো লোকের হাতে।
এছাড়াও এদিন নবদ্বীপ শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কাঁচামাল বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালী হালদার ও বাবু নাগ সহ অনেকে। স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালী হালদার জানিয়েছেন যে লকডাউন চলাকালীন বহু গরিব মানুষ আছে যাদের মধ্যে অভাব শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে আবার এক হাজার পরিবারের হাতে কাঁচামাল সবজি তুলে দিয়েছি। খুশি এলাকার মানুষ।

করোনা মোকাবিলায় এপ্রিল মাসের বেতন দিলেন এই এএসআই

সুরজ প্রসাদ
 

চলতি লকডাউনের সময় রাজ্যে সরকারের ত্রান তহবিলে আর্থিক সাহায্য করলেন এক পুলিশ কর্মী। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এই কর্মী অতিরিক্ত সাব-ইন্সপেক্টর বিনয় কুমার ঘোষ শক্তিগড় থানায় কর্মরত রয়েছেন ।  সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিনয় বাবু জেলা পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে এসে অতিরিক্ত পুলিশসুপারের হাতে  'ওয়েষ্ট বেঙ্গল এমারজেন্সি রিলিফফান্ড' ত্রান তহবিলের জন্য ৩৫,১০৮টাকার চেক তুলে দেন। এই কাজে খুশি জেলা পুলিশের কর্তারা।
অতিরিক্ত পুলিশসুপার কল্যান সিংহরায় জানান, -"নিজস্ব উদ্যোগে রাজ্যে সরকারে ত্রান তহবিলে ৩৫,১০৮টাকা দিয়েছেন বিনয় বাবু। এই অনুদান দেওয়ায় আমরা গর্বিত ।এই কাজ আমাদের সবাইকে অনুপ্রানিত করবে"। বিনয় বাবু বলেন, - "আমি আমার এপ্রিল মাসের সম্পূর্ণ বেতন রাজ্যে সরকারের ত্রান তহবিলে দান করেছি। আমার কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে সহকর্মীরা সরকারের ত্রান তহবিলে সাহায্য হাত বাড়িয়ে দেয় এটা আশা করি" ।



নন্দকুমারে মদের দোকানে ভীড় সামলাতে পুলিশের লাঠিচার্জ

জুলফিকার আলি
  

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার অন্তর্গত বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি মদের দোকান খোলায়, সকাল থেকে দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ার মতো। মদ হাতে পেতে দেরি হয় ধৈর্য হারিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যাপক উত্তেজনা র সৃষ্টি হয়, এরপর  ইটপাটকেল ফোড়া দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা করে মানুষজন, এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নন্দকুমার থানার পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি আনে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নন্দকুমার থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

বাংলাদেশী নিরক্ষর রিকশা চালকের মানবিকতা শেখায় অনেককিছু

একজন নিরক্ষর রিক্সা চালক তারা মিয়া। করোনা যুদ্ধেও থেমে নেই তাঁর মানবিকতার কাজ।
বাবুল সাহা

 
করোনা যুদ্ধে একজন নিরক্ষর রিক্সাচালক তার মানবিকতার হাত প্রসারিত করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের দুর্গাপুর উপজেলার চকলেঙ্গুরা গ্ৰামের বাসিন্দা। এই রিক্সা চালক তারা মিয়া(৩৩)। তিনি ১মে শুক্রবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে, দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জনসম্মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ হাজার ২০০ শত টাকা সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের হাতে তুলে দেন। তারা মিয়া প্রতিনিধিকে ৩০ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে এ কাজটি যে তিনি করতে যাচ্ছেন তা জানিয়েছিলেন। তিনি হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। এরকম পরিবারে জন্ম হওয়ায় তিনি লেখাপড়া করতে পারেননি। তার বাবা আব্দুল হেলিম ছিলেন একজন দিনমজুর। এই গরীব দিনমজুরের তিন সন্তানের মধ্যে তারা মিয়া সবার বড় সন্তান। ছোটবেলা থেকেই ঘাত, প্রতিঘাতের মধ্যেই তার বেড়ে ওঠা। তার বাড়ির অদূরে সোমেশ্বরী নদীতে সে এবং তার স্ত্রী নাজমা আক্তার (২৯) নদী থেকে কয়লা উত্তোলন করে বিক্রি করে সংসার চালাতো। তাদের দুটো সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে রিফাত মিয়া (১১) বাড়ির পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। ১ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। এক পর্যায়ে তারা মিয়া কিছু অর্থ সঞ্চয় করে একটি রিক্সা করে চালানো শুরু করেন। তার স্ত্রী এখনও কয়লা শ্রমিক। তারা মিয়ার স্বপ্ন ছিল নিজে অর্থের অভাবে যেহেতু পড়ালেখা করতে পারেনি ,তারমত যেন কোন গরিবের সন্তান লেখাপড়া থেকে ঝড়ে না পরেন। সেই মানষিকতা নিয়ে দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে অন্ততঃ ১৫ টি প্রাইমারি স্কুলের অতি গরিব ছেলেমেয়েদের ও প্রতিবন্ধী শিশুদের খাতা ,কলম, পোশাক, টিফিন বক্স, খেলার বল দিয়ে তার সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছেন। তার এই কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সন্মানিত হয়েছেন  এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে এ যাবৎ যত অর্থ পেয়েছেন তাও তিনি হতদরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে যা আয় করেন তা থেকে প্রতিদিন ২০/২৫ টাকা করে নিয়মিত তার বাড়িতে নিজস্ব মাটির ব্যাংকে জমা করে , সেই টাকা দিয়েই তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ান। সংসদ সদস্য মানুষ মজুমদারের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও ফারজানা খানম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ, আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলী আজগর, পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় সুসঙ্গ বার্তা পত্রিকার সম্পাদক জামাল তালুকদার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। করোনার কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় , রিক্সা চালক তারা মিয়া তার জমানো ১০ হাজার ২০০ শত টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দেন। তারা মিয়া বলেন, আমি নিজেও গরীব মানুষ । তবু আমি নিজে আয় করে পরিবার নিয়ে খেতে পারছি। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি গত কারনে আমার চেয়ে যারা আরো গরিব , তাঁদের জন্য আমার এই উদ্যোগ। ত্রাণ তহবিলে আমি টাকা জমা দিতে পেরে খুশি। সংসদ সদস্য মানু মজুমদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, হতদরিদ্র এই মানুষটির মহানুভবতা দেখে সমাজের বিত্তবানদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।

রবিবার, মে ০৩, ২০২০

আটাঘরে রমজান সামগ্রী বিলিতে কর্মাধ্যক্ষ

সেখ জাহির আব্বাস

  

     বর্ধমান-২ ব্লকের আটাঘরে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রবিবার জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডলের সহায়তায় প্রায় ২০০ জন মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।এছাড়া,তফসিলি জাতি, উপজাতি মানুষের মধ্যেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সেখ জাহাঙ্গীর, বুথ সভাপতি নজরুল মণ্ডল ও যুব নেতা মিরাজ মন্ডল প্রমুখ।এলাকার মানুষ ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী  পেয়ে খুশি। নিশীথবাবু করোনা নিয়ে সতর্ক করতে বলেন, এই সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাই একমাত্র ঔষধ। যে যেমন ভাবে পারবেন রাজনীতি ভুলে এক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান। মেহবুব বাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় লক ডাউনের এই  কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজান মাসে  মুসলিম সম্প্রদায় সরকারি বিধি মেনেই রোজা ব্রত পালন করছেন বলে তিনি দাবি করেন।
           

আযমার লেখা চিঠি - রুনু ভট্টাচার্য

আযমার লেখা চিঠি                  
            রুনু ভট্টাচার্য
 


   আমার প্রিয় পারিজাত,
 কেমন আছো ? সেবার কাঠমান্ডুতে তোমাকে নিয়ে কিছু দিন খুব আনন্দে কাটিয়েছি। আসার সময় তুমি বলেছিলে চিঠি লিখতে। তাই আজ লিখতে বসেছি...... তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ে।তোমার ও কি মনে পড়ে আমাকে? তোমার সাথে অনেক গল্প তো হয় কিন্তু মন বলে আর ও করি জানি না, কেন ?  তোমাকে এত ভালবাসি।অবশ্য তুমিও যে ভালবাসার মতই, তাই তো তুমি স্বৰ্গীয়। তোমার কাছে কিছু প্রশ্ন আছে আমার। অমৃতের সন্ধানে দেবতা ও অসুররা মন্দার পর্বতকে মন্থনদন্ত হিসাবে ব্যবহার করে সমুদ্র থেকে তুলে এনেছিল একের পরে এক আশ্চর্য সব বস্তু।সেই মন্থনে উদ্ভাসিত হয়ে ছিল লক্ষ্মীদেবী, ঐরাবত হস্তী,উচ্চৈ‍‍শ্রবা অশ্ব, অপ্সরাকুল,কামধেনু, চন্দ্র ইত্যাদি,এবং অব‌‌শ্যই হলাহল বিষ ও অমৃত। এ সব ছাড়াও সেই মন্থনে উঠে এসেছিল এক আশ্চর্য বৃক্ষ, যার নাম পারিজাত। ইন্দ্রের নন্দন কাননের প্রধান গাছটিই হলো পারিজাত,এমন কথা হিন্দু পূরাণে গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে উল্লিখিত।স্বর্গের ইন্দ্র মহারাজ আর মর্তের কৃষ্ণ ভগবান নাকি জোর করেই পারিজাত তোমাকে মর্তে আনেন........সত্যিই কি তাই !!  তুমি চিঠি লিখে আমাকে বলো, অনেক ভালো থেকো আমি আবার আসবো। 
              ইতি 
                    রিসোনা।

রেশন নিয়ে অশান্তি নন্দীগ্রামে

জুলফিকার আলি
  

রেশন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে। রেশন ডিলারের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। 
নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি এলাকার রেশন ডিলার তপন সাহুর বিরুদ্ধ্যে অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রেধনে বরাদ্দের কম চাল, চিনি, গম দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু লকডাউনের সময় প্রাপ্য রেশনের কম দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে রেশন দোকানে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এমনকি রেশন ডিলারের মোটরবাইকও ভেঙে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুস্থ সাংবাদিকদের পাশে সর্বভারতীয় এই সাংবাদিক সংগঠন

জুলফিকার আলি
    


ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার দুস্থ সাংবাদিক  ও হতদরিদ্র পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।


ছোটবেলা থেকে গুরুজনের কাছে শিখেছিল মানব সেবাই পরম ধর্ম। মানুষের জন্য তিনি আজ সমাজে কলম ধরেছে সমাজ সংস্কারের করার জন্য।স্বয়ং ঈশ্বর তাকে দিয়ে যা করায় তিনি তাই করে স্বামী বিবেকানন্দর কথামতো একথা তার মুখ থেকে প্রকাশ পায়। তিনি আর কেউ নয়, ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার।যত দিন যাচ্ছে ততই তিনি চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ছে,এই লকডাউন এর সময় কিভাবে মানুষের অনাহারের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় এক মাস ধরে ।নিজের দুবেলা-দুমুঠো অন্নসংস্থান করার মতন পরিস্থিতি নেই তবুও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক পরিবার সহ অসহায় পরিবারের জন্য।মুর্শিদাবাদের ১৫ টি সাংবাদিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি , সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করেছিলেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব ও অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি বাশিরুল হক মহাশয়। এবারের তানার পাশে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এলেন মেহেরপুর দিশারী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির কর্ণধর বিপ্লব হালদার মহাশয়। তবে মৃত্যুঞ্জয় সরদার
 একজন সৎ ও সুহৃদয় ব্যক্তি মানুষের পাশে এই দুর্দিনে দাঁড়াতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছে।মানুষের কাছে হাত পেতে নিয়ে, অন্য হাতে মানুষের সেবা করা তার পরম ধর্ম। ছোটবেলা থেকে এ কাজটি তিনি নিষ্ঠার সাথে করে চলেছে।তাই অসহায় মানুষের কথা তিনি একটু না হলো বেদনা সহিত ভাবতে শুরু করেছে। সোসাইটির কর্ণধর বিপ্লব হালদার কে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মৃত্যুঞ্জয় সদ্দার ও অ্যাসোসিয়েশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।যেভাবে রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দী সকলে। কলকারখানা, যানবাহন, দোকানপাট, হোটেল, বাজার  সমস্ত কিছু একেবারেই বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দীন দরিদ্র মানুষ এক বেলা খেতে পেলে অপরবেলা কি খাবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার এগিয়ে এলো ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটরস অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার । তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দ্রশেখর সরকার। কয়েকদিন যাবত দু একজন সাংবাদিক পরিবারসহ সাধারণ অসহায় মানুষ গুলোকে আমঝারা, সোনারপুর, হেদিয়া  প্রায় ৪০ জনের হাতে চাল, ডাল, আলু, সোয়াবিন, - সহ নানা রেশন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় অ্যাসোসিয়েশন ও সোসাইটির তরফ থেকে । পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার বেশকিছু অসহায় ভবঘুরেদের কথা মাথায় রেখে সংগঠনের জন্য এগিয়ে আসতে চাইছে দিশারি স্কুল এডুকেশন শিক্ষক অনুপ আচার্য মহাশয়।    সরকারি নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী হাতে স্যানিটাইজার ও  মুখে মাক্স পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিন খাদ‍্য সামগ্রী বিলি করা হয় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে।  লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত তাঁদের এভাবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া চলবে।তবে সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের এভাবে এগিয়ে আসা উচিত।"  কিন্তু  গ্রামের এই সমস্ত মানুষের কাছে মৃত্যুঞ্জয় সরদাররের  মানবিক উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন, স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর এসোসিয়েশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ  প্রমুখ।

করোনা মোকাবিলায় অনুদান মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের

জুলফিকার আলি
  
মূখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের। পূর্ব মেদিনীপুর।
করোনা ভাইরাসের মহামারীতে সারা পৃথিবীর সঙ্গে ভারতবর্ষ ও আমাদের রাজ্য পশ্চিমবাংলাও বিপর্যস্ত। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে ত্রাণ তহবিলে দান করার জন্যআহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রীর  আহ্বানে আজ   "মারিশদা সপ্তর্ষি ক্লাবের পক্ষ থেকে  ১০,৫০০টাক(দশহাজার পাঁচশত টাকা)মাত্র চেক প্রদান করা হয়।

করোনায় কাজ করে চলেছে কাঁকসা পুলিশ

সেখ নিজাম আলম  
দেশ  ও জাতীয় জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশ প্রশাসনের নিয়মিত দায়িত্ব কর্তব্য কাজ হলেও দেশ জুড়ে দু দফার লক ডাউনে রাজ্য এবং জেলা পুলিশের পাশাপাশি কাঁকসা থানা পুলিশ প্রশাসনেরও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এলাকার মানুষের নজরে এসেছে। 
"বিশ্বত্রাস" মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আক্রমণ থেকে বাঁচতে জন সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার প্রসারের লক্ষ্যে কাঁকসার মত বিশাল এলাকায় সামাজিক শারিরীক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি এলাকার ভবঘুরে, দূর্বল- অসহায় - অসুস্থ মানুষদের ত্রাণ বিলি,খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ-পথ্য পৌছানো প্রশংসার দাবি রাখে। প্রয়োজনে এলাকায় ব্যারিকেট করে অবাধ্য যুব সমাজকে বাগে আনতে লাঠি উঁচিয়ে শাসন -ভীতি প্রদর্শন করার দৃশ্যও নজর এড়ায়নি। তবে স্নেহ মিশ্রিত শাসনে পুলিশের মানবিক রূপও মানুষের চোখে পড়ে। লক ডাউন অবস্থায় এলাকায় শান্তি সংহতি সম্প্রীতি রক্ষার্থে প্রশাসনের স্নেহ শাসনের "কঠোর-কোমল" চরিত্র রূপও এলাকার মানুষ দেখেছে। লক ডাউনের মত জটিল পরিস্থিতিতে এক শ্রেণির মানুষ যারা মাসে একবার ৫-৭ কেজি সরকারি ত্রাণ (খাদ্য সামগ্রী) পেলেও প্রয়োজনে কারো কাছে হাত পাততে পারে না। সংকোচে দ্বিধায় পারিবারিক সম্মানে প্রকাশ্যে (ভিক্ষা) দান গ্রহণ করতে পারে না। যাদের কোন (পূর্ব থেকে) আর্থিক সংস্থান থাকে না,সেভাবে বেসরকারিও কোন "ত্রাণ রসদ " সামগ্রী পায় না। এলাকার নেতানেত্রীদের নজরে পড়ে না " প্রদীপের নীচে অন্ধকার " এমন মানুষের উত্তরণের কথা কারা ভাববে?

ধনিয়াখালিতে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তদান

সুভাষ মজুমদার
   

হুগলীর ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর ১অঞ্চলের অধীন  ধরমপুর এলাকায় থ্যালাসেমিয়া রোগী থেকে বহু সাধারণ মানুষ যেভাবে রক্ত সংকটে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে,এমনকি ব্লাড ব্যাংকে  রক্ত নেই বললেই চলে, সেই কথাকে  হাতিয়ার করে  আজ   ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী হেলথ মিশনের পক্ষ থেকে হুগলি জেলা কমিটির উদ্যোগে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়,যেখানে  ৫০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেছেন ৷ এই উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন, উক্ত মহতী কাজে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সহ-সভাপতি অমিত ক্ষেত্রপাল সহ কমিটির বিভিন্ন কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷

দুনিয়া আছে জুড়ে - কাজী একরাম আলী

।।দুনিয়া আছে জুড়ে।।
কাজী একরাম আলী
  

দুনিয়া আছে জুড়ে, 
একটার সাথে আর একটা ঘরে। 
উৎপাদিত প্রতিটি কম্পন সারা বিশ্ব ঘোরে। 
তোমার মায়া মমতা ভালোবাসার কম্পন,  
আমার হিংসা ঘৃণা অহঙ্কারের কম্পন। 
প্রতিটি কম্পনেই মানুষ কম্পিত হয়, 
কেউ তোমার কেউ আমার তরে ।

শনিবার, মে ০২, ২০২০

লকডাউনে নবদ্বীপে সাংবাদিক আক্রান্ত ঘিরে চাঞ্চল্য

শ্যামল রায়
  
করোনাভাইরাস এর জেরে দ্বিতীয় দফায় চলছে সারা দেশজুড়ে লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন সরকারের তরফ থেকে যেমন সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়েছে তেমনি বিভিন্ন সংস্থা ও এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ । কিন্তু ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই । কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকরা যেভাবে নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এটা এই সময়ের মধ্যে চ্যালেঞ্জের বিষয় । জীবনকে বাজি রেখে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহের জন্য । কিন্তু লকডাউন ভঙ্গ করে বিভিন্ন জায়গায় লোক জমায়েত করে ত্রাণ সামগ্রী দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে । সাংবাদিকদের কাজ সত্যতা খুঁজে নেওয়া এবং পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবার জন্য খবর খুঁজে নেওয়া । আর সেই কাজটি করতে বের হয়েছিলেন নবদ্বীপের একটি স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক এবং সাংবাদিক হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য । কিন্তু লক ডাউন এর নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য প্রশ্ন করতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন ওই জনৈক ব্যাক্তি । একজন সাংবাদিককে যেভাবে তার সাথে আচরণ করা হয়েছে ভাষায় বলা কঠিন । বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সাংবাদিককে নানান ধরনের কায়দায় হেনস্তা এবং হুমকি যেন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে । অনেকেই বলছেন সাংবাদিকরাই সাংবাদিকের শত্রু । অনেকে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়ান আসল সত্যতা খুঁজে বের করে প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখেন না । সাংবাদিক হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য সত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য বের হয়েছিলেন । নবদ্বীপের বিশিষ্ট চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরীর নার্সিংহোমে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কাজ চলছিল লকডাউন উপেক্ষা করে । সত্য কথা জিজ্ঞাসা করতেই তার উপর আক্রমণ । ওই চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরী এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে  লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নবদ্দীপ থানায় সাংবাদিক হিমাঙ্ক ভট্টাচার্য ।
হিমাঙ্কর ভট্টাচার্য্য শনিবার জানালেন লকডাউনের মধ্যে ত্রাণ দেওয়ার নামে হাজারও মানুষের জমায়েত করেছিলেন নবদ্বীপের এক চিকিৎসক। সে কথা মনে করতেই স্থানীয় এক পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক কে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়। 
আরো জানা গিয়েছে যে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে শহরের সমস্ত সাংবাদিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনায় ওই চিকিৎসকের নামে  নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হেনস্থার শিকার হওয়া ওই সাংবাদিক। লক ডাউনকে উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্বের নিয়মকে কোনও রকম তোয়াক্কা না করেই নবদ্বীপের এক চিকিৎসক দিলীপ চৌধুরী ত্রান বিতরণ করেন নবদ্বীপ দেয়াড়া পাড়া এলাকায়। অভিযোগ, সেই সময় ত্রান বিতরণ কেন্দ্রের সামনে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ে শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। খবর পেয়ে স্থানীয় পুরাতন মুক্তিদূত পত্রিকার সম্পাদক ও  সাংবাদিক হিমঙ্কর ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে, ওই চিকিৎসক কে এই বেআইনি জমায়েতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মেজাজ হারিয়ে ওই চিকিৎসক সাংবাদিক কে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন তার পুত্র চিকিৎসক অনিন্দ্য চৌধুরী ও আরও অনেকে। অভিযোগ এক প্রকার ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে ওই ত্রাণ কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।এ ব্যাপারে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক  হিমঙ্কর ভট্টাচার্য। ডাক্তার দিলীপ চৌধুরী বলেন ত্রান বিতরণের সময় সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি হয়।আমি বুঝতে পারিনি উনি একজন সাংবাদিক।আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন।একজন সাংবাদিক যেখানে প্রশ্ন করতে গিয়ে আক্রান্ত।তখন সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবে কার ঘাড়ে কটা মাথা? অভিযুক্তরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।    

বিদ্যুৎ বিল মকুবের দাবি নদীয়া বিজেপির

শ্যামল রায়

 

লকডাউন চলাকালীন কর্মহীন হয়ে পড়ায় মানুষ অভাবের মধ্যে পড়েছেন। অথচ সরকারি সাহায্য যেমন মিলছে না তেমনি চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ইলেকট্রিক অফিসের সামনে ইলেকট্রিক বিল দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার সদস্যদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন দাবি নিয়ে লেখা ব্যানার সম্মিলিত ছিল  কর্মীদের হাতে। এদিন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ভাস্কার ঘোষ জানিয়েছেন যে মানুষের এখন করুন অবস্থা। অথচ বাড়িতে বাড়িতে ইলেকট্রিক কর্মীরা মিটার রিডিং না নিয়ে বিল পাঠাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষের হাতে কোন পয়সা করি নেই। বিল পরিশোধ করার মত সামর্থ্য নেই লকডাউন চলাকালীন সাধারণ মানুষের। তাই ইলেকট্রিক বিল মুকুবের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই অবস্থান-বিক্ষোভ সদস্যদের জানিয়ে দিলেন জেলা নেতা।

সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

জুলফিকার আলি
  
আজ সত‍্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে টুইটারে শুভেচ্ছা মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা ভাইরাসের জেরে রাজ‍্যে জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বেড়েই চলেছে। শনিবার রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বিশ্ব বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর সঙ্গে মুখ‍্যমন্ত্রী লিখেছেন মহারাজা তোমাকে সেলাম।

গলসির ঈষানচন্ডী মন্দিরে পুজো হলো

সেখ নিজাম আলম
  
গলসি থানার খানো গ্রামে জাগ্রত মা ঈষানচন্ডী মন্দিরে সমগ্র পৃথিবীসহ ভারতবাসীর জনগণ  যাতে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পায় এবং আগের মতো যাতে সমস্ত মানুষ জীবনযাপন করতে পারেন,তারজন্য বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। এই পূজায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা সম্পূর্ণ করেন পুরোহিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এলাকার মানুষ এই পূজার্চনায় অংশগ্রহণ করেন বলে জানা গেছে। ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন প্রমোদ রায়।

স্ত্রীর সাথে অভিমান, ভাতারে আত্মঘাতী

আমিরুল ইসলাম

  
 স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা  ভাতারের এক ব্যক্তি।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের পুরাতন বিডি অফিস পাড়ায় এক ব্যক্তি স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন, এলাকায় শোকের ছায়া।
ওই ব্যক্তির নাম চন্দন মজুমদার, বয়স 48 বছর।

স্থানীয় সূত্রে খবর চারদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল চন্দন মজুমদারের।
চার দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল চন্দন বাবু।

অবশেষে মানসিক অবসাদে, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধার করে ভাতার হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে ।এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া । 

রমজান সামগ্রী বিলিতে মানকরের কং নেতা

সেখ নিজাম আলম

  
 মুসলিমদের এখন চলছে রমজান মাস। এই লক ডাউনে  রমজান মাসে বেশ কিছু মুসলিম পরিবারের ইফতারের আয়োজন করতে ভালোরকম কষ্ট হচ্ছে। তা উপলব্ধি করে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে মানকরের  কংগ্রেস নেতা জয়গোপাল দে মানকরের ব মুসলিম পরিবারদের কে ইফতারের আয়োজন করেন এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বাড়ী বাড়ী পৌছিয়ে দেওয়া হয়। এই লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়ে মুসলিমদের বেশ কতক পরিবার খুশী।

ঔষধ ব্যবসায়ীদের পক্ষে বর্ধমান স্টেশনে খাদ্য সামগ্রী বিলি

সুরজ প্রসাদ

 

ফার্মাসিউটিক্যাল ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল এবং লরেল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলো শুক্রবার। এদিন সংগঠনের সদস্যরা বর্ধমান রেলস্টেশন চত্বরে বহু অসহায় মানুষের হাতে খাদ্যদ্রব্য তুলে দেন। এই কর্মসূচিতে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন দাস,  সমাজসেবী ইফতিকার আহমেদ সহ অন্যান্য

তমলুকে সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাংকের করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগ

জুলফিকার আলি
  

 মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়ের সহযোগিতায় ,তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চেয়ারম্যান  গোপাল চন্দ্র মাইতি মহাশয় ও ভাইস চেয়ারম্যান মাননীয় মেঘনাদ পাল মহাশয় ও secretary  কৌশিক কুলভী মহাশয়  নির্দেশে তমলুক সাব ডিভিশন , হলদিয়া সাব ডিভিশন ,ঘাটাল সাব ডিভিশন দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্ক,আজ ঘাটাল মহকুমা দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে চাল,ডাল, আলু,সয়াবিন, তেল,আঁটা বিতরণ করছেন তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কোঃ অপারেটিভ ব্যাঙ্কে secretary ম কৌশিক কুলভী মহাশয় ।

করোনায় বামফ্রন্টের নীরব অবস্থান বিক্ষোভ পূর্ব মেদনীপুরে

জুলফিকার আলি

  

বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলসমূহের সম্মিলিত অাহ্বানে অাজ জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন জনিত পরিস্থিতিতে স্থগিত প্রচেষ্টা প্রকল্পের অাবেদন অনলাইনে চালু করা, রেশনে কালো বাজারী ও দলবাজি রোধ করা, করোনা নিয়ে প্রকৃত তথ্য প্রদান করা, কর্মহীন মানুষজন কে অ্যাকাউন্টে ৭৫০০ টাকা করে প্রদান করা, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ী ফেরানোর ব্যবস্হা করা প্রভৃতি দাবী সমূহের ভিত্তিতে অাজ জেলা জুড়ে লকডাউন বিধি মেনে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচী রূপায়িত হয়। তমলুকে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি,হিমাংশু দাস,নির্মল জানা প্রমুখ। দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুরে নেতৃত্ব দেন মামুদ হোসেন, সঞ্জিত দাস, সুতনু মাইতি, সেক সফিউল অালি, সেক সাত্তার প্রমুখ। কাঁথি শহরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা  হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, কানাই মুখার্জি, অতুল্যসুন্দর উকিল, সলিল বরণ মান্না, কৃষ্ণেন্দু বারিক, জয়দেব পণ্ডা, তরুণ মাইতি,তন্ময় অাদক,মধুসূদন জানা, সিপিঅাই নেতা স্বপন পণ্ডা,অার,এসপি নেতা হোসেন অালি প্রমুখ। মারিশদায় নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা কালীপদ শীট, হিমাংশু পণ্ডা,অনন্ত পণ্ডা,রাজনারায়ণ দাস,ঝাড়েশ্বর বেরা প্রমুখ।হেঁড়িয়া তে নেতৃত্ব দেন গোকুল ঘোড়াই,যাদবেন্দ্র সাহু,জাহারাজ অালি,অাশীষ দেবনাথ,প্রবীর দেবনাথ, রাসবিহারী দাস প্রমুখ। রামনগরে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা অাশীষ প্রামাণিক, নীতিশ দাস,অাকাশ প্রামাণিক, ধীরেন্দ্র নাথ পুষ্টি, তাপস চৌধুরী,সুকুমার মৈশাল।বালিসাই তে নেতৃত্ব দেন সব্যসাচী জানা, প্রদীপ দাস,বিষ্ণুপদ দাস,বনবিহারী মাইতি প্রমুখ। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন জানান এগরা,বালিঘাই,পটাশপুর, মঙলামাড়ো,ভগবানপুর, কলাবেড়িয়া,বাজকুল,মুগবেড়িয়া সর্বত্র এই কর্মসূচী রূপায়িত হয়।

শুক্রবার, মে ০১, ২০২০

অগ্নিদগ্ধ বাড়িওয়ালার পাশে দাঁড়ালো মহিষাদল পুলিশ

জুলফিকার আলি
  


মহিষাদলের থানার  ইটামগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনপুরে বাড়ি গ্রামে ওই বাড়িতে থাকতো মা এবং এক ছোট্ট চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে তার মেয়ে ।গত কয়েকদিন আগে ইলেকট্রিক এর শর্টসার্কিট হয়ে আগুনে বাড়িটি পুড়ে যায়। এরপর সেই খবর জানায় মহিষাদল থানার । মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস  শঙ্করীর পন্ডার হাতে যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। শঙ্করীর পন্ডার এবং তার মেয়ে থাকতো ঐ বাড়িতে। শংকরী স্বামী পরিত্যাক্তা ভিক্ষা করে জীবন যাপন চালাত মা ও মেয়ে। শঙ্করীর পন্ডারকে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বেশ কিছু সামগ্রী দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু থাকবে কোথায়? সেই প্রশ্ন জাগছিল তাদের মনে। বর্তমানে গ্রামের এর বাড়ি ওর বাড়ি কাটছিল তাদের রাত। কিন্তু তাও বা কতদিন? এরপর ভিক্ষুক মা ও মেয়ের দুর্দশার খবর জানতে পারেন মহিষাদল থানার পুলিশ। এরপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। তাদের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় সাহায্য ও দ্রুত বাড়ি তৈরি কোরে দেন। এছাড়াও ঐ ছাত্রীর পুড়ে যাওয়া বই, খাতা সহ যাবতীয় সামগ্রী ফিরিয়ে দেন। পুলিশের এই ধরনের উদ‍্যোগে খুশি সকলেও। মা ও মেয়ে জানান, "আমরা খুবই খুশি। ওনার যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করলেন তা ভুলতে পারবো না।বুধবার এই বাড়িটি উদ্বোধন করেন মহিষাদল থানার ওসি, সিআই, এবং অ্যাডিশনাল এসপি। মহিষাদল থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে  "আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি।"

দেশপ্রাণ ব্লকে বোরো ধান চাষে ক্ষতি

জুলফিকার আলি
  

দেশপ্রাণ ব্লক, কাঁথি-১, কাঁথি-৩ ব্লক  সহ কাঁথি ও এগরা মহকুমা র সমস্ত ব্লক এবং জেলা জুড়ে গতকালের ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে মাঠের পাকা ও অাধপাকা বোরো চাষের ধানের সলিলসমাধি ঘটেছে। জমাজলে ধান ও কাদার মাখামাখি অবস্থা। ফসলের দফারফায় চাষির হাঁসফাঁশ অবস্থা। পাকাধানে মইর ফলে লকডাউনে কর্মহীন চাষীদের শেষ সম্বল টুকুও ধ্বংসস্তূপে পরিণত। হাজার হাজার হেক্টর জমিতে বারো চাষের ক্ষয়ক্ষতি কয়েকশত কোটি টাকা।দেশপ্রাণ ব্লকের চালতি অঞ্চলের পশ্চিম পুরুষোত্তমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ জলে থৈথৈ। অারো অনেক নীচু জায়গায় জল জমেছে। জেলা কৃষি দপ্তর দুর্যোগের অাগাম খবর দিয়েই খালাস।ক্ষেতমজুরের মজুরি দেওয়ার অর্থও অনেক কৃষকের হাতে নেই। ধান কাটাকে একশ দিনের কাজে অন্তভূক্ত করার জেলা প্রশাসনের কাছে অাবেদন নিবেদনও নিষ্ফলা। জেলা কৃষি অধিকর্তা ও রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে শস্য বীমা যোজনায় ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের অাবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।

মে দিবসে শ্রমিকদের পাশে নবধারা ট্রাস্ট

জুলফিকার আলি
  

"মে দিবসে অসহায় শ্রমিকদের পাশে নবধারা ট্রাস্ট"
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যা মে দিবস নামে পরিচিত।করোনার প্রভাবে সারা বিশ্ব এক গভীর সংকটের মধ্যে উপস্থিত হয়ে পড়েছে। এক ক্ষুদ্র অণুজীবের ভয়ে যখন সারা বিশ্ব গৃহবন্দী। এই গৃহবন্দি অবস্থায় সবথেকে কঠিন সময় কাটাচ্ছেন আমাদের গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। এখন রেড জোনে থাকা পূর্ব মেদিনীপুরের
খেজুরীর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বহু পরিবার আছেন যারা ভিক্ষাবৃত্তি করে, কেউ রিকশা টেনে, 100 দিনের কাজ করে, আবার কেউবা বাড়ি বাড়ি কাজ করে , তাদের সবার আর্থিক দিক গুলো এখন বন্ধ।

মে দিবসকে স্মরণ করে খেজুরির প্রত্যন্ত গ্রামে নবধারা ট্রাস্ট সেই সব অসহায় মানুষদের  হাতে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল আলু ,সোয়াবিন ,বিস্কিট, সাবান ইত্যাদি তুলে দিলো।সারা বছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম তারা করে থাকে।
 নবধারার এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে বহু মানুষ,ক্লাব, গ্রামের মানুষেরা।নবধারার তরফ থেকে জানা যায় যে, তারা তাদের এই কর্মকাণ্ড আরও খেজুরির বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় ছড়িয়ে দিতে চায়। তারা  দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায়।একদিন সারাবিশ্ব করোনা মুক্ত হবে এবং নতুন ভোরের আলো ফোটার আশায় আমরা সবাই।

লকডাউনে নীরবতায় ন্যারোগেজ রেলওয়ে ইঞ্জিন

কবিরুল ইসলাম
লকডাউনে দেড় মাস অচল গোটা দেশ। রেলস্টেশনে নেই সেই ব্যস্ততা। আছে শুধু নীরবতা। কাটোয়া স্টেশনে ঢুকবার মুখে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ন্যারোগেজ রেলওয়ে ইঞ্জিন।                

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER