শনিবার, এপ্রিল ১১, ২০২০

মহিষাদল পুলিশের উদ্যোগে বাড়ি পাচ্ছে অসহায় ছাত্রী

পুলিশের উদ‍্যোগে বাড়ি পাচ্ছে ভিক্ষুক ছাত্রী
জুলফিকার আলি, 
  
 ভিক্ষুক ছাত্রীর সরস্বতী পন্ডার আগুনে বাড়ি পুড়ে যায়। এরপর সেই খবর জানায় মহিষাদল থানার সহযোগিতায় অবশেষে বাড়ি পাচ্ছে মহিষাদলের ভিক্ষুক ছাত্রী সরস্বতী পন্ডা। শনিবার সকালে মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস ভিক্ষুক ছাত্রী সরস্বতী ও তার মা শঙ্করীর হাতে যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি তা নতুন করে গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার বিকেলে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের জেরে আগুনে পুড়ে যায় মহিষাদলের ইটামগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনপুর উপেন্দ্র মিলন বিদ্যাপীঠের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সরস্বতী পন্ডার বাড়ি। এরপর ছাত্রী সরস্বতী ও ভিক্ষুক মা শঙ্করী কি খাবে বা কোথায় থাকবে তা নিয়ে ভাবতে রাতকুলোচ্ছিল ছিল না তাদের। মা ও মেয়ে দু'জনে ভিক্ষা করেই কোনরকম চলে যেত সংসার। কিন্তু তার মাঝেই আগুনে পুড়ে যায় তাদের থাকার একমাত্র বাসস্থান টুকুও। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বেশ কিছু সামগ্রী দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু থাকবে কোথায়? সেই প্রশ্ন জাগছিল তাদের মনে। বর্তমানে গ্রামের এর বাড়ি ওর বাড়ি কাটছিল তাদের রাত। কিন্তু তাও বা কতদিন? এরপর ভিক্ষুক মা ও মেয়ের দুর্দশার খবর জানতে পারেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। এরপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। শনিবার সকালে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় সাহায্য ও দ্রুত বাড়ি তৈরির আশ্বাস দেন। এছাড়াও ওই ছাত্রীর পুড়ে যাওয়া বই, খাতা সহ যাবতীয় সামগ্রী ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। পুলিশের এই ধরনের উদ‍্যোগে খুশি সকলেও। মা ও মেয়ে জানান, "আমরা খুবই খুশি। ওনার যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করলেন তা ভুলতে পারবো না।"
মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস বলেন, "আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি।"

কোলাঘাটে সিদ্ধা ২ নং অঞ্চলে আদিবাসীরা খাদ্য সামগ্রী চাইছে


জুলফিকার আলি, 
  কোলাঘাট ব্লকের সিদ্ধা - ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবনি শাসন, গোপালনগর, দেহাটী,কলিশ্বর গ্রামের প্রায় শতাধিক আদিবাসী পরিবার গত ২২মার্চের পর থেকে খুবই কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করছে। এ পর্যন্ত আলাদা করে কোনো সরকারি সাহায্য ওদের কাছে পৌঁছায়নি। ওই আদিবাসী পরিবারের হাতে খাওয়ার জন্য সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়ে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ কোলাঘাট ব্লকের বিডিও মদন মন্ডলের কাছে হোয়াটস্অ্যাপ মারফত স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পরিষদের সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র নায়ক বলেন, ঐ পরিবারগুলির প্রায় তিন শতাধিক মানুষ কয়েকদিন ধরে অর্ধভুক্ত রয়েছে। ওদের অবিলম্বে সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন।

করোনায় একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের দরবারে বিজেপি

জুলফিকার আলি,   
শনিবার  রাজভবনে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা। রাজ্যপালের কাছে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরতে চান তাঁরা।

করোনা মোকাবিলায় অন্যতম হাতিয়ার হল পরীক্ষা করানো। সেখানে বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে যথাযথভাবে পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। এছাড়াও করোনায় মৃতের সংখ্যাও রাজ্য গোপন করছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এদিন রাজ্যপালের কাছে সেই বিষয়টি তুলে ধরতে চান তাঁরা। লকডাউনে দুঃস্থ পরিবারগুলির মুখে অন্ন তুলে দিতে বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা চালু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেক্ষেত্রেও দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিজেপির অভিযোগ। বিজেপির নেতাদের দাবি, মুখ দেখে রেশন দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীরা বেশি চাল তুলে নিচ্ছেন।

নিম্নমানের রেশন সামগ্রীর অভিযোগ চন্ডিপুরে

জুলফিকার আলি, 
  
বিশ্ব ত্রাস করোনা মহামারীর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুর থানার পাটনা গ্রামে  সকালে রেশন দোকানের বিনিয়োগ ও অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার প্রতিবাদে, সংখ্যালঘু মানুষজন সহ প্রায় তিনশত গ্রাহক রেশন ডিলার কে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই  রেশন দোকান থেকে অত্যন্ত নিম্নমানের অর্থাৎ দুর্গন্ধযুক্ত আটার প্যাকেট ও পুকালাগা গম চাল ডাল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ  । এই খাদ্য সামগ্রী খেয়ে বাড়ির লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে দাবি । গতকাল ওই ধরনের রেশন সামগ্রী দেওয়ার প্রতিবাদ জানান গ্রাহকরা।আজ সকালে পুনরায় একই ধরনের রেশন সামগ্রী দেওয়া শুরু হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। তাদের বক্তব্য, যে রেশন সামগ্রী এখন দেওয়া হচ্ছে তা বহু পুরনো মজুদ করা। আটার প্যাকেট এর এক্সপায়ারি ডেট অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। আর সদ্য পৌঁছানো ভালোমানের রেশন সামগ্রী অন্যত্র পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় স্থানীয় পর্যায়ে।  
এ বিষয়ে রেশন ডিলার সন্ধারানী মাইতির বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও জানা সম্ভব হয়নি। তবে, পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষণ মাঝির বক্তব্য, কিছু আটার প্যাকেট এক্সপায়ারি ডেট ছিল। কিভাবে এলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্যা মিটে গেছে। এখন রেশন সামগ্রী সুষ্ঠুভাবে দেওয়া হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে।

করোনায় ত্রাণ সামগ্রী বিলিতে তমলুকের নজরুল সংঘ



জুলফিকার আলি

   নজরুল সংঘের ত্রাণ বিতরণ।।             পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার আলিনান গ্রামে নজরুল সংঘ এর উদ্যোগ এ করোনা সংক্রমন ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে চলছে লক ডাউন সেই লকডাউন সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ জনের তাই তাদের কথা ভেবে এগিয়ে এলেন নজরুল সংঘ। নজরুল সংঘ এর তরফে এলাকার ২৫০ টি পরিবার এর হাতে আলু পিয়াজ ডাল সোয়াবিন। এবং এলাকার মানুষ জন কে করোনা নিয়ে সচেতন করলেন।

করোনায় চরম সর্তকতা পূর্ব মেদনীপুর হোমগুলিতে

জুলফিকার আলি, 
  
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট, জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর , জেলা প্রশাসনের অফিস তমলুক,পূর্ব মেদিনীপুর এর তরফ থেকে আজ  9 ই এপ্রিল ২০২০ জেলা প্রশাসন দপ্তরের কনফারেন্স হলে জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর এর আওতায় জেলার মোট 22 টি আবাসিক হোম (জুভেনাইল জাস্টিস,বৃদ্ধাশ্রম, স্বধার গৃহ) করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে হোমের আবাসিকদের সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে ব্যবহারের জন্য 22 টি হোমের প্রতিনিধিদের হাতে 180 কেজি  ব্লিচিং, 750 টি মার্কস,107 হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ১০৭ টি হ্যান্ডওয়াশ তুলে দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পূর্বমেদিনীপুর এর জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা শাসক সাধারণ সুদীপ সরকার, জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক শ্রী পূর্ণেন্দু পৌরাণিক ,জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের লিগ্যাল কাম প্রবেশন অফিসার শ্রী আলোক বেরা ।

শুক্রবার, এপ্রিল ১০, ২০২০

পায়ে ইনফেকশন নিয়ে লোকের দয়ায় মেমারিতে এক ভবঘুরে

সেখ সামসুদ্দিন
  

 মেমারি বিডিও অফিস চত্বরে দেখা গেল এক ভবঘুরে। প‍্যান্ট সার্ট পরা, শিক্ষিত ও আভিজাত‍্যের ছোঁয়া, সঙ্গে একটা বড়ো ব‍্যাগে জামাকাপড় সহ প্রয়োজনীয় জিনিস সব আছে। কথাবার্তায় মানসিক রোগী বলেই ধারণা হল। বিডিও অফিস চত্বরে বেশ কিছু দিন ধরে ঘোরাঘুরি করছে। টাকা পয়সা দিলে নেয় না। বিডিও বলে দেওয়ায় দিনে টিফিন, চা দুপুরের খাবার দেয়া হয়। পায়ে কোন ইনফেকশন আছে। নাম গৌতম মুখার্জী, কলকাতা টেরিটি বাজার এলাকার বিএসএনএল অফিসের স্টাফ এবং বাড়ি হাওড়া বলে জানা যায়। বাড়িতে কে আছে জানতে চাইলে বলে বিয়ে করেনি, একটা ছোট বোন আছে। ছবি তুলতে গেলে তীব্র আপত্তি জানাই, বলে প্রচুর রেডিয়েশন। ফলে অনেক দূর থেকে একটা ছবি নিয়ে ক্রপ করে নেয়া হয়, সেটাও দেখে বলে আপনাকে বাড়ন করলাম, আপনি তারপরেও ছবি নিলেন, রেডিয়েশনে মারবেন। উনি কলকাতায় প্রচুর দূষণ এবং দূষণে এলার্জী আছে বলে এদিকে পালিয়ে এসেছেন। বিএসএনএল যে ভিআর বা ভিআরএস নেওয়ার বিষয়টিও ওয়াকিবহাল কিন্তু ওনার চাকরি কেউ খেতে পারবে না। ট্রেন চললেই ফিরে যাবে। অফিস থেকে তিনবার চিঠি দিয়েছে অফিসে জয়েন করার জন‍্য। তবে মনোবিকারের রোগী বলেই মনে হয়। জয়েন্ট বিডিও বলেন দেখুন নিউজ করে যদি কোনো সন্ধান বের হয়।

করোনা সচেতনতার গান গেয়ে সাহায্যের অনুদান তুলছে দেবাঙ্কিতা

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব

   
করোনা ভাইরাস" এর মোকাবিলায় নিজের তিল তিল করে ঘটে জমানো খেলনা কেনার টাকা পুরোটাই তুলে দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে। খেলনা কেনার জন্য জমানো ১০০০০টাকা নিজের স্বইচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার পর মানুষকে লক ডাউন নিয়ে  সচেতন করার লক্ষে এবার নিজের জীবন কে বাজি রেখে রাস্তায় নামলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গার ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে শিল্পী দেবাঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
বাবা,মায়ের একমাত্র ছোট্ট এই ৬ বছরের মেয়ে গানের সঙ্গে যুক্ত। বিগত দিনে বিভিন্ন ফাংশনে অর্কেষ্টাতে গান গেয়ে টাকা পেয়ে হাসতে হাসতে সেই টাকা তুলে দিত দুঃস্থ,গরীব মানুষের কল্যানার্থে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে লক ডাউন চলছে। কিন্তু টিভিতে সে খবরে দেখছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অনুরোধ করা স্বত্তেও লক ডাউন মানছেন না অনেকেই। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখছেন না অনেক মানুষ। তাই লক ডাউন নিয়ে মানুষ কে সচেতন করতে এবার রাস্তায় নামলো ওই ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে। সকাল থেকে কখনো বসিরহাট,বাদুড়িয়া আবার কখনো বা বনগাঁ,হাবড়া,গাইঘাটার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারগুলিতে গিয়ে নিজের গলাতে করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষ কে সচেতন করার লক্ষে করোনা সম্বন্ধীয় গান গেয়ে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চাইছে সে। পরে সেই ভিক্ষার পুরো  টাকা সেই এলাকার থানার ওসি কিংবা আই সি অথবা বিডিওর হাতে তুলে দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য তার একটাই,সচেনতনা মূলক গান গেয়ে মানুষ কে বুঝিয়ে এই  করোনা ভাইরাসের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা ও গরীব মানুষের কল্যানার্থে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে টাকা তুলে দেওয়া। তবে ৬ বছরের ক্ষুদে শিল্পীর এই ধরনের মানবিক প্রয়াস দেখে তাজ্জব সকলেই।

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে আদালত গুলি কে স্যানিটাইজার করতে চিঠি

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে তথ্য সমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলে'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল। প্রধান বিচারপতি কে উদ্দেশ্য করে এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে। আনসার বাবু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু এর নির্দেশিকা সহ গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস এর মারণ থাবার ভয়াবহতা উল্লেখ করে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন টি রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল এই চিঠি ইমেল মারফত পাঠানো হয়।    মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি  কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে  জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন  সংক্রান্ত   মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে   বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য  আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়েছে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও  বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি  কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে।  যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ৯০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও  শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল।  এরেই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল প্রধান বিচারপতি কে ১৩ পাতার তথ্যসমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালতগুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে।               
                                                                                                                                                                                                                           

জেনে নিন কবে বসছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল বলা যায়। নিম্ন আদালতে জামিন সংক্রান্ত মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া থমকে। দফায় দফায় করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লকডাউন বৃদ্ধি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের বার কাউন্সিলের অফিসে বৈঠক করে কলকাতা হাইকোর্টের ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত অচল থাকার সির্দ্ধান্তে সায় দিয়েছেন। বার কাউন্সিল এর ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - ",আগামী ১৭ এপ্রিল বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক বসছে আইনজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা সহ একাধিক বিষয়ে "। গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়ের জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে -' ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৫ দিন বিশেষ বেঞ্চে মামলার অনলাইন শুনানি / আদেশনামা  চলবে । ২ টি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং ৩ টি করে সিঙ্গেল বেঞ্চ সর্বমোট ৫ টি বেঞ্চে চলবে ডিজিটাল বিচার-প্রক্রিয়া। ১৬ এপ্রিল, ২১ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল এবং ৩০ এপ্রিল জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে'। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশিকা। ধাপে ধাপে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ এপ্রিল অবধি রাখা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে বিচার প্রক্রিয়ায় মামলার পিটিশন থেকে শুনানি এমনকি রায়দান / আদেশনামা সবই হচ্ছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। মামলার প্রাক্কালে মামলাকারী আইনজীবির ইমেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগকারী আইপি নাম্বার সব বিশদে জানানো হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে।                                                                                                                                                  

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ০৯, ২০২০

লকডাউনের শবেবরাত - মোল্লা জসিমউদ্দিন

লকডাউনের শবেবরাত 
মোল্লা জসিমউদ্দিন ( টিপু)    

ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়েই বেঁচে থাকা তাই শবেবরাত রাতে ওরা আসে নিজ নিজ ঘরে

ওরা বলতে, যারা বেঁচে নেই এই জগতে
যারা কবরে জেগে আছে অনন্তকাল 
আব্বা, তোমাকে যে চিরতরে হারিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে 
মাথার উপর  বটবৃক্ষ নেই, তবে আছে তোমার অফুরন্ত আর্শীবাদ 
তোমার নামে পরিচিত আজ সমাজের কাছে 
তোমার রক্ত যে বইছে আমার শরীরে
শবেবরাতের রাতে স্মৃতি  রোমন্থনে চোখের কোনে আসে পানি 
যেখানেই থাকো 
ভালো থেকো 
সর্বদা আছো আমার পাশে 
তা উপলব্ধির শেকড়ে তা মানি

ছবি - ফাইল চিত্র

কলকাতা হাইকোর্টে জামিন খারিজ তিন চিটফান্ড কর্তার

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)    
বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে যে কয়েকটি মামলা উঠেছিল জরুরি শুনানির জন্য। তার মধ্যে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিনের আবেদন মামলাটি অন্যতম।উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় গত ১৬ মার্চ থেকে  কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল। তবে রাজ্যের আদালতগুলির এসিজেম এজলাসে শুধুমাত্র জামিন / অভিযুক্তদের পেশ  সংক্রান্ত পিটিশন দেখা হচ্ছে। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ বিশেষ বেঞ্চ জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলাগুলি শুনছে। তবে সমগ্র বিচার প্রক্রিয়াটি ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বিশেষ বেঞ্চে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিনের শুনানি চলে। পিনকন কোম্পানির মালিক মনোরঞ্জন রায়, এমপিএস কোম্পানির মালিক প্রমথনাথ মান্না এবং পৈলান গ্রুপের মালিক অপূর্ব সাহার জামিনের আবেদনে শুনানি হয়। মনোরঞ্জন রায়ের পক্ষে আইনজীবী দেবাশীষ রায় সওয়াল করেন। প্রমথনাথ মান্নার পক্ষে তাঁর মেয়ে সওয়াল করেন ভিডিও কনফারেন্সে। সেখানেও বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ তিন চিটফান্ড কর্তার জামিন খারিজ করে দেয়। জামিনের পক্ষে যুক্তি হিসাবে এঁদের শারীরিক অবস্থার উল্লেখ করা হয়। এমপিএসের মালিক প্রমথনাথ মান্নার ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে, তাছাড়া জেলে থাকলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে বলে দাবি ও রিপোর্ট দেখানো হয়। সেখানে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গত ১ এপ্রিলে শুনানির সময় দমদম জেল সুপারের রিপোর্ট চেয়েছিল। সেখানে আজ সেই রিপোর্টে কোন নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয় জেলখানার তরফে। তবে চিটফান্ড কর্তার মেয়ের আর্থিক সঙ্গতি খারাপের উদাহরণ শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ আরজিকর হাসপাতালে এমপিএস কর্তার চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেয়। তবে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিন খারিজ করে দিলেও বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয় - শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তারা পুনরায় এখানে আবেদন করতে পারবেন জামিনের জন্য।                                                                                                                                   

করোনায় রাজ্য তথ্য গোপন করছে, এই অভিযোগে মামলা হাইকোর্টে

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
   


বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলে। করোনা পরিস্থিতিতে মামলা গুলির ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলে। এদিন  বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চের  এজলাসে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি তথ্য গোপন নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলে। মামলাকারী ডঃ ফুয়াদ হালিমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়। মামলার পিটিশনে উল্লেখ করা থাকে যে - আইসিএমআর  এর গাইডলাইন মানছেনা রাজ্য। সেইসাথে  করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত, নিহত সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । এহেন বক্তব্য মামলার প্রাক্কালে ইমেল মারফত এবং বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে রাখেন মামলাকারী এবং তাঁর আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতিরা রাজ্য কে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য গুলি কে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছেন আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পুনরায় জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি রয়েছে।রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন নিয়ে ডঃ ফুয়াদ হালিমের পাশাপাশি স্মরজিত রায় চৌধুরী নামে আরেক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলাটি করেন। স্মরজিত বাবুর ভিডিও কনফারেন্স সওয়ালে উঠে আসে - করোনায় কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্য প্রক্রিয়া টি কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা হচ্ছে?  বস্তি এলাকায় সেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি প্রচার অভিযান নেই। তাছাড়া সরকারি / বেসরকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌছাছেনা দুর্গতদের কাছে। অপরদিকে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সদর প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে করোনা নিয়ে সর্বশেষ রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাতে এই রাজ্যে ৭১ জন আক্রান্ত তাও ১১ টি পরিবারের মধ্যে ৬১ জন রয়েছেন। সেইসাথে করোনায় ৫ জন মারা গেছেন বলে রাজ্যের তরফে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।                                                                                        

বুধবার, এপ্রিল ০৮, ২০২০

করোনা মোকাবিলায় মন্ত্রীর মা তুলে দিলেন বাৎসরিক পেনশন

সুভাষ মজুমদার

  কোভিড ১৯(করোনা ভাইরাস) এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পাশে থাকতে এবারে ধনিয়াখালি বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অসীমা পাত্রের মা বেচারানী পাত্র নিজের এক বছরের পেনশনের   ৬০,০০০( ষাট হাজার) টাকা রাজ্য সরকারের আপৎকালিন রিলিফ ফান্ডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে তিনি তুলেদেন ৷

সাংবাদিকদের করোনা সচেতনতা বাড়াতে মাস্ক বিলিতে সভাধিপতি

সেখ রতন 

করুনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন ।এই অবস্থায় চিকিৎসাক সহ বেশ কিছু আপৎকালীন পরিষেবা চলছে ।সেইসব দফতরের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে বের হচ্ছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে ,এই অবস্থায় যারা ঘরের বাইরে বেরোবেন ,তাদের কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।জার মধ্যে আছে মাক্স পড়ে বাইরে বেরোতে হবে,বারেবারে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে ,এইসব বিষয় মাথায় রেখে বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের কর্মীদের মাক্স ও সাবান দেওয়া হল। সভাধিপতি শম্পা ধারা সকলের মধ্যে মাক্স ও সাবান বিলি করলেন। পাশাপাশি এদিন সাংবাদিকদের মধ্যে মাক্স ও হাত ধোয়ার সাবান বিলি করা হয়।

মেমারির বাগিলায় এসডিপিও দেখলেন করোনায় দুর্গতদের

সেখ সামসুদ্দিন, 

  মেমারি শহর অভিযানে এসে এসডিপিও ভিজিট করলেন মেমারি ১ ব্লকের বাগিলা অঞ্চলের বাগিলা নিম্নবুনিয়াদী স্কুলে। লকডাউন পরিস্থিতিতে হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টার মধ‍্যে মেমারি থানা ১ মহিলা সহ ৩৭ জনকে ঐ স্কুলে রাখার ব‍্যবস্থা করে। বাগিলা অঞ্চল সভাপতি তথা মেমারি ১ ব্লক যুব সভাপতি নিত‍্যানন্দ ব‍্যানার্জী ও যুব সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সদস‍্য প্রলয় পালের  তত্বাবধানে তাদের থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় দেখভালের কাজ চলছে। ওখানে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা দিনের পাঁচ টাইম চা-বিস্কুট, টিফিন, দুপুর ও রাতের আহারের ব‍্যবস্থাপনায় অত‍্যন্ত খুশি এবং তারা বাড়িতেও জানিয়ে দেয় এখানে তারা খুব ভাল আছে, চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। তাদের বাড়ির লোকেরাও খুশি বলে জানায়। আজকের দুপুরের মেনু ছিল ভাতের সঙ্গে আম-আলু-মুসুর ডালের তরকারি এবং রাতের মেনুতে মুরগির মাংস রাখ আছে বলে জানান প্রলয় পাল। তিনি আরও জানান ইতিমধ্যে মেমারি ব‍্যবসায়ী কল‍্যাণ সমিতির সম্পাদক রামকৃষ্ণ হাজরা ও সভাপতি কুমার কান্তি রায় চাদর ও মশারি দেয়। মেমারির আঁচল সংস্থা, বিবেকানন্দ ইয়ংস কর্নার, বাগিলা আলোক সংঘ, বাগিলা গনেশ পুজো কমিটি, দধিচী একদিন করে পৃথকভাবে খাবার দেয়। পাল্লা পল্লীমঙ্গল সমিতি খাদ‍্যদ্রব‍্যের সঙ্গে মাস্ক, স‍্যানিটাইজার, সাবান ইত‍‍্যাদি দেয়। মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন লুঙ্গি, শাড়ি, মাজন, সাবান, মশকিট, হারপিক, ফিনাইল ইত্যাদি দেয়। তৃণমূল নেতা প্রসুন দাস ও সৌরভ সাঁতরা গেঞ্জি, মাদার টেরেসা নার্সিং হোম থেকে লুঙ্গি ও চুড়িদার এবং মেমারি নির্মাণ কর্মী ইউনিয়ন চিঁড়ে- চিনি দিয়ে যায়। এর বাইরে গ্রামের মানুষ ও মেমারি থানার পুলিশ  সার্বিক সহায়তা দিচ্ছেন। প্রলয় পাল ক্ষোভ জানান এসডিও এবং এডিএম (জেলা পরিষদ) মেমারি ব্লকে এলেও একবার এই শিবির পরিদর্শনে না আসার জন‍্য। তবে লকডাউনের বিষয়ে ব‍্যাপক প্রচার করছেন অঞ্চলে, এদিনেও প্রচার পর্ব শেষ করে মধ‍্যাহ্নভোজের সময়ে শিবিরে আসেন। এসডিপি এই শিবিরে এসে মহিলা সহ সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। যতদিন লকডাউন চলবে নিশ্চিন্তে এখানে থাকুন শ্রমিকদের বলে যান এসডিপিও আমিনুল ইসলাম।

দক্ষিণেশ্বর যোগ্যাদা মঠের খাদ্য সামগ্রী বিলি

শ্যামল রায়


   
দক্ষিণেশ্বর যোগাদ্যা মঠের পক্ষ থেকে ত্রাণ প্রদান

করোনাভাইরাস এর জেরে গোটা বিশ্বের সাথে আমাদের ভারতবর্ষেও চলছে লকডাউন। লকডাউন এর জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই এই সকল গরীব অসহায় মানুষদের পাশে অনেকেই দাঁড়াচ্ছেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে।
এদিন যোগাদ্যা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া দক্ষিণেশ্বর শাখার পক্ষ থেকে ত্রাণ প্রদান অনুষ্ঠান হয়। বেলঘড়িয়া থানা কর্তৃপক্ষের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেন যোগাদ্যা মঠের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা অধ্যক্ষ স্বামী অচ্যুতানন্দ মহারাজ। জানা গিয়েছে মঠের পক্ষ থেকে বারোশো কেজি চাল দেড়শ কেজি ডাল দেড়শ কেজি তেল তিন শতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বেলঘড়িয়া থানা কর্তৃপক্ষের হাতে।

নবদ্বীপ হাসপাতাল জীবাণু মুক্ত করতে হাজির মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

শ্যামল রায়

  নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জীবাণুমুক্ত করল দমকল বাহিনীর কর্মীরা। ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
বুধবার নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গা জীবাণুমুক্ত করল নবদ্দীপ দমকল বাহিনীর কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অন্যতম প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং হাসপাতালে বাপ্পা ঢালী সহ অনেকে।
করোনাভাইরাস এর জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। লকডাউন এর প্রাক্কালে বিভিন্ন পৌরসভা পঞ্চায়েত সমিতি এবং হাসপাতালে চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ। ইতিমধ্যে এই কাজে যুক্ত হয়েছেন দমকল বিভাগের কর্মীরা। এদিন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন প্রান্তের বিল্ডিংগুলো জীবাণুমুক্ত করল দমকল কর্মীরা। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ উপস্থিত থেকে বলেন যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে কারণ এই রোগ অতি ভয়ঙ্কর প্রতিদিন বাড়ছে তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেমন যথেষ্ট তৎপর হয়েছেন সকলকে সচেতন করতে আমিও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অসহায় গরীবদের পাশে দাঁড়াচ্ছে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলি জীবাণুমুক্ত করার কাজে নিজেকে উপস্থিত রাখতে পারছি এবং সচেতন করছি মানুষকে।

মনের অজান্তে - আরতি সেন

মনের অজান্তে
          আরতি সেন

মনটা আমার হারিয়ে গেছে
অজানা  দিগন্তে।
আজ আবার  হারিয়ে যাচ্ছি
মনের অজান্তেই।
খুঁজে আমায় পাবেনা কেউ
 অচিনপুরের মাঝে।
পথে পথে ঘুরবো কেবল
সকাল এবং সাঁঝে।
ভোরের আকাশ  রাঙিয়ে দিয়ে
উঠবে যখন রবি।
দূরের থেকে দেখবো তখন 
আকশের ওই ছবি।
গাছের শাখে পাখিরা সব
করবে মাতামাতি।
তারার দেশে তারা গুনে
কাটিয়ে দেবো রাতি।
মনের খবর জানবে না কেউ
চাইবে ইতিউতি।
অন্ধকার কাটবে কিছু 
জোনাকি দেবে বাতি।
রাতের ফুলের সৌরভতে
আসবে জুড়িয়ে আঁখি।
সকাল হলে ঘুম ভাঙবে
ডাকবে যখন পাখি।
হারিয়ে গেছি, হারিয়ে যাবো
আজ থেকে বহুদূর।
মরুভূমির বালিয়াড়ি
কিম্বা সমুদ্রর।
পথ দেখাবে শঙ্খচিলে
আকাশ  পথে যেতে।
আবার  আমি হারিয়ে  যাবো
অন‍্য দিগন্তে।

ধুবুলিয়ায় ইটভাটা মালিকরা খাদ্য সামগ্রী বিলিতে

ধুবুলিয়া থানার বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
শ্যামল রায়   

বুধবার সাত সকালেই ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে এলাকার গরিব ও দুস্থদের মধ্যে চাল ডাল আলু আটা বিতরণ করা হয়। এদিন বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর রাজাপুর বাহির দীপ ঈশ্বরচন্দ্রপুর বেলপুকুর গ্রাম এলাকার গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের সদস্য ইটভাটার মালিক সুব্রত ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন ভগিরথ ঘোষ তিনি উদ্দিন শেখ জগবন্ধু ঘোষ জগদিশ মণ্ডল মধুসূদন ঘোষ প্রমুখ। জেলা পরিষদের সদস্য সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন যে আমরা ধারাবাহিকভাবে এলাকার গরিবদের জন্য প্রতিদিন চাল ডাল আলু তেল সাবান লবণ তুলে দিচ্ছি। লকডাউন এর জেরে বহু গরিব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অথচ করোনাভাইরাস অতি ভয়ঙ্কর এর হাত থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদের লকডাউন মেনে চলতে হবে তাই আমাদের রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্থানীয় বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস আমাদের সাথে থেকে আমরা এলাকার গরিব মানুষ যাতে খেতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার দিকে নজর রেখে আমরা সকলের পাশে দাঁড়াচ্ছি এবং তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছি। এলাকার ১৫ টি ইটভাটার মালিকদের তরফ থেকে আমরাই খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি।

করোনায় মনোবল বাড়াতে ধনিয়াখালি পুলিশের গান

সুভাষ মজুমদার, 
  এবার করোনা সচেতনতায় রাস্তায় গান গাইলেন পুলিশকর্মী।
বেশ কয়েক দিন ধরেই করোনা সংক্রমণ এড়াতে লক ডাউন সফল করতে পুলিশি ভূমিকার যে ছবি দেখা গেছে এবারে তা একবারে ভিন্ন।
এবার রাস্তায় গান গেয়ে মানুষ কে সচেতন করতে পথে নেমেছে পুলিশ।
একধিক জনপ্রিয় হিন্দি বাংলা গানের সুরে করোনা সচেতনতায় ধনিয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার পুলিশ ক্যাম্পে গান গাইলেন ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়।
ধনিয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় করোনা সচেতনতা  পুলিশের ক্যাম্প করা হয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশের উদ্দ্যোগে।মঙ্গল বার সন্ধ্যায় সাধরণ মানুষ কে করোনা সচেতন করতে একধিক জনপ্রিয় হিন্দি এবং বাংলা গানের সুরে করোনা সচেতন করতে গান গাইলেন ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়।দুদিন আগেই লক ডাউন নিয়ে ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়ের গাওয়া একটি গান ভাইরাল হয়েছিল।

মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৭, ২০২০

বিচারকদের সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিল ৫ লক্ষ টাকা

 করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে সক্রিয় ভাবে দাঁড়ালো ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন। এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসোসিয়েশনের সভাপতি মানস পাল মহাশয় ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডে অনুদান স্বরূপ পাঁচ লক্ষ টাকার একটি চেক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ফিনান্স সৈয়দ নাদীম আইজাজ এর হাতে তুলে দেন ।

সোমবার, এপ্রিল ০৬, ২০২০

করোনায় মঙ্গলকোটের শিক্ষকদের ১ লক্ষ অনুদান

পারিজাত মোল্লা 
  

  সোমবার দুপুরে  পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ১ নং চক্রের অধীনে  সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকা, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ও অফিস কর্মীদের দ্বারা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে   এক লক্ষ তিনশত টাকা দান করা হল। ত্রাণ তহবিল সংগ্রহে বিশেষ উদ্যোগ করেছিলেন চক্রের শিক্ষক মহম্মদ নাসারতুল্লা, শৈবাল চ্যাটার্জী, সৌরভ চ্যাটার্জী, জীবন পাল ,উদয় চ্যাটার্জী প্রমুখ।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সারা বিশ্বে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে  তাতে মঙ্গলকোটের কাশেমনগর এলাকার প্রাথমিক শিক্ষকদের এহেন উদ্যোগ কে   জানিয়েছেন বিডিও মুস্তাক আহমেদ। 



              

আদালত গুলি জীবাণু মুক্ত গড়া হোক, দাবি আইনজীবীদের

মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু),
    
     

মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি  কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৫ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে  জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন / আদালতে পেশ  সংক্রান্ত   মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে   বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৯ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়ে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও  বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি  কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে। আগামী ৯ এপ্রিল সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল এর অফিসে আদালতে লকডাউনে মেয়াদকাল নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে আদালত গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক দাবি নিয়ে প্রস্তাবনা উঠতে চলেছে। যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও  শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল।                                                                                                                                                                                                               

শনিবার, এপ্রিল ০৪, ২০২০

যশ সাহিত্য পরিবার - শুভশ্রী চৌধুরী

যশ সাহিত্য পরিবার 

   শুভশ্রী চৌধুরী   (চতুর্থ শ্রেণী)
সবাইকে তুমি দিয়েছো সুযোগ 
তবে ছোট্ট বলে আমি কেন যাব বাদ।
আকাশে যেমন একটা সূর্য 
           তেমনি একটা চাঁদ।        কবিতা লেখাই আমার নেশা
কচিহাতে তাই লিখছি দুই এক কলি। 
যদি পরিবার অনুমতি দেয়
        তবে কবিতাটি বলি।
শোনো শোনাে কবিগণ
বলি এক গল্প ।
         এক যে ছিল রাজা 
তার রাগ যে ভারি অল্প ।
  বাসে ভালো তাকে সবাই
আট থেকে আশি ।
     তিনি সবার আগে 
ছুটে আসেন মাঝরাতে 
      উঠলে কারো কাশি ।
সকলকে ভালো বাসনে 
      আগলে রাখেন তিনি।
সবার থেকে মিষ্টি তিনি তাই দেখে লজ্জা পায় চিনি ।
আমি সেই যশ সাহিত্য পরিবারের 
      ছোট্ট এক সদস্য।
আমার লেখা পড়ে যেন করো না কেউ হাস্য।

শুক্রবার, এপ্রিল ০৩, ২০২০

৭০টি দিনমজুর পরিবারের পাশে দাঁড়ালো সরমস্তপুর যুব সংঘ

সেখ সামসুদ্দিন

  নোবেল করোনা ভাইরাস (COVID 19 ) এর তান্ডবে জেরবার যখন গোটা বিশ্ব, লক আউট এর জেরে সরকারী নির্দেশ মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই সরমস্তপুর যুব সংঘ ৭০ টি দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হলো অত‍্যাবশ্যক ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ( চাল, ডাল, আলু, আটা, মুড়ি, লবন, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার)। এছাড়াও কিছু মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয় এবং কিছু বয়স্ক মানুষের প্রেসার মাপা হয়। যাদের ঔষধ প্রদান করা হয় তাদের মধ‍্যে উল্লেখযোগ্য হল-
মঞ্জু রায়- প্রেসার সংক্রান্ত,
গীতা সিং- সুগার,
জাইনাব বেগম- সুগার ও প্রেসার, রামপদ রায়- হাঁপানি,
চন্দ্রশেখর পাল- হাঁপানি,
শিবানী হাজরা- সুগার,
মানিক সিং - সুগার,
ববি সিং - চর্ম সংক্রান্ত বলে জানান সরমস্তপুর সরমস্তপুর যুব সংঘের সদস‍্যবৃন্দ। এছাড়াও ৫ হাজার টাকা মুখ‍্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হয়।

কবিতার নাম - নিশি

নিশি
   সংযুক্তা দাঁ

রাতগুলো নিশ্চুপে
  বলে কানে কানে।
নীরবের অবকাশে
    সাড়া দেয় মনে।।

 তারা যেথা ফুটফুটে
   জ্বেলে দেয় আলো।
রাত কহে  অভিমানে
     ঝরাই সে কালো।।
 
  আকাশের বাতি বুঝি
      মেঘ মাখে আদরে।
        বসন্তের রূপ ওঠে
        ঘুম স্যাঁকা চাদরে।।

এবার আলো জ্বালিয়ে করোনায় একতা দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী

জুলফিকার আলি, 

  আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী করনা ভাইরাস মোকাবিলায় জাতির উদ্দেশ্যে একটা ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। 5 th এপ্রিল রবিবার রাত 9 টায় বাড়ির সমস্ত আলো বন্ধ রেখে বাড়ির  দরজায়, বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে এবং কেউ বাড়ির বাইরে না গিয়ে।নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ, বা মোবাইল এর ফ্লাস লাইট জালিয়ে 9 মিনিট এর জন্যে ভারত মাতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবো। এটার মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা 130 কোটি ভারতবাসী জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। আর আমরা কেউ ভয় পায় না। কেউ একা নয় আমরা সবাই সবার পাশে আছি। আমরা জিতবোই করোনা ভাইরাস কে হারাবোই। মানুষ এর জিত হবেই। এবং গোটা বিশ্বকে আমারাই দিশা দেখাবো। দয়া করে এখন কেউ রাজনৈতিক তরজা করবেন না।

করোনা সচেতনতায় প্রচারে পূর্বস্থলী প্রধান

শ্যামল রায়   
শুক্রবার ছিল লকডাউন এর ১২ তম দিন। এদিন করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষকে সতর্ক করার জন্য মাইক নিয়ে বের হয়েছিলেন পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলী। তিনি প্রচার করতে গিয়ে জানিয়েছেন যে সবাইকে লকডাউন মেনে চলতে হবে যদি কেউ বিকেলে লকডাউন না মেনে বের হন তাহলে তাকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে বাড়ি যেতে হবে এরকমটাই হুঁশিয়ার দিয়ে প্রচার সারলেন তিনি। প্রচারে জানিয়ে দিয়েছেন যে লকডাউন এ কোনোভাবেই ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না একমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে বেরিয়ে আবার বাড়িতে ঢুকে যেতে হবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিকেলে বের হন তাহলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়ি যেতেই হবে। কারণ করোনাভাইরাস হেটে হেটে তার নিজের বাড়িতে যাবে না বরং অন্যকেও করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার থেকেই এই মারণব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই সতর্ক তা দিয়ে মানুষকে সচেতন এবং সাবান দিয়ে হাত দেওয়ার কথা মাইকে প্রচার করছেন  গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বাজার এবং গ্রামে গ্রামে। কোন আড্ডা নয় কোন জমায়েত নয় দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি। ইতিমধ্যে জনবহুল এলাকা থেকে তার পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বাজার সরানো হয়েছে এবং বিভিন্ন মুদিখানার দোকান চত্বর গন্ডি।কেটে দেয়া হয়েছে যাতে মানুষ একসাথে না থাকতে পারে দূরত্ব বজায় রেখে জিনিসপত্র কেনার কথা বলা হয়েছে। এদিন পূর্বস্থলী রেল স্টেশন বাজারে মাইকে প্রচার করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলী। তিনি লকডাউন মেনে চলার পক্ষে জোরালো ভাবে প্রচার করেছেন বরং কেউ বের হলে তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়ি যেতে হবে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের এইরকম প্রচারে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে এলাকা সূত্রে খবর। অনেকেই বলছেন প্রধান সাহেব হুঁশিয়ারি না দিয়ে অন্য ভাবে আমাদের সর্তকতা করলে আমরা অনেকেই খুশি হতাম। তবে পূর্বস্থলী এলাকায় দেখা গিয়েছে বাজারসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিভিন্নস্থানে যুবকদের ভিড় লক্ষ্যণীয়।

মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মেমারিতে খাদ্য সামগ্রী বিলি

সেখ সামসুদ্দিন
 

মেমারি ১ ও ২ ব্লক তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কৌশিক মল্লিকের উদ‍্যোগে মেমারি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে গরীব মানুষদের ৩ কেজি করে চাল, ৪ কেজি করে আলু, মুড়ি, বিস্কুট ও সাবান দেওয়া হয়। এখানে ৪০ জনকে খাদ‍্যদ্রব‍্য দেওয়া হয়। একইভাবে বিকালে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সহভাপতি ও যুব সংগঠনের উদ‍্যোগে ৫ নং ওয়ার্ডেও একই খাদ‍্যদ্রব‍্য ১০৭ জনকে প্রদান করা হয়। গতকাল পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার সুপ্রিয় সামন্ত গরীব মানুষদের খাওয়ানোর পাশাপাশি ওয়ার্ডের গরীব মানুষদের চাল, আলু, মুড়ি, বিস্কুট, সাবান দেন। উনি দুশোজনের হাতে এই খাদ‍্যদ্রব‍্য তুলে দিয়ে বলেন লকডাউন যদি বাড়ানো হয় আবারও গরীব মানুষদের এইভাবে খাদ‍্যসম্ভার তুলে দেব। আজ ভাইস চেয়ারম্যান  ৫নং ওয়ার্ডের ১২ টি পরিবারকে খাদ‍্য সহায়তা  দেন। আজকের দুপুরের খাবারে মাংস ভাতের ব‍্যবস্থা করা হয়েছিল এবং সেখানেও দুশোজন খাবার খেয়েছে। এই কর্মসূচিতে ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নার্গিস বেগম, তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি কৌশিক মল্লিক, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ, ছাত্র নেতা মুকেশ শর্মা, শিক্ষক ও সমাজসেবী সৌমিত্র সামন্ত সহ ওয়ার্ডের সদস‍্যবৃন্দ।

বর্ধমান লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে অভুক্তদের ডিমভাত

সুকান্ত ঘোষ

বর্ধমান শহরে লাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে করোনায় অভুক্তদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় এদিন। ক্লাবের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ জানান - এহেন বিপদে আমরা সাধ্যমতো অভুক্তদের একবেলা আহারের আয়োজন করেছি              

করোনা পরীক্ষা করছেন হাঁসন বিধায়ক

তথাগত চক্রবর্তী, 
    সচেতনতা বাড়াতে  বিধায়ক  নিজেই ইম্ফেরেড থার্মোমিটার নিয়ে এলাকায়     মানুষ দেখলেই তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন বীরভূমের হাসনের বিধায়ক মিল্টন রসিদ।

সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার নাম দিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন


  সত্যজিৎ রায় এর সিনেমার নাম দিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।

করোনার ভয়ে *'অপুর সংসার'* তটস্থ। *'অপরাজিত'* থাকতে *'জলসাঘরে'* *'সীমাবদ্ধ'* থাকুন। বারবার *'ঘরে-বাইরে'* করলেই বিপদ। এমন কোনও *'পরশ পাথর'* বা *'দেবী'* নেই যা আপনাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাবে, এমনকি *'জয় বাবা ফেলুনাথ'* বললেও কোনও *'নায়ক'* এগিয়ে আসবে না আপনাকে বাঁচাতে। এই বাজারে *'পোস্টমাস্টার'* ও বাড়িতে। সংসারে সুখের' *'সমাপ্তি'* ঘটিয়ে লাভ আছে? *'সদগতি'* করতেও কিন্তু কাউকে পাবেন না। করোনা নিঃশব্দ *"আগন্তুক"* এর মতো তার *"শাখা-প্রশাখা"* বিস্তার করেছে। এই *'জন অরণ্য'* তে করোনাকে হালকা *'প্রতিদ্বন্দ্বী'* হিসেবে নিলে ভুল করবেন। এখন *'পথের পাঁচালী'* গাইতে গাইতে *'সোনার কেল্লা'* বা' *'কাঞ্চনজঙ্ঘা'* না দেখতে যাওয়াই ভালো। *'সিকিম'* এর দিকটাতেও সমস্যা। এদিকে বাড়িতে থেকে থেকে ' *'চিড়িয়াখানা'* মনে হচ্ছে তো? কুছ পরোয়া নেহি, বাইরে বেরিয়ে লোকের ভিড়ে রোগ না ছড়িয়ে, *'গণশত্রু'* না হয়ে দুপুর বেলা *'হীরক রাজার দেশে'* বা *'গুপি গাইন বাঘা বাইন'* দেখুন। অকারণে *"অভিযান'* করতে গিয়ে রোগ বাঁধিয়ে সংসারে *'অশনি সংকেত'* ডেকে আনার মানে আছে মশাই? একটা কিছু ঘটে গেলে সংসারটাই
*'মণিহারা'* হয়ে যাবে যে। বরং এই কদিন *'অরণ্যের দিন রাত্রি'* কে ফুলে ফলে ভরে উঠতে দিন। আপনার
*'চারুলতা'* কে নিয়ে বাড়িতেই থাকুন। *'মহানগর'* এ ঘুরে না বেরিয়ে একটু ঘরে থেকে ধৈর্য্য ধরুন তবেই না বোঝা যাবে আপনি কত বড় *'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি'*? এখানেই তো প্রমাণ হবে কে *'কাপুরুষ - মহাপুরুষ'*.

সংগৃহীত 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এড়াতে মেমারির ক্ষুদে বিজ্ঞানীর মাস্ক

সেখ জাহির আব্বাস


 মারণ  করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী মাস্ক আবিষ্কার স্কুল পড়ুয়া দিগন্তিকার, বিজ্ঞানী মহলে  আলোড়ন।।  নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ করে মাস্ক নিয়ে যখন চলছে  কালোবাজারি।  ঠিক সেই সময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী অভিনব এক মাস্ক বানিয়ে ফেলল পূর্ব বর্ধমানের  মেমারী বিদ্যাসাগরস্মৃতি বিদ্যামন্দির – শাখা ২ এর একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া দিগন্তিকা বোস। ইতিমধ্যেই তাঁর এই  মাস্ক  ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ সলিউশন চ্যালেঞ্জ এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অপরদিকে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা কিভাবে দিগন্তিকার এই মাস্ক কাজ করছে তা খতিয়ে দেখা শুরু করছে। দিগন্তিকা এর পোশাকি নাম দিয়েছে 'Pure air provider and virus destroyer mask'। উল্লেখ্য, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পরপর নতুন উদ্ভাবনের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার জয় করেছে দিগন্তিকা। এই বছরেই দিগন্তিকা তৈরী করে দুর্ঘটনারোধে চালককে নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্র। 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে,এর আগে দিগন্তিকা যে সমস্ত আবিষ্কার তথা নতুন উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সেগুলি হল – ১) সুন্দরবনে জীবিকার তাগিদে যাঁরা জঙ্গলে যান, তাঁদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ চশমা, যা ব্যবহারে মাথা বা ঘাড় না ঘুরিয়েই পিছন দিকও দেখা যায়। ২) ডাষ্ট কালেক্টিং এটাচমেন্ট ফর ড্রিল মেশিন। এটি যেকোন হ্যান্ড ড্রিল মেশিনের সামনে সহজে যুক্ত করে ড্রিল বা ফুটো করলে কোন ধুলো উড়বেনা। ধুলো একটি চেম্বারে জমা হবে। আর এজন্য কোন অতিরিক্ত বিদ্যুত খরচও হবেনা। ড্রিল মেশিন এর কম্পন থেকেই শক্তি গ্ৰহণ করে এই কাজ করতে সক্ষম। ৩) স্মার্ট সার্ভিক্যাল কলার - বারনৌলির সূত্র কাজে লাগিয়ে বিশেষ কারিগরি পদ্ধতিতে তৈরি কলার সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলাইটিস রোগী পড়লে তাঁর প্রচণ্ড ঘাম বা অস্বস্তি হবে না। বস্তুত, এই সমস্ত আবিষ্কারের পর চলতি সময়ে করোনা নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক আর মৃত্যু মিছিলের মাঝেই দিগন্তিকা এই বিশেষ মাস্ক তৈরী করায় রীতিমত হৈ চৈ শুরু হয়ে গেছে। এই মাস্কের জন্য খরচ পড়বে মাত্র ২০০ টাকা।
নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বঙ্গকন্যার নয়া আবিষ্কার, গবেষণায়  নতুন দিক খুলে দেবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীমহল। জানা গেছে,এই বিশেষ ধরনের মাস্ক, যা পরে প্রশ্বাস নিলে ধূলিকণা ও ভাইরাস মুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করবে। অপরদিকে নভেল করোনা পজেটিভ কোনো ব্যক্তি পরলে তাঁর ত্যাগ করা নিঃশ্বাস ,হাঁচি , কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেট এর মধ্যে থাকা করোনা ভাইরাস বা অন্য কোন ভাইরাসকে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে দেবার ক্ষমতা রয়েছে এই মাস্কের। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যাবে। এই মাস্কের দুটি অংশ। প্রথম অংশে রয়েছে দুটি একমুখী ভাল্ব এবং দ্বিতীয় অংশে রয়েছে দুটি আধার। প্রথমে প্রশ্বাস গ্ৰহণের বাতাস থেকে ধূলিকণা, জলকণাকে আটকে দেয় ও ভাইরাসের লিপিড প্রোটিনকে ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস একমুখী ভাল্বের মধ্যে দিয়ে মাস্কের ভিতর দিয়ে ফুসফুসে যায়। আবার নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় অন্য একটি একমুখী ভাল্বের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আর একটি আধারের ভিতরে প্রবেশ করে।ফলে ঐ আধারের মধ্যে বিশেষ প্রযুক্তি সাহায্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ভাইরাসের লিপিড প্রোটিনের স্তরটি ভেঙে দেয়।তখন ভাইরাসটি নষ্ট হয়ে গিয়ে আর সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই, নভেল করোনা পজেটিভ ব্যক্তি এই মাস্ক পরলে তার থেকে নির্গত ড্রপলেটে আর ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকবে না। তবে  দিগন্তিকার বাবা সুদীপ্তবাবু জানিয়েছেন, যেহেতু এটি  এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।তাই এখন দিগন্তিকার এই আবিষ্কার সম্পর্কে প্রকাশ্যে বেশি কিছু জানতে জানাতে চাই না
           

বলগনায় তিনশো পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে বৃহন্নলাদের

আমিরুল ইসলাম
  
বৃহস্পতিবার সকাল বেলায়   ভাতারের বলগোনা বাজারের বৃহন্নলাদের উদ্যোগে ৩০০টি  পরিবারকে দেওয়া হলো খাদ্য সামগ্রী।করোনা   মোকাবেলায় পুলিশ প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চালিয়ে যাচ্ছে জনজীবন কে ভালো করার  কাজ। পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষ গৃহবন্দি রয়েছেন তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন। আজ ভাতারের বলগোনা বাজারে রয়েছে ৮ জন বৃহন্নলা। তারা দারিদ্র্য মানুষের পাশে দাঁড়ালো।  আজ  ৩০০ টি পরিবারকে দিলেন খাদ্য সামগ্রী মানুষ।আলু - চাল - নুন - সাবান প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল সেখানে।      
বলগনা পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মোদক জানান - "সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য করা হচ্ছে দারিদ্র্য মানুষদের ।আজ আমাদের বলগোনা বাজারের এই বৃহন্নলা গুলি যে সাধারণ গরিব মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন, সত্যিই আমরা অবাক হয়ে গেছি । উনারাও যে ভাল মনের মানুষ হয় তা আজ প্রমান দিলেন"।


সোমবার, মার্চ ৩০, ২০২০

দুস্থ শিশুদের গরুর দুধ বিলি মঙ্গলকোট পুলিশের

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 
  

শতাধিক ভবঘুরেদের নিয়মিত ডিমভাত খাওয়ানোর আয়োজন করার পর ফের মানবিক উদ্যোগ নিতে দেখা গেল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ কে। শনিবার সকালে সদর মঙ্গলকোট এলাকার পঞ্চাশের বেশি শিশু - নাবালক পরিবারদের গড়ে এক লিটার করে গরুর দুধ দেওয়া হল। লকডাউনে কর্মহীন হওয়া এইরুপ প্রান্তিক পরিবার গুলির কাছে বাচ্ছাদের জন্য এক লিটার করে গরুর দুধ পাওয়া 'হাতের  কাছে চাঁদ পাওয়ার' সমান বিষয়। এদিন মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অফিসাররা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে দুস্থ শিশুদের পরিবারের হাতে গরুর দুধ তুলে দেন।মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ জানিয়েছেন -" এদিন মাঝিপাড়া, বক্সিনগর, মঙ্গলকোট, পদিমপুর, বড়াগড়, মজলিদিঘির পাড় প্রভৃতি এলাকা থেকে পরিবার গুলি এসে দুধ সংগ্রহ করতে"।  জানা গেছে, এইরুপ দুুুধ  বিলি কর্মসূচি প্রায় নেওয়া হবে। অপরদিকে মঙ্গলকোটের নুতনহাটে কৃষাণমান্ডিতে এক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ত্রিশ চল্লিশজনের দলবল নিয়ে নিয়মিত  বাজার করতে যাচ্ছেন, তাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ  নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন দেখা গেছে  ।                                     

রবিবার, মার্চ ২৯, ২০২০

ব্যাঙ্গালোরে আটকে এই রাজ্যের ২৪ জন বাসিন্দা

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 
 
চিকিৎসার জন্য দক্ষিণভারতে গত ১৭ মার্চ গিয়েছিলেন এই রাজ্যের ২৪ জন বাসিন্দা। তারা লকডাউনর জেরে ফিরতে পারেননি নিজ নিজ বাড়ী। সাউথ ব্যাঙ্গালোরের  বনসঙ্করি ফাস্ট ফেজ  ( কুমারস্বামী লে আউট, ৫০ ফুট রোড, পিন ৫৬০০৭৮)  এলাকায় অর্ধাহারে - অনাহারে দিন কাটছে তাদের। সাগর ইন্টার ন্যাশনাল, বাসবি প্রভৃতি হাসপাতালে কিডনি - হার্ট - গাইনি সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য এইসব রোগীরা এই রাজ্য ছেড়ে দক্ষিণভারত গিয়েছিলেন। পূর্ব বর্ধমান সহ দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি, হাওড়া,মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ১৭ মার্চ এরা গিয়েছিলেন সাউথ ব্যাঙ্গালোরে। মঙ্গলকোটের মাহাতুর্বা এলাকার লালচাঁদ মন্ডল ও টাপি দাস রয়েছে। আটকে পড়াদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ( সোনালি দাস, লক্ষ্মীবালা দাস প্রমুখ)  গত সপ্তাহে সারাদেশ ধরে লকডাউন ঘোষনার মধ্যেই আটকে গেছেন। যেটুকু অর্থ ছিল এদের মধ্যে তাও লকডাউনে বাজারে চড়ামূল্যে খাবার দাবার কিনে এবং হোটেল ভাড়া দিয়ে শেষ হয়ে গেছে। এদের সাথে যোগাযোগকারী নাম্বার গুলি হল ৭০০১২৯৪৮৫৪, ৯৭৪২৪৩৬৪৭৩। প্রায় অনাহারে থাকা এইবিধ ২৪ জনের মানবিক আবেদন - "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেন তাদের ব্যাঙ্গালোরে দুবেলা আহার সহ থাকবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করেন "                                         




                                   

শনিবার, মার্চ ২৮, ২০২০

করোনার জেরে ভবঘুরেদের ডিমভাত খাওয়াচ্ছে গুসকারা পুলিশ

মোল্লা জসিমউদ্দিন
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,     

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায়   কখনো নিষ্ঠুর হয়ে লাঠি হাতে অপ্রয়োজনীয় ভিড় সামলাতে হচ্ছে,কখনো বা দুস্থদের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে সহযোগিতার হাত। ঠিক এই দুই ভূমিকায়  দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ আধিকারিকদের। রেলস্টেশনে জনা কুড়ি ভবঘুরে থাকে। ট্রেনে বা অন্য কোথাও ভিক্ষা করে ওরা কোনোরকমে দিন গুজরান করে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা - ওরা রেলস্টেশন চত্বরেই পড়ে থাকে। লক ডাউনের কারণে ট্রেন সহ সমস্ত যানবাহন বন্ধ। ফলে ঐ মানুষগুলো চরম সমস্যায় পড়ে। এক সময় মনে হয় মানুষগুলো হয়তো না খেতে পেয়ে বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে। খবর পেয়েই  বিট হাউসের পুলিশ গত ২৫ শে মার্চ ওদের উদ্ধার করে গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ে রাখার ও খাওয়ার ব্যবস্হা করে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয়  পৌর কর্তৃপক্ষ।ওদের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিকে। জানা গেছে,   প্রত্যেকদিন ওদের দু'বার টিফিন ও দু'বার ভাত দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে ডিম থাকছে।ভবঘুরেদের বক্তব্য - "ট্রেন যখন বন্ধ হয়ে গেল তখন ভাবলাম না খেয়ে মরতে হবে। বারবার শুনছি ঘরের মধ্যে থাকতে হবে।নাহলে রোগে মরতে হবে। দুশ্চিন্তায়  মাথা খারাপের অবস্থা।তখনই পুলিশ বাবুরা আমাদের উদ্ধার করে আনে এবং থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্হা করে দেয়।ওদের প্রণাম"।
    বিট হাউসের ওসি অরুণ সোম বললেন - "খবর পেয়েই ঐ মানুষগুলোকে আমরা উদ্ধার করে আনি এবং থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করি।চোখের সামনে তো কোনো মানুষকে অসহায় ভাবে মরতে দেওয়া যায় না।এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। জেলা পুলিশ সুপার ও আউসগ্রাম থানার আই.সি সবসময় আমাদের পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।  পৌর কর্তৃপক্ষ এবং বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের কাজটা সহজ হচ্ছে"।তিনি আরও বললেন -  পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওরা এখানেই থাকবে।
    একই কথা বললেন পৌরসভার কার্যকরী আধিকারিক আকলিমা খাতুনও ।এলাকায় যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে  তার জন্য সবাইকে তিনি সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন।অন্য দিকে পরিচালন সমিতির সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী বললেন - "পুলিশ আধিকারিকদের মানবিক রূপ দেখে আমরা গর্বিত।উদ্ধার করেই  দায়িত্ব শেষ করেননি,এলাকার আইন-শৃঙ্খলা বজায় রেখে উনারা দু'বেলা মানুষগুলোর খোঁজ নিয়ে যাচ্ছেন"। কুশল বাবু নিজেদের স্বার্থে পুলিশ প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এলাকার মানুষদের অনুরোধ করেন।

মঙ্গলকোটে কেনাকাটা চলছে দুরত্ব বজায় রেখে



সুকান্ত ঘোষ,  

দুরত্ব বজায় রেখে চলছে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন বাজারে কেনাকাটা।  পুলিশ নিয়মিত টহলদিচ্ছে এহেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলে জানিয়েছেন ওসি মিথুন ঘোষ।           

শুক্রবার, মার্চ ২৭, ২০২০

মঙ্গলকোট পুলিশের তরফে ভবঘুরেদের জন্য ডিমভাত



মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

মঙ্গলকোট থানার পুলিশের উদ্যোগে নুতনহাট, নিগন, কৈচর প্রভৃতি সড়কমোড়ে থাকা ভবঘুরেদের অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হল। পুলিশের এহেন ভূমিকায় খুশি এলাকাবাসী। চলতি লকডাউনে ভবঘুরে সহ ভিক্ষুকেরা একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষের নির্দেশে শতাধিক অসহায় ব্যক্তিদের ডিম সহ সবজিভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় পুলিশের তরফে।                                 

করোনায় চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি

জীবন আর মৃত্যুর মাঝামাঝি করোনা ভাইরাস। 'জন্মিলে মরিতে হবে' এই চিরন্তন সত্য জানলেও আজ করোনা বীভৎসতার শেষ পয্যায়ে। এই ভাইরাসে মারা পড়লেও শেষকৃত্যের নির্মম ছবি আজ কঠিন বাস্তব। চিতার আগুন কিংবা কবরের মাটি নসিব হওয়ার চান্স নেই... 

তাই আবেদন 'ঘরে থাকুন' নিজে বাঁচুন, অপর কে বাঁচান। করোনা নামক যমদূত কে দূর করুন এই বিশ্ব থেকে। 

 মোল্লা জসিমউদ্দিন   ( সম্পাদক - বাংলার খবরাখবর নিউজ নেটওয়ার্ক)

মঙ্গলকোটে জুম্মা নামাজ আদায় হলো দুরত্ব বজায় রেখে

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  




সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মঙ্গলকোট ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১৩৫ টি মসজিদে জুম্মা নামাজ আদায় হলো করোনা বিধিনিষেধ বজায় রেখে। মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ সদর মঙ্গলকোট - বড়বাজার সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম সাহেবদের  দুরত্ব বজায় রেখে জুম্মা নামাজ আদায় করবার অনুরোধ রেখেছিলেন।            

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৬, ২০২০

এগরার ব্যক্তির করোনা এলো বিয়ের ভোজে

জুলফিকার আলি

  পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিদেশি আমন্ত্রিত-বেষ্টিত বিয়েবাড়ি থেকেই করোনা সংক্রমণ ৬৬ বছরের প্রৌঢ়ের

রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন, নয়াবাদের ৬৬ বছর বয়সী প্রৌঢ়। গত ১৪ মার্চ এক পারিবারিক বিয়েবাড়িতে যোগ দিতে, কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে এসেছিলেন ওই বৃদ্ধ। ওইদিনই রাত্রে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন।
এরপরই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করা হয় এবং করোনা টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়।
আজ সকালেই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি এখন কলকাতার পিয়ারলেস নার্সিংহোমের আইসিসিইউতে ভর্তি আছেন। ওই বৃদ্ধকে এইচআইভির ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধপত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানালেন। চিকিৎসক ডাঃ অজয় সরকার জানালেন, বর্তমানে ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট থাকলেও, অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।
ওই ব্যক্তির পরিবারের চারজন সদস্যকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত এগরার বিয়ে বাড়িতে দু-চার'জন বিদেশি আমন্ত্রিতও ছিলেন। সম্ভবত সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই মুহূর্তে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খোঁজখবর শুরু করেছে, ওই বিদেশি ব্যক্তিদের সম্পর্কে এবং ওই বিয়ে বাড়িতে

লকডাউনে অসহায় দের পাশে দাঁড়াতে চলেছে 'সুসম্পর্ক '

সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে 'সুসম্পর্ক' এর পক্ষ থেকে আবেদন আমরা গ্রহণ করতে চলেছি একটি অভিনব উদ্যোগ যেখানে লকডাউন এর ফলে বাজারের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির শিকার যে সকল অসহায় শিশু ও দরিদ্র মানুষ তাদের হাতে আমরা তুলে দেবো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী।
আশাকরি আপনাদের প্রত্যেককে আমাদের পাশে পাব। আপনারা যদি সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো হাসি ফুটবে সে সকল অসহায় শিশু ও দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে যাদের এই অবস্থায় বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠছে।

লকডাউনের জের, পূর্ব বর্ধমানে আটক রয়েছে চার হাজার শ্রমিক

সুকান্ত ঘোষ
 
 গত মঙ্গলবার থেকে চলছে সারাদেশ ব্যাপি লকডাউন। তিন কেটে গেলেও  পূর্ব বর্ধমান‌ জেলার অন্তর্গত প্রায় ৪০টি হিমঘরে ৪০০০ এরও‌ অধিক শ্রমিক লকডাউনের কারণে ‌আটকে আছে। ঐ শ্রমিকরা মূলতঃ উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা‌ ও মুর্শিদাবাদ জেলার ‌বাসিন্দা।জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে বারবার আবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ।ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের তরফে গত ২৫ মার্চ পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কে এব্যাপারে তথ্যসমৃদ্ধ স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।  পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম, মেমারি, খন্ডঘোষ, রায়না প্রভৃতি এলাকার কোল্ড স্টোরেজের শ্রমিক এরা।             

মঙ্গলবার, মার্চ ২৪, ২০২০

দক্ষিণ ভারত থেকে ফিরেছে হাজারের কাছাকাছি শ্রমজীবী , করোনা ভয় মঙ্গলকোটে

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
সারা বিশ্বে করোনা থাবায় প্রাণহানি অব্যাহত। এই রাজ্যেও  সোমবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়ে গেছে। তাই করোনা নামক 'যমদূত' প্রতিটি মানুষকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা  । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট ব্লক এলাকার প্রায় হাজারের কাছাকাছি ভিনরাজ্যে কাজ করা শ্রমিকরা ফিরেছে নিজ নিজ বাড়িতে। বেশিরভাগই কেরালা  - চেন্নাই - মুম্বাই - পাঞ্চাব থেকে এসেছে গত সপ্তাহে  ।  এদের সিকিভাগ প্রতিনিধিদের কাছে ব্লক প্রশাসন পৌঁছাতে পারলেও বেশিরভাগই 'বিদেশ থেকে ফিরে এসে কার না ভালো লাগে' সূরে স্থানীয় ভ্রমণে ব্যস্ততায় কাটাচ্ছে। আর এতেই মঙ্গলকোটের বিশেষত লাখুরিয়া - গোতিস্টা - পালিগ্রাম - চাণক অঞ্চলগুলিতে এলাকাবাসীদের কাছে তৈরি করেছে করোনা নিয়ে চাপা আতঙ্কের পরিবেশ। ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভিনরাজ্যে কর্মরত থাকা আসা শ্রমিকদের কে। ওই পরামর্শটুকু দেওয়া ছাড়া আর কোন স্বাস্থ্য পরিক্ষার কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকে 'জনতা কারফিউ' এর কোন প্রভাব পড়েনি মঙ্গলকোটে। অন্যান্য দিনের মতনই বাজার - ঘাটে ব্যস্ত থেকেছে মঙ্গলকোট। তবে পুলিশের তরফে বারবার প্রচার শুরু হয়েছে লকডাইনের মুখ্য উদ্দেশ্য নিয়ে।  ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বড় অংশ মোটরবাইক  কিংবা সাইকেলে বিভিন্ন গ্রামের  মেঠোপথ গুলিতে 'স্বদেশী' হাওয়া লাগাতেই ব্যস্ত!  তাই প্রশ্ন উঠা শুরু করেছে - এইভাবেই যদি হোম কোয়ারেন্টাইন চলে, তাহলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা দেখা যাবে বেশি মঙ্গলকোটের বুকে। ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের কেউ কেউ বাড়ী ফেরার রেলপথে আসবার সময় থার্মাল গানে  সম্মুখিন হওয়ার ছবি দেখিয়েছে। তবে সেটি হাতেগোনা কয়েকজনের। হাজারের কাছাকাছি ভিনরাজ্যে কাজ করা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিক্ষায় ঠিকমতো নজর না দিলে করোনা ভাইরাস অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে মঙ্গলকোট দ্রুত চলে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে  করছেন। যদিও কাটোয়া মহকুমাশাসক জানিয়েছেন - "এত সংখ্যক ব্যক্তিদের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ করে রাখার মত পরিকাঠামো আমাদের নেই " । অপরদিকে মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ জানিয়েছেন - " স্থানীয় সিভিক / ভিলেজ পুলিশের মাধ্যমে আমরা ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছি, সেই সাথে দফায় দফায় প্রচার গাড়ি যাচ্ছে প্রায় গ্রামে। এত কিছুর পর যদি কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন এড়িয়ে যান, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে    "  ।                                                                                          

করোনা তুমি যতই শক্তিশালী হওনা, তবে অপারেজয় নও

গৌতম তালুকদার
  

করোনা: অমিত শক্তিশালী, কিন্তু অপরাজেয় নয়
     কথাটা একদমই সত্যি যে করোনা ভাইরাস যতই ক্ষমতাবান হোক, তাকে পরাজিত করা সম্ভব। এই শত্রুকে সমূলে ধ্বংস করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অমোঘ অবিনশ্বর সেই অস্ত্রের প্রয়োগ করতে হবে, যার নাম অসহযোগিতা। হ‍্যাঁ, করোনার সঙ্গে কোনোরকম সহযোগিতা করা চলবে না। *মনে রাখতে হবে, সে একাই একশো হলেও শেষপর্যন্ত কিন্তু একা। আর তাই অসহায়,দুর্বল। তাকে যদি নির্দিষ্ট সময় পযর্ন্ত একা রাখা যায়, তবে সে নিজের মৃত্যু নিজেই ডেকে আনে। এমনই করোনার জীবনের সংজ্ঞা। কিন্তু যদি সে একবার কোনো মনুষ্য শরীরে প্রবেশ করতে পারে এবং এক দেহ থেকে অন্য দেহে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়, তাহলে তার মারণক্ষমতা যে কত গুণ বেড়ে যেতে পারে তা আমাদের কল্পনাতীত। এই মুহূর্তে আমরা কিছুটা হলেও সেই ক্ষমতা প্রত‍্যক্ষ করেছি বা করছি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। *নিয়ম মেনে করোনা আক্রান্ত ব‍্যক্তিকে যদি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আলাদা রাখা যায় (যা এমন কিছু শক্ত কাজ নয়), তবে করোনার জারিজুরি একেবারেই শেষ হয়ে যাবে। সে হয়ে যাবে নখদন্তহীন। এই জন‍্য আমাদের সবাইকে কিছুদিনের জন‍্য হলেও নিজঘরে স্বেচ্ছাবন্দী হয়ে থাকতে হবেই। অকারণে ঘোরাঘুরি করা চলবে না*। নিয়ম মেনে নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে। এটা করলেই হবে করোনার সঙ্গে চরম অসহযোগিতা। আর এই অসহযোগিতাই হল করোনার মারণাস্ত্র।
      *ভারতবাসী এই লড়াইয়ে হারবে না। হারতে পারে না। কারণ অসহযোগিতার যে কী প্রবল শক্তি, তা সারা বিশ্বকে একদিন শিখিয়েছে এই দেশ। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের একদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অগণিত ভারতবাসী। সেই লড়াইয়ের বীজ প্রত‍্যেক ভারতবাসীর প্রতিটি রক্তবিন্দুতে নিহিত রয়েছে যুগ যুগ ধরে।* তাই আমরা আজ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ-- অতি প্রয়োজন না থাকলে আগামী কয়েকটি দিন আমরা ঘর থেকে বেরোব না। ব‍্যস। এটুকু করতে পারলেই করোনা আমাদের দেশ ছেড়ে পালাবার পথ পাবে না।
      *বিধান শিশু উদ‍্যানের আমরা সবাই-- ছোটো থেকে বড়ো-- এই অসহযোগ লড়াইয়ে সামিল। প্রতিদিন কয়েকশ কচিকাঁচার কলকাকলিতে উদ‍্যানের সুইমিং পুল, খেলার মাঠ থেকে দোলনা, চরকি মুখরিত হয়ে থাকে। বিধান সরোবরের জল ঝলমলিয়ে হাসতে থাকে। প্রয়াসের অফিস ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ কর্মীদের কর্মব‍্যস্ততায় চঞ্চল হয়ে থাকে। আজ সেখানে 'সেই বুড়োটা' একা পাহারা দিচ্ছেন তাঁর সাধের উদ‍্যানকে। সেই শুরুর সময় থেকেই তিনি নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন উদ‍্যানের প্রতিটি ধুলিকণার সঙ্গে। তাই তো বলি-- দাদু, তোমার ভাবনায় আমাদের পথচলা।*
       আর একটা কথা। *আসুন আমরা সমস্ত ভারতবাসী সেই দেবতার কাছে সর্বান্তকরণে আত্মসমর্পণ করি, যাঁর নাম বিজ্ঞান*। যিনি সত‍্যি সত্যিই এই মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারবেন। এবং কায়মনোবাক‍্যে প্রার্থনা করি-- বিজ্ঞানদেবতার সেইসব একনিষ্ঠ সাধক, সেইসব বিজ্ঞানী, যাঁরা রাতদিন জীবনের ঝুঁকির তোয়াক্কা না করে গবেষণা করে চলেছেন এই মারণ ভাইরাস COVID-19 ওরফে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করতে,তাঁরা যেন অচিরেই সাফল‍্য অর্জন করতে পারেন।
       *সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শত্রু বদলেছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, জাতির বিপদে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বারবার লড়াই করেছি এবং জয়ী হয়েছি। এবারও আমরা হারবো না।*

শনিবার, মার্চ ২১, ২০২০

৩১ মার্চ অবধি রাজ্যের আদালত গুলিতে শুনানিতে অংশ নেবেন না আইনজীবীরা



মোল্লা জসিমউদ্দিন  
শুক্রবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের অফিসে করোনা কেন্দ্রিক জরুরি বৈঠক চলে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৩১ শে মার্চ অবধি রাজ্যের সমস্ত আদালতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের  ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্ট, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আওতাধীন সমস্ত আদালতে মামলার জন্য এজলাস মুখি হবেন না আইনজীবীরা। আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আদালতগুলিতেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য বলে জানান  বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ভাইস চেয়ারম্যান  সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়   ।   এহেন ভাইরাসে সংক্রমণের শঙ্কায় কর্মবিরতি এটি দ্বিতীয় পয্যায়ে কর্মবিরতি।    গত সপ্তাহ   থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি ছিল একপ্রকার অচল। যার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক গেটে রয়েছে  থার্মাল গান সহ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে কলকাতার সিটি সিভিল আদালতে ষষ্ঠতলায় বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল - ২১ শে মার্চ অবধি আইনজীবীরা আদালতমুখি হবেন না। বার কাউন্সিল এর পক্ষে আনসার মন্ডল, শ্যামল ঘটক, সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন - " করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ২০ মার্চ পুনরায় বৈঠকে বসবে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির পদাধিকারীরা "। ২১ মার্চ অবধি আদালত না আসবার বিজ্ঞপ্তি টি কলকাতা হাইকোর্ট সহ সার্কিট বেঞ্চের জলপাইগুড়ি শাখা এবং আন্দাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এর আওতাধীন আদালতগুলিতে প্রযোজ্য । গত ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল ছিল। আদালতে কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেক করে থাকতে বলা হয়েছিল। রোটেশন অনুযায়ী কাজকর্ম চলবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে 'অন ডিউটি' ধরা হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বিচারধীন বন্দিদের আদালতে পেশ করতে হবেনা৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিচারক এবং জেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বন্দিদের হাজিরা কনফার্ম করবেন। জরুরি মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির শুনানি হবেনা। কোনটা জরুরি সেটি ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক / বিচারপতি। শুধু আদালত গুলি বন্ধ নয়, বন্ধ রয়েছে রাজারহাটে অবস্থিত জুডিশিয়াল একাডেমিও।  উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে  কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতির জরুরি বৈঠকে ঠিক হয়েছিল ১৭ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালত গুলি একপ্রকার অচল থাকবে। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস।  বার এসোসিয়েশন গুলি বন্ধ থাকবে, সেইসাথে নিম্ন আদালতে বিচারধীন বন্দি পেশেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ভিডিও কনফারেন্সে বিচারধীন বন্দিদের বিচারপর্ব চলবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি মামলা গুলির শুনানি চলবে।গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে জরুরিকালীন সভা করেছিলেন। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারী নিয়ে সেদিন কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি সভা বসেছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। সেখানে তিন বিচারপতি সার্বিক মতামত জানিয়ে ১৭ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থগিত রাখা নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত সপ্তাহে  জানিয়ে দেন। খুব প্রয়োজনীয় মামলা ছাড়া সাধারণ মামলাগুলির শুনানি স্থগিত থাকবে। আদালতের কর্মীদের হাজিরাতে কড়াকড়ি থাকছেনা। বার এসোসিয়েশন গুলির পাশাপাশি প্রায় আদালত ভবন বন্ধ রয়েছে । জুডিশিয়াল একাডেমিও বন্ধ রয়েছে ।  উকিলবাবুদের প্রতি মক্কেলদের সাথে আদালতের ভেতর আলোচনা বন্ধ রাখার অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের এ, বি, এফ গেট গুলিতে থার্মাল গান রয়েছে  করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে। আদালতে প্রবেশ করতে প্রত্যেক কে মুখে মাস্ক এবং হেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে বলা হয়েছে।    জরুরি মামলার গুলির শুনানিতে শুধুমাত্র মামলাকারী এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন এজলাসে। এই রুপ নানান বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে আদালত গুলিতে। প্রথম পয্যায়ে ১৭  মার্চ থেকে ২০ মার্চ আদালত গুলি একপ্রকার অচল থাকার পর আজ অর্থাৎ শুক্রবার বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের জরুরি বৈঠকে দ্বিতীয় পয্যায়ে ৩১ শে মার্চ অবধি করোনার জেরে কর্মবিরতি চলবে বলে জানান বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের  এর ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায়।  ৩১ শে মার্চ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পুনরায় বৈঠক বসবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। উল্লেখ্য, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব শারীরিক অসুস্থতার কারণে আজ বৈঠকে থাকতে পারেননি , এছাড়া বার কাউন্সিল মেম্বার আনসার মন্ডলও অসুস্থ রয়েছেন।                                                                                                                                             

শুক্রবার, মার্চ ২০, ২০২০

করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা মঙ্গলকোটে

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  


 বৃহস্পতিবার দুপুরে মঙ্গলকোটের নুতনহাট বাসস্ট্যান্ডে পথচলতি এলাকাবাসীদের করোনা ভাইরাস  নিয়ে  সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হলো স্থানীয় পুলিশ - প্রশাসন। এদিন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ, বিডিও মুস্তাক আহমেদ, বিএমওএইচ ডঃ জুলফিকার আলি প্রমুখ ছিলেন সচেতনতা শিবিরে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ নিয়ে নানান পথপ্রচার চলে। খুব প্রয়োজন না হলে ট্রেন - বাসে যাতায়াত এড়ানোর অনুরোধ রাখা হয়। সর্দি-জ্বর- কাশি সহ শ্বাসকষ্ট হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। কেন্দ্র থেকে রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি আটকাতে। কোথায় কোথায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের রক্তপরীক্ষা সহ চিকিৎসা চলছে তা বিস্তারিত আলোচনা হয় এই সচেতনতা শিবিরে।অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন সহ করোনা ভাইরাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ( ফেসবুক - হোয়াটসঅ্যাপে)  গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট ওসি মিথুন ঘোষ মহাশয়।                                                                           

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER