শনিবার, মে ১২, ২০১৮

বসিরহাট থেকে ঘোজাডাঙ্গা অবধি ৯০ কোটি অনুদানে রাস্তা হবে

ওয়াসিম বারি


উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট ১ ব্লকের ৪৮ ও ৪৯ নং জেলা পরিষদের তৃণমুল কংগ্রেস প্রার্থী সফিজা বেগম  আর সেই সাথে মেহেরুন্নেসা বিবি গ্রাম সভা প্রার্থী এবং শফিকুল গাজী পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর সমর্থনে শুক্রবার বিকেলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী ইটিন্ডা ফাইটার ক্লাব ফুটবল মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগণার জেলা তৃণমুল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এছাড়াও বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস সহ উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমুল নেতৃত্বরা । এদিনের জনসভায় বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত কর্মী-সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো । পঞ্চায়েত ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে এদিনের এই জনসভাকে সফল করার উদ্দেশ্যে আগত এই তিন হাজার সমর্থকদের ভিড় সামলাতে প্রশাসনকে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় । জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় বিরোধী দলগুলোকে ভোটের আগের মুহুর্তেও তুলোধনা করে ছাড়লেন । সীমান্তবর্তী মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বসিরহাট থেকে ঘোজাডাঙ্গা যাওয়ার জন্য সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য নব্বই কোটি ব্যয়ে রাস্তা তৈরী হচ্ছে, এবং ঘোজাডাঙ্গাকে ভারতবর্ষের অন্যতম স্থল বন্দরগুলির মধ্যে একটি গড়ে তোলা হবে । একটি ব্রীজ তৈরী হয়েছে এবং সীমান্ত সংলগ্ন আরও একটি ব্রীজ তৈরী হচ্ছে যার ফলে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত বাণিজ্য আরও সাবলীল হবে পরিকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই । পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আদালতে মামলা প্রসঙ্গে বিরোধীদেরকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, তৃণমুল লড়ছে ভোটে আর বিরোধীরা পড়ে রইল কোর্টে ।

বাড়ীর পেছনে ঝোপঝাড় থেকে গ্রেপ্তার 'দামাল ছেলে' আরাবুল

উজ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

অবশেষে আরাবুলকে গ্রেপ্তার করলো বারুইপুর জেলা পুলিস।মোবাইলের টাওয়ারের লোকেশান ধরে আরাবুলকে তার বাড়ির পিছন থেকে গ্রেফতার করল আরাবুল ও তার এক সহযোগীকে।ধৃতদের শনিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গেল।

শুক্রবার, মে ১১, ২০১৮

শাসনে তৃনমূলের পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ

ওয়াসিম বারি

উওর ২৪ পরগনার বারাসাত ২ এর কৃওিপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এর উপপ্রধান ইয়ানবি মুদী এবারের সাংবেড়িয়া ১৪ নং বুথে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। য়ানবি মুদী জানান ১৪ নং বুথে গতকাল রাতে তৃনমূলের পতাকা খুলে ফেলে দেয় ও ফেসটুন ব্যানার পোষ্টার ছিড়ে দেয় l অভিযোগের তীর নির্দল  আশ্রিত  দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাস্থলে শাসন থানার পুলিশ।

জিআই শিরোপা পেল পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্প

সাধন মন্ডল

রাজ্যের মুখ উজ্বল করল পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্প। সম্প্রতি এই শিল্প জি আই শিরোপা পেল। এই টেরাকোরা শিল্পটা যে বাঁকুড়ারই তা প্রমানিত হয়ে গেল। রসগোল্লা যেমন এই রাজ্যের তেমনি টেরাকোটাও এখানকারই। টেরাকোটা শিল্পে রাষ্ট্রপতি  পুরস্কার পাওয়া শিল্পী রাসবিহারী  কুম্ভকার এর সুযোগ্য নাতি  পেশায় শিক্ষক হয়েও দাদুর এই শিল্পকর্মকে  ভালোবেসে অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্ত্রী , পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে   বিদ্যালয়ের কাজ শেষে দিনরাত ধরে  এই শিল্পকর্ম করে চলেছেন,এবং মাটির হাতিঘোড়া ছাড়াও নানান আকর্ষনীয় জিনিস তৈরী করে চলেছেন। সঙ্গে পেয়েছেন ভাইপো জগন্নাথ কুম্ভকার সহ অনেককে।  জি আই শিরোপা পেয়ে খুশী পাঁচমুড়াবাসী।এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ বাবু বলেন" আমাদের বিশ্বজয় করা এই শিল্পকে নিয়ে কিছু মানুষ নিজেদের বলে প্রচার চালাছিলেন আজ তাদের মুখ পুড়ল। জি আই শিরোপা পেল পাঁচমুড়ার টেরাকোটা ।   আমরা আপ্লুত ও গর্বিত।যারা আমাদের এই শিরোপা দিলেন তাঁদের কৃতঞ্জতা জানাই" উল্লেখ্য ২০১২ সালে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বালুচরি শিল্প জি আই শিরোপা পেয়েছে। বিশ্বের বাজারে আরো একটি মুকুট পেল বাঁকুড়ার পাঁচমুড়া।

কালিয়াগঞ্জে তৃনমূলের প্রচারে সাংসদ শতাব্দী রায়

বিকাশ সাহা,কালিয়াগঞ্জ

তৃনমূল প্রার্থীদের সমর্থনে হুড খোলা গাড়িতে রোড শো করছেন তৃনমূল সাংসদ তথা  অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। শুক্রবার সকালে ধনকৈল থেকে  রোড শো শুরু হয়। তৃনমূল প্রার্থীদের সমর্থনে শতাব্দী রায়ের রোড শো তে    ব্লক তৃনমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী দধীমোহন দেবশর্মা, জেলা যুব নেতা অনির্বান চক্রবর্তী ছাড়াও বাইক র‍্যালিতে অংশ নেন কর্মি সমর্থকরা।

গোঁজ প্রার্থীদের নিয়ে কিছুটা চিন্তায় মন্তেশ্বর তৃনমূল


শ্যামল রায়

পূর্ব বর্ধমান জেলার বাম দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকা। এই বিধানসভা এলাকায় আজ বাম নেতারা গৃহবন্দি। ভোট প্রচারে ব্যাকফুটে। জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছে শাসকদল। অন্যদিকে ভোটের ময়দানে ধীরে ধীরে প্রচার সংঘটিত করছে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকরা। তবে শাসক দলের কাছেগোজ প্রার্থী নিয়ে কিছুটা হল মাথাব্যথা রয়েছে ।কয়েকদিন আগে জেলার পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস করা নির্দেশ জারি করেছিলেন যে গোজ প্রার্থীদের লিফলেট  বিলি করে তৃণমূলের পক্ষে প্রচার করতে হবে। তাই যদি না হয় তাহলে তৃণমূল থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। কিছুটা হলেও কাজ হয়েছে। মন্তেশ্বর একদা তৃণমূলের নেতা দেবব্রত রায়ের বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের শিশির মন্ডল। দুই  যুযুধান নেতার ভোট তরজায় গোষ্ঠী কোন্দল প্রবল আকার ধারণ করেছিল। জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের করা নির্দেশের ফলে দুই ব্যাক্তি ফের একসাথে তৃণমূলের পক্ষে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন নির্দল প্রার্থী শিশির মন্ডল।তবে এখনো বহু গোজ প্রার্থী তৃণমূলের বিপক্ষেই প্রচার অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।আর মাত্র তিন দিন পরে ভোট।
ইতিমধ্যে মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৭৬টি। এরমধ্যে ১২১টিতে  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূলের প্রার্থীরা। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৩৬টি। এরমধ্যে তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়লাভ করে ফেলেছে ২২টিতে। জেলা পরিষদের তিনটি আসনেই ভোট হচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭৬ টি আসনের মধ্যে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে মাত্র ২৫ টি তে।পঞ্চায়েত সমিতির ৩৬টি আসনের মধ্যে সিপিআইএম প্রার্থী দিয়েছে ৮টিতে।।
তাই এক সময়ের বাম দুর্গ হিসেবে পরিচিতি মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় সিপিআইএমের দৈন্যদশা আগে কখনো নজরে পড়েনি। যদিও সিপিএম নেতাদের অভিযোগ যে শাসকদলের বাধা হুমকি সন্ত্রাসের কারণ এই সিপিএমের প্রার্থী হতে পারেনি কেউ। যদিও এ কথা মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আজিজুল হক জানিয়ে দিয়েছেন যে মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকায় দৈন্যদশা শুধু সিপিএমের নয় বিজেপির অবস্থাও তাই। তিনি আরো জানিয়ে দিয়েছেন যে এখানে সিপিআইএম কোমায় চলে গিয়েছে‌। পায়ের নিচে মাটি সরে যাওয়ার কারণে প্রার্থী খুঁজে পায়নি তাই মিথ্যা অপপ্রচার করছে সন্ত্রাসের কথা বলে। মন্তেশ্বর এর মানুষ উন্নয়ন কাকে বলে চোখে দেখছেন আর উন্নয়নের সঙ্গে সাথী হিসাবে থাকতে চান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই আমাদের প্রার্থীদের ভোট দেবেন এলাকার মানুষ। তবে তিনি জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছেন যে আমাদের এখানে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।
তবে সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন যে মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন শুধুমাত্র শাসক দলের সন্ত্রাস হুমকি প্রাণনাশের ভয়ে সামনে এসে দাঁড়াতে সাহস পাননি। গণতন্ত্র নামে সন্ত্রাসী রাজত্ব চলছে মন্তেশরে। ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ব বর্ধমান যুব মোর্চার সভাপতি শওকত ওদের জানিয়ে দিয়েছেন যে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাধা মারধর প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে এই আমাদের দলের লোকজনেরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। তবে আমরা মাটি কামড়ে বসে আছি লড়াই হবেই। সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে কয়েকটি পঞ্চায়েতে আমাদের জয় লাভ হবেই।
তবে যে যাই বলুক গোজ প্রার্থীর ভোটে দাঁড়ানো চিন্তায় ভাঁজ পড়েছে তৃণমূল নেতাদের। তবে সংখ্যাটা ৩২টি আসনে নির্দল প্রার্থী লড়াই করছে।
তবুও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে জয়লাভ করবে। পঞ্চায়েত সমিতি দখলসহ ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইডি ভোটগ্রহণ ভাতারে

সুদিন মন্ডল

বৃহস্পতিবার ভাতার ব্লকে 44 টি গ্রাম পঞ্চায়েত ,46 টি সমিতি ও 29 টি জেলা পরিষদ এর ED ভোট পড়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ চলবে বলে জানা গেছে

বৃহস্পতিবার, মে ১০, ২০১৮

জোড়াসাঁকোতে রবীন্দ্রজয়ন্তী

রথীন ঘোষ

কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে ১৫৮ তম রবীন্দ্রজয়ন্তী  পালিত হল।দিনভর চলে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ভাতারে তৃনমূলের বাইক মিছিল

সুদিন মন্ডল

সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা,বিধায়ক সুভাষ মন্ডল,প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা সহ আরও বিশিষ্ট নেতৃবর্গের উপস্থিতিতে গোটা ভাতার ব্লক জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করা হয় মঙ্গলবার দিনভর। হুডখোলা গাড়ি ও বাইক মিছিলের মাধ্যমে ভাতার এর কুবাজ পুর, খেরুর, নাসিগ্রাম, বড়বেলুন,বলগোনা,বনপাস প্রভৃতি যায়গায় প্রচার চালানো হয়।

কূলচন্ডা তরুণ সংঘের রবীন্দ্রজয়ন্তী

সুদিন মন্ডল

ভাতারের মহাপ্রভু তলায় কূলচণ্ডা তরুণ সংঘের উদ্যোগে কবিগুরুর 158তম জন্মদিন পালিত হোলো মহা ধুমধামের সাথে।  প্রভাত ফেরী, কবির মূর্তিতে মাল্যদান,গান,কবিতা,নৃত্য প্রভৃতির মাধ্যমে কবিকে স্মরণ করা হয়। উপস্থিত আশ্রমের স্বামীজি সহ, প্রাক্তন বন আধিকারিক জয়ন্ত ধারা,বিশিষ্ঠ শিক্ষক স্বপন চৌধুরী, ক্লাব সভাপতি ধাত্রীপদ কোনার,বিশিষ্ট আইনজীবী কৃষ্ণ বিনোদ যশ  প্রমুখরা।

আসানসোলে রবীন্দ্রজয়ন্তী

মোহন সিং

এদিন আসানসোল পুরসভার পক্ষ থেকে গুপ্তা কলেজ মোড় থেকে প্রভাতফেরির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়৷এরপর রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান করেন আসানসোলের মহানাগরিক জীতেন্দ্র তিওয়ারী,এম আই সি অভিজিৎ ঘটক সহ আরো অনেকে৷রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে এদিন সংহতি মঞ্চে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷যেখানে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করেন৷

বারাবনীতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়

মোহন সিং

বুধবার বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত নুনি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার শুরু করলেন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷প্রচার মিছিলটি নুনি মোড় থেকে লালগঞ্জ এথোড়া হয়ে জনার্দন সায়েরে গিয়ে শেষ হয়৷এদিনের প্রচার মিছিলে নিজে ঢাক বাজিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷কোথাও গাড়ি থেকে নেমে ভোটারের হাতে পদ্মফুল তুলে দিতেও দেখা গেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে৷এদিনের প্রচারে প্রার্থীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মহিলা সেলের নেত্রী ও আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরিওয়াল৷

বুধবার, মে ০৯, ২০১৮

মুকুল পুত্র পঞ্চায়েত ভোটে ঘরে বসে আছে : জ্যোতিপ্রিয়

ওয়াসিম বারি

"শুভ্রাংশু তৃনমূলের বিধায়ক হওয়া স্বত্তেও এই পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে যে কর্মযজ্ঞ চলছে, দলের সমস্ত বিধায়ক, মন্ত্রী,  এমপি, সকলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, সেখানে মুকুল পুত্র এই সময় তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে ঘরে বসে আছে।তৃনমূলের বিধায়ক হয়েও ও যেই কাজ টা করছে সেটা অনৈতিক "। ----বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার কাশীপুরের তৃনমূল প্রার্থীদের সমর্থনে একটি প্রচারে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথাই বললেন রাজ্যের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃনমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এছাড়া তিনি আরও বলেন,  "সিপিএম এখন ক্ষয়িষ্ণু দলে পরিণত হয়েছে। আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে জীবাশ্মে পরিনত হবে। সেই সিপিএম এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে"। এছাড়া মন্ত্রী চ্যালেঞ্জ করে বলেন, " এই জেলায় ১৯৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ  পঞ্চায়েত পাবে না বিজেপি ও সিপিএম"। মুকুল রায় কে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, " মুকুল রায় তৃণমূল থেকে সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিজেপি তে গিয়েছে, তার কাছে নাকি এই জেলার সব পঞ্চায়েত হাতের তালুর মতো পরিষ্কার । যদি তাই হয়, তাহলে এই জেলার মধ্যে দু হাজার আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি । এটা মুকুল রায়ের ব্যার্থতা"।

দুহাজার কেজি পচা ছানা উদ্ধার মঙ্গলকোটের হিমঘরে



 মোল্লা জসিমউদ্দিন



 সারারাজ্যে ভাগাড় এর মাংস থেকে পচা মাছ নিয়ে যখন তোলপাড়।ঠিক তখনি বিপুল পচা ছানা উদ্ধার হল মঙ্গলকোটের বুকে।মঙ্গলবার সকালে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল মঙ্গলকোটের কৈচর ২ নং অঞ্চলে বাজার বনকাপাসি এলাকায় এক হিমঘরে হানা দেন।সেখানে গিয়ে দেখেন আড়াইশো জারে প্রায় দুহাজার কেজির ছানা রাখা হয়েছে।এগুলি পচে যাওয়ার পাশাপাশি ছত্রাক তৈরি হয়েছে।প্রশাসনের তরফে পচা ছানার জার গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।হিমঘরের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা রেখেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল।উল্লেখ্য মঙ্গলকোটের বনকাপাসি গ্রামে কয়েকশো ঘোষ পরিবার রয়েছে। যারা প্রতিদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন অংশ সহ সীমান্তবর্তী বাঁকুড়া - বীরভূম - নদীয়া - মুর্শিদাবাদ সহ পুরুলিয়ায় নিয়মিত ছানা আমদানি করে থাকে।বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিদিন ৮ টা ৪০ মিনিটে পুরুলিয়া ( ভায়া আসানসোল)  প্যাসেঞ্জার ট্রেনে কয়েকটি বগি বুক করে দীর্ঘদিন ধরে মঙ্গলকোটের বনকাপাসি থেকে ছানা সরবরাহ করা হয়।এই ট্রেনে এই ছানার জন্য পাশ্ববর্তী লেডিস কামরায় মহিলারা দুর্গন্ধের শিকার হন।জানা গেছে শুধু আসানসোল রেলরুট নয়, হাওড়ার কর্ড এবং মেন লাইনেই দুপুরের ট্রেনে নিয়মিত যায়।এর বেশিরভাগই মঙ্গলকোটের কৈচর ২ নং এলাকা থেকে আসে।তাই মঙ্গলবার সকালে মহকুমাশাসকের বিশেষ অভিযানে দুহাজার কেজির পচা ছানা, তাও হিমঘরে সংরক্ষিত করে রাখার ঘটনায় মিষ্টান্নভোজন প্রেমিদের পচা মাংসের মত চাপা আতংক এনে দিয়েছে।কেননা পূর্ব বর্ধমান জেলার বড় অংশ তো বটেই দক্ষিনবঙ্গের চার থেকে পাঁচটি জেলার একাংশে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ছানা সরবরাহ করা হয় মঙ্গলকোটের এই এলাকা থেকেই!

মিলন পাঠাগারে রবীন্দ্রজয়ন্তী

সুকান্ত ঘোষ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালিত হল মঙ্গলকোটের নুতনহাট মিলন পাঠাগারে।পাঠাগার সম্পাদক নুর আনসারী জানান - কবিগুরুর জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মিডিয়ায় কথা বলা বারণ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর


মোল্লা জসিমউদ্দিন





 চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসনরফায় নি:স্ব হওয়া 'বিদ্রোহী' সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিশস্ত সুত্রে প্রকাশ।মিডিয়াতে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে বিরত থাকতে বলা হয়েছে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে।যেভাবে শাসকদলের মন্ত্রী হয়ে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বিভিন্ন গনমাধ্যমে দলেরই শীর্ষ নেতৃত্বর প্রতি বিষেদগার হয়েছিলেন, তাতে তৃনমূলের অন্দরে ক্রমশ সিদ্দিকুল্লাহ কে নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়।সর্বোপরি সিদ্দিকুল্লাহ একজন রাজ্যস্তরের মুসলিম ধর্মীয়গুরু হওয়ায় চলতি পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে চিড় ধরতে পারে, এহেন আশংকায় তড়িঘড়ি সিদ্দিকুল্লাহ কে সর্তক করার পাশাপাশি মিডিয়াতে রাজনৈতিক বক্তব্য পেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা যাচ্ছে। যেভাবে রাজ্য বিজেপি আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু প্রার্থী 'প্রমোট' করেছে, তাতে সিদ্দিকুল্লাহর মত একজন সংখ্যালঘু নেতা তৃনমূলের অন্দরে থেকে তীব্র অসন্তোষ সহ রণংদেহী বক্তব্য নিয়মিত বললে, ক্ষতি হবে শাসকদলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে।যদিও সিদ্দিকুল্লাহ প্রকাশ্য কিছু না বললেও ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন - "দলনেত্রী চুপ থাকতে বলেছেন এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি ভোট মিটলেই মঙ্গলকোটে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন "। উল্লেখ্য এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে মনোনয়ন পেশের সময় সিদ্দিকুল্লাহ কে মঙ্গলকোটে ৩৪ টি আসন দেওয়ার কথা শীর্ষ নেতৃত্ব জানালেও কোন আসনেই মনোনয়নের ফর্ম তুলতে পারেনি বিধায়কের অনুগামীরা।আবার হাইকোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন পেশের দ্বিতীয় দফাতেও অনুরুপ ছবি দেখা যায় বিধায়ক শিবিরে।সেসময় মিডিয়ায় সিদ্দিকুল্লাহ বিভিন্ন সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন - " দলনেত্রীর নির্দেশে সুব্রত বকসী, ফিরহাদ হাকিম,অরুপ বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় অনুব্রত মন্ডল সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে ৩৪ টি আসনের প্রতীক তুলে দেন।এই প্রতীক তুলে দেওয়া হয় ফিরহাদ হাকিমের বাড়ীতে।" প্রথমপর্বে মনোনয়ন পেশে ব্যর্থ হওয়ার পর কয়েকদিনের জন্য সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সরকারী গাড়ী - নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে দেন।সেইসাথে রাজভবন - বিকাশভবন যাওয়া বন্ধ করে দেন।এমনকি রাজ্যমন্ত্রীসভার মাসিক বৈঠক এড়িয়েও যান।এইবিধ অবস্থান গুলি মিডিয়ায় ফলাও করে প্রকাশ হওয়ায় রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় বলে মুখ্যমন্ত্রী মনে করেছেন বলে প্রকাশ। শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেও দ্বিতীয়দফাতেও মঙ্গলকোটে মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি সিদ্দিকুল্লাহের অনুগামীরা।তখন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সিদ্দিকুল্লাহ দলেরই বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখান।প্রথমত মনোনয়ন পেশে শাসকদলের সন্ত্রাস নিয়ে গাঁ জোয়ারি প্রসঙ্গ টানেন সিদ্দিকুল্লাহ।উন্নয়নের প্রশ্নে সওয়াল করে ভোট পেত তৃনমূল  তা তিনি মনে করে দলের সংগঠিত সন্ত্রাস কে সুকৌশলে তুলে ধরেন। এতে তৃনমূলের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুন্ন হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন প্রশ্নে।বিরোধী দলের কোন নেতা নয়, দলেরই একজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে এহেন বক্তব্য পেশ করায় চাপে পড়ে যায় তৃনমূল। দ্বিতীয়ত মঙ্গলকোটে আসনরফা নিয়ে যে অংক সিদ্দিকুল্লাহ বারবার তুলে ধরেন, তাতে দলের মধ্যে গোষ্ঠীবাজী বারবার মদত পাচ্ছে।এতে বিক্ষুব্ধদের দাবিদাওয়া ক্রমাগত বেড়েই চলছিল সারারাজ্য জুড়ে।তৃতীয়ত বিজেপির সাথে উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে বিশেষত রামনবমী - হনুমান জয়ন্তী পালনে তৃনমূল যে লড়াই শুরু করেছে।তাতে বিজেপির হাত শক্ত হবে বলে মন্তব্য সিদ্দিকুল্লাহ করাতে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক নিয়ে দোটানায় পড়ে যায় তৃনমূল। একাধারে উগ্র হিন্দুত্ব বজায় রাখা অপরদিকে মুসলিম সমাজ কে খুশি করা দুটো একসাথে সম্ভব নয়, তা ঘনিষ্ঠ মহলে সিদ্দিকুল্লাহ ব্যক্ত করেন।চতুর্থত যেভাবে বীরভূম জেলা সভাপতি তথা মঙ্গলকোট কেন্দ্রের দলীয়  পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল কে 'মহারাজ' সম্বোধনে সিদ্দিকুল্লাহ ব্যঙ্গ করেছেন, তাতে দলনেত্রী চরম রুষ্ট বলে জানা গেছে। সামগ্রিকভাবে মিডিয়ায় সিদ্দিকুল্লাহের সাক্ষাতকার পেশে দেখা যায় - দলনেত্রীর নির্দেশ থাকা সত্বেও মঙ্গলকোটে পঞ্চায়েত ভোটে কোন আসনেই মনোনয়ন দিতে পারেনি বিধায়ক অনুগামীরা।দলের একাধারে সুপ্রিমো,  অন্যধারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে কখনও সুব্রত বকসী কে, আবার কখনওবা শিক্ষামন্ত্রী কে দিয়ে সিদ্দিকুল্লাহের আসনরফার বৈঠক করেছেন।সেখানে কোন রসায়নে মঙ্গলকোটে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং স্থানীয় থানার প্রভাবে সিদ্দিকুল্লাহ মঙ্গলকোট গিয়েও পারলেন না অনুগামীদের মনোনয়ন তুলতে?  এই প্রশ্ন বারবার সিদ্দিকুল্লাহের বিভিন্ন মন্তব্যে উঠে আসায় একপ্রকার বাধ্য হলেন সতর্ক করতে। সেইসাথে মিডিয়ায় কথা না বলার ( রাজনৈতিক)  নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সিদ্দিকুল্লাহ কে দেওয়া হয়েছে বলে বিশস্ত সুত্রে প্রকাশ।এমনকি দলীয় শৃঙ্খলা না মানার অভিযোগে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইংগিত দেওয়া হয়েছে মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে।

মঙ্গলবার, মে ০৮, ২০১৮

আইনজীবি নিগ্রহের সুবিচারের দাবিতে বিক্ষোভ বসিরহাটে

ওয়াসিম বারি

থানা ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষভ ও রাস্তা অবরোধ করল আইনজীবিরা , আইনজীবি নিগ্রহের ঘটনায় দোষিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এই ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ ৷
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার ঘটনা |
গত ২৩/০৪ তারিখে মহকুমা শাসকের অফিস চত্তরে দুস্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হন এক আইনজীবি ৷ সেই দুস্কৃতিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এই ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ ৷এই একই দাবিতে এর আগেও কয়েকবার রাস্তা অবরোধ  ও এসডিও অফিস ঘেরাও হয় , কিন্তু দোষীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আজ আবার থানা ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধে সামিল হল আইনজীবিরা।

কালিয়াগঞ্জে নাট মন্দিরের সামনে মার্কেট নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক

বিকাশ সাহা


নাট মন্দিরের জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ নিয়ে জনমানষে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে অবস্থিত মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির। বিশালার মন্দির সংলগ্ন ময়দান নাট মন্দিরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। এই ময়দানে প্রতিবছর রথ টানতে কয়েক হাজার ভক্তপ্রান মানুষের সমাগম ঘটে। সেই সঙ্গে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এই ময়দান জুড়ে বিশাল মেলা বসে। মেলায় জেলা সহ ভিন জেলার দোকানীরা তাঁদের হরেকরকম পসরা সাজিয়ে বসেন। নামযজ্ঞ দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তপ্রান মানুষ ছুটে আসেন মন্দির ও মেলা প্রাঙ্গনে। নাট মন্দির কমিটির তরফে নাট মন্দিরের এই ফাঁকা জমির পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক জুড়ে দোকান ঘর নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে কালিয়াগঞ্জবাসীর মধ্যে।
বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত কালিয়াগঞ্জবাসী ও কালিয়াগঞ্জের ভক্তপ্রান মানুষজনের বক্তব্য,  নাট মন্দির চত্তর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাইছে মন্দির কমিটি। মন্দিরের বিশালাকার জমির দুই দিকে ঘর তৈরি করলে মন্দিরের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। যারফলে  অনুষ্ঠান চলাকালীন মাঠে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী মেলার ব্যাঘাত ঘটবে। দোকান ঘর তৈরি হলে মাঠের জায়গা ছোট হয়ে যাবে। রথ টানতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হবেন ভক্তপ্রান মানুষজন। এভাবে বিল্ডিং তৈরি হলে হটাত কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে হাজার হাজার মানুষ এই আবদ্ধ ময়দান থেকে বেড়তে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হবেন। সেই কারণে অবিলম্বে মন্দির কমিটির একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে  আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কালিয়াগঞ্জবাসী। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদী জনমত দিতে পিছুপা হচ্ছেন অনেকেই।    শনিবার দুপুরে নাট মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তপ্রাণ মানুষের ক্ষোভ আচরে পরল মন্দির কমিটির উপর।মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির কমিটির সভাপতি তথা কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সাহা জানান, মন্দিরের সাফসাফাই, বিদ্যুৎ বিল সহ নানান কর্মযজ্ঞ চালাতে গিয়ে প্রতিদিন প্রায় দের থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হয়। সেই কারণে মন্দিরের লাগোয়া মাঠের দক্ষিন ও পশ্চিম দিকে ৪৫ থেকে ৪৭ টি দোকান ঘর তৈরি করে ভারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোকানের স্থান অনুযায়ী সারে ৩ লক্ষ, ৪ লক্ষ ও ৫ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কেউ দোকানঘর ছেড়ে দিতে চাইলে অগ্রিম দেওয়া পুরো টাকাটাই তাঁকে ফেরত দেওয়া হবে। দোকান ঘরের উপর তলায় কৃত্তণ শুনতে আসা আবাসিকদের থাকার ঘর,  সেবা সমিতির কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে বিনা মুল্যে ছাত্র ছাত্রীদের গোটা বছর যে কোচিং দেওয়া তার জন্য ঘর তৈরি করা হবে। সে সঙ্গে জগন্নাথ দেবের মন্দির নির্মাণ করা হবে। তৃতীয় তলায় বহিরাগত অতিথি ভক্তদের নুন্যতম অর্থের বিনিময়ে থাকার ব্যাবস্থা করা  সহ অনুষ্ঠানে আগত কৃত্তণ দলের থাকার ব্যবস্থা থাকবে । সেই সঙ্গে পূর্বদিকে বিশালাকার প্রবেশদ্বার তৈরি করা হবে। বর্তমান অফিস ভেঙ্গে দোতলা করা হবে। নিচে নতুন অফিস ঘর ও দোতলায় রাধাকৃষ্ণের মন্দির নির্মাণ করা হবে।  পূর্ব দিকের মন্দির গুলির চূড়া নির্মাণ করা হবে।  পরবর্তী প্রজম্মের মন্দির কমিটির সদস্যদের কোনও দিক থেকে যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় সেই কথা মাথায় রেখে মন্দির চত্তরের উন্নয়ন করা  হচ্ছে।

পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে মেমারী ছাত্রপরিষদের মিছিল

সেখ সামসুদ্দিন

আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্ৰামের পাড়ায় পাড়ায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে মেমারি কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদে উদ‍্যোগে মেমারি ব্লক ও শহর ছাত্র পরিষদ সভাপতি মুকেশ শর্মার নেতৃত্বে বিশাল মিছিল বের করা হয়। মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও   যুব নেতা অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের বিশাল মাপের কাটাউট সহযোগে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে এই মিছিল মেমারি শহর প্রদক্ষিণ করে।

ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ জয়নগর ১ ব্লকে

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়

১৪ ই মে ভোট হবে কিনা তা মঙলবারের আগে জানা না গেলেও ভোটের সব রকমের প্রস্তুতির কাজ সেরে  ফেলছেন প্রশাসন।জয়নগর ১নং ব্লকের ডিসিআরসি করা হয়েছে বহরু হাইস্কুলকে।গননাকেন্দ্র সহ ভোটের সব কাজ আজ থেকে চলছে ওই স্কুলে।আজ থেকে ঐ স্কুলে শুরু হয়েছে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষন। কালও হবে প্রশিক্ষণ। ভোটের গননা কেন্দ্র হবার কারনে স্ট্রং রুম তৈরি করা হয়ে গেছে। এই  রুম সহ সারা স্কুলে সিসি ক্যামেরা লাগানো হছে।চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ।ব্লক  সূত্রে জানা গেল,তারা ভোটের জন্য সবরকম ভাবে তৈরি আছে।সোমবার ওখানে পিসাইডিং ও  পোলিং অফিসার হিসাবে ৮৩৬ জন প্রশিক্ষণ  নিয়েছেন।জেলা ও জেলার বাইরে থেকেও  অনেক ভোট কর্মী আজ এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন।আজ থেকেই বহরু হাইস্কুলভবন  ব্লক প্রশাসনের হাতেই চলে গেলো।

হাবড়া ১ ব্লকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সভা সারলেন

ওয়াসিম বারি

বিজেপি দল টা হলো একটা অসভ্য, গুন্ডাদের দল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেখানেই যান তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের কর্মীরা বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয় । বিজেপির  হয়ে দালালি শুরু করেছে সিপিএম ও কংগ্রেস । বাংলার  মানুষ এ সব  মেনে নেবে না। বাংলার মানুষ ভরসা রাখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপর"---- সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের কুমড়ো কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খারো স্কুল মাঠে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে তৃনমূল প্রার্থীদের  একটি প্রচার  সভায় এসে এ কথাই বললেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER