ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু ঘটনায় চাঞ্চল্য
কোলাঘাট: ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সকাল সকাল চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে ছাঁইখাদানের নিকট। মৃত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ২৮ বছর।
মোল্লা জসিমউদ্দিন: একুশে জুলাই এর প্রস্তুতির মিছিল, সভা চলছে বাংলার চারিদিকে।দলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, নেতাদের সমাবেশ সফল করতে মিছিলে পতাকা হাতে দেখা মিলছে।তবে মঙ্গলকোটের চিত্র ভিন্ন।সেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের দেখা মিলছেনা এখানে।তার বড় কারণ মঙ্গলকোট বিধায়ক ও সেইসাথে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে পাওয়া যাচ্ছেনা এলাকার মিছিল সমাবেশে।দলের স্থানীয় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং পুলিশের একাংশের মদতে যে উদ্ভট পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছে মঙ্গলকোটে।সেখানে অশান্তির আশংকায় মঙ্গলকোট বিধায়ক আপাতত রাজনৈতিক ও সরকারী কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন বলে সুত্রের খবর।ডালিম সেখ খুন কে সামনে রেখে অতীতের একচেটিয়া ক্ষমতা পুন দখলে তৎপর ব্লক তৃনমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ পুলিশি সন্ত্রাস এতে সহযোগী হিসাবে মদত দিচ্ছে।যদিও পুলিশের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।প্রায় দুমাস পুর্বে মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ ব্লক অফিসে জেলাপ্রশাসনের এক আধিকারিক সহ বিডিও কে নিয়ে সর্বশেষ কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দের নিয়ে প্রশাসনিক সভা সেরেছেন।সেইসাথে কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে হাটতলা মাঠে কুড়ি হাজারের বেশি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাজনৈতিক সভা করেন তিনি।প্রতিটি সভায় মঙ্গলকোট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে বালি সিণ্ডিকেট নিয়ে সরব হয়েছেন বিধায়ক।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বর্ধমানে বালি সিণ্ডিকেটে পুলিশের একাংশ কে এসিবি(দুর্নীতিদমন শাখা) উল্লেখ করে সাবধান করতে দেখা যায়।গত ১৯ জুন রাতে শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ডালিম সেখ খুন হন।অভিযোগ উঠে বিধায়কের ভাই রহমতুল্লাহ চৌধুরী এবং বর্ধমান জেলাপরিষদ মেম্বার বিকাশ নারায়ণ চৌধুরীদের ষড়যন্ত্রে এই খুন।মূল লক্ষ্যটা কিন্তু মঙ্গলকোট বিধায়ক।দলের বিপক্ষ গ্রুপের এই গভীর চক্রান্ত অনুভব করে খুনের চব্বিশঘণ্টার মধ্যেই সিআইডি তদন্ত চাইলেন বিধায়ক।মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেতে সিআইডি তদন্ত শুরু হলো।ধরপাকড় চলছে।অধিকাংশকেই সিআইডি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।মূল অভিযুক্তদের কাছাকাছি রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা টি।এইরুপ পরিস্থিতিতে নিজেদের পালে হাওয়া টানতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কে সাথে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসে 'খেলা' শুরু হলো।এইরুপ দাবি বিধায়ক শিবিরে।মঙ্গলকোট থানার উপর দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষ এর নেতৃত্বে কালোপতাকা নিয়ে মিছিল চললো দুই কিমি পথ বেয়ে।স্লোগান উঠল মঙ্গলকোট থেকে দূর হঠো শিরোনামে।সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলকোটে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেচদপ্তর সহ স্থানীয় গ্রাম প্রধানদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল এলাকার বিধায়কের।কালোপতাকা দেখানোর বিক্ষোভ আঁচ করে বৈঠক বাতিল করেন বিধায়ক।বিধায়ক বলেন " আমার সামনে দলের একাংশ কালোপতাকা দেখালে রাজ্যে বিরোধীরা অক্সিজেন পেয়ে যেত"। রাজ্যের মন্ত্রীকে দলের লোক পতাকা দেখাচ্ছে! পশ্চিম মঙ্গলকোটে বিধায়কের দক্ষ সংগঠকদের প্রতিনিয়ত বাড়ী বাড়ী গিয়ে পুলিশি সন্ত্রাস এর অভিযোগ উঠছে।এমনকি গাঁজা সহ বেআইনি অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে দেবার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বিধায়ক অনুগামীদের বলে দাবি।গোতিস্টা বাসস্ট্যান্ডে এক বিধায়ক অনুগামীর জায়গা দখল করে বেআইনী নির্মাণ করার অভিযোগ ব্লক তৃণমূলের বিরুদ্ধে।একদা সিপিএম নেতা ডাবলু - বাবলু আনসারীর সশস্ত্র দলবলের নানান সন্ত্রাসের চিত্র ফুটে উঠছে সদর মঙ্গলকোটে।এইরুপ পরিস্থিতির মাঝে নিজ অনুগামী সমর্থকদের প্রতি অশান্তি এড়াতে একুশে জুলাই এর প্রস্তুতির যাবতীয় মিছিল থেকে দূরে রেখেছেন মঙ্গলকোট বিধায়ক।তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন - ডালিম সেখ খুনে তাঁর ভাই এর প্রতি যে অভিযোগ উঠেছে।সেই কলঙ্ক থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মসূচি থেকে নিজেকে দূরে আপাতত রাখবেন মঙ্গলকোটের বুকে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন : চলতি সপ্তাহে রাজ্যসরকার পুর্ব বর্ধমান জেলায় ১২০ কোটি টাকা কৃষি ক্ষতিপূরণবাবদ অনুদান মঞ্জুর করেছে।এর মধ্যে ১০ কোটি ৩৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দকৃত হয়েছে মঙ্গলকোটের জন্য।ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে জেলাকৃষি দপ্তরে ক্ষতিপূরণ এর ফর্ম পাঠানোর কাজ চলছে।আগামী সপ্তাহে জেলা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্লক গুলিতে ফর্ম চলে আসবে।মূলত মাস দুই পুর্বে রাজ্যের বিশেষত দক্ষীনবঙের বিভিন্ন প্রান্তরে কালবৈশাখী ঝড় সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলে।এতে দশের বেশি ব্যক্তি মারা যান বিদ্যুৎপৃস্ট, গাছের ডাল পড়ে।সেইসাথে হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে পাকা বোরোধান পচে যায়।যারজন্য পুর্ব বর্ধমান জেলায় প্রান্তিক চাষীদের আর্থিক ক্ষতির দুশ্চিন্তায় আত্মঘাতী হবার ঘটনা ঘটতে থাকে।রাজ্যসরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার ক্ষতিগ্রস্ত ব্লক গুলি পর্যবেক্ষণ করেন।তারপর রাজ্যসরকার কৃষকদের সরকারি ক্ষতিপূরণ দেবার সির্দ্ধান্ত নেয়।চলতি সপ্তাহে পুর্ব বর্ধমান জেলার জন্য ১২০ কোটি অনুদান মঞ্জুর হয়।মঙ্গলকোট কৃষি আধিকারিক উৎপল খেয়ারু বলেন - পঞ্চায়েতের পাশাপাশি কৃষি দপ্তরে ক্ষতিপূরণের ফর্ম আশা করি আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিলি করা হবে।রেকর্ডের পর্চা/জমির দলিল, খাজনার রশিদ, ব্যাংকের পাশবই এর জেরক্স জমা দিতে হবে ফর্মের সাথে।অপরদিকে মঙ্গলকোট বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন - প্রকৃত কৃষকরা যাতে সরকারী ক্ষতিপূরণ পায়, সেই ব্যাপারে সুনিশ্চিত করতে হবে জেলাকৃষি দপ্তরকে।উল্লেখ্য শিলাবৃষ্টিজনিত সরকারী ক্ষতিপূরণ দেওয়া কে কেন্দ্র করে ব্যাপক কেলেঙ্কারি দেখা গিয়েছিল বর্ধমান জেলাজুড়ে।কৃষি দপ্তরের ফর্ম শাসক দলের নেতারা ফর্ম প্রতি তিনহাজার টাকা কালোবাজারি করার নজির ছিল।সেইসাথে জমির পুরানো মালিক দলিল দেখিয়ে এবং গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃক ভুয়ো ভাগচাষীর দৌরাত্ম্য ছিল সরকারী ক্ষতিপূরণবাবদ অনুদান দুর্নীতিতে।যদিও এবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে কড়া ভাষায় জেলা কৃষিদপ্তরকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের আর্থিক অনুদান দিতে সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন : ২০১৬ সালে ১৫ জুলাই মঙ্গলকোটের পদিমপুরে মারা যান রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লা।শনিবার তাঁর মৃত্যুকালের প্রথম বার্ষিকীতে মিলাদের আয়োজন করা হয়।১৯৮৩ সালে ডাব্লিউ বিসিএসএস(জুডিশিয়াল) পরীক্ষায় রাজ্যে মেধাতালিকায় স্থান পান।সেইসাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম ব্যাচে এমএ পাশ করেন।বিচারক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করার পুর্বে সর্বভারতীয় এক ইংরাজি দৈনিককাগজে সাংবাদিকতা করেছিলেন।কাটোয়ার কাশিরাম স্কুলে একদা শিক্ষক, কাটোয়া কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লেকচার এবং কাটোয়া আদালতে আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছিলেন।বিচারক হিসাবে তিনি সদর বর্ধমান, আরামবাগ, সিউড়ি, দাঁতন, আলিপুর, আলিপুরদুয়ার, বসিরহাট, মেদনীপুর সদর, গড়বেতা, শ্রীরামপুর প্রভৃতি আদালতে বিচারক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।এদিন তাঁর স্মরণে মিলাদ মেহফিলে পাথরচাপরি ইমাম মাওলানা শওকত সাহেব সহ এলাকার বিভিন্ন মসজিদ - মাদ্রাসার ইমাম মোয়াজ্জেন দোয়ার মজলিশে অংশগ্রহণ করেন।
মোল্লা জসিমউদ্দিন: বৃহস্পতিবার বিকেলে কালনা শহরে দলীয় সাংসদ হামলার প্রতিবাদ সভায় তৃনমূলের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়লেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ মহাশয়।এদিন তিনি বলেন " কালনায় বিস্তারক কর্মসূচির প্রচারে এসে রাজ্যসভার সাংসদ জর্জ বেকার তৃনমূলের গুন্ডাদের হাতে মার খেয়েছেন।পুলিশ এখনও মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলার কে গ্রেপ্তার করেনি।উল্টে গতকাল আমাদের প্রচার গাড়ী ভাঙচুর চালিয়ে কর্মীদের মারা হয়েছে।তাই তৃণমূল কে বলছি রাজ্যের বাইরে ১৭ টি রাজ্যে আমরা ক্ষমতাসীন। আমরা যদি ইচ্ছে করি তাহলে তৃনমূলের নেতা কর্মীদের যখন তখন মারতে পারি।আসন্ন রাষ্ট্রপতি ভোটে বিমানে ট্রেনে তৃনমূলের সাংসদরা দিল্লী পৌছালেও, আসতে পারে স্ট্রেচারে।যদি আমরা ইচ্ছা করি"। এরপরেই বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ শান্তিপ্রিয় দল বলে দাবি করেন দিলীপ বাবু।নারদা - সারদা প্রসঙে তৃনমূলের মন্ত্রীদের 'চোরেদের ক্যাবিনেট ' বলে উপহাস করেন তিনি।উল্লেখ্য জুন মাসের মাঝামাঝি কালনা শহরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিস্তারক কর্মসূচী প্রচারে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যসভার সাংসদ জর্জ বেকার।তাঁর উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণের অভিযোগ উঠে স্থানীয় কালনা পুরসভার এক কাউন্সিলারের নেতৃত্বে সশস্ত্র দলবলের বিরুদ্ধে।রডের আঘাতে কালশিটে দাগ পড়ে সাংসদের শরীরে।এই ঘটনা কে সামনে রেখে একাধারে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব যেমন পথ অবরোধ, থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী গুলি নেয়।ঠিক তেমনি আক্রান্ত সাংসদ এক প্রতিনিধিদল নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের দারস্থ হন।সেইসাথে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবগত করে থাকে রাজ্য বিজেপি।জর্জ বেকারের প্রতি হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলার কে কালনা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করতে না পারায় বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রতিবাদ সভার প্রস্তুতি নেন।সেইমত প্রচার চলাকালীন গত বুধবার দুপুরে কালনা ২ ব্লকের পুর্ব সাতগেছিয়ায় বিজেপির এক গাড়ী ভাঙচুর সহ গাড়ীর মধ্যে থাকা বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে তৃনমূলের বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার বিকেলে কালনা শহরে প্রতিবাদ সভায় রণং দেহী বিজেপির রাজ্যসভাপতি কে রাস্ট্রপতি ভোটে দিল্লীতে তৃনমূলের সাংসদের দেখে নেবার হুমকি নিতে দেখা গেল।হুমকি প্রসঙে বর্ধমান জেলা তৃনমূলের এক নেতা বলেন - বিজেপির
মোল্লা জসিমউদ্দিন : বিরোধীশুন্য মঙ্গলকোটে ডালিম সেখ খুনে শাসক দলের গোষ্ঠীবিবাদের গভীরতা আরও একবার প্রকাশ্যে এনে দিল।গত সোমবার রাত পৌনে সাতটা নাগাদ কাটোয়া বর্ধমান সড়করুটে নিগন চটিতে খাসতালুক হিসাবে পরিচিত এক মাছের আড়তে বসে থাকার সময় দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় দুস্কৃতি খুব কাছে থেকে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায়।ঝড়বৃষ্টি এবং লোডশেডিং এর সুযোগে পুর্বপরিকল্পিত মোটরবাইকে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা।শিমুলিয়া ১ নং অঞ্চলসভাপতি এবং সেইসাথে শিমুলিয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য(বকলমে গ্রামপ্রধান) সানাউল্লাহ সেখ ওরফে ডালিমের(৪২) মাথায় গুলি লাগার জন্য বর্ধমান হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।ব্লক তৃণমূল সভাপতির খুব কাছের নেতা হিসাবে পরিচিত নিহত ব্যক্তিটি।শুধুমাত্র শিমুলিয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত নয়, ঝিলু ১ এবং ২, নিগন, কৈচর ১ অঞ্চলে দক্ষ সংগঠক হিসাবে কাজ চালাত সে।অর্থাৎ দক্ষীনপূর্ব মঙ্গলকোটের ব্লক সভাপতির ডানহাত খুনে উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। এহেন নেতা খুনের সময় তাঁর বিশ্বস্ত অনুগামীদের ভুমিকা নিয়ে সন্দেহ সৃস্টি হয়েছে।কুড়ি থেকে ত্রিশজনের এক দল সর্বদা চোখে চোখে রাখত নিরাপত্তার জন্য।তবে খুনের একঘন্টার মধ্যেই মঙ্গলকোট ওসি সহ জেলাপুলিশের পদস্থ কর্তারা এসে পড়েন ঘটনাস্থলে।দফায় দফায় তল্লাশি অভিযানে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে বলে প্রকাশ। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত নিহতর পরিবারে কোন অভিযোগপত্র জমা পড়েনি থানায়।একটি সুত্র জানাচ্ছে - অভিযোগপত্রে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গ না আসে, সেই ব্যাপারে নাকি রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে ব্লক নেতৃত্বককে।তাই অভিযোগ দিতে গড়িমসি হচ্ছে।ঠিক যেমন মাসখানেক পুর্বে মঙ্গলকোটের বকুলিয়া গ্রামে অজয় নদের বালিঘাট বিবাদ নিয়ে ধীবর পরিবারের একজনের বোমাবাজিতে মৃত্যু ঘটে।শাসকদলের গোষ্ঠীবিবাদের ফলশ্রুতি ওই ঘটনা হলেও দোষ পড়ে অস্তিত্ব না থাকা বিজেপির উপর।মঙ্গলকোটের ডালিম সেখ খুনে উঠে আসছে - লোকবল দেখানোর রাজনীতিতে বলি হওয়া প্রসঙ্গ টি।সোমবারের গুলির ঘটনার আগের দিনে অর্থাৎ রবিবার বিকেলে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে এ.কে.এম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙনে ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে এক বিরাট ইফতার মেহফিল বসে।সেখানে নিহত ডালিম সেখের নেতৃত্ব তে কয়েকশো ধর্মপ্রাণ আসে যোগদিতে।এই বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি ডালিম সেখের এলাকায় থাকা বিধায়ক শিবিরের লোকজন। এরপূর্বে নিগন বিদ্যালয়ের মাঠে সম্প্রতির সভায় কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবাতিলের সভায় বারবার উঠে এসেছে ডালিম সেখের নাম।কখনও বিধায়ক পরিচালিত সভায় বিধায়ক অনুগামীদের আসতে হুমকি দেওয়া, আবার কখনও ব্লক সভাপতির সভা কে হাউসফুল করা।বিধায়ক অনুগামীদের কাছে ডালিম হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাসের মাথাব্যথা। এইরূপ জানাচ্ছে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীদের বড় অংশ।মঙ্গলকোটের রাজনীতি বিগত ছয়মাস ধরে যে ক্ষমতাপ্রদর্শনের লড়াই চলছে শাসক দলের দুই শিবিরে।তাতে কখনও দেখা যাচ্ছে কৈচরে ব্লকসভাপতির অফিসের সামনে মাঠে কুড়ি হাজার লোক নিয়ে সভা করে হুংকার ছাড়ছেন বিধায়ক।আবার পদিমপুরে বিধায়ক অফিসের সামনে শিক্ষক সংগঠনের সভা, রাস্তা উদঘাটনের সভায় ব্লক সভাপতির বক্তব্যের নিশানায় দলীয় বিধায়ক।এই লোকবল দেখানোর রাজনীতিতে মাঝে পড়ে ডালিম সেখ সোমবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হলো বলে মনে করছে মঙ্গলকোটবাসি।
মোল্লা জসিমউদ্দিন, মঙ্গলকোট, ৩০ মে: মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালত চত্বরে শাসক দলের দাপুটে কাউন্সিলারের স্ত্রী একদল দুস্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য পড়েছে গোটা শহর জুড়ে।আদালত চত্বরে শুধু বিচারকদের এজলাস নয়, রয়েছে মহকুমাশাসকের অফিস। তাই এহেন সুনিরাপত্তা বেষ্টিত এলাকায় প্রকাশ্য এক মহিলা আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশি ভুমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে জেল হেফাজতে থাকা কাটোয়া পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার জঙল সেখ কে আজ পেশ করা হয় কাটোয়া মহকুমা আদালতে।পেশ করার সময় ( জিআরও থেকে এজলাস) স্বামী কে দেখা করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন হানহারা বিবি।সেসময় জঙল সেখ বিরুদ্ধ গ্রুপের সুরহাত বদিন সেখের দলবল হানহারা বিবি কে শাঁসায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কথা কাটোয়া থানায় জানিয়ে এসে পুনরায় আদালত চত্বরে এলে চুলের মুঠি ধরে ব্যাপক মারধোর চালায় বলে দাবি।এমনকি কানের দুল ছিঁড়ে নিলে রক্তপাতের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।অভিযুক্তেরা সেসময় বলে আক্রান্ত মহিলাটি কে থানায় জানিয়ে কিছুই হবেনা আমাদের।প্রসঙ্গত দিন দশ পুর্বে কাটোয়া শহরের কেশেপাড়ায় জঙল সেখের বাড়ীতে ছাদে হানা দিয়েছিল সুরহত সেখের দলবল।দরজা ভেঙে নিচে হানহারা বিবি(জঙল সেখের স্ত্রী) কে মারতে গেলে চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার লোকজন চলে এলে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা।সেই ঘটনার কথা কাটোয়া থানায় জানানো হয়েছিল।আজ আবার কাটোয়া থানায় নালিশ জানানোর পর আদালত চত্বরে এলে আক্রান্ত হন পুর কাউন্সিলারের স্ত্রী।কাটোয়া থানার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছে।তবে আজকের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি মহকুমাশাসক কে জানিয়েছেন আক্রান্ত মহিলা হানহারা বিবি।
পুরুলিয়ার বান্দোয়ান গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী অনুপমা হাঁসদা সাঁওতালী ভাষা তে ৮২ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সাঁওতালী ভাষা বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...