বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৯, ২০১৮

দুপক্ষের প্রার্থী তালিকা তৈরি,পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সরগরম মঙ্গলকোট

মোল্লা জসিমউদ্দিন

আর হাতে এক থেকে দুমাস সময়সীমা,  তারপরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলার বুকে।ইতিমধ্যেই তৃনমূলের প্রার্থী তালিকা একপ্রকার তৈরি বলা যায়।এলাকায় রাজনৈতিক কর্তৃত্ব আদায়ে প্রতিটি থানা এলাকায় বিধায়ক বনাম দলীয় ব্লক সভাপতির লড়াই চলছে।সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচন স্থানীয় ক্ষমতা আদায়ের অন্যতম দিক দুতরফেই।মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বরাবরই উত্তপ্ত।সেই নকশাল পিরিয়ড থেকে বাম জমানা।এমনকি তৃনমূলের আমলেও হানাহানি কমেনি, উল্টে বেড়েছে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূলের দুই বিবাদমান গোষ্ঠীর প্রার্থী তালিকা 'রেডি' রয়েছে।পনেরোটি পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদের তিনটি আসনে কারা কোথায় দাঁড়াবে, তা স্থির হয়ে গেছে।ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর পক্ষে এই বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল সম্প্রতি দুবার মঙ্গলকোটে সভা করে বলে গেছেন - অপূর্ব চৌধুরীর নেতৃত্বে এবার মঙ্গলকোট বিরোধী শুন্য হবে।অপরদিকে বিপক্ষ গ্রুপের কাণ্ডারি মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, বর্ধমান সার্কিট হাউসে চলতি মাসে অনুগামীদের ছবি সহ ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি জমা নিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী ঠিক করবার জন্য।ব্লক তৃনমূল সভাপতি শিবিরের পক্ষে মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক বলেন " গত পাঁচ বছরে পঞ্চায়েতের কোণায় কোণায় যে উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেখানে যারা জনপ্রতিনিধি ছিল তাদের সিংহভাগ এবারেও পাবেন"। অন্যদিকে বিধায়ক শিবিরের দাবি - ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গতবারের প্রার্থী অপূর্ব চৌধুরীর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অনুব্রত।কিন্তু দিদি ( তৃনমূল নেত্রী)  সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব কে এখানে পাঠালেন। তাই পঞ্চায়েত ভোটের তৃনমূলের প্রতীকের তালিকায় সাহেবের লোকজন থাকবে।মঙ্গলকোটে দুপক্ষের প্রার্থী তালিকা করা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর পরিবেশ চলছে।তারউপর গত ২০ মার্চ আউশগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলকোট ওসি কে সবাই কে নিয়ে চলতে হবে যে নির্দেশ দিয়েছেন,  তাতে উজ্জীবিত মঙ্গলকোটের বিধায়ক শিবির।ইতিমধ্যে থানায় নিয়মিতভাবে যাতায়াতের জন্য বিধায়ক প্রতিনিধিদল হচ্ছে।সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দৃষ্টিকোণ কে বিধায়কের প্রার্থী তালিকা কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে ব্যাপক প্রচার চলছে গোটা এলাকাজুড়ে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সেদিন প্রশাসনিক সভায় কয়েকজন বিধায়ক (ভাতার, মেমারি)  কে যেভাবে বিক্ষুব্ধ নেতাদের নাম নিয়ে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে শুনিয়েছেন। তাতে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে - পঞ্চায়েত ভোটে সর্বত্রই বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীদের ব্যালেন্স করে প্রতীক দেবে শীর্ষ তৃনমূল নেতৃত্ব। সেখানে কোন পক্ষই একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবেনা।

বুধবার, মার্চ ২৮, ২০১৮

কাটোয়া জিআরপির রক্তদান শিবির

মোল্লা জসিমউদ্দিন

বুধবার কাটোয়া রেলওয়ে স্টেশনে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।রেলের রিক্রেশন ক্লাবের উদ্যোগে জিআরপির পরিচালনায় চল্লিশের বেশি ব্যক্তি এই শিবিরে যোগদেন।জিআরপির স্টাফ, হকার, স্থানীয় যুবকরা এই মহতি উদ্যোগে সামিল হন বলে জানিয়েছেন কাটোয়া জিআরপির ওসি জয় চক্রবর্তী।

বেপরোয়া মোটরবাইক আরোহীদের দৌরাত্ম্য বাগমারি কবরস্থান মোড়ে

কলকাতা মহানগরের সর্ববৃহত্তম কবরস্থান বাগমারি কবরস্থানের সামনে ট্রাফিক নিয়ে নানান অভিযোগ উঠছে।এখানে ট্রাফিক পুলিশের সিগনালিং দেওয়ার জন্য একটি বিট ( উল্টোডাঙ্গা এল ৩৫ নং) থাকলেও কোন পুলিশকর্মী কে দেখা যায়না।আবার ডাবল লেন রাস্তায় একদিকে সবুজ থাকলে, অন্যদিকে লাল থাকে।যারফলে রাস্তা পারাপারে প্রাণ হাতে নিয়ে থাকতে হয় পথচারীদের।কবরস্থান সংলগ্ন একটি পেট্রোল পাম্পে গাড়ী ঢোকা এবং বাহির হওয়া নিয়েও দুর্ঘটনা প্রবণ থাকে রাস্তাটি।এছাড়া মানিকতলা ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে।বাগমারি কবরস্থানে বছরের প্রতিটি দিনই অসংখ্য মানুষ আসেন দাফনকাজ / কোন অনুষ্ঠানে। দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে এই ব্যস্ততম সড়কমোড়ে।এই রাস্তার দুধারে থাকা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন - এখানে ট্রাফিকপুলিশ থাকলে দুর্ঘটনা কমে।প্রায়শ এখানে বেপরোয়া মোটরবাইক আরোহীদের দেখা যায়।লাল সিগন্যাল থাকলেও অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছোটে তারা।নিশ্চিন্তে রাস্তা পারাপার দায় এখানে।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের

মোল্লা জসিমউদ্দিন

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে পূর্ব বর্ধমানের কালনার সমুদ্রগড় এলাকায় পরীক্ষার্থীদের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের শুভেচ্ছা। 

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কালনা তৃনমূল ছাত্রপরিষদের গোলাপ

মোল্লা জসিমউদ্দিন

পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা শহরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কে তৃনমূল ছাত্রপরিষদের পক্ষে গোলাপ বিতরণ।

মঙ্গলবার, মার্চ ২৭, ২০১৮

কলকাতার একাংশে তীব্র লোডশেডিং চলছে

পারিজাত মোল্লা

মঙ্গলবার রাত পৌনে এগারো টা থেকে উত্তর কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে।এখনও চলছে। বিশেষত মানিকতলা, কাকুরগাছি, উল্টোডাঙ্গা এলাকাগুলি বিদ্যুতহীন।প্রায় একঘণ্টার কাছাকাছি সময় ধরে এই লোডশেডিং অব্যাহত রয়েছে।

কালিমাতা সংঘের উপয়নয়নের আয়োজন হল

সুরজ প্রসাদ

বর্ধমান শহরে বিধানপল্লী ঘোষপাড়া কালিমাতা সংঘের উদ্যোগে আয়োজন  মঙ্গলবার গন উপয়নয়নের আয়োজন করা হয়। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয় ক্লাবের তরফে। এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় ব্রাহ্মণ মঙ্গলবার রীতিমত ধর্মীয় আচার আচরণ মেনে বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ও পঞ্চায়েত এলাকার মোট ১০জনের উপনয়ন তথা পৈতের অনুষ্ঠান করা হল।ক্লাবের তরফে প্রভাত চক্রবর্তী  জানান , গত ৬ বছর ধরেই তাঁরা এই ধরণের অনুষ্ঠান করছেন।  এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ জনের পৈতে দিতে পেরেছেন তাঁরা।  সমস্ত নিয়ম মেনেই এই ১০জনের পৈতে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে প্রায় ৩০০জন নিমন্ত্রিতদের খাবারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাত, ডাল, আলুভাজা, এঁচোড়,পনীরের তরকারির পাশাপাশি চাটনি, পাঁপড়,রসগোল্লা, আইসক্রিম প্রভৃতির আয়োজনও ছিল ঢালাও।

 

ভাতারে অসুস্থ পরীক্ষার্থীর পাশে ক্লাব

সুদিন মন্ডল

অসুস্থ পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার নজির রাখলো ভাতার একাদশ ক্লাব।  ভাতার এর হাঁড়গ্রামের রাখী সাধু নামে  এক্ পরীক্ষার্থী ভাতার মাধব  পাবলিক হাই স্কুলে পরীক্ষা দিতে এসে পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে পরীক্ষার পর সদস্যরা  বাড়ি পৌঁছে দেয়। ক্লাব সভাপতি পরেশনাথ হাজরা জানিয়েছেন, 1985 সালে ক্লাব গঠন হওয়ার পর থেকেই আমাদের  একাদশ ক্লাব সদস্যরা এই ধরনের নানান জনসেবামূলক  উদ্যোগে সামিল  হয়েছি  ভবিষ্যতেও থাকবো এই আশা রাখি।

মদ্যপ স্বামীদের মূলস্রোতে ফেরাতে ভাতার থানায় স্ত্রীরা

সুদিন মন্ডল

গ্রামের মদের ঠেকগুলি বন্ধ করে  তাদের স্বামীদের মদের নেশা ছাড়িয়ে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দাবিতে সরব হয়ে ভাতার থানায় অভিযোগ আনল ভাতার এর শুনূর গ্রামের প্রতিবাদী আদিবাসী মহিলার দল। তাদের আরও অভিযোগ তাদের প্রতিবাদের জন্য তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধোর করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে ভাতার থানার পুলিশ।

লিগ্যাল লিটারেসি ক্লাব গঠিত হল বর্ধমানে

সুরজ প্রসাদ

ইতিমধ্যেই জেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে গঠিত হয়েছে লিগ্যাল লিটারেসি ক্লাব।মূলত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এই ক্লাব গঠিত সেই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে।আজ বর্ধমান সিএম এস উচ্চবিদ্যালয় ও রামাসিস হিন্দি উচ্চবিদ্যালয়ের লিগ্যাল লিটারেসি ক্লাবের নির্দিষ্ট কক্ষের জন্য আলমারী, চেয়ার,টেবিল ও কম্পিউটার দেওয়া হলো জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ থেকে।উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনী  পরিষেবা কর্তৃপক্ষর সচিব জয় প্রকাশ সিং,সিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেশ্বর হেমব্রম,রামাসিস হিন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবানন্দ সিং ও বর্ধমান সহযোদ্ধার পক্ষ থেকে সম্পাদক সোমনাথ ভট্টাচার্য্য।

সাংসদ ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে কোচবিহার সাংসদ

শিখা ধর

মঙ্গলবার দিল্লিতে সংসদ ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে কোচবিহার সাংসদ পার্থ প্রতীম রায়।আজ তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার বিষয়ে মমতা বিভিন্ন দলের নেতাদের সাথে আলোচনা সারেন তিনি।

জামুরিয়ায় কয়লা সিন্ডিকেট চরমে

মোল্লা জসিমউদ্দিন


আসানসোলের জামুরিয়ায় কয়লা সিন্ডিকেট চরমে চলছে।বামজমানায় শিল্পাঞ্চল বর্ধমানের কয়লা সিন্ডিকেট টি যেমন চলত পুলিশ - রাজনৈতিক নেতা - মাফিয়াদের দের যোগসাজেশে।ঠিক তেমনিও পশ্চিম বর্ধমানে তৃনমূল সরকারের আমলে সেই সিন্ডিকেট টি অটুট রয়েছে।এইমুহুত্যে কয়লা সিন্ডিকেটের প্রাণকেন্দ্র বলতে বোঝায় জামুরিয়া থানা এলাকাটি কে।চুরুলিয়ার জঙ্গলে দিনের আলোয় কয়লার বেআইনি খাদান চলেনা।এইবিধ খাদান গুলি শালপাতা সহ নানান গাছপালা দিয়ে ঢাকা থাকে।একটু সন্ধে লাগলেই আলো জ্বালিয়ে সশস্ত্র দুস্কৃতিদের ঘেরাটোপে চলে কয়লা তোলার কাজ।বেশি রোজগারের আশায় এলাকার সিংহভাগ ব্যক্তি প্রাণ হাতে নিয়ে কয়লার খাদানে ঢোকে কয়লা তুলতে।মাসে দু তিনটি করে ধসে চাপা পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে।তবে এই ঘটনাগুলিও চাপা পড়ে যায় পুলিশ - নেতা - কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্মে।চুরুলিয়ার জঙ্গল সহ জামুরিয়ার বেশিরভাগ কয়লা খাদানে কয়লা তোলার পর সেই গর্তগুলি বন্ধ করার জন্য বালি দিয়ে ভরাটের কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনা।এরফলে প্রায়শ বিশেষত বর্ষার সময় ধস নামে জামুরিয়ার বিভিন্ন এলাকায়।ঘরবাড়ী - দোকানপাট সবই ধসের গ্রাসে চলে যায়।এক নামি সংস্থার কয়লা হলদিয়া বন্দর থেকে ট্রেনে করে জামুরিয়ায় আসে।এই অস্ট্রেলিয়ান বহুমূল্য কয়লা পাচার করতে এবং পাহারা দেওয়ার জন্য স্থানীয় থানার পুলিশ কে মাসিক দশলাখ টাকা নজরানা দেওয়া হয় বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামুরিয়া থানার এক প্রাত্তন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন - এই টাকা বিভিন্নভাবে পুলিশের উপরমহল অবধি চলে যায়। সেখানে না নিলে গ্যারেজ  পোস্টিং তো মিলবেই, বেশি পুলিশি অভিযান চালাতে গেলে প্রাণহানির আশংকা থেকেই যায়।জানা গেছে আসানসোলের জামুরিয়া - পান্ডবেশ্বর - আসানসোল উত্তর প্রভৃতি থানার ওসি পদ পাবার জন্য শাসকদলের বড় নেতাদের নেকনজরে থাকতে হয়।সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃনমূলের এক শীর্ষ নেতা কয়লা মাফিয়াদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নেয় বলে অভিযোগ তুলে ছিলেন। তবে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেট বে আইনি কয়লা পাচার রুখতে মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে থাকে।বিভিন্ন সড়কমোড়ে সিসিটিভি লাগানো রয়েছে।তবে ত্রিপল ঢাকা দিয়ে কয়লা না বালি পাচার হচ্ছে গাড়ীগুলিতে , তা নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পুলিশের একাংশ। রাণীগঞ্জ মোড় থেকে ভীমগড় অর্থাৎ বীরভূম জেলার উপর দিয়ে নিরাপদ করিডোর করেছে কয়লা সিন্ডিকেটের নেতারা।বিশেষ ধরনের কুপন (স্টিকার)  থাকছে বেআইনি কয়লা বোঝাই গাড়ীগুলিতে।তাতে পশ্চিম বর্ধমান - পূর্ব বর্ধমান - বীরভূম জেলার পুলিশ রাস্তায় থাকলে, সেই গাড়ী টির কাগজপত্র দেখা কিংবা তোলাবাজির অর্থ দাবি করা থেকে বিরত থাকছে বলে এইরুপ কিছু গাড়ীর ড্রাইভার খালাসি নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন।

( চলবে) 

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অনাময় হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার

সুরজ প্রসাদ

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাখা অনাময় হাসপাতালে ট্রমা কেয়ারের উদ্বোধন হল। সোমবার ট্রমা কেয়ার সেন্টারের অানুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল সুকুমার বসাক, সুপার উৎপল দাঁ,  ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা। ডেপুটি সুপার জানান, এই ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ১২টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড, ৮টি জেনারেল বেড এবং চারটি চাইল্ড বেড থাকবে। মোট   বেড থাকবে ২৪ টি। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যের অন্যতম অত্যাধুনিক ট্রমা কেয়ার নির্মিত হয়েছে। ২৪ পরগণার পৈলানের  সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই ট্রমা কেয়ারটির  উদ্বোধন করেন এদিন।

জেনিভায় ভারতের প্রতিনিধি পুরুলিয়ার সাংসদ উমা

সঞ্জয় হাল্দার

জেনিভাতে রাষ্ট্রপু্ঞ্জের ১৭৮টি দেশ নিয়ে অধিবেশন চলছে উক্ত অধিবেশনে এই প্রথম ভারতীয় দের হয়ে  প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রথম সাঁওতালি নারী ঝাড়গ্রাম লোকসভার সাংসদ মাননীয়া ড:উমা সরেন মহাশয়া ।.ড.উমা সরেন তার গর্বের বাংলা নিয়ে নিজের ভাষায় বক্তব‍্য দেন।

সোমবার, মার্চ ২৬, ২০১৮

গৌড় স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হল ফেরিওয়ালা কে

মানস দাস,মালদা

আবার প্রশ্নের মুখে রেলের যাত্রী সূরক্ষা। চলন্ত ট্রেন থেকে যাত্রীকে ধাক্কা মারার অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ গৌড় মালদা রেল স্টেশনে। আপ আনন্দ বিহার ট্রেন থেকে ধাক্কা মারার অভিযোগ। আহত অবস্থায় জি আর পি ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতর নাম, সাবির সেখ(৩৫)। বাড়ি কালিয়াচক থানার জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়নগর ডাঙা এলাকায়। সে পাটনাতে ফেরিওয়ালার কাজ করে। জানাগিয়েছে, পাটনা থেকে বাড়ি ফিরার পথে ঘটে ঘটনাটি। তবে কে বা কারা তাকে ধাক্কা মেরেছে তা পরিস্কার করে বলতে পারেনি পরিজনেরা। সাবিরের মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। তবে কিভাবে ঘটনাটি ঘটলো তা তদন্ত শুরু করেছে,জি আর পি। অভিযুক্তরা অধরা।

ইংরেজবাজারে ৬ ডাকাত ধৃত

মানস দাস,মালদা

পাইপ গান সহ ছয় ডাকাত গ্রেপ্তার। ইংরেজবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু ইংরেজ বাজার শহড়ের ঝলঝলিয়া ডিজেল শেড মোড়ে হানা দিয়ে ছয় জনের একটি ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করে।তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি পাইপ গান,দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ,দুটি রড,দুটি ধারলো অস্ত্র সহ বেশ কিছু ডাকাতি করার সরঞ্জাম।আজ ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়।এদিন পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে ধৃতরা হলেন -শেখ সাহিন,শেখ রহিম,আজমত সবজী,শেখ সিলু,শেখ রাজু,সাহেব ঘোষ।এদের সকলের বয়স ১৯-৪৫ এর মধ্যে।এদের বাড়ি ইংরেজ বাজার থানার এলাকায়।পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায় যে -ধৃতরা মালদা শহড়ের ঝলঝলিয়া এলাকার কোনো বাড়িতে ডাকাতি করার ছক কষে ছিল।

বসিরহাট আদালতে পেশ বাদুড়িয়ার মরা মুরগি কারবারি

ওয়াসিম বারি

বাদুড়িয়ার মরা মুরগি কান্ডে রবিবার রাতে বাদুড়িয়ার আরশুলা থেকে মনিরুল মণ্ডল নামে মূল অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করেছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ , আজ সোমবার মূল অভিযুত্ত কে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে ৷

বাইসনের তান্ডব কোচবিহারে

শিখা ধর

কোচবিহার সদর ব্লকের বেশকিছু গ্রামে বাইসনের তাণ্ডবলীলা বেড়েছে।খাবারের সন্ধানে ধানজমির পাশাপাশি লোকালয়ে হানা দিচ্ছে এই বাইসন টি।

কালনায় ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা

মোল্লা জসিমউদ্দিন

রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা রাজস্কুলের মধ্যে বসে আকোঁ প্রতিযোগিতায় সামিল খুদেরা। পঞ্চাশের বেশি প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করে থাকে।

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পেয়েও পুলিশ কেন চুপ? কালনায় পঞ্চায়েত প্রধান খুন নিয়ে প্রশ্ন এলাকায়

মোল্লা জসিমউদ্দিন

গত ২০ মার্চ পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে ( শিবদায়)  প্রশাসনিক সভা করে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জেলাপুলিশ কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সতর্ক করে যান।মূলত কেতুগ্রাম আইসি কে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছিলেন - "আর কোন ঘটনা ( জাহির সেখ খুন)  যেন না ঘটে"। সেইসাথে মেমারির ওসি কে স্থানীয় সমস্যাগুলি মেটানো এবং মঙ্গলকোট ওসি কে সবাই কে নিয়ে চলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কোন খুন - রাহাজানি না ঘটে।পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর এহেন নির্দেশ পালনে চরম ব্যর্থ হল।তাও প্রশাসনিক সভার চারদিনের মাথায়।এবার কোন দলীয় কর্মী বা সমর্থক নয়।খুন হলেন কালনা ১ ব্লকের সুলতানপুর পঞ্চায়েত প্রধান শুকুর আলী সেখ (৩৬) এবং প্রধানের ছায়াসঙ্গী বাপন সেখ (৩২)। এই খুনের অভিযোগের তীর কালনা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ সাদেক সেখের দলবলের বিরুদ্ধে।নিহতর পরিবারের তরফে কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে রবিবার দুপুরে।এদিন সন্ধে অবধি কালনা থানার পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জন কে আটক করেছে।এলাকাসুত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধেবেলায় সুলতানপুর পঞ্চায়েত অফিস থেকে মোটরবাইক করে বাড়ী ফিরছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান শুকুর আলী সেখ এবং বাপন সেখ।কালনার হরিশংকরপুর মোড়ে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতি চলন্ত অবস্থায় থাকা শুকুরের দিকে ইট পাথর ছোড়ে, তারপর লাঠিপেটা করে।সেইসাথে দশ থেকে বারো রাউন্ড গুলি মারে।প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে এই তাণ্ডবলীলা চলার পর স্থানীয়রা ছুটে এলে দুষ্কৃতিরা অন্ধকারের সূযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়।গুরতর আহত অবস্থায় দুজন কে কালনা মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে বুকে গুলিবিদ্ধ বাপন সেখের মৃত্যু ঘটে।সেইসাথে পঞ্চায়েত প্রধান শুকুর আলী সেখ কে চিকিৎসার জন্য কলকাতা নিয়ে যাবার পথে মারা পরে সে।দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের তীর দলেরই নেতা তথা কালনা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ সাদেক সেখের দলবলের বিরুদ্ধে।শুকুর আলী সেখের বিপক্ষ গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে সাদেক - বাদল সেখ রয়েছে।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয়ভাবে এক গোষ্ঠী নিরঙ্কুশ প্রভাব পেতে অন্য গোষ্ঠীর নেতাদের খুন করলো।পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর অসন্তোষ তৈরি হয়েছে কালনার সুলতানপুর এলাকায়।চারদিন আগে এই জেলাতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জেলাপুলিশের তিনজন ওসি কে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য সর্তক করে গেলেন।সেখানে এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রকাশ্যে ভরসন্ধায় কালনা শহর ঘেঁষা এলাকায় খুন হয়ে গেলেন। তাতে কালনা থানার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।


ছবি শোকার্ত পরিবার 

রবিবার, মার্চ ২৫, ২০১৮

মেখলিগঞ্জে রাম নবমী পালিত হলো

মেখলিগঞ্জ

রামনবমী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে রবিবার দিনটি মহাসমারহে পালিত হল কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকেও।এই উপলক্ষে এদিন মেখলিগঞ্জ শহরে একটি শোভাযাত্রাও বের হয়।যেটি বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে।শোভাযাত্রায় দধিরাম রায়,শ্যামল চন্দ্র প্রমুখ নেতৃত্ব দেন।

খেড়ুর ছাতনী গ্রামে রাম নবমী

প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়

শুভ রামনবমী উপলক্ষ্যে ভাতাড়ের  খেড়ুর ছাতনী গ্রামে হনুমানজির মন্দিরে আজ পূজার আয়োজন করেছে গ্রামবাসী বৃন্দ। গ্রামের প্রচুর মানুষ অংশ গ্রহণ করে এই অনুষ্ঠানে । বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এই পূজা উপলক্ষে।

মঙ্গলকোটে শিশুদের পোলিও খাওয়ানো চলছে

মোল্লা জসিমউদ্দিন

রবিবার ভোর থেকে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন গ্রাম থেকে সড়কমোড়ে শুরু হয়েছে শিশিদের পোলিও খাওয়ানোর কর্মসূচী। ব্লক মেডিক্যাল অফিসার ড: প্রণয় ঘোষ জানান - বাড়ী বাড়ী আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা খবরাখবর নিয়ে প্রত্যেক শিশু কে পোলিও খাইয়ে চলেছেন।

পোলিও রোববার চলছে স্বরুপনগরে

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

আজ ২৫শে মার্চ, পোলিও রবিবার৷সারা রাজ্যের সাথে সংগতি রেখে স্বরুপনগর ব্লকে প্রত্যেকটি সেন্টারে ০ থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মারন রোগ পোলিও থেকে মুক্তি পেতে দুই ফোটা পোলিও খাওয়ানোর কর্মসূচী শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচী চলবে ৩১শে মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত।

রাম নবমীর প্রস্তুতি ঘিরে বর্ধমান শহরে তৃনমূল বনাম বিজেপির ঝামেলা

সুরজ প্রসাদ

রাম নবমীকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে বর্ধমান শহরে উত্তেজনা ছড়ালো। বর্ধমান শহরের মালির মাঠে রাম নবমীর মঞ্চ ভেঙে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় বেশ কয়েকটি সাইকেল ও মোটর বাইক ভাঙচুর হয়। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক। ঘটনার পরে রাতেই বিজেপি কর্মীরা বর্ধমান থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।যদিও শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

কাটোয়ায় তৃনমূলের রাম নবমীর মিছিল

পুলকেশ ভট্টাচার্য

রবিবার সকালে কাটোয়া শহরে রাম নবমী উপলক্ষে তৃনমূল কংগ্রেস এক মিছিল করে থাকে।মিছিলটির নেতৃত্ব দেন এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।

শনিবার, মার্চ ২৪, ২০১৮

কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে মৃত্যু মায়ের, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ

মানস দাস,মালদা

কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো মা।হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতার পরিবার।তবে সুস্থ রয়েছে সদ্যোজাত কন্যা সন্তান।অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে মালদার মানিকচক গ্রামীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানাগেছে,মৃত প্রসূতির নাম শঙ্করী মন্ডল(২৯)।স্বামী ফুলকুমার মন্ডল।পেশায় কৃষিজীবী।মানিকচকের রামনগর এলাকার বাসিন্দা।পরিবার সূত্রে জানাগেছে,এই দম্পত্তির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।তৃতীয় সন্তানের প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে শঙ্করী দেবীকে শক্রবার রাতে পরিবারের সদস্যরা মানিকচক গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করেন।ভোর নাগাদ কন্যা সন্তান জন্ম দেন মহিলা।পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সন্তান প্রসবের পর সঙ্করী শাররীক অবস্থার অবনতি হয়।চিকিৎসকদের বারংবার চিকিৎসার জন্য বলা হলেও কোনো চিকিৎসকই চিকিৎসা করতে এগিয়ে আসেনি।শনিবার সকালে অবশেষে মৃত্যু হয় প্রসূতির।কার্যত চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির বলে অভিযোগ পরিবারের।তারপর মৃতার পরিজনেরা হাসপাতালের সামনে সামান্য বিক্ষোভ দেখায়।ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ আধিকারিক ডঃ হেম নারায়ণ ঝা বলেন,"একটি মায়ের মৃত্যু হয়েছে।এখনো পর্যন্ত আমার কাছে এই বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।

আর্থিক দুর্নীতির দায়ে শাস্তিমূলক বদলী মালদায়

মানস দাস,মালদা

শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। আর কোনো শিক্ষক যদি আর্থিক দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে প্রশ্ন উঠবেই। এমন এক ঘটনা ঘটলো মালদায়।  একাধিক অনিয়মের অভিযোগে মালদা শহরের এক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শাস্তিমূলক বদলি করা হল। এই ঘটনায় আজ শহরের শিক্ষক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায় । অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন। আজ তিনি স্কুলে আসেননি।মালদা শহরের অক্রুরমণি করোনেশন হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগে প্রায় ছয় বছর ধরে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন মনোজ মিত্র। মনোজবাবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে যার মধ্যে অন্যতম টাকার বিনিময়ে স্কুলে ছাত্র ভর্তি করা। এনিয়ে একাধিকবার স্কুলে গোলমাল হয়েছে। মনোজবাবুর বিরুদ্ধে শিক্ষা দপ্তরে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিছুদিন আগেও অনিয়মের অভিযোগে স্কুলে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। তারপর শিক্ষা দপ্তরের তরফে তাঁকে অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সকালে স্কুলে যান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি আশিস কুণ্ডু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক), সার্কেল ইন্সপেক্টর এবং অভিভাবকদের একাংশ। স্কুলে সবার সঙ্গে বৈঠক করার পর আশিসবাবু জানান, শিক্ষা দপ্তর প্রধান শিক্ষককে বদলির নির্দেশ পাঠিয়েছে। 
স্কুলের শিক্ষক রজত ভট্টাচার্য বলেন, “মনোজবাবুর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ রয়েছে। এই স্কুলে দূরের এলাকার ছাত্ররা ভর্তি হলেও এলাকার পড়ুয়ারা ভর্তির সুযোগ পেত না। এনিয়ে স্কুলে মাঝেমধ্যেই স্থানীয় অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতেন। মনোজবাবু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ভেদাভেদ করার চেষ্টা করতেন। তাঁর আমলে পঠনপাঠন নিয়েও একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।” প্রায় একই বক্তব্য স্কুলের শিক্ষিকা বৈশালি চক্রবর্তী ও চিন্ময়ী মণ্ডলের। স্থানীয় অভিভাবক সনু শেখ বলেন, “মনোজবাবু অভিভাবকদের দিয়ে স্কুল চত্বর সাফ করাতেন।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER