সোমবার, আগস্ট ১৪, ২০১৭

স্টেটবাসে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস পরিবহণমন্ত্রীর


মোল্লা জসিমউদ্দিন  : গত তিন থেকে চারবছরে মঙ্গলকোটের নুতনহাটের উপর দিয়ে স্টেটবাস পরিষেবা বেড়েছে।কমপক্ষে কুড়ি থেকে বাইশ টি দূরপাল্লার স্টেটবাস যাতায়াত করে থাকে সাত নং রাজ্যসড়ক ধরে।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষীনবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস গুলি মূলত ধর্মতলা যায়।যাত্রীদের বড় অংশ পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার।এমন ভীড় দেখা যায় প্রায়শ যে সিটে বসা তো দূর অস্ত,  দাঁড়াবার জায়গা পাওয়া যায়না।এই বিপুল যাত্রীভাড়া আদৌও কি পায় পরিবহণ দপ্তর? এই সড়ক রুটে বিশেষত বীরভূমের ফুটিসাঁকো মোড় থেকে বর্ধমান শহর অবধি প্রায় ষাট কিমি যাত্রাপথে থাকা যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ ভাড়া মেটালেও টিকিট মেলেনা, টিকিট চাইতে গেলে বেশি টাকা দিতে হয়।আবার অনেক টিকিট বেসরকারি বাসের মতন।তাই টিকিট টি বৈধ কিনা,তা নিয়েও সংশয় থাকে।ফুটিসাঁকো থেকে বর্ধমান সরকারিভাবে স্টপেজ যা আছে, তার থেকে তিনগুণ বেশি সড়কমোড়ে বেআইনিভাবে যাত্রী উঠানামা করতে দেখা যায় অধিকাংশ স্টেটবাসগুলিতে।আবার পণ্যবাহী জিনিশপত্র নিয়মিত আনা নেওয়া করতে দেখা যায় মৌখিক আর্থিক চুক্তিতে।স্টেটবাস গুলির এই অবস্থানের বিরুদ্ধে ফুঁসছে বেসরকারি বাসের কর্মীরা।সম্প্রতি মঙ্গলকোটের নুতনহাট পীড়তলা বাসস্ট্যান্ডে লাখুরিয়া থেকে কাটোয়াগামী স্টেটবাস ঘন্টা তিন আটকে বিক্ষোভ দেখায় তৃনমূল সমর্থিত বাস কর্মীদের সংগঠন।বিনা টিকিট এবং যততত্র স্টপেজে যাত্রী তোলা নামা নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কে জানালে তিনি বলেন " সারা রাজ্যে তিনহাজারের কাছাকাছি স্টেটবাস চলছে, কিছু বাস কনট্রাক্টর ড্রাইভার কে সাথে নিয়ে এইসব চালায় তা জানি।সেজন্য আমাদের দপ্তরের পক্ষে বিশেষ অভিযান চলে।এই রুটটি কে আমরা গুরত্বসহকারে অভিযোগ গুলি খতিয়ে দেখব"।উল্লেখ্য মাসখানেক পুর্বে কাশেমনগর থেকে ধর্মতলাগামী স্টেটবাসে এহেন অনিয়মের তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মঙ্গলকোট গ্রামের বাসিন্দা বারকাতুল সেখ। পরিবহনমন্ত্রী ইমেল মারফৎ এই অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস সম্বলিত চিঠিও পাঠিয়েছিলেন।পরবর্তীতে যাত্রীপরিবহণে ওই বাসটি ঠিকমত পরিষেবা না দেওয়ায় বর্তমানে বাসটি বন্ধ হয়ে রয়েছে।তাই স্টেটবাসের একাংশ কর্মীদের অসত অবস্থানে দিনের পর দিন যাত্রী বিপুল হলেও লাভের মুখ দেখতে পারছেনা বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।বিশেষ অভিযানের খবরাখবর দ্রুত বাস কন্ট্রাক্টরদের কাছে পৌছে যাওয়ায় এই অশুভ সিন্ডিকেটের কুপ্রভাব পড়ছে পরিবহণ দপ্তরের আয়ের ক্ষেত্রে।তবে পরিবহণমন্ত্রী  শুভেন্দু অধিকারী এও জানিয়েছেন - "কোথাও কোন অনিয়ম বা দুর্নীতির সন্ধান পেলে, তাঁর দপ্তরকে যেন সুনিদিস্ট তথ্য( বাস নাম্বার, রুট, এবং এনবিএসটিসি না এসবিটিসি) দিয়ে অভিযোগ জানানো হয়।" উল্লেখ্য গত শুক্রবার ফারাক্কা থেকে ধর্মতলাগামী এনবিএসটিসি রুটের স্টেটবাসের যততত্র স্টপেজ বিহীন মোড়ে যাত্রী উঠানামা এবং বৈধ টিকিট না দেওয়া নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী কে মঙ্গলকোটের এক সাংবাদিক হোয়াটস আপে অভিযোগ জানিয়েছেন। 





রবিবার, আগস্ট ১৩, ২০১৭

পাঁশকুড়ার রানিহাটিতে বচসা তৃণমূল ও নির্দল সমর্থকদের মধ্যে বচসা ভোটগ্রহণের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রচার প্রচারের অভিযোগ পরস্পরের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ

আমাদের কিছু কথা


হলদিয়ায় বিজেপি প্রার্থীকে ‘মার ও হুমকি’ বিজেপি প্রার্থী বিধান মণ্ডলকে মারধর বিজেপি কর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে হলদিয়ার ২২নং ওয়ার্ডের ঘটনা বিজেপি প্রার্থী চিন্ময় হাজরাকে প্রাণনাশের ‘হুমকি’ ভয়ে ঘরছাড়া ওই বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে হলদিয়ার ২০নং ওয়ার্ডের ঘটনা

আমাদের কিছু কথা


পাঁশকুড়ার রানিহাটিতে তৃণমূল ও নির্দল সমর্থকদের মধ্যে বচসা, প্রচারের অভিযোগ পরস্পরের বিরুদ্ধে, ঘটনাস্থলে পুলিশ...

আমাদের কিছু কথা


কুপার্সক্যাম্পে বিজেপি এজেন্ট নিখোঁজ নিখোঁজ পোলিং এজেন্ট বাবাই বিশ্বাস ১০ নং ওয়ার্ডের ৯০/২০৪ বুথের এজেন্ট বাবাই নিখোঁেজর অভিযোগ প্রার্থী অনিতা হালদারের

আমাদের কিছু কথা


বৃহস্পতিবার, জুলাই ২০, ২০১৭

মহিলা গাঁজা পাচার কারী কে ধরল কোলাঘাট থানার পুলিশ

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার মেছেদা সেন্ট্রাল বাস স্টান্ড এ ফিল্ম্মি কায়দায় মহিলা গাঁজা পাচার কারী কে ধরল কোলাঘাট থানার পুলিশ ...পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশ দার মেছেদা সেই মেছেদা বাস স্টান্ড থেকে প্রত্যেক দিন প্রায় 400 বাস যাতায়ত করে উত্তর বঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সব জায়গার দূর পাল্লা বাস যায় ..সঙ্গে রেল যোগযোগ ..পুলিশ এর কাছে আগে থেকে খবর ছিলো যে এই মেছেদা সেন্ট্রাল বাস স্টান্ডা থেকে কিছু অসাধু বেবশায়ী যাতায়ত ভাল সুযোগ সুবিধে কাজে লাগিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য আদান প্রদান করছে ...পুলিশ এর কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে ট্রেন এ করে এক মহিলা বেগ এ করে গাঁজা নিয়ে আসছে এক বেবশায়ী কে দেওযার জন্য সেই মত বাস স্টান্ড এ সাদা পোশাকে পুলিশ ওত পেতে থাকে ..ওই মহিলা যখন অন্য বেবশায়ী কে গাঁজা টা দিতে যাবে সেই সময় পুলিশ ওই মহিলা আর একজন পুরুষ কে ধরে ফেলে ওই বেগ থেকে প্রায় 2 কেজি বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে পুলিশ নেসারুন বিবি ও মুজিবর রহমান নামে দুই গাঁজা পাচার কারি কে গ্রেফতার করেছে ...কোলাঘাট থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ..আন্তরাজ্য মাদক পাচার চক্রএর সঙ্গে জড়িত কিনা ...ধৃত মহিলার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার চকলালপুর গ্রামে আর ধৃত পুরুষ এর বাড়ি কোলাঘাট থানার জফুলী গ্রামে                        

বুধবার, জুলাই ১৯, ২০১৭

রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান পদে আবু আয়েশ মন্ডলের নিয়োগ টি পুনরায় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুবফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ কামরুজাম্মান


এক নজরে

সকাল সকাল পথ দুর্ঘটনা যায় মৃতু হলো যুবক এর ....পূর্ব মেদিনীপুর জেলার  কোলাঘাট থানার ছাই খাদান এ nh 41 এ আজ সকাল 7'30 মিনিট নাগাদ হলদিয়া গামী একটি ট্র৅ক ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় ....কোলাঘাট থানার পুলিশ ওই আহত যুবক কে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতাল এ নিয়ে ...হাসপাতাল এর চিকিত্সক রা মৃত বলে ঘোষনা করে ...তবে মৃত যুবক এর পরিচয় জানা যায়নি ...ঘাতক লরি টি পলাতক ...কোলাঘাট থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে

ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু ঘটনায় চাঞ্চল্য


কোলাঘাট: ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সকাল সকাল চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে  ছাঁইখাদানের নিকট। মৃত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ২৮ বছর।


স্থানিয় সূত্রে জানাগিয়েছে আজ সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ হলদিয়াগামী একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফুটপাথ থেকে চলা এক যুবলকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।স্থানিয় মানুষজন দেখতে পেয়ে
 তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাকরা মৃতবলে ঘোষনা করে।

দুর্ঘটনার ফলে কোলাঘাট মেচেদা জাতীয় সড়ক কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ গিয়ে তা স্বাভাবিক  করে। মৃত যুবকের পরিচিয় জানার চেস্টা করছে পুলিশ।

কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ছাঁই বোঝাই গাড়ি সারি করে রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে প্রায় এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেচলেছে বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ।


অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষে আজ কাঁথি 1 নম্বর ব্লক অন্তর্গত সাবাজপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলাইপদিমা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয় এ ছাত্র ছাত্রীদের নাচ গান আবৃত্তির মধ্য দিয়ে বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপম মিশ্র,প্রধান অতিথি কাঁথি পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান সত্যেন্দ্রনাথ জানা,বিশেষ অতিথি ছিলেন কাঁথি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দত্ত,বি.এম. ফাইন আর্ট গ্রুপের বিষ্ণু মাইতি ও সোমনাথ দাস।সমস্ত অতিথি,শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের চারা গাছ বিতরণ করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে অঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং ভাস্কর্যের কাজ ছাত্র ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।


সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষক শ্যামল জানা ও তন্ময় পণ্ডা।




মঙ্গলবার, জুলাই ১৮, ২০১৭

অমরনাথ যাত্রায় উগ্রপন্থীদের হাতে নিহত ও বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্বা জানাল শিল্পাঞ্চাল বাসি l শ্রদ্ধা জানিয়ে আসানসোলের রাস্তায় মোমবাতি মিছিল l পরে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিস্ট জনেরা l


পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশনের সহযোগীতায় দৃষ্টি ফিরে পেল ২৯ জন পড়ুয়া

হলদিয়া: হলদিয়া চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম নেত্র নিরাময় নিকেতনের ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বশিক্ষা মিশনের সহযোগীতায় নদীয়া জেলার ২৯ জন পড়ুয়া শল্য চিকিৎসার মধ্যমে দৃষ্টি ফিরে পেল। নদীয়া জেলার ২৯ জন পড়ুয়ার চোখে দেখতে পেত না। তাদের চোখে আলো ফিরিয়ে দিতে পরিবারের লোকেরা হাসপাতাল, নার্সিংহোম সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।কোন সুফল মেলেনি। এদের কেউ জন্মগত ছানি, চোখের পাতা বন্ধ,বা শৈশবের কোন রোগের কারনে চোখে দেখতে পাচ্ছিল না।

পশ্চিমবঙ্গ  সরকারের সর্বশিক্ষা মিশন থেকে ২৯ জন পড়ুয়ার যাতে দৃষ্টি শক্তি ফিরে পায় তার জন্য হলদিয়া চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম নেত্র নিরাময় নিকেতনের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ১০ জুলাই চোখের হাসপাতালে নিয়ে আসে। ধাপে ধাপে অপারেশন করে আজ ২৯ জন পড়ুয়াই দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন। সফলতার সাথে সকলের জীবনে অন্ধকার থেকে আলো ফুটেছে।

নেত্র নিরাময় নিকেতনের মেডিক্যাল ডাইরেক্ট  ডক্টর  অসীমকুমার শীল বলেন, এই ধরনের দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশ্ব এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা  প্রদ্ধতির অপর জোর দিয়ে এই  ধরনের সফলতা এসেছে। নদীয়া থেকে আগত পড়ুয়ার অভিভাবকরা তাদের  শিশুদের এই ধরনের সাফল্যের জন্য ভীষন খুশি। তাদের মুখে হাঁসি ফুটাতে পেরে আমরা ভীষন খুশি।

চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমের নিত্রে নিরাময় নিকেতনের সম্পাদক বিবেকাত্মানন্দজী মহারাজ বলেন, পশ্চিমবঙ্গ  সরকারের সর্বশিক্ষা মিশন দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীদের জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহন করে চলেছেন। তার মধ্যে এটি অন্যতম। পড়ুয়াদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরাও ভীষন খুশি। আগামীদিন এইভাবে অসহায় মানুষদের পাশে থেকে এগিয়ে চলতে চাই।

একুশে জুলাই এর আগে প্রচারমিছিলে নেই মঙ্গলকোট বিধায়ক

মোল্লা জসিমউদ্দিন: একুশে জুলাই এর প্রস্তুতির মিছিল, সভা চলছে বাংলার চারিদিকে।দলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, নেতাদের সমাবেশ সফল করতে মিছিলে পতাকা হাতে দেখা মিলছে।তবে মঙ্গলকোটের চিত্র ভিন্ন।সেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের দেখা মিলছেনা এখানে।তার বড় কারণ মঙ্গলকোট বিধায়ক ও সেইসাথে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে পাওয়া যাচ্ছেনা এলাকার মিছিল সমাবেশে।দলের স্থানীয় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং পুলিশের একাংশের মদতে যে উদ্ভট পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছে মঙ্গলকোটে।সেখানে অশান্তির আশংকায় মঙ্গলকোট বিধায়ক আপাতত রাজনৈতিক ও সরকারী কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন বলে সুত্রের খবর।ডালিম সেখ খুন কে সামনে রেখে অতীতের একচেটিয়া ক্ষমতা পুন দখলে তৎপর ব্লক তৃনমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ পুলিশি সন্ত্রাস এতে সহযোগী হিসাবে মদত দিচ্ছে।যদিও পুলিশের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।প্রায় দুমাস পুর্বে মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ ব্লক অফিসে জেলাপ্রশাসনের এক আধিকারিক সহ বিডিও কে নিয়ে সর্বশেষ কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দের নিয়ে প্রশাসনিক সভা সেরেছেন।সেইসাথে কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে হাটতলা মাঠে কুড়ি হাজারের বেশি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাজনৈতিক সভা করেন তিনি।প্রতিটি সভায় মঙ্গলকোট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে বালি সিণ্ডিকেট নিয়ে সরব হয়েছেন বিধায়ক।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বর্ধমানে বালি সিণ্ডিকেটে পুলিশের একাংশ কে এসিবি(দুর্নীতিদমন শাখা) উল্লেখ করে সাবধান করতে দেখা যায়।গত ১৯ জুন রাতে শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ডালিম সেখ খুন হন।অভিযোগ উঠে বিধায়কের ভাই রহমতুল্লাহ চৌধুরী এবং বর্ধমান জেলাপরিষদ মেম্বার বিকাশ নারায়ণ চৌধুরীদের ষড়যন্ত্রে এই খুন।মূল লক্ষ্যটা কিন্তু মঙ্গলকোট বিধায়ক।দলের বিপক্ষ গ্রুপের এই গভীর চক্রান্ত অনুভব করে খুনের চব্বিশঘণ্টার মধ্যেই সিআইডি তদন্ত চাইলেন বিধায়ক।মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেতে সিআইডি তদন্ত শুরু হলো।ধরপাকড় চলছে।অধিকাংশকেই সিআইডি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।মূল অভিযুক্তদের কাছাকাছি রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা টি।এইরুপ পরিস্থিতিতে নিজেদের পালে হাওয়া টানতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কে সাথে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসে 'খেলা' শুরু হলো।এইরুপ দাবি বিধায়ক শিবিরে।মঙ্গলকোট থানার উপর দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষ এর নেতৃত্বে কালোপতাকা নিয়ে মিছিল চললো দুই কিমি পথ বেয়ে।স্লোগান উঠল মঙ্গলকোট থেকে দূর হঠো শিরোনামে।সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলকোটে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেচদপ্তর সহ স্থানীয় গ্রাম প্রধানদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল এলাকার বিধায়কের।কালোপতাকা দেখানোর বিক্ষোভ আঁচ করে বৈঠক বাতিল করেন বিধায়ক।বিধায়ক বলেন " আমার সামনে দলের একাংশ কালোপতাকা দেখালে রাজ্যে বিরোধীরা অক্সিজেন পেয়ে যেত"। রাজ্যের মন্ত্রীকে দলের লোক পতাকা দেখাচ্ছে! পশ্চিম মঙ্গলকোটে বিধায়কের দক্ষ সংগঠকদের প্রতিনিয়ত বাড়ী বাড়ী গিয়ে পুলিশি সন্ত্রাস এর অভিযোগ উঠছে।এমনকি গাঁজা সহ বেআইনি অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে দেবার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বিধায়ক অনুগামীদের বলে দাবি।গোতিস্টা বাসস্ট্যান্ডে এক বিধায়ক অনুগামীর জায়গা দখল করে বেআইনী নির্মাণ করার অভিযোগ ব্লক তৃণমূলের বিরুদ্ধে।একদা সিপিএম নেতা ডাবলু - বাবলু আনসারীর সশস্ত্র দলবলের নানান সন্ত্রাসের চিত্র ফুটে উঠছে সদর মঙ্গলকোটে।এইরুপ পরিস্থিতির মাঝে নিজ অনুগামী সমর্থকদের প্রতি অশান্তি এড়াতে একুশে জুলাই এর প্রস্তুতির যাবতীয় মিছিল থেকে দূরে রেখেছেন মঙ্গলকোট বিধায়ক।তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন - ডালিম সেখ খুনে তাঁর ভাই এর প্রতি যে অভিযোগ উঠেছে।সেই কলঙ্ক থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মসূচি থেকে নিজেকে দূরে আপাতত রাখবেন মঙ্গলকোটের বুকে।

নন্দীগ্রাম (পূর্ব মেদিনীপুর), ১৮ জুলাই:মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে বাইকের ধাক্কায় রঙ্কীনিপুর স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকার মৃত্যু হয় ।


স্থানীয় পুলিশ সুত্রে খবর টুলু প্রামানিক ৬১ বাড়ি শিবরামপুর ,এদিন সাংসারিক কাজের জন্য তিনি বাড়ি থেকে ঘোলপুকুরিয়ার বাজারে জান,সেখান থেকে কাজ সেরে ট্রেকারে করে বাড়ি ফিরছিলেন, ট্রেকার থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেইসময় শিবরামপুর সট্যান্ডের কাছে রেয়াপাড়ার দিক থেকে আসা একটি বাইক টুলু প্রামাণিক নামে ঐ রঙ্কীনিপুর স্কুলের  প্রাক্তন শিক্ষিকাকে সজোরে ধাক্কা মারলে  সেখানে পড়েযান স্থানীয় মানুষজন রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়েগেলে কিছুসময় পরে মারা যান ।                         

সোমবার, জুলাই ১৭, ২০১৭

শালবনী ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চ , বুথ এবং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১শে জুলাই শহীদ দিবস ও আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বাইক রেলি, পথসভা , মিছিল*


কালনায় মন্ত্রী ও জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথের নেতৃত্বে একুশে জুলাই উপলক্ষে মিছিল।

 মোল্লা জসিমউদ্দিন

মঙ্গলকোটে চাষে ক্ষতিপূরণ সাড়ে দশ কোটি


 মোল্লা জসিমউদ্দিন : চলতি সপ্তাহে রাজ্যসরকার পুর্ব বর্ধমান জেলায় ১২০ কোটি টাকা কৃষি ক্ষতিপূরণবাবদ অনুদান মঞ্জুর করেছে।এর মধ্যে ১০ কোটি ৩৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দকৃত হয়েছে মঙ্গলকোটের জন্য।ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে জেলাকৃষি দপ্তরে ক্ষতিপূরণ এর ফর্ম পাঠানোর কাজ চলছে।আগামী সপ্তাহে জেলা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্লক গুলিতে ফর্ম চলে আসবে।মূলত মাস দুই পুর্বে রাজ্যের বিশেষত দক্ষীনবঙের বিভিন্ন প্রান্তরে কালবৈশাখী ঝড় সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলে।এতে দশের বেশি ব্যক্তি মারা যান বিদ্যুৎপৃস্ট, গাছের ডাল পড়ে।সেইসাথে হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে পাকা বোরোধান পচে যায়।যারজন্য পুর্ব বর্ধমান জেলায় প্রান্তিক চাষীদের আর্থিক ক্ষতির দুশ্চিন্তায় আত্মঘাতী হবার ঘটনা ঘটতে থাকে।রাজ্যসরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার ক্ষতিগ্রস্ত ব্লক গুলি পর্যবেক্ষণ করেন।তারপর রাজ্যসরকার কৃষকদের সরকারি ক্ষতিপূরণ দেবার সির্দ্ধান্ত নেয়।চলতি সপ্তাহে পুর্ব বর্ধমান জেলার জন্য ১২০ কোটি অনুদান মঞ্জুর হয়।মঙ্গলকোট কৃষি আধিকারিক উৎপল খেয়ারু বলেন - পঞ্চায়েতের পাশাপাশি কৃষি দপ্তরে ক্ষতিপূরণের ফর্ম আশা করি আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিলি করা হবে।রেকর্ডের পর্চা/জমির দলিল, খাজনার রশিদ, ব্যাংকের পাশবই এর জেরক্স জমা দিতে হবে ফর্মের সাথে।অপরদিকে মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন - প্রকৃত কৃষকরা যাতে সরকারী ক্ষতিপূরণ পায়, সেই ব্যাপারে সুনিশ্চিত করতে হবে জেলাকৃষি দপ্তরকে।উল্লেখ্য শিলাবৃষ্টিজনিত সরকারী ক্ষতিপূরণ দেওয়া কে কেন্দ্র করে ব্যাপক কেলেঙ্কারি দেখা গিয়েছিল বর্ধমান জেলাজুড়ে।কৃষি দপ্তরের ফর্ম শাসক দলের নেতারা ফর্ম প্রতি তিনহাজার টাকা কালোবাজারি করার নজির ছিল।সেইসাথে জমির পুরানো মালিক দলিল দেখিয়ে এবং গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃক ভুয়ো ভাগচাষীর দৌরাত্ম্য ছিল সরকারী ক্ষতিপূরণবাবদ অনুদান দুর্নীতিতে।যদিও এবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে কড়া ভাষায় জেলা কৃষিদপ্তরকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আর্থিক অনুদান দিতে সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

কাটোয়ার রামদাসপুরে পথ দুর্ঘটনা, জখম কয়েকজন


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ও হলদিয়া এই দুটি পৌরসভার নির্বাচন ১৩ আগষ্ট। সোমবার জেলা শাসক রশ্মি কমল এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ও হলদিয়া এই দুটি পৌরসভার নির্বাচন ১৩ আগষ্ট। সোমবার জেলা শাসক রশ্মি কমল এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ১৭ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া যাবে। ২৫ জুলাই স্কুটনি ও ২৭ জুলাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করার দিন ধার্য্য করা হয়েছে। ভোট ১৩ জুলাই ও ভোট গননা ১৭ জুলাই। পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ড রয়েছে ৪৬ টি বুথে ভোট গ্রহন নেওয়া হবে। হলদিয়া পৌরসভার ২৯ টি ওয়ার্ড রয়েছে ১৫১ টি ভোট গ্রহন কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। হলদিয়া পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছে ১৩৮৯৭৯ এবং পাঁশকুড়া পৌরসভায় মোট ভোটার ৪১৫৫৯ জন। জেলা শাসক আরো জানান, জেলাতে  একশ শতাংশ এপিক কার্ড করা হয়েছে তাই এই ভোটে এপিক কার্ড দেখিয়ে ভোট দিতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো  বিবেচনা করে দেখা যাবে। এছাড়াও বুথ গুলিতে থাকবে পানীয়জলের ব্যবস্থা, বাথরুমের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা ও ভোটারদের জন্য শেড তৈরি থাকবে।  ভোট কেন্দ্র গুলিতে থাকবে সিসি টিভি ব্যবস্থা সম্ভব না হলে ভিডিও রেকডিং এর ব্যবস্থা। সর্বদল বৈঠক করে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান জেলা শাসক।

রবিবার, জুলাই ১৬, ২০১৭

শনিবার গভীররাতে নাদনঘাট থানার হাতে ধরা পড়ল ভুয়ো আডভোকেট স্টিকার সাঁটা গাড়ীতে একশো কেজির গাঁজা, গ্রেপ্তার হয়েছে গাড়ীতে থাকা দুজন পাচারকারী।


একুশে জুলাই এর সমাবেশ উপলক্ষে কালনা বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডুর নেতৃত্বে মিছিল।

মোল্লা জসিমউদ্দিন

মঙ্গলকোটে পথের বলি ১

মোল্লা জসিমউদ্দিন :  রবিবার সকালে বর্ধমান শহরে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেল জগবন্ধু পাল(৬৩) নামে এক ব্যক্তি।মৃতের বাড়ী মঙ্গলকোটের বনপাড়া গ্রামে। শনিবার দুপুর মঙ্গলকোটের নুতনহাট নিগন সড়করুটে বনপাড়া মোড়ে এক বেপরোয়া মোটরবাইক পথচলতি জগবন্ধু পাল কে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।পরে আহত অবস্থায় তাকে মঙ্গলকোট ব্লকস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয়।অবস্থার অবনতি হলে গতকাল রাতেই নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান শহরের এক নার্সিংহোমে।রবিবার সকালে মারা যায় সে।

প্রয়াত বিচারকের প্রথম বার্ষিকী




মোল্লা জসিমউদ্দিন : ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই মঙ্গলকোটের পদিমপুরে মারা যান রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা।শনিবার তাঁর মৃত্যুকালের প্রথম বার্ষিকীতে মিলাদের আয়োজন করা হয়।১৯৮৩ সালে ডাব্লিউ বিসিএসএস(জুডিশিয়াল)  পরীক্ষায় রাজ্যে মেধাতালিকায় স্থান পান।সেইসাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচে এমএ পাশ করেন।বিচারক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করার পুর্বে সর্বভারতীয় এক ইংরাজি দৈনিককাগজে সাংবাদিকতা করেছিলেন।কাটোয়ার কাশিরাম স্কুলে একদা শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লেকচার এবং কাটোয়া আদালতে আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছিলেন।বিচারক হিসাবে তিনি সদর বর্ধমান,  আরামবাগ,  সিউড়ি, দাঁতন,  আলিপুর, আলিপুরদুয়ার, বসিরহাট, মেদনীপুর সদর, গড়বেতা,  শ্রীরামপুর প্রভৃতি আদালতে বিচারক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।এদিন তাঁর স্মরণে মিলাদ মেহফিলে পাথরচাপরি ইমাম মাওলানা শওকত সাহেব সহ এলাকার বিভিন্ন মসজিদ - মাদ্রাসার  ইমাম মোয়াজ্জেন দোয়ার মজলিশে অংশগ্রহণ করেন। 

কাটোয়ায় প্রতারক গ্রেপ্তার, উঠছে প্রশ্ন

মোল্লা জসিমউদ্দিন: শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয় 'প্রতারণা ' মামলায় ধৃত পরিতোষ ধর কে।বিচারক ধৃত কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।গতকাল বিকেলে কাটোয়া শহরে এক চায়ের দোকানের সামনে বেধড়ক মার খাওয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বীজনগরের হালিশহর এলাকার এই বাসিন্দা কে স্থানীয় থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে।কাটোয়ার কবিরাজ পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় শিক্ষক সৌম্যদীপ দে অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন - পরিতোষ ধর নিজেকে পি.কে. মুখার্জী নামে আইএএস অফিসার পরিচয় দিয়ে চাকরী করে দেওয়ার নাম করে ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছেন। তার শালার চাকরী করে দেবার জন্য টাকা দিয়েও কোন কাজ হয়নি।তাই পেমেন্ট দেবার টোপে কাটোয়ায় প্রতারক কে আনা হলো।অভিযোগকারী শিক্ষকের আরও অভিযোগ - এই প্রতারক তার বৌমা ডাব্লিউবিসিএসের অফিসার এবং পুত্র কার্লিফোনিয়ায় ব্যবসাদার বলে বলতেন।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে  ধৃত পরিতোষ ধর কাটোয়া শহরে অতীতে দেড় বছর ঘরভাড়া থাকতেন।সেসময় তিনি এক বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।তাই শিক্ষকের অভিযোগ ঘিরে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।প্রথমত যে ব্যক্তি কাটোয়া শহরে দেড় বছর এক প্রতিষ্ঠানে কাটিয়েছেন, তিনি কিভাবে আইএএস অফিসার পরিচয় দেবেন তা নিয়ে? একজন শিক্ষক হিসাবে কিভাবে টাকা দিলে চাকরী হবে সেই প্রতারণায় শিকার হলেন? একজন আইএএস অফিসার হয়ে তিনি মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা নিলেন? এইবিধ নানা প্রশ্ন উঠছে এই প্রতারণা মামলাটি কে ঘিরে।

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আসানসোলে পথে নামলেন বিশিস্ট জনেরা l রবিবার স্থানীয় এলাকায় পথ পরিক্রমার পর সভায় এবিষয়ে বক্তব্য রাখেন রাজ্য মানবাধিকার কমিসনের সভাপতি বুম্বা মুখোপাধ্যায় সহ বিশিস্ট ব্যক্তিত্বরা l উপস্থিত ছিলেন বহু সাধারন মানুষজনেরাও


শনিবার, জুলাই ১৫, ২০১৭

নেতা পাপ্পু উপাধ্যায়ের অকাল প্রয়ানে গোটা শিল্পাঞ্চলে শোকের ছায়া l শনিবার তার স্মরন সভা অনুস্টিত হলো রূপনারায়ন পুরের নান্দনিক হলে . সভায় বক্তব্য রাখেন বারাবনি বিধান সভার বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় সহ জেলার একাধিক নেতৃত্ব l


ছাতনী সুকান্ত সংঘ এর উদ্যোগে অরন্য সপ্তাহ পালিত হবে । ছাতনী মুক্ত মনচে চারা গাছ ‌‌‌‌‌‌‌‌দেওয়া হবে ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে সকলের সাহায্য কামনা করি


শুক্রবার, জুলাই ১৪, ২০১৭

রাস্ট্রপতি ভোটে তৃণমূল কে দেখে নেবার হুমকি বিজেপির রাজ্যসভাপতির

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বৃহস্পতিবার বিকেলে কালনা শহরে দলীয় সাংসদ হামলার প্রতিবাদ সভায় তৃনমূলের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়লেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ মহাশয়।এদিন তিনি বলেন " কালনায় বিস্তারক কর্মসূচির প্রচারে এসে রাজ্যসভার সাংসদ জর্জ বেকার তৃনমূলের গুন্ডাদের হাতে মার খেয়েছেন।পুলিশ এখনও মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলার কে গ্রেপ্তার করেনি।উল্টে গতকাল আমাদের প্রচার গাড়ী ভাঙচুর চালিয়ে কর্মীদের মারা হয়েছে।তাই তৃণমূল কে বলছি রাজ্যের বাইরে ১৭ টি রাজ্যে আমরা ক্ষমতাসীন। আমরা যদি ইচ্ছে করি তাহলে তৃনমূলের নেতা কর্মীদের যখন তখন মারতে পারি।আসন্ন রাষ্ট্রপতি ভোটে বিমানে ট্রেনে তৃনমূলের সাংসদরা দিল্লী পৌছালেও, আসতে পারে স্ট্রেচারে।যদি আমরা ইচ্ছা করি"। এরপরেই বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ শান্তিপ্রিয় দল বলে দাবি করেন দিলীপ বাবু।নারদা - সারদা প্রসঙে তৃনমূলের মন্ত্রীদের 'চোরেদের ক্যাবিনেট ' বলে উপহাস করেন তিনি।উল্লেখ্য জুন মাসের মাঝামাঝি কালনা শহরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিস্তারক কর্মসূচী প্রচারে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যসভার সাংসদ জর্জ বেকার।তাঁর উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণের অভিযোগ উঠে স্থানীয় কালনা পুরসভার এক কাউন্সিলারের নেতৃত্বে সশস্ত্র দলবলের বিরুদ্ধে।রডের আঘাতে কালশিটে দাগ পড়ে সাংসদের শরীরে।এই ঘটনা কে সামনে রেখে একাধারে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব যেমন পথ অবরোধ, থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী গুলি নেয়।ঠিক তেমনি আক্রান্ত সাংসদ এক প্রতিনিধিদল নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের দারস্থ হন।সেইসাথে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবগত করে থাকে রাজ্য বিজেপি।জর্জ বেকারের প্রতি হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলার কে কালনা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করতে না পারায় বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রতিবাদ সভার প্রস্তুতি নেন।সেইমত প্রচার চলাকালীন গত বুধবার দুপুরে কালনা ২ ব্লকের পুর্ব সাতগেছিয়ায় বিজেপির এক গাড়ী ভাঙচুর সহ গাড়ীর মধ্যে থাকা বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে তৃনমূলের বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার বিকেলে কালনা শহরে প্রতিবাদ সভায় রণং দেহী বিজেপির রাজ্যসভাপতি কে রাস্ট্রপতি ভোটে দিল্লীতে তৃনমূলের সাংসদের  দেখে নেবার হুমকি নিতে দেখা গেল।হুমকি প্রসঙে বর্ধমান জেলা তৃনমূলের এক নেতা বলেন - বিজেপির 

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে এবং শালবনী সৃষ্টি সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় এলাকার মানুষদের নিয়ে একটি সচেতনতা শিবির এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় , শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির মিটিং হলে,


বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৩, ২০১৭

কালনায় বিজেপির প্রচারগাড়ী ভাঙচুর চালাল তৃণমূল

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার দুপুরে কালনা ২ নং ব্লকের পুর্ব সাতগেছিয়া এলাকায় বিজেপির এক প্রচারগাড়ী ভাঙচুর চালালো তৃণমূল। যদিও শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।জানা যায় আগামীকাল (বৃহস্পতিবার)  কালনা শহরে এক বিক্ষোভ সভা করতে আসছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ জেলার নেতৃত্ব। জুন মাসের মাঝামাঝি কালনা শহরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিস্তারক কর্মসূচী প্রচার চালাতে গিয়ে প্রকাশ্যে রডপেটা হন বিজেপির সাংসদ ও চিত্রাভিনেতা জর্জ বেকার।এই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলার সহ দশের বেশি তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।সুবিচার চাইতে রাজভবনে রাজ্যপালের দারস্থ হন আক্রান্ত সাংসদ। সেইসাথে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব দফায় দফায় পথ অবরোধ সহ কালনা থানায় বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচী নেয় মূল অভিযুক্তদের ধরতে।আন্দ্রোলনের গতি বাড়াতে বৃহস্পতিবার কালনা শহরে বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রতিবাদ সভা।সেইমত বুধবার বিজেপির তরফে চলছিল গাড়ী করে প্রচারাভিযান। আজ দুপুরে কালনা ২ ব্লকের পুর্ব সাতগেছিয়ায় এইরুপ এক গাড়ীর উপর চড়াও হয় স্থানীয় তৃনমূল কর্মী সমর্থকেরা।গাড়ীর কাঁচ ভেঙে দেওয়া থেকে চাকার হাওয়া খুলে নেওয়া।এমনকি গাড়ীর মধ্যে থাকা বিজেপির লোকেদের মারধোর চালাবার অভিযোগ উঠে তৃনমূলের বিরুদ্ধে।কালনা থানার পুলিশ বিজেপির গাড়ীটি থানায় নিয়ে যায়।এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগপত্র জমা পড়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।যেভাবে বিজেপি সাংসদ জর্জ বেকারের হামলার ঘটনা কে সামনে রেখে ধারাবাহিক কর্মসূচী নিচ্ছে বিজেপি, এবং পুনরায় হামলা করার মত ঘটনায় জড়াচ্ছে তৃনমূল। তাতে সাংগঠনিকভাবে বিজেপি কালনা মহকুমা এলাকায় 'অক্সিজেন ' পেয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে জেলা রাজনীতিবিদরা।

মানুষের পাশে, মানুষের সাথে --GIVES


   .   জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী

         খুবই জনপ্রিয় একটা ট্যাগ লাইন ় কারণে অকারণে যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করা হয় ় ভেবে দেখা হয় না লাইন টা ব্যবহারকারী সঠিক স্হানে ব্যবহার করছে কিনা ় অনেক সময় দেখা যায় বাস্তব থেকে বহু দূরে থাকলেও অনেকে এটা  অপব্যবহার করে চলেছে ় কিন্তু GIVES এর ক্ষেত্রে লাইনটি খুবই প্রযোজ্য ়
   .   . GIVES -- Global Innovative Vision Of Egalitarian Society. পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার বুকে গড়ে ওঠা একটি ট্রাস্ট ় ৯ জন নবীন --প্রবীণের মিলিত প্রচেষ্টায় ও আন্তরিক ইচ্ছায় সংস্থাটি গড়ে ওঠে ় দীর্ঘদিন ধরে একটি NGO এ নিয়ে কাজ করার সময় GIVES এর ভাবনা মাথায় আসে ় দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে কাজ করার পর ২০১৫ সালের ৩০ শে মার্চ সংস্থাটি সরকারীভাবে কাজ শুরু করে ় অর্থাৎ ঐ সময় সংস্থাটি নথিভুক্ত হয় ় ঠিকানা গুসকরা - পূর্ব বর্ধমান ় একটি শাখা অফিস আছে  গলসী-২ ব্লকের খানা জংশনে ় সেখান থেকেই সমস্ত কাজ পরিচালিত হয় ়
   .   মানুষের পাশে, মানুষের সাথে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে গড়ে ওঠে সংস্থাটি ় শুরু থেকেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার বজায় রাখতে সংস্থাটির প্রত্যেকটি সদস্য খুবই আন্তরিক ় সর্বদা সচেষ্ট ় সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় হল গলসী এলাকার প্রত্যেকটি মানুষ বা রাজনৈতিক দলের সাহায্য সংস্থাটি পেয়েছে় ় যদিও রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটেনি ়
   .   সীমিত আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে সংস্থাটি প্রত্যেক বছর কিছু গরীব ছেলেমেয়েদের জামা দিয়েছে, খাতা-পেন কিনে দিয়েছে, চিকিৎসা বা মেয়ের বিয়েতেও আর্থিক সাহায্য করেছে ় মন্দির বা মসজিদ সংস্কারের ক্ষেত্রেও এগিয়ে এসেছে ় গলসী এলাকায় বৃক্ষরোপণ বা যুব ক্রীড়া প্রতিযোগীতাকে সফল করার জন্যে এগিয়ে এসেছে সংস্থাটি ়
   এতো গেল একদিক ় অন্যদিকে এলাকায় খেলাধূলাকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্যে সংস্থাটি প্রতি বছর ১৫ ই আগষ্ট খানা জংশন মাঠে একটি ফুটবল প্রতিযোগীতার আয়োজন করে ়
       মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর স্বপ্নের  কন্যাশ্রী  প্রকল্পের অনুষ্ঠান কে সফল করতে এগিয়ে আসে সংস্থাটি ়আবার সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কে সফল করার জন্যে গলসী থানার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে সংস্থাটি ়
   .  সংস্থাটির সবচেয়ে বড়ো গুণ হল -- এখানে সদস্য বা স্টাফ সবাই সমান ় সংস্থার স্বার্থে সবাই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে ়এমনকি যারা নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত তারাও সংস্থাটিকে নিজের মনে করে ়
      আর্থিক সমস্যা হল সংস্থাটির সবচেয়ে বড়ো সমস্যা ় শৌচাগার নির্মাণ বা সদস্য ও শুভার্থীদের আর্থিক সাহায্য হল আয়ের উৎস ় ফলে ইচ্ছা থাকলেও অনেক কাজ করা যায় না ় কিন্তু মাদার টেরেজা যাদের আদর্শ, চোখে বড়ো স্বপ্ন, মনে দুর্জয় সাহস তাদের আটকাবে কে ়
     এলাকাবাসীরা  সংস্থাটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ় ভুঁড়ি অঞ্চল প্রধানের বক্তব্য হল সংস্থাটির হাতে যেকোনো কাজের দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিত থাকা যায় ়
   .   .   . সংস্থাটির সম্পাদক নাসিমুদ্দিন মল্লিক (বাপন) জানালেন আর্থিক অসুবিধার জন্যে অনেক কাজ করতে পারা যায় না ় এবছরের মত প্রতি বছর ছাত্র ছাত্রীদের সাহায্য করার ইচ্ছে থাকলেও কতটা সম্ভব হবে তিনি জানেন না ় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা সংস্থাটিকে সাহায্য করে চলেছে সবার কাছে তিনি কাছে তিনি কৃতজ্ঞ ়সংস্থাটিকে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়া সদস্যদের একান্ত ইচ্ছা ় সত্য, রূপ, অনন্ত, অরিন্দম, জয়ন্ত, রাম, সুমন, পরিমল, বাবলা, দেবাশিস রা সংস্থাটির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্যে গর্বিত ়
     KSPC এর পক্ষ থেকে আমরা সংস্থাটির শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি ়                        

মঙ্গলবার, জুলাই ১১, ২০১৭

কালনা হাসপাতালের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন।

মোল্লা জসিমউদ্দিন

কালনার ধাত্রীগ্রামে জমিবিবাদ কে কেন্দ্র করে গুরুতর জখম ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


মোল্লা জসিমউদ্দিন

বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় নাগরিকের কর্তব্য


ফারুক আহমেদ, কলকাতা: সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের ১৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ধর্মের প্রতিনিধিরা বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় নাগরিকের কর্তব্যের কথা তুলে ধরলেন।
হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী বললেন বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি আদায়ে কামরুজ্জামান আমাদের পাশে ছিল।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যাবল এর প্রফেসর গৌতম পাল বললেন কয়েক হাজার বছরের হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক অত ঠুনকো নয়, যে কোনও একটা সামান্য ঘটনায় তা শেষ হয়ে যাবে। বাংলার মানুষের কল্যাণে আমরা পাশে আছি এবং থাকব। সম্প্রীতি ও সৌহদ্য বাংলায় অটুট রাখতে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
ইন্তাজ আলী শাহ বললেন আমি সব সময় রাজ্যের সব সংখ্যালঘুুদের স্বার্থে কাজ করে যাবো।
পার্থ সেনগুপ্ত বললেন যে কাজ সংখ্যাগুরুদের করা উচিত ছিল সেই উদ্দ্যোগ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন নিয়ে কাজ করছে সম্প্রীতির স্বার্থে তা সাধুবাদ যোগ্য‌।
ছোটন দাস বললেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে কোনও অশুভ শক্তি নিজেদের সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না।
স্বামী সত্যরূপানন্দ বললেন হিন্দুর দান করা জমিতে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মুসলিমদের দান করা জমিতে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় এতো দেশের সংস্কৃতি, এটা কেউ কোনদিন ভাঙতে পারবে না।
উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, মাওঃ আব্দুল মাতিন, খ্রীষ্টিয় পরিষদের কিশোর অধিকারী মূল্যবান আলোচনা করেন। রাজ্যের সব জেলা থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে।
সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান বললেন পশ্চিমবঙ্গে গুজরাট ও আসামের কোনও প্রভাব এখানে আমরা ফেলতে দেবো না। আমরা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য নিয়েই বেঁচে থাকব। উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ আব্দুল মাতিন,পীরজাদা তাফহিমুল ইসলাম, সুখনন্দন সিং আলুওয়ালিয়া সহ অন্যান্যরা।
সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহঃ কামরুজ্জামান বললেন বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের এই কনভেনশন সারা বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় এক ঐক্যের বার্তা দিতে চাই। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দেশ ও রাজ্যের কল্যানে কাজ করে যাব। সম্প্রীতি বজায় রাখতে আমাদেরকে আরও বড় ভূমিকা নিতে হবে।                        

শনিবার, জুন ২৪, ২০১৭

কুর্নিশ নওদার টিম ভাবনার প্রয়াসকে

ফারুক আহমেদ: "টিম ভাবনা" এর উদ্দ্যোগে একটি নতুন ভাবনা মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের অনাথ, দুঃস্থ ও অতিঅসহয় শিশুদের মুখে  হাসি ফুটানোর উদ্দ্যেশে  পবিত্র রমজান ও  খুশীর ঈদ উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় l উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নওদার বিধায়ক অবু তাহের খাঁন মহাশয়, নওদা থানার এস আই শ্রী নির্মল বাবুসহ বিশিষ্ট বক্তীবর্গl  যদিও বস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে সমাজের বিশাল কিছু পরিবর্তন হবে  বলে মনে করেন না টিম  ভাবনার সদস্যরা। নওদার কৃতি ও আলোকময় কয়েকজন সহ অধ্যাপক শাহানওয়াজ খাঁন, সহ অধ্যাপক আব্দুল হালিম, সহ অধ্যাপক ইকবল আনসারী ও সহ শিক্ষক মইনুদ্দিন বিশ্বাসরা মনে করেন যপ বস্ত্র বিতরণ করা হবে তা একদিন ছিঁড়ে যাবে l তাই টিম ভাবনার নতুন ভাবনা হল যে সমস্ত অনাথ, দুঃস্থ ও অতিঅসহয় শিশু উন্নত মেধার তাঁদের চিন্নীত করে আগামী দিনে শিক্ষার সমস্ত খরচের দায়ভার নিয়ে উন্নত  আধুনিক শিক্ষা দিয়ে  সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা হবে যেটা কোনো দিনই ছেঁড়ার নয়। এই উদ্যোগ গোটা নওদা এলাকার আমজনতার মনে দাগ কাটে এবং বহু সাধারণ মানুষ সাহায্যের হাত বাড়ান। সুস্থ সমাজ গড়তে এবং অসহায় এতিমদের মুখে হাসি ফোঁটাতে হলে সমাজের একটা সচেতন শ্রেণির মানুষদেরকেই এগিয়ে আসতে হয় সাহায্যের হাত নিয়ে। যে প্রয়াস নওদার  সফল নাগরিক সমাজ নিল তা আগামীতে অন্যদেরকেও পথ দেখাবে। অবহেলিত সমাজকে আলো দেখানোর এই প্রয়াস সার্থক করতে উদার হাতে বহু মানুষ হাত বাড়িয়েছেন এটাই আশার আলো।
বাংলার ঘরে ঘরে যে ভাবে উদার ভাবে মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ মাথা তুলে বাঁচার আকাশ দেখছেন। যাদের কেউ নেই দেখার এমন এতিমদের আলোয় ফিরিয়ে আনার মতো ভালো কাজ আর হয় না। কুর্নিশ নওদার টিম ভাবনার প্রয়াসকে।                                                

শুক্রবার, জুন ২৩, ২০১৭

মোর্চার সন্ত্রাস ও বাংলা ভাঙ্গার চক্রান্তের প্রতিবাদে শিলিগুড়ি হিলকার রোডে শান্তি মিছিল শিলিগুড়ি ছাত্র নাগরিক সমাজের। মিছিলে সামিল হয় এলাকার প্রায় ৩০০০ যুবক যুবতী।


আঞ্জুমান সোসাইটির পরিচালনায় কালনা,শহরে পাঁচশো বছরের পুরানো মসজিদে রঙ করা হচ্ছে আসন্ন ইদ উপলক্ষে

পারিজাত মোল্লা

ধর্ষনের দায়ে ধৃত কলকাতা পুলিশের কর্মী

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বৃহস্পতিবার সকালে কাটোয়া শহরের কাছারি রোড এলাকা থেকে সামু সেখ নামে একজন কে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় থানার পুলিশ।এদিন দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয়।বিচারক ধৃতকে চৌদ্দদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।এক বিবাহিতা গৃহবধূ কে ধর্ষনের অভিযোগে ধরা হয় পেশায় পুলিশ কর্মী সামু সেখ কে। সে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথের অধীন ইস্টার্ন জোনের পুলিশের গাড়ীর সরকারি চালক।কেতুগ্রামের নৃশিংহপুর এলাকায় তার বাড়ী।আগরডাঙার এক বিবাহিতা গৃহবধূ কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষন করার অভিযোগে অভিযুক্ত সে।

বৃহস্পতিবার, জুন ২২, ২০১৭

অরন্যের অধিকারে অবহেলিত শোষিত আদিবাসী মানুষের বিজয় পতাকা তুলে ধরেছেন মহাশ্বেতা দেবী

অরন্যের অধিকারে অবহেলিত শোষিত আদিবাসী মানুষের  বিজয় পতাকা তুলে ধরেছেন মহাশ্বেতা দেবী।  তবে শুধু সাহিত্যের লেখনীর মধ্যে নয় বাস্তব জীবনেও নিজেকে মহাশ্বেতা দেবী শেষ দিন পর্যন্ত আদিবাসী শবর, দলিত সংখ্যালঘুদের কাজে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন মহাশ্বেতা দেবী।  আর এই মহাশ্বেতা দেবীর স্মরনে "উদার আকাশ পত্রিকা মহাশ্বেতা দেবী স্মৃতি সন্মান" দিয়ে সন্মানিত করছেন সমাজের অবহেলিত মানুষদের নিয়ে যারা নিয়মিত কাজ করছেন এমন মানুষদের কে। এবছরের জন্য উদার আকাশ পত্রিকা এই পুরষ্কার দিয়ে সন্মানিত করলেন পশ্চিমবংলার মাননীয় পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে । নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের সময় উচ্ছেদ হওয়া দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে লড়াই করে সেই অসহায় মানুষদেরকে তাঁদের প্রাপ্য জমি ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর গরীব প্রান্তিক আদিবাসী সংখ্যালঘুদের নিবেদিত প্রাণ শুভেন্দু অধিকারী।  সমাজসেবায় অনন্য নজির রাখার জন্য  উদার আকাশ পত্রিকার তরফে থেকে "মহাশ্বেতা দেবী স্মৃতি সন্মান" প্রদান করা হয়। আজ পরিবহন দফতরে গিয়ে মাননীয় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাতে "মহাশ্বেতা দেবী স্মৃতি সন্মান" তুলে দিলেন ফারুক আহমেদ। ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসর গৌতম পাল।  উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর মতো জননায়ক ও মানবসেবকে এই সন্মান প্রদান করতে  পেরে আমরা আনন্দিত, মুগ্ধ ও বিমুগ্ধ।

বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ও ইন্দপুর থানার উদ্যোগে এলাকার এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হল

বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ও ইন্দপুর থানার উদ্যোগে এলাকার এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হল ।মোট চল্লিশ জন ছাত্র ছাত্রীকে এই সম্মান দেওয়া হয়।ইন্দপুর গোয়েঙ্কা উচ্চ বিদ্যালয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা, ইন্দপুর থানার ও.সি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, এলাকার সুচিকিৎসক ডাক্তার রামেশ্বর মুখার্জী প্রমুখ ।

কাটোয়ার ঘোড়ানাশ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রবীন্দ্র -নজরুল স্মরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হল।

ছবি ও সংবাদ গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, কাটোয়া।

ডালিম খুনে সিআইডি তদন্তের দাবি সিদ্দিকুল্লাহের

পারিজাত মোল্লা, মঙ্গলকোট: বুধবার দুপুরে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া গ্রামে আসেন শীর্ষ তৃণমূল নেতা মুকুল রায়, প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ প্রমুখ। এদিন তাঁরা নিহত শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল সভাপতি সানাউল্লাহ ওরফে ডালিম সেখের বাড়ীতে যান সমবেদনা জানাতে।সেখানে তাঁরা নিহতর স্ত্রী কে একসপ্তাহের মধ্যে সরকারী কর্মসংস্থান করার প্রতিশ্রুতি দেন।সেইসাথে নিহতর তিনমেয়ের পড়াশুনো চালাবার আর্থিকভাবে পাশে থাকবার কথা ঘোষনা করেন।খুনের ঘটনায় জড়িতরা রেহাত পাবেনা বলে কথা দেন। সোমবার রাতের খুনে মঙ্গলবার রাতে নিহতর বড় ভাই আসাদুল্লাহ সেখ পনেরো জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান মঙ্গলকোট থানায়।পুলিশ দফায় দফায় সাতজন কে গ্রেপ্তার করে থাকে।এই খুনে নাম জড়িয়েছে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী সহ বর্ধমান জেলাপরিষদের দাপুটে সদস্য বিকাশ নারায়ণ চৌধুরীর নাম।এফআইআর কপিতে অভিযোগকারী উল্লেখ রেখেছেন যে,  খুনের আগের দিন অর্থাৎ রবিবার শিমুলিয়া গ্রামে এক সভায় রহমতুল্লা ও বিকাশ চৌধুরী ডালিম সেখ খুনের ষড়যন্ত্র করে গেছেন। এইভাবে অভিযোগ আনায় মঙ্গলবার রাতেই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সাহেব ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সিআইডি তদন্ত চেয়ে পুর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশসুপার কে লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছেন।চৌধুরী সাহেব জানান - আমাকে অপদস্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে, যারা এই খুনে আসল কালপিট, তাদের কে চিহ্নিতকরণের জন্য সিআইডি তদন্ত দাবি করেছি।

বুধবার, জুন ২১, ২০১৭

লোকবল দেখানোর রাজনীতিতে বলি মঙ্গলকোটের ডালিম

মোল্লা জসিমউদ্দিন : বিরোধীশুন্য মঙ্গলকোটে ডালিম সেখ খুনে শাসক দলের গোষ্ঠীবিবাদের গভীরতা আরও একবার প্রকাশ্যে এনে দিল।গত সোমবার রাত পৌনে সাতটা নাগাদ কাটোয়া বর্ধমান সড়করুটে নিগন চটিতে খাসতালুক হিসাবে পরিচিত এক মাছের আড়তে বসে থাকার সময় দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় দুস্কৃতি খুব কাছে থেকে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায়।ঝড়বৃষ্টি এবং লোডশেডিং এর সুযোগে পুর্বপরিকল্পিত মোটরবাইকে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা।শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চলসভাপতি এবং সেইসাথে শিমুলিয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য(বকলমে গ্রামপ্রধান) সানাউল্লাহ সেখ ওরফে ডালিমের(৪২) মাথায় গুলি লাগার জন্য বর্ধমান হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।ব্লক তৃণমূল সভাপতির খুব কাছের নেতা হিসাবে পরিচিত নিহত ব্যক্তিটি।শুধুমাত্র শিমুলিয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত নয়, ঝিলু ১ এবং ২, নিগন, কৈচর ১ অঞ্চলে দক্ষ সংগঠক হিসাবে কাজ চালাত সে।অর্থাৎ দক্ষীনপূর্ব মঙ্গলকোটের ব্লক সভাপতির ডানহাত খুনে উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। এহেন নেতা খুনের সময় তাঁর বিশ্বস্ত অনুগামীদের ভুমিকা নিয়ে সন্দেহ সৃস্টি হয়েছে।কুড়ি থেকে ত্রিশজনের এক দল সর্বদা চোখে চোখে রাখত নিরাপত্তার জন্য।তবে খুনের একঘন্টার মধ্যেই মঙ্গলকোট ওসি সহ জেলাপুলিশের পদস্থ কর্তারা এসে পড়েন ঘটনাস্থলে।দফায় দফায় তল্লাশি অভিযানে পুলিশ পাঁচজনকে  আটক করেছে বলে প্রকাশ। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নিহতর পরিবারে কোন অভিযোগপত্র জমা পড়েনি থানায়।একটি সুত্র জানাচ্ছে - অভিযোগপত্রে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গ না আসে, সেই ব্যাপারে নাকি রাজ্য নেতৃত্ব  নির্দেশ দিয়েছে ব্লক নেতৃত্বককে।তাই অভিযোগ দিতে গড়িমসি হচ্ছে।ঠিক যেমন মাসখানেক পুর্বে মঙ্গলকোটের বকুলিয়া গ্রামে অজয় নদের বালিঘাট বিবাদ নিয়ে ধীবর পরিবারের একজনের বোমাবাজিতে মৃত্যু ঘটে।শাসকদলের গোষ্ঠীবিবাদের ফলশ্রুতি ওই ঘটনা হলেও দোষ পড়ে অস্তিত্ব না থাকা বিজেপির উপর।মঙ্গলকোটের ডালিম সেখ খুনে উঠে আসছে - লোকবল দেখানোর রাজনীতিতে বলি হওয়া প্রসঙ্গ টি।সোমবারের গুলির ঘটনার আগের দিনে অর্থাৎ রবিবার বিকেলে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে এ.কে.এম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙনে ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে এক বিরাট ইফতার মেহফিল বসে।সেখানে নিহত ডালিম সেখের নেতৃত্ব তে কয়েকশো ধর্মপ্রাণ আসে যোগদিতে।এই বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি ডালিম সেখের এলাকায় থাকা বিধায়ক শিবিরের লোকজন। এরপূর্বে নিগন বিদ্যালয়ের মাঠে সম্প্রতির সভায় কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবাতিলের সভায় বারবার উঠে এসেছে ডালিম সেখের নাম।কখনও বিধায়ক পরিচালিত সভায় বিধায়ক অনুগামীদের আসতে হুমকি দেওয়া, আবার কখনও ব্লক সভাপতির সভা কে হাউসফুল করা।বিধায়ক অনুগামীদের কাছে ডালিম হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাসের মাথাব্যথা। এইরূপ জানাচ্ছে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীদের বড় অংশ।মঙ্গলকোটের রাজনীতি বিগত ছয়মাস ধরে যে ক্ষমতাপ্রদর্শনের লড়াই চলছে শাসক দলের দুই শিবিরে।তাতে কখনও দেখা যাচ্ছে কৈচরে ব্লকসভাপতির অফিসের সামনে মাঠে কুড়ি হাজার লোক নিয়ে সভা করে হুংকার ছাড়ছেন বিধায়ক।আবার পদিমপুরে বিধায়ক অফিসের সামনে শিক্ষক সংগঠনের সভা, রাস্তা উদঘাটনের সভায় ব্লক সভাপতির বক্তব্যের নিশানায় দলীয় বিধায়ক।এই লোকবল দেখানোর রাজনীতিতে মাঝে পড়ে ডালিম সেখ সোমবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হলো বলে মনে করছে মঙ্গলকোটবাসি।


অবশেষে জটিলতা কাটল, বিধায়ক তহবিলের সাড়ে সতেরো লক্ষ টাকা অনুদানে মঙ্গলকোট ব্লকস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অতিরিক্ত ঘর নির্মান চলছে



 মোল্লা জসিমউদ্দিন

মঙ্গলবার, জুন ২০, ২০১৭

সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রচণ্ড বৃষ্টি


গ্রামীন ডাক্তারদের সেমিনার হলো মঙ্গলকোটে।



 মোল্লা জসিমউদ্দিন

ফের অশান্ত মঙ্গলকোট গতকাল রাতে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপুর্ব চৌধুরীর অনুগামী ডালিম সেখ খুন হন।অভিযোগের তীর বিধায়ক শিবিরের দিকে।অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত মঙ্গলকোট।পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় টিকিট বিলি নিয়ে এই রাহাজানি বাড়বে বলে আশংকা


পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের গঙ্গাতীরে

হাওড়া: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের গঙ্গাতীরে। সোমবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় অন্ত্যেষ্টির কাজ। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ভক্তদের ঢ্ল নামে বেলুড় মঠে। এর আগে দেহ নিয়ে মঠের বিভিন্ন মন্দির পরিক্রমা করা হয়।  বাসভবনেও আনা হয় মহারাজের দেহ। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। এদিন রাত ৮-১০ নাগাগ কালচারাল হল থেকে শেষযত্রা শুরু হয়। এরপর রামকৃষ্ণদেবের মন্দিরের সামনে আনা হয় দেহ। ৮-২৫ থেকে ৯টা পর্যন্ত মঠ প্রাঙ্গনে দেহ শায়িত রাখা হয়। এরপর ব্রহ্মানন্দ মন্দিরে আনা হয় তার দেহ। এরপর  মায়ের ঘাটে স্নান করানো হয়। এখান থেকে স্বামী বিবেকান্দের মন্দিরে দেহ আনা হয়। এরপর গঙ্গাতীরে তাঁর শেষকৃত্য-র কাজ শুরু হয়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই লাখো ভক্ত শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মঠের সমস্ত প্রবীণ সন্ন্যাসীগণ। রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। রবিবার রাতে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়াত মহারাজের দেহ প্রথমে বেলুড় মঠে আনা হয়। ভক্তদের দর্শনের জন্য মঠের প্রধান ফটক সারারাত খোলা রাখা হয়েছিল। রাত থেকেই ভক্তরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে একে একে মহারাজকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্বেতপদ্ম, ফুল, মালা দিয়ে ভক্তেরা অন্তিম শ্রদ্ধা জানান প্রিয় মহারাজকে। সোমবার রাত পর্যন্ত সেই দেহ সকলের দর্শনের জন্য শায়িত রাখা হবে। প্রয়াত স্বামী আত্মস্থানন্দজি মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এদিন বেলুড় মঠ প্রাঙ্গনে লাখো ভক্তের সমাগম ঘটে। পুষ্পস্তবক দিয়ে চোখের জলে প্রিয় মহারাজকে শ্রদ্ধা জানান তাঁর অগণিত ভক্ত অনুরাগীরা। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশ বিদেশের অসংখ্য অনুরাগীও মহারাজের প্রয়াণে শোকবার্তা দেন। গুরুতর অসুস্থতার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী রবিবারই রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ছুটে যান। প্রয়াণের খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোন করে মঠের মহারাজদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানম্নত্রীর দপ্তর থেকেও ফোন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে শোকজ্ঞাপন করে বার্তা দেন। রবিবার রাতের পর সোমবার সকাল থেকে ভক্তদের ঢ্ল নামে বেলুড় মঠে। প্রয়াত মঠের অধ্যক্ষ মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সবাই। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পুষ্পস্তবক পাঠানো হয়। সকালে মঠে এসে একে একে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান মন্ত্রী অরূপ রায়, সাংসদ মুকুল রায়, হাওড়ার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্ত্তী, ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়, মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, পুলিশ কমিশনার ডি.পি.সিং, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে পুষ্পস্তবক দেন মন্ত্রী অরূপ রায়। উল্লেখ্য, রবিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দজী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২ দিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসা চলছিল কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে। গত ২০১৫ র ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তিনি এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার আত্মস্থানন্দজির স্টেন্ট বদল করা হয়েছিল। এর একদিন পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি চিকিৎসাতেও সাড়া দিচ্ছিলেন না। শুক্রবার থেকে অসুস্থতা আরও বেড়ে গিয়েছিল। রক্তচাপজনিত সমস্যার সঙ্গে শুরু হয়েছিল শ্বাসকষ্ট। ডায়ালিসিস করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। শেষপর্যন্ত রবিবার তাঁর জীবনাবসান হয়। স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজ ১৯১৯ সালে ২১ মে জন্ম নিয়েছিলেন অধুনা বাংলাদেশের সাহাবাজপুরে। দেড় দশক পর ১৯৩৮ সালে স্বামী বিরজানন্দ মজারাজের সান্নিধ্যে মন্ত্র দীক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। ঠিক তার তিন বছরের মাথায় ১৯৪১ সালের ৩ জানুয়ারি মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি মঠে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। নাম হয় স্বামী আত্মস্থানন্দ। ২০০৭ সালের ৩ ডিসেম্বর মঠের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।

সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জী:

রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজ ঢাকার কাছে সাবাজপুরে ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৮ সালে স্বামী বিজনানন্দজি মহারাজের কাছে দীক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৪১ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি বেলুড় মঠে ২২ বছর বয়েসে যোগ দেন। ১৯৪৫ সালে মঠের সভাপতি স্বামী বীরাজানন্দজী মহারাজের আদেশ অনুযায়ী ব্রহ্মচর্য ব্রত পালন করতে শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি সন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম হয় আত্মস্থানন্দ। এরপর তিনি বেলুড় মঠ এবং দেওঘর বিদ্যাপিঠ এবং তার শাখা মায়াবতী অদ্বৈত আশ্রমে দীর্ঘদিন ধরে সেবাকার্য করে গেছেন। তিনি বহু বছর নির্জন  হিমালয়ের সিমলার তালে কাটিয়েছেন।১৯৫২ সালে তিনি রাঁচিরর টিবি স্যানেটরিয়াম ব্রাঞ্চে এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫৮ সালে সেক্রেটারি হিসেবে তাঁকে রেঙ্গুন সেবাশ্রমে পাঠান হয়। সেখানে তিনি সেই সেবাশ্রমকে আধুনিক করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি তা সেই সময় সেরা হাসপাতাল রূপে পরিগণিত হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে যখন রেঙ্গুনে সামরিক শাসন শুরু হল, তিনি ভারতে ফিরে এলেন। ১৯৬৬ সালে রাজকোট ব্রাঞ্চের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান হয়। তাঁরই উদ্যোগে রাজকোট আশ্রমে রামকৃষ্ণের সুন্দর মন্দির তৈরি হয়। ১৯৭৩ সালে তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য এবং রামকৃষ্ণ মঠের ট্রাস্টি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে দুই সংস্থার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হন। তাঁকে মঠ এবং মিশনের রিলিফ অপারেশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার নেতৃত্ব ভারত, বাংলাদেশএবং নেপালের বিভিন্ন জায়গায় রিলিফ এবং পুনর্বাসনের কাজ করেছেন।১৯৯২তে তিনি মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক হন। পাঁচ বছর তিনি ওই পদে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। এই সময়ে তিনি দেশের অনেক শাখাগুলিতে যান। ১৯৯৮তে তিনি আমেরিকা, কানাডা, জাপান, এবং সিঙ্গাপুরএর অনেক জায়গায় তিনি গিয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তিনি মালয়েশিয়া, ফিজি, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। এই সকল জায়গায় তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীসারদাদেবী, স্বামী বিবেকানন্দ এবং বেদান্তকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভক্তদের দিয়েছিলেন মন্ত্র দীক্ষা। স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজ ২০০৭ এর ৩ ডিসেম্বর থেকে রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি মিশন ও মঠের ১৫ তম প্রেসিডেন্ট।

সম্প্রতি ভগবানগোলা মেডিকেল ইন্সটিউটের উদ্বোধন করেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী....


যাত্রীদের উদ্দেশ্যে চা, ডিম, চপ বিক্রি করে শেষ রাতে বাড়ী ফিরে নিজেরা আধপেটা খেয়ে থাকেন হকাররা

নিজস্ব সংবাদদাতা, আদ্রাঃ- রোজ সকাল থেকে রাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, নিজের জীবনকে বাজী রেখে ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বেড়িয়ে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে চা, ডিম, চপ বিক্রি করে শেষ রাতে বাড়ী ফিরে নিজেরা আধপেটা খেয়ে থাকেন হকাররা ।
গত দেড় মাস আগে থেকে কর্মহারা হয়ে বসে আছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের হকাররা। এমনই এক হকার প্রশান্ত দাস জানান, R.P.F ওসি আর.কে. সিনহা তাদের আশ্বাস দেন তাদের কাজ আবার ২-৩ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন । কিন্তু দেড় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তারা এখনও কাজ ফিরে পাননি । এদের মধ্যে কিছুজনের পরিচয়পত্র থাকার পরেও এরা এখনো কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন না, ঠিকমতো দুবেলা জোটে না অন্ন ।  উপরন্তু ট্রেনে এদের R.P.F রা দেখতে পেলে এদের ওপর ফাইন করে ১২০০-১৩০০ টাকা । এদের মতো সুনীল মোদক, নিঙ্কু মিশ্র, সুনীল দাস ও এছাড়াও অনেক হকাররা কাজ হারিয়ে ভুগছে অনাহারে । এদের মধ্যে কেউ কেউ প্রায় ৪০বছর ধরে হকারি করছে কিন্তু কখনো তাদের কাজ যায়নি, কিন্তু আজ তাদের এই বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
অপরদিকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের রেল সূত্রে জানা যায়, কিছু ভেন্ডারের লাইসেন্স না থাকার কারণে এদের ট্রেনে যাত্রীদের অসুবিধার জন্যে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । আদ্রা R.P.F একটি ঘোষণার দ্বারা এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ও কাজ বন্ধ করে দেয় ।                         

পুলিশ দিয়ে হিংস্বা দমন করা যায়না: রাহুল

মোল্লা জসিমউদ্দিন : সতবছর আগে পাহাড়ে শান্তি এনেছিলেন মমতা।এখন সেই পাহাড়ে অশান্তি ডেকে আনলেন সেই মমতায়।সম্প্রতি পাহাড়ে হিংস্বা হানাহানির জন্য দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী কে।সোমবার কাটোয়ায় ঝটিকাসফরে এসে এইভাবেই রাজ্যসরকার এবং শাসকদল কে বিঁধলেন বিজেপির প্রাত্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।এদিন কাটোয়ার মুস্থোলী গ্রামে মাঝীপাড়ায় পথু মাঝীর বাড়ীতে দুপুরে আহার সারেন তিনি।এরপরে দাঁইহাটে দলের কর্মীসভায় যোগদান করেন রাহুল সিনহা।সাংবাদিকদের তিনি জানান - সাতবছর আগে পাহাড়ে মোর্চাদের সাথে আতাঁত করে শান্তি এনেছিলেন মমতা।সেইসময় বিমল গুরুঙ মমতা সম্পকে বলেছিলেন মমতা হলো পাহাড়ের মা।এখন সেই মমতাই দলের শ্রীবৃদ্ধির জন পুলিশ কে ব্যবহার করে মোর্চাকে জব্দ করার খেলায় নেমেছেন।পুলিশ দিয়ে হিংস্বা দমন করা যায়না।দরকার উভয় পক্ষে শান্তিপূর্ণ আলোচনা।রাহুল বাবু দলীয় শ্রীবৃদ্ধির নানা বিষয় তুলে ধরেন। 

বুধবার, মে ৩১, ২০১৭

কাটোয়া আদালত চত্বরে আক্রান্ত পুর কাউন্সিলারের স্ত্রী

মোল্লা জসিমউদ্দিন, মঙ্গলকোট, ৩০ মে: মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালত চত্বরে শাসক দলের দাপুটে কাউন্সিলারের স্ত্রী একদল দুস্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য পড়েছে গোটা শহর জুড়ে।আদালত চত্বরে শুধু বিচারকদের এজলাস নয়, রয়েছে মহকুমাশাসকের অফিস। তাই এহেন সুনিরাপত্তা বেষ্টিত এলাকায় প্রকাশ্য এক মহিলা আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশি ভুমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে জেল হেফাজতে থাকা কাটোয়া পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার জঙল সেখ কে আজ পেশ করা হয় কাটোয়া মহকুমা আদালতে।পেশ করার সময় ( জিআরও থেকে এজলাস)  স্বামী কে দেখা করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন হানহারা বিবি।সেসময় জঙল সেখ বিরুদ্ধ গ্রুপের সুরহাত বদিন সেখের দলবল হানহারা বিবি কে শাঁসায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কথা কাটোয়া থানায় জানিয়ে এসে পুনরায় আদালত চত্বরে এলে চুলের মুঠি ধরে ব্যাপক মারধোর চালায় বলে দাবি।এমনকি কানের দুল ছিঁড়ে নিলে রক্তপাতের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।অভিযুক্তেরা সেসময় বলে আক্রান্ত মহিলাটি কে থানায় জানিয়ে কিছুই হবেনা আমাদের।প্রসঙ্গত দিন দশ পুর্বে কাটোয়া শহরের কেশেপাড়ায় জঙল সেখের বাড়ীতে ছাদে হানা দিয়েছিল সুরহত সেখের দলবল।দরজা ভেঙে নিচে হানহারা বিবি(জঙল সেখের স্ত্রী) কে মারতে গেলে চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার লোকজন চলে এলে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা।সেই ঘটনার কথা কাটোয়া থানায় জানানো হয়েছিল।আজ আবার কাটোয়া থানায় নালিশ জানানোর পর আদালত চত্বরে এলে আক্রান্ত হন পুর কাউন্সিলারের স্ত্রী।কাটোয়া থানার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছে।তবে আজকের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি মহকুমাশাসক কে জানিয়েছেন আক্রান্ত মহিলা হানহারা বিবি।

মঙ্গলবার, মে ৩০, ২০১৭

পুরুলিয়ার বান্দোয়ান গার্লস হাই স্কুল

পুরুলিয়ার বান্দোয়ান গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী অনুপমা হাঁসদা  সাঁওতালী ভাষা তে ৮২ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সাঁওতালী ভাষা বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

মদের দোকান বন্ধের আবেদন জানালেন মহিলা ও ছাত্রীরা

গ্রামে মদের দোকান নিমা'ন বন্ধের আবেদন জানিয়ে বি ডি ও এর কাছে আবেদন জানালেন ব ধ'মান গলসীর মথুরাপুর গ্রামের মেটে পাড়ার মহিলা ও ছাত্রীরা।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER