বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২০

মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি মিললো

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে মামলার শুনানি চলে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে নির্মাণকারী সংস্থা কে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণের অনুমতি দেয়। দীর্ঘ ৬ মাস পর অনুমতি মিললো। মূলত এসপ্লানেট এবং শিয়ালদহের মাঝখানে দুটি ট্যানেলে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করা যাবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ট্যানেলে এইমুহূর্তে কাজ করা যাবেনা। মাদ্রাজের আইআইটি সংস্থা পুরো ব্যাপারটি নজরদারিতে রাখবে। সেইসাথে ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট পেশ করবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ সপ্তাহের পর বলে আদালত সুত্রে প্রকাশ।উল্লেখ্য, গত শুনানিতে   কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশের সময়সীমা ছিল রাজ্যের। তবে রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছিল - 'রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নেই'। জানা গেছে, একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে এই ধরণের পাতাল রেললাইন গড়তে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি কলকাতা ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণে বর্তমানে কোন সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখুক বলে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছিল । এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট তলব করেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।তাতে মাদ্রাজের আইআইটি সংস্থাটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে উঠে আসে। এর আগের শুনানিতে মেট্রোরেল অধীনস্থ কেএমআরসিএলের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে অনুমতি চাওয়া হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। উক্ত সংস্থা কে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করার রিপোর্ট টি রাজ্য কে জানাবার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আওতাধীন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি কেএমআরসিএলের রিপোর্ট টি পর্যবেক্ষণ করবে বলে আগে নির্দেশিকা ছিল। রাজ্যের অনুমতি নিয়েই মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে হবে, তা পরিস্কার করে জানিয়ে ছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য জানিয়ে দিয়েছিল - 'মেট্রোরেল সম্প্রসারণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। গত বছরের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজে ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র দিয়েছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে। বোরিং করার দ্বিতীয় মেশিন টি এই ৫ মিটার বোরিং করার ছাড়পত্র পায়। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল - 'গত ৩১ আগস্ট কলকাতার ৪৮ নং ওয়ার্ডে যে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছিল।সেখানে ওই এলাকা থেকে ৭৮ টি পরিবারেরর ৬৮২ জন কে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৮৩ টি পরিবার কে গড়ে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে '। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে মেট্রোরেলের ইস্ট ওয়েস্ট রেললাইন  নির্মাণে  বড়বাজার এলাকায় বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় হয় মহানগর। বড়বাজারের দূর্গা পিতুরি লেনের তিনতলা এক বাড়ী ভেঙ্গে পড়ে, আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে যায় ।কোন প্রাণহানি না ঘটলেও প্রথম পয্যায়ে স্থানীয় ৩২৩ জন কে ঘটনাস্থলের বাড়ী গুলি থেকে সরিয়ে নেয় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। নিজ বাড়ী ঢুকতে না পারা এবং বিশেষজ্ঞ মহলের রিপোর্ট নিয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির পিটিশন দাখিল করে এক সমাজসেবী সংস্থা।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর এজলাসে মামলাটি উঠে । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রোরেলের এই কাজ বন্ধে স্থগিতাদেশ জারী করে ছিলেন। প্রথম পয্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি কোন কাজ করতে পারবেনা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলে নির্দেশজারী হয় এবং দ্বিতীয় পয্যায়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারী ছিল। এরেই মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট এবং মেট্রোরেলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আদেশনামা থাকে । মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল - যেসব বাড়ী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কাজের জন্য সিল করে রেখেছে, সেই বাড়ীগুলিতে মালিকপক্ষ একজন করে ঢুকতে পারবেন জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী ঋজু ঘোষাল রয়েছেন। শুনানিতে মেট্রোরেলের আইনজীবী জানিয়েছিলেন - "ইস্ট ওয়েস্ট পাতাল রেলপথের ১০.৮ কিমি রেলপথের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯.৮ কিমি রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র ১ কিমির পথ বাকি রয়েছে।  যার কাজ চলছিল"। মূলত বিবাগী মোড় থেকে ভায়া বড়বাজার হয়ে হাওড়া স্টেশন যাওয়ার পথটি। টানা বর্ষণে ভূ-গর্ভস্থ ট্যানেলে জল ঢোকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত  ভূ-গর্ভস্থ রেলপথের উপরে থাকা বাড়ী গুলিতে প্রথম পয্যায়ে ৩২৩ জন কে সরিয়ে রাখে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। গতমাসে বড়বাজারে বেশ কিছু বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছিল। সেইসাথে ওই এলাকায় সিংহভাগ বাড়ীগুলিতে ফাটল দেখা যায়। যদিও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এইসব বাড়ীর মেরামতির পুরো দায়িত্ব নিয়েছে। তবে যখনতখন বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। সেইসাথে হতে পারে প্রাণহানি। তাই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি কালীন শুনানির জন্য পিটিশন দাখিল হয়েছিল। এই মামলার প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল - ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কে কাজ বন্ধ রাখতে হবে ।এর পর ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজে স্থগিতাদেশ জারী ছিল। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি পুনরায় উঠেছিল। তখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন রাখে দ্বিতীয় বোরিং মেশিন টি যাতে ৫ মিটার খনন করার অনুমতি পায়। এই আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।৫ মিটার বোরিং করার পর পুনরায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করতে। গত শুনানিতে এই মামলায় শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশনবেঞ্চ জানিয়েছিল - কেএমআরসিলের রিপোর্ট টি দেখবে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। দুপক্ষের আলোচনায় অনুমতি নিয়ে পর্য্যালোচনা চলবে। রাজ্য সম্মতি দিলেই বোরিং করার ছাড়পত্র মিলবে। ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায় - 'বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অধীনে পাতাল রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ নেই তাদের হাতে'। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শর্তসাপেক্ষে নির্মাণকারী সংস্থা কে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেল সম্প্রসারণ নিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়। এসপ্ল্যানেড ও শিয়ালদহ এর মাঝখানে দুটি ট্যানেলে এই সম্প্রসারণ চলবে। তাও মাদ্রাজের আইআইটির ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট দেখে। ক্ষতিগ্রস্ত ট্যানেলে অবশ্য কোন কাজ হবেনা। ৪ সপ্তাহের পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।                                                                                                                                                                


মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২০

সম্মানিত করা হলো কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সম্পাদক কে

পারিজাত মোল্লা
  
মফস্বল সংবাদ পত্রিকা হিসাবে জেলার যেকটি কাগজ ত্রিশ বছর পার করেছে। তার মধ্যে গলসির পুরসা থেকে সেখ নিজাম আলম সম্পাদিত 'সকলের জন্য' পাক্ষিক পত্রিকাটি অন্যতম। প্রতি বছরের মত এ বছরেও বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল এই মফস্বল সংবাদপত্রিকা কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিকেল থেকে রাত আট পর্যন্ত চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, নৃত্য সেইসাথে সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষজনের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সাংস্কৃতিক সভায় ছিলেন গলসি বিধায়ক অলোক মাঝী, জেলাপরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মন্ডল,  প্রমুখ। এদিন মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলার প্রসারের জন্য সাংবাদিক মোল্লা জসিমউদ্দিন এবং এক সাংবাদিক সংগঠনের কর্মকর্তা বৈদ্যনাথ কোনার কে সংবর্ধনা জানানো হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষে পত্রিকা সম্পাদক সেখ নিজাম আলম বলেন " প্রতি বছর পত্রিকার তরফে অপসংস্কৃতি রুখতে এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয় "।                                                                        

৪৪ তম মুক্তাঙ্গন প্রতিযোগিতা হলো বিধান শিশু উদ্যানে

গোপাল দেবনাথ
 
       


কলকাতার হাডকো মোড় সংলগ্ন    বিধান শিশু উদ‍্যানে ৪৪ তম মুক্তাঙ্গন প্রতিযোগিতা হলো।রবিবার  সারাদিন ব্যাপি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টি।  তিন থেকে ষোল  বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের নৃত্য,অঙ্কন,রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি,লোকগীতি এবং ভজনের প্রতিযোগিতার আসর বসে । বয়সভিত্তিক চারটি বিভাগে দুহাজারের মতো প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে রাজ‍্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। রবিবার সন্ধেবেলায়  সমস্থ বিভাগের ফল ঘোষণা করে প্রতিযোগীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সাংবাদিক একরাম আলি এবং বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক সুনির্মল চক্রবর্তী মহাশয় ।বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের স্মরণে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা অতুল্য ঘোষ ছোটদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রায় পঞ্চাশ বিঘে আয়তনে বিধান শিশু উদ্যান গড়ে গেছেন উল্টোডাঙ্গা সংলগ্ন হাডকো মোড় এলাকায়।  যোগ ব্যায়াম, তাইকুন্ডু, স্কেটিং প্রভৃতি যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি অঙ্কন,আবৃত্তি,গান শেখার ব্যবস্থা আছে এই সংস্থায়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক প্রাক প্রস্তুতির জন্য কোচিং এর খ্যাতি গোটা বাংলা জুড়ে। রবিবার সারাদিন ব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাজার হাজার প্রতিযোগী যোগদান করে বলে জানান বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার মহাশয়।                                                   

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ০৭, ২০২০

রেলের গতি বাড়াতে বর্ধমান কাটোয়া রুটে বন্ধ হচ্ছে বেশকিছু রেলগেট

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  
 এবার বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথে বন্ধ হতে চলেছে ৬/৭ টির মত রেলগেট।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিকল্প রেলরুট হিসাবে এটি কে প্রস্তুত করার জন্য এহেন প্রস্তাবনা রেলদপ্তরের।    অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকার মধ্যে নয়, এমন রেলগেটগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে  পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন কর্তৃপক্ষ । মাস খানেক পূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীদের  সঙ্গে কথা বলে জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে নি রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে রেলের হাওড়া ডিভিশন। জেলা প্রশাসন এই রিপোর্ট  পাঠানোর পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রেলবিভাগ । কোথাও রেলগেট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আবার কোথাও আন্ডারপাস তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে ।পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন  - "এখন রেলগাড়ীর  চাপ কম রয়েছে, বেশকিছু  রেলগেট বন্ধ করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে আরও রেলগেট বন্ধ করা হবে।'' জানা গেছে ৬ থেকে ৭ টি রেলগেট বন্ধ হতে চলেছে।   জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা প্রকাশ , ৫৬ কিমির বর্ধমান-কাটোয়া রেললাইনকে 'বিকল্প রুট' হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে, ওই লাইনের উপরে থাকা প্রায় রেলগেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্ধমান কাটোয়া 'সিঙ্গল' লাইন হলেও রেলকর্তৃপক্ষ বিকল্প রেলপথ হিসেবে ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। এই লাইনকে কাজে লাগাতে পারলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের  যোগাযোগের বিকল্প রেলপথ তৈরি হবে। দ্রুত গতির ট্রেন চালানোর জন্য রেলগেট বন্ধ করে আন্ডারপাস তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্ধমান কাটোয়া  রেল রুটের ভাতারের।বলগোনা থেকে বর্ধমান পর্যন্ত ১৫টি রেলগেট রয়েছে। তার মধ্যে কম গুরুত্বপূর্ণ এমন ছ'টি রেলগেট বন্ধ করে 'আন্ডারপাস' তৈরির কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। 


বন উৎসব শুরু হয়েছে কাঁকসায়

সেখ নিজাম আলম
  বৃহস্পতিবার    বনবিভাগ দক্ষিণ পূর্ব চক্রের পরিচালনায় ৬ ও ৭ ই ফেব্রুয়ারি কাঁকসা ব্লকের রঘুনাথপুর বনবান্ধব উৎসব পালিত হলো ম।উদ্বোধন করেন বনদপ্তর মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,আউশগ্রাম বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার, আউশগ্রাম ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হায়দার আলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাধিপতি শম্পা ধারা প্রমূখ। জানা যায় উক্ত অনুষ্ঠানে হাঁস,মুরগী,ছাগল ও শুকর বিতরন করা হয়।

গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য বকুলতলায়

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
  
জয়নগর : এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালো । ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে জয়নগর ২ নং ব্লকের বকুলতলা থানার সাহাজাদাপুর গ্রামে। বকুলতলা থানার সাহাজাদাপুর অঞ্চলের সাহাজাদাপুর গ্রামের  বাসিন্দা সুপ্রকাশ হালদারের  সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা করে গত চার বছর আগে বিয়ে হয় পায়েল হালদারের। তিন বছর আগে  তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়েছিল। পায়েলের বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, প্রেম ভালোবাসা করে বিয়ে করার জন্যই তাঁরা প্রথমে মেনে নেন নি এই সম্পর্ক। পরে মেয়ের কথা ভেবে তাঁরা মেনে নিয়ে ছিলেন, কিন্তু বিয়ের পর থেকে জামাই কোনো কাজ করত  না এবং নানাভাবে তাঁর মেয়ের উপর জামাই ও তাঁর পরিবারের সবাই অত্যাচার চালাতো  এমনটাই অভিযোগ পায়েলের বাপের বাড়ীর লোকে দের। তাঁরা আরো জানালেন,প্রায় সময় বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত মেয়েকে, গরিব মানুষ হয়ে ও যতটুকু সম্ভব তাঁরা সাহায্য করেছেন কিন্তু বুধবার  রাতে  তাদের কাছে খবর আসে তাদের মেয়ে বিষ খেয়েছে, পায়েলের বাবার দাবি তাদের মেয়েকে পিটিয়ে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। মৃতার বাবা অশোক দাস ও মা  মীরা দাস অভিযুক্ত জামাই ও তাঁর পরিবারের লোকেদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন। বকুলতলা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে   মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য  পাঠিয়েছেন। তবে ঠিক কীভাবে ওই গৃহবধূ মারা গেল সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে বকুলতলা থানার পুলিশ । 

বাদুড়িয়ায় তৃণমূলের মৌন মিছিল

ওয়াসিম বারি
  
উত্তর 24 পরগনা জেলার বাদুড়িয়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আজ বাদুড়িয়ার রাজপথে NRC,CAA ও NPR এর বিরুদ্ধে বাদুড়িয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তুষার সিং এর নেতৃত্বে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌনমিছিলে পুরুষ ও মহিলা সহ কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বাদুড়িয়ার রাজপথে।

লাশ উদ্ধারে চাঞ্চল্য বান্দোয়ানে

সঞ্জয় হালদার
  
পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান থানার বান্দোয়ান বাই পাস রোডের চিলার জোড়ে এক ব্যক্তির মৃত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল।স্থানিয় সুত্রের খবর ভোরবেলা এলাকার বাসিন্দারা জলের মধ্যে একটি দেহ ভাসতে দেখে স্থানিয়রা থানায় খবর দেয়,পরে পুলিস এসে দেহটাকে জল থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ময়না তদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। উক্ত ব্যক্তির নাম কমল মাহাত বয়স আনুমানিক ৪৫ পিতা সত্য মাহাত বাড়ি বান্দোয়ান থানার মধুপুর গ্রামে।

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০২০

বাংলার প্রথম ক্যাবার ডান্সার মিস শেফালী চলে গেলেন

রাজকুমার দাস  

দীর্ঘদিন ধরেই কিডনী সমস্যায় ভুগছিলেন।আজ সকল ৬টায় শেষ মেষ জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন এক সময়ের সত্তর দশকের যুব তরুণের কাছে হার্টথ্রব তথা বাংলার প্রথম কাব্যারে ড্যান্সার ও অভিনেত্রী মিস শেফালী।তার আসল নাম ছিল আরতি দাস।তখনকার দিনে কাব্যারে ড্যান্স করাটা সমাজের চোখে ছিল অনেকটাই ভ্রু কোচকানো ।ভালো চোখে কেউ নিত না। তখন বলিউড এ হেলেন এর নাচ ,কিন্তু কলকাতার নাম উঠলেই মিস শেফালী।চির যৌবনের এক অধ্যায়।তার নাচের গুনে আবদ্ধ তখনকার কিশোর থেকে যুবক সকলেই।তাই তো তিনি শুধু ওখানেই থেমে ছিলেন না,সাথে সাথে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে।সত্যজিৎ রায়ের সাথে প্রথম কাজ করেন "প্রতিদ্বন্ধি"-(১৯৭০)ছবিতে।পাশাপাশি "সীমাবদ্ধ"(১৯৭১),"রাজ বধূ"(১৯৮২),"পেন্নাম কলকাতা"(১৯৯২)প্রমুখ।
হিন্দী ছবির মধ্যে উল্লেখনীয় 
"গাঁওয়ার","শরাফত","আগ আউর দাগ"(১৯৭০),"ব্রহ্ম বিষ্ণু মহেশ্বর","কারাভান","লাল পাত্থর"(১৯৭১),"শোর"(১৯৭২),"পিয়াসী নদী","ব্ল্যাক মেল","গদ্দার",(১৯৭৩),"মনোরঞ্জন","কল গার্ল","মোদহোশ ",(১৯৭৪),"বুলেট"(১৯৭৬),"হাত্যারা","হাম কিসিসে কম নেহি"(১৯৭৭),"রাম বলরাম"(১৯৮০)প্রমুখ ছবিতে তার অভিনয় ও নাচ দুই দেখেছে দর্শকরা।
একটা সময় নাটকে ও তার বিচরণ ছিল।সেই সময় "সম্রাট ও সুন্দরী","সাহেব বিবি গোলাম","ও "অশ্লীল"-নাটকে অভিনয় মানুষের মুখে মুখে ঘুরতো।
উত্তম কুমারের সাথে ও ছিল তার ভালো সম্পর্ক।

একটা সময় কলকাতার  সন্ধ্যায় মিস শেফালী কে রাতপরি বলা হতো।
সেই মানুষটির আজ প্রায় ৭৬বছর বয়সে কিডনী র সমস্যায় আমাদের ছেড়ে অচিন দেশে পাড়ি যা সত্যিই বেদনা দায়ক।তার মৃত্য সত্যি একটা যুগের অবসান।তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২০

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদনাম ঘোচাতে উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া প্রশাসন



সাধন মন্ডল

  পথ দেখাচ্ছে বাঁকুড়া। একসময় বাঁকুড়া জেলার একটা বদনাম ছিল পিছিয়ে পড়া জেলা বাঁকুড়া।  বাঁকুড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে আজ কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে বাঁকুড়া পিছিয়ে নেই   রামকিঙ্কর বেইজ,  যামিনী রায়,  রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বাঁকুড়া। শিক্ষা-সংস্কৃতি এগিয়ে চলেছে বাঁকুড়া। বাঁকুড়া র  প্রাথমিক  শিক্ষায় আরোএকটি পালক যোগ করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সংসদ সভাপতি  ডক্টর রিঙ্কু বন্দোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে সরকারের শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায়  সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম বাঁকুড়া জেলায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাজিরা ব্যবস্থা চালু করলেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।  আজ বাঁকুড়া শহরের পাচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু হলো। এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন শিক্ষা সংসদ বিদ্যা ভবনের সভাকক্ষে। এই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনের উদ্বোধন করেন বাঁকুড়ার জেলা শাসক ডক্টর উমাশঙ্কর এস, উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, অতিরিক্ত জেলাশাসক,  জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সচিব জগবন্ধু ব্যানার্জি, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সহ বিশিষ্ট মানুষজন। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবস্থা চালু করে সংসদ সভাপতি ডক্টর রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমাদের জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথেষ্ট সুনামের সাথে শিক্ষকতার কাজ করেন তার মধ্যেও দুই একজনের জন্য আমাদের জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সময়ে হাজিরা নিয়ে বদনাম শোনা যায়, যাতে সেই বদনামের আর কোন রাস্তা না থাকে তার জন্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা বাঁকুড়া শহরের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু করলাম আগামী দিনে ধাপে ধাপে জেলার সব কটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক অভিভাবিকা বৃন্দ।নজির গড়ল বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক  শিক্ষা সংসদ। অভিভাবক চিন্ময় পণ্ডা বলেন  খুব ভালো উদ্যোগ ।  অভিনন্দন  ম্যাডামকে। উনাকে দেখেছি উনি কাজের মানুষ। কোনো শিক্ষকের নামে শিক্ষাদান ও হাজিরা নিয়ে বদনাম হওয়া উনি পছন্দ  করেন না।সারা জেলায় এই ব্যবস্হা চালু হলে শিক্ষকদের নিয়ে এই বদনাম ঘুচবে।।

মেমারির এই যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে চলে অসামাজিক কাজ

সেখ সামসুদ্দিন
 
যাত্রী প্রতীক্ষালয় এখন অপকর্মের ঠেক। পাল্লারোড এলাকায় বাস ট্রেকার যাত্রীদের সুবিদার্থে পাল্লা রোড কলানবগ্রাম পাল্লার ৩ মাথার মোড়ে প্রাক্তন বিধায়ক তহবিল থেকে বেশ কয়েক বছর আগে ১টি যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরী করা হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় প্রতিক্ষালয়টিতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতের অন্ধকারে দু:স্কৃতিদের অত্যাচারে নোংরা হয়ে যাত্রী অপেক্ষার অযোগ্য জায়গা হয়ে উঠেছে। নিয়মিত পরিস্কারের ব্যবস্থা না থাকায় ধুলো বালি নোংরাতে ভরে আছে ঘরটি, রাতের অন্ধকারে বসছে মদ জুয়ার আসর, নানা অপকর্মের আদর্শ জায়গা দু:স্কৃতিদের কাছে এটি এখন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষের একান্ত অনুরোধ এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি নিয়মিত পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হোক, সাথে রাতে আলোর ব্যবস্থা করলে বন্ধ হতে পারে অপকর্ম।এই ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কাম্য।

শালবনীর পঞ্চায়েত সমিতির ফুলের বাগান

শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৈরী ও পরিচৰ্জিত শৈশব উদ্যান ( পার্ক ) শীতকালীন ফুলের সৌন্দর্যে পূর্ণ 

মেহেদিবাগানে মদ জুয়ার বিরুদ্ধে সভা

সানি প্রসাদ
 
 বর্ধমান শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড মেহেদিবাগান মদ গাজা জুয়া এবং অসামাজিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় | এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন আইসি বর্ধমান থানা পিন্টু সাহা,  বর্ধমান শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী খোকন দাস,জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি ইফতেখার আহমেদ,সমাজসেবী যজ্ঞেশ্বর দাস বৈরাগ্য,আইনজীবী অসিত ঘোষ প্রমুখ |

হিংসা রুখতে শ্রীচৈতন্য এর বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গৌড়ীর মিশনের

হিংসা রুখতে শ্রীচৈতন্যের বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গৌড়ীয় মিশনের

রাজকুমার দাস   
বর্তমান সময়ে হিংসা ও হানাহানি রুখতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দেখানো পথ এবং বিশ্বভাতৃত্ব, শান্তি ও বিমল প্রেম দর্শনের বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে কলকাতার বাগবাজার গৌড়ীয় মিশন আয়োজন করেছে 7 দিনের শ্রীচৈতন্য জন্মোৎসব ও মেলা। বাগবাজারের ভগিনী নিবেদিতা উদ্যান থেকে আগামী 10 ফেব্রুয়ারি দুপুর দুটো নাগাদ এক বিরাট বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও নগর সংকীর্তন শুরু হবে। যেটি বাগবাজার স্ট্রীট, বিবেকানন্দ রোড, বিধান সরণি, গিরিশ পার্ক, বি কে পাল এভিনিউ হয়ে ভগ্নি নিবেদিতা উদ্যানে এসে শেষ হবে ।এরপর সেখানে নানা ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেবেন বিশিষ্ট মানুষরা। 
গৌড়ীয় মিশনের আচার্য ও সভাপতি বিষ্ণুপাদ পরমহংস শ্রীমদ  ভক্তি সুন্দর সন্ন্যাসী মহারাজ বলেন, 
বাগবাজার ভগিনী নিবেদিতা উদ্যানে দীর্ঘ 7 দিন ব্যাপী নানা আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও, গান, নাটক, আবৃত্তি, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা,কুইজ সহ নানা অনুষ্ঠান থাকছে শ্রীচৈতন্যের আদর্শে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ।মেলায় ধর্মীয় ভাবাবেগকে তুলে ধরতে বিভিন্ন সংস্থা স্টল নিয়ে হাজির এই মেলায়।

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ০৪, ২০২০

শিক্ষিকা কে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন
  

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এর ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানি চেয়ে রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী রক জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন। সেখানে গঙ্গারামপুর এলাকার দুই মহিলা কে প্রকাশ্যে দড়ি বেঁধে মারধর করা ভিডিও কান্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। বিষয়টি শুনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দ্রুত রিপোর্ট তলব করে জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে। সেইসাথে এই রিপোর্ট তলব টি স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির চেয়ারম্যান কেও অবগত করা হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে আবেদনকারী আইনজীবী এজলাসে সওয়ালে জানান - 'যেভাবে দিনের আলোয় দুই মহিলা হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে যাওয়া হচ্ছে। সেইসাথে লাঠিপেটা করা হয়েছে। তা মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত ঘটনা। এতে শাসক দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যুক্ত। কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি। চরম আতঙ্কে রয়েছেন ওই দুই নির্যাতিতা মহিলা '। উল্লেখ্য মারধরের ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল ভিডিও হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যদিও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জেলা তৃনমূলের তরফে অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সাহা কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষে এই সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনা কে 'আই ওয়াশ' বলে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই উপপ্রধান সহ চারজনের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে আক্রান্ত মহিলাদের পক্ষে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ বিকাশ সড়ক যোজনার ২৪ ফুটের এক রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত। নিজ জায়গার উপর রাস্তা করা যাবেনা - এই দাবি কে সামনে রেখে স্মৃতিকণা দাস নামে এক শিক্ষিকা প্রতিবাদ জানায়। ওই শিক্ষিকা স্থানীয় বিজেপি সমর্থক হওয়ায় শাসক দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বচসা আরও তীব্রতর হয়। অভিযোগ, উপপ্রধান অমল সাহার নেতৃত্বে কয়েকজন ওই শিক্ষিকা সহ তার ছোট বোন কে প্রথমে খুটিতে বেঁধে লাঠিপেটা, পরে  হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে টানাহেঁচড়া করে মারধর চালানো হয়। পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে স্থানীয় কয়েকজন ফেসবুক - হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল করে দেয়। আর এতেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে শুনানির আবেদন করেন। তাতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পুরো ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে গঙ্গারামপুর কান্ডে দ্রুত রিপোর্ট তলব করে থাকে।                                                                                                                                                                              

আইনজীবীর উপর হামলার মামলায় শিয়ালদহ আদালতে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড রায়দান ,


আইনজীবী কে খুনের চেস্টা, ৭ বছরের সশ্রমকারাদণ্ড

মোল্লা জসিমউদ্দিন  
এক আইনজীবী ও তার স্ত্রী কে পাথর মেরে খুনের চেস্টা করার মামলায় শিয়ালদহ আদালতে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায়দান ঘটলো। শুধু ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড নয় ২০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত দুমাসের সশ্রম কারাদণ্ডর উল্লেখ্য রয়েছে। গত শনিবার শিয়ালদহ আদালতে বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাসের এজলাসে এই মামলার রায়দান ঘটে। বিজয় ছেত্রী নামে ওই আসামি ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গতবছর ১৯ ফেব্রুয়ারি তাপসকুমার শাসমল নামে এক আইনজীবী সস্ত্রীক ব্যারাকপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন ট্রেন ধরবার জন্য।সেসময় দুজন দুস্কৃতি  অল্পবয়সী মহিলা যাত্রীদের উপর  ইভটিজিং করছিল। ওই আইনজীবী ঘটনার প্রতিবাদ করায় রেললাইনে ফেলে মারধর চালায় দুস্কৃতিরা। পাথর মেরে খুনের চেস্টা করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় আইনজীবীর। কানে - মাথায় দশের বেশি সেলাই পড়ে। দমদম জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় দুজন দুস্কৃতির বিরুদ্ধে। এই মামলায় প্রথমভাগে গ্রেপ্তার হয় মূল অভিযুক্ত বিজয় ছেত্রী। এই মামলায় ৯ জন সাক্ষ্য দেয়। শনিবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতে বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাসের এজলাসে এই মামলার রায়দান ঘটে। যেখানে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত দুমাসের সশ্রম কারাদণ্ড রায় দেন বিচারক।                                                                                               

সাফাইকর্মীদের পরিশ্রমে স্বচ্ছ কলকাতা বইমেলা

প্রসেনজিৎ রায়

  ( বিধাননগর):--প্রথম রবিবারের ঠাসা ভিড় সামাল দেওয়ার পর বইমেলা চত্বর এখন খানিক ক্লান্ত। মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার জন্য সাফাইকর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ছবিটি যেমন চোখ এড়িয়ে যায় না, তেমনই দৃষ্টি আকর্ষণ করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অপর একটি নজির। দুপুর গড়িয়ে গেলেও উজ্জ্বল রোদেও চালু রয়েছে আলোকসজ্জা।  বিদ্যুৎ বাঁচানো সচেতন মানুষের কাজ। বইমেলা অবশ্যই শিক্ষা ও চেতনার বার্তাবাহী। প্রাঙ্গণের অনতিদূরে বিদ্যুৎ ভবন থাকা সত্বেও অনাবশ্যক আলোকসজ্জার দিবালোকে চালু হয়ে থাকাটা গাফিলতিকেই প্রতিফলিত করছে। এইভাবে বিদ্যুৎ অপচয় যাতে না ঘটে সে মর্মে সচেতন হওয়া দরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। প্রতিবেদনে যুক্ত আলোকচিত্র ৩রা ফেব্রুয়ারি সকাল এগারোটা নাগাদ তোলা।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় নজরুল - লোচনদাস দের স্মরণে সম্মান

মোল্লা জসিমউদ্দিন (সম্পাদক কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি)       
আপনারা আছেন বলেই আমরা এগিয়ে চলি অবিরত 

মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর  জন্মদিন  উপলক্ষে গত দশ বছর ধরে আমরা প্রথম পয্যায়ে সাহিত্য আসর, শেষ পয্যায়ে সাহিত্য মেলা করে চলেছি। ওইদিন শুধু পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক কে স্মরণ করে সম্মান জানানো নয়, মঙ্গলকোট যাঁদের স্মৃতিভূমি সেইসব ব্যক্তিত্বদের স্মরণে সম্মান জানায়। বৈষ্ণব কবি লোচন দাস  থেকে বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম। প্রত্যেকেরই অতীত রয়েছে এই মঙ্গলকোটে। শুধু বিশ্ব বাঙালি খ্যাত নয় স্থানীয়গত দিক দিয়ে অখ্যাত ব্যক্তিদের স্মরণেও আমরা সম্মান জানিয়ে থাকি। প্রত্নবিদ কেশব বন্দ্যোপাধ্যায় আমার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। আজ তিনি নেই, তবে আমরা তাঁকে ভূলিনি। বর্ধমান বইমেলার প্রাণপুরুষ সমীরণ চৌধুরী বলুন কিংবা কাটোয়ার 'উজ্জ্বল নক্ষত্র' পত্রিকার সম্পাদক সমীর ভট্টাচার্য। সেইসাথে আমার প্রয়াত বাবা বিচারক মহম্মদ নুরুল হুদা মোল্লা যিনি ১৯৮৩ সালে বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় টপারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।দি স্টেটসম্যান, বর্তমান প্রভৃতি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। ইনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে এমএ এর প্রথম ব্যাচের পড়ুয়া ছিলেন  ।   এইবিধ  ব্যক্তিদের স্মৃতি তে কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা জানানো হয়। 

এই বিপুল কর্মকান্ডে আমাদের পাশে প্রথম থেকেই যারা আছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানায়। দশ - কুড়িজন দের নিয়ে ত্রিশ মিনিটের যে কবি স্মরণ শুরু হয়েছিল দশ বছর আগে। আজ তিন - চারশো কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক দের সারাদিন ব্যাপি মিলনস্থলে পরিণত। 

কৃতজ্ঞতা জানাই রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় কে। যিনি এই মেলার সার্বিক বিকাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। 


পথহারা মহিলা কে পরিবারের হাতে তুলে দিল মঙ্গলকোট পুলিশ

আমিরুল ইসলাম
  

সম্প্রতি দেওয়ানদিঘী থানার এক পথহারা মহিলা কে বাড়ী পৌঁছে দিয়েছিল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। এর রেশ না কাটতে কাটতে শনিবার সকালে পথভ্রষ্ট এক মধ্যবয়সী মহিলা কে উত্তর ২৪ পরগনার পৈতৃকবাড়ীতে পাঠাবার ব্যবস্থা করলো মঙ্গলকোট পুলিশ৷   পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, গত কয়েকদিন ধরে  এক মাঝবয়সী মহিলা মঙ্গলকোট কৈচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল ।এলাকার মানুষ কৈচর আইসি কে  খবর দেয় ।কৈচর আইসি সুজিত ভট্টাচার্য তড়িঘড়ি বিষয়টি মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ কে জানান।  গত শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে মঙ্গলকোট থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, ওই মহিলার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ থানায়। এরপর মঙ্গলকোট থানার পুলিশ  হিঙ্গলগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে। ওই মহিলার ছবি পাঠানো হয় মঙ্গলকোট থানা থেকে, তা দেখালে হিঙ্গলগঞ্জ থানা জানায় ওই মহিলা তাদের এলাকার।শনিবার ওই আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে নিয়ে গেলেন তার বাবা মোহাম্মদ হায়দার সাইন।বাবা মোহাম্মদ হায়দার সাইন জানান - "মেয়ের নাম ফিরোজা বিবি।তার মেয়ে জামাই কর্মসূত্রে থাকে  তামিলনাড়ু তে।কয়েকমাস আগে মেয়ে জামাই বেড়াতে এসেছিল তার বাড়ি ।জামাই তামিলনাড়ু ফিরে গেলেও, মেয়ে ছিল উত্তর ২৪ পরগনায়।এরপর চার মাস আগে মেয়ে তামিলনাড়ু যাবে বলে শিয়ালদহে ট্রেনে চাপে। তবে জামাই ওখান থেকে ফোন করে জানায় তার স্ত্রী তামিলনাড়ু পৌঁছায়নি"।তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছে মেয়ের বাবা।অবশেষে গতকাল অর্থাৎ গত শুক্রবার রাতে  মঙ্গলকোট থানা থেকে খবর যায় নিখোঁজ মেয়েটি  মঙ্গলকোট থানায় রয়েছে। আজ মেয়েকে নিয়ে গেল তার পরিবার। মঙ্গলকোট ওসি মিঠুন ঘোষ জানিয়েছেন - " আমরা খুশি নিখোঁজ মহিলা তার পরিবার কে পেলো"।         

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ০৩, ২০২০

ক্যারাটে প্রতিযোগিতা হলো গরিফায়

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  
     উত্তর ২৪-পরগণার গরিফা আম্রপল্লী অর্জুন স্মৃতি সংঘ আয়োজিত 'জাতীয় ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০' প্রতিযোগিতার ২০ কেজি ও ৬০ কেজি বিভাগে দ্বিতীয় স্হান অধিকার করল যথাক্রমে পূর্ব বর্ধমানের শুভশ্রী সিংহ ও প্রশান্ত মিস্ত্রি। উভয়েই পূর্ব বর্ধমানের পাওয়ার হাউস পাড়ার ক্যারাটে প্রশিক্ষক সুশান্ত দাস পরিচালিত প্রদীপ মেমোরিয়াল ক্লাবের সদস্য।এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শুভশ্রী সাফল্য লাভ করে। তার সাফল্যের জন্য পাড়ার মানুষ খুব খুশি।
       গত ১ লা ও ২ রা ফেব্রুয়ারি দু'দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় নদীয়া, হাওড়া,উত্তর ২৪পরগণা, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, কোচবিহার,দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ার থেকে ১৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। 
      প্রসঙ্গত সংশ্লিষ্ট ক্লাবটি গত ৫ বছর ধরে যোগাসন ও জাতীয় ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলেছে। এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী অর্জুন বাবুর স্মৃতিতে ১৯৯৫ সালে গড়ে ওঠা এই ক্লাবটির বার্ষিক অনুষ্ঠান প্রতিবছর ২৬ শে জানুয়ারী শুরু হয় এবং শেষ হয় ২ রা ফেব্রুয়ারি। প্রভাতফেরী, রক্তদান শিবির, একাঙ্ক নাটক, কুইজ, অঙ্কন প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর থাকে অনুষ্ঠানটি। মূলত স্হানীয় শিশুরা এইসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
     ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, নৈহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চ্যাটার্জ্জী, MASKA এর সভাপতি গুরুদাস আঢ্য ও সম্পাদক দিলীপ জানা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
      ক্লাবের সম্পাদক দীপঙ্কর দেবশর্মার কাছে জানা গেল দু'বার জাতীয় ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। তিনি শরীর সুস্থ রাখার জন্য সমস্ত মানুষকে যোগাসন করার এবং আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটে শেখার আহ্বান জানান।ক্লাবের বার্ষিক অনুষ্ঠানে সক্রিয় সহযোগিতর জন্য তিনি এলাকাবাসীদের ধন্যবাদ জানান।

মেছেদায় হুল্লোড় মুভিস অভিনয় কর্মশালা হলো

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি, 
  

       কেউ দমদম,কেউ কলকাতা,কেউবা বসিরহাটের বাসিন্দা।প্রত্যেকেই সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ।এই সাংস্কৃতিক জগত তাদের একত্রিত করেছে, টেনে এনেছে একটা সাধারণ প্ল্যাটফর্মে।প্রত্যেকের চোখে-মুখে স্বপ্ন একটা প্রকৃত অভিনয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। অবশেষে তাদের স্বপ্নের "হুল্লোড় মুভিজ অভিনয় কর্মশালা" বাস্তবের রূপ পেল।
      গত ১ লা ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার শান্তিপুরে একটি হোটেলে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন টলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন এমিলি নাগ চৌধুরী, অরুণাভ দত্ত, পুলক মজুমদার ও 'রাখীবন্ধন' সিরিয়ালের ছোট্ট রাখী সহ বাংলা সাংস্কৃতিক জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
       এই কর্মশালার প্রধান উদ্যোক্তা হলেন ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাংলা বিভাগে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পাওয়া '৯ নং পেয়ারা বাগান লেন' এর পরিচালক পল্লব মুখার্জ্জী। সংস্হার সভাপতি ও সম্পাদক হলেন যথাক্রমে শক্তিপদ মণ্ডল ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল। যুগ্ম আহ্বায়ক মিণ্টু দত্ত ও নবনীল রায়চৌধুরী।
        রুদ্রনীল বাবু বললেন - একটা মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই সংস্থা তাদের যাত্রা শুরু করেছে। প্রত্যেকের উচিৎ এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সম্মান জানান। আমাকে আহ্বান জানালে এই সংস্থার ডাকে আমি সবসময় সাড়া দেব।
      অন্যদিকে পল্লব বাবু বললেন - আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া, আগামীদিনে কিছু দুস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান এবং বেকারদের কর্মসংস্হানের ব্যবস্হা করা। এছাড়া কোনো সংস্হা যদি অভিনয় কর্মশালা গড়ে তুলতে চায় তাহলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব।আপাতত মেচেদাতেই এই কর্মশালা চলবে পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আরও কর্মশালা গড়ে তোলা হবে।

ভাতার ডিওয়াইএফআই এর পথসভা

আমিরুল ইসলাম
  
 ভাতারে DYFI উদ্যোগে পথসভা।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার এক নম্বর এরিয়া কমিটি DYFI এর উদ্যোগে ভাতার বাজারের নাসিগ্রাম মরে NRC বিরুদ্ধে ও NRB সমর্থনে অনুষ্ঠিত হলো এই পথসভার ।উদ্দেশ্য হল NRC বিরুদ্ধে ও NRB  এর সমর্থনে।

এন আর বি অর্থাৎ ন্যাশানাল রেজিস্টার অফ বেরোজগার তালিকা তৈরি করা।
আজ ভাতার বাজারে এই তালিকা তৈরীর কাজ করল প্রথম পর্যায়ে। আগামীতে প্রত্যেকটা বুথে বুথে এই তালিকা তৈরি করে নবান্নে তা জমা করা হবে বলে জানিয়েছেন DYFI এর সদস্যরা। 

সিএএ এর বিরুদ্ধে বর্ধমান শহরে তৃণমূলের মিছিল

সানি প্রসাদ
  
সারা রাজ্যের সঙ্গে বর্ধমান শহরে ও এনআরসি সি এ এ  বিরোধী মিছিল হল গত শুক্রবার।  এদিন বর্ধমান স্টেশন থেকে এই মিছিল শুরু হয়ে কার্জন গেটে  শেষ হয়।  মিছিলে ছিলেন তৃণমূল শহর কমিটির সভাপতি অরূপ দাস,  জেলা পরিষদ কর্মধ্যক্ষ উত্তম  সেনগুপ্ত,  মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত, পরেশ   সরকার সহ অন্যান্যরা।

পুরুলিয়ায় বামেদের সভায় সূর্যকান্ত - সেলীম

সঞ্জয় হালদার
 
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি পুরুলিয়া জেলাকমিটির উদ্দোগে পার্টি শতবর্ষ উপলক্ষে জেলার রাস ময়দানে এক জনসভার আয়োজন করেন । জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উক্ত জনসভায় পার্টির কর্মিরা যোগ দান করেন।প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ সুর্যকান্ত মিশ্র ও মহঃ সেলিম।

সাংবাদিক স্বস্তিনাথ শাস্ত্রীর 'স্বাদ আহ্লাদ' প্রকাশ পাচ্ছে ৫ ফেব্রুয়ারি

গোপাল দেবনাথ
  
কলকাতার একটি বিখ্যাত রেস্তরাঁর আংশিক মালিকানা কিনেছিলেন এক ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেট খেলোয়াড়। পরে অবশ্য তিনি সেই মালিকানা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই রেস্তরাঁটির নাম বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ এই রেস্তরাঁ থেকেই উদ্ভব হয়েছিল গোটা বাংলা কাঁপিয়ে দেওয়া একটি খাবার। ক্রিকেটার, রেস্তরাঁ ও খাবারটির নাম জানেন কি? 
শ্রীচৈতন্যদেবের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে একটি বিখ্যাত মিষ্টির নাম। মিষ্টিটি মূলত মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলাতেই পাওয়া যায়। জানেন মিষ্টিটির নাম? 
বাংলার জেলায় জেলায়, প্রত্যন্ত গ্রামে ছড়িয়ে আছে এরকমই অসংখ্য খাবারদাবার। যার কিছু বিশ্ববিখ্যাত আাবার কিছু হারিয়ে যেতে বসেছে। এসব খাবারদাবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার ইতিহাস, রাজনীতি ও সংস্কৃতি। সেইসব বিখ্যাত ও অখ্যাত খাবার এবং সেগুলির উৎপত্তির নেপথ্য কাহিনি, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস ইত্যাদি নিয়েই একটি বই প্রকাশিত হতে চলেছে এবারের বইমেলায়। নাম 'স্বাদ আল্হাদ'। লিখেছেন সাংবাদিক স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী। বইটির ভূমিকা লিখেছেন নাট্যকার ও রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায় দে'জ পাবলিশিং এর ২৩৭নম্বর স্টলে বিকেল ৪টের সময় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অভিনেতা পরান বন্দোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, এবং তনিমা সেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে টালিগঞ্জে চলচ্চিত্র উৎসব

প্রসেনজিৎ রায়
  
 ব্লু চক স্টুডিওর পক্ষ থেকে নাকতলা এলাকার গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশনের কাছে আগামী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি,২০২০ আয়োজিত হতে চলেছে চলচ্চিত্র উৎসব। স্থানীয় কিছু চলচ্চিত্রপ্রেমী, সংস্কৃতিমনস্ক তরুণ-তরুণীর উদ্যোগে কার্নিভ্যালের চেহারা নেবে এই মিনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।  গণমাধ্যম ও সংস্কৃতির বার্তা বহন করতে ভালো সিনেমার এখনও পর্যন্ত কোনো বিকল্প নেই। নানা নাগরিক অসুবিধার কারণে সিনেমা হলে গিয়ে বড় পর্দায় ছবি দেখতে যাওয়ার চিরাচরিত বাঙালি-সুলভ অভ্যাস এখন অনেকটাই পড়তির দিকে। সেই পরিস্থিতিতে এইধরণের চলচ্চিত্র সমাবেশ দর্শনার্থীদের উপহার দিতে চলেছে এক অন্যরকম নস্ট্যালজিয়া। উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে প্রদর্শিত হতে চলা মোট ২৪টি ছায়াছবির যে তালিকা পাওয়া গেছে তাতে ভিন্ন রুচি ও স্বাদের মেলবন্ধন প্রতিফলিত হয়েছে। হুগো, দ্য জেনারেল, জেনেসিসের পাশাপাশি আছে সংসার, দেয়া নেয়ার মত মনোগ্রাহী সিনেমা। তিন দিন ধরে এই সব ছবির প্রদর্শন চলবে নাকতলার সেকেন্ড স্কিম ময়দানে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক সকলেই এই উজ্জ্বল উদ্যোগটির সাফল্য কামনা করে উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

পূর্বস্থলীতে বামেদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

দারকানাথ দাস, 
গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন DYFI ও  ছাত্র ফেডারেশন SFI এর উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী নকআউট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল (সরডাঙ্গা ও জাহান্নগর ক্লাবের মধ্যে) অনুষ্ঠিত হয় পূর্বস্থলী পেপারমিল মাঠে।পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে সূচনা হয়।পতাকা উত্তোলন করেন কমরেড প্রবীর দেবনাথ।আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন DYFI পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড স্বর্ণেন্দু দাস। বিজয়ী সরডাঙ্গার হাতে ট্রফি তুলে দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি কমরেড স্বর্ণেন্দু দাস বিজিত জাহান্নগরের হাতে ট্রফি তুলে দেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড বীরেশ্বর নন্দী।উপস্থিত ছিলেন কমরেড অনুপ ঘোষ, সুমন্ত মুন্ডারী, টিঙ্কু দাস, সুভাষ সাহা, কার্তিক দাস, সোমনাথ সাহা, শান্তুনু দেওয়ান, নয়ন দাস, সুমন্ত দাস, সহ শতাধিক দর্শক বৃন্দ। ফাইনাল খেলা হয় জাহান্নগর ও সরডাঙ্গা দুই দলের মধ্যে। টসে জিতে আগে ব্যাট করে সরডাঙ্গা গ্রাম। নির্ধারিত ১৪ ওভারে ১৬৩ রান করে। জবাবে জাহান্নগর ১৪১ রানে অল আউট হয়ে যায়। ফলে সরডাঙ্গা ২২ রানে জয়লাভ করে। সরডাঙ্গা গ্রামের ইমরান  ব্যাক্তিগত ৪৯ রান এবং ১ টি উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়। ম্যান অফ দ্যা সিরিজ জাহান্নগরের মানিক। 22 রানে জাহান্নগরকে হারিয়ে জয়ী সরডাঙ্গা।

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ০২, ২০২০

৩ রা মার্চ কুমুদ সাহিত্য মেলায় বাংলা সাহিত্যে নক্ষত্রদের আগমন

স্নেহাশিস চক্রবর্তী
    
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – বড়দের জন্য তো আমরা অনেকেই লিখি কিন্তু ছোটদের জন্য লিখতে পারি ক’জন ? সাহিত্যের ইশ্বর রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ছেলেভুলানো ছড়া প্রবন্ধে বলছেন । সৃষ্টিতে শিশু চিরপুরাতন অথচ চিরনুতন । ঠিক । শিশুর না আছে কোনো লিঙ্গ না আছে কোনো ধর্ম । তার একটাই পরিচয়, সে শিশু । তাদের জন্য লিখতে পারাটা বড়ই কঠিন কাজ । আর আমাদের বাংলা সাহিত্যে যে কয়েকজন শিশু কিশোর সাহিত্যিক আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নামটি হল সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী শিশু-কিশোর সাহিত্যিক শ্রী ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় । 

মন্দাক্রান্তা সেন – তিনিই সর্বকনিষ্ঠ কবি যিনি ১৯৯৯ সালে মাত্র সাতাশ বছর বয়সে ‘আনন্দ পুরস্কার’ পান ‘হৃদয়ে অবাধ্য মেয়ে’ কাব্য গ্রন্থের জন্য । তার বলিষ্ঠ রচনা দেশের ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুবসমাজকে আলোড়িত করে । সৃষ্টি ভেঙ্গে কদাকার রুপের পরিবর্তে সুন্দরের জয়গান গেয়ে চলেছেন কবি অবিরত । ভেঙ্গেছেন অনেক বাঁধ – আজও তার গতি সুললিতভাবে এগিয়ে চলেছে আগামী সুন্দরকে আহ্বান করে । 

নলিনী বেরা – বাংলার মেদিনীপুর জেলা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি ও মধ্যযুগ পরবর্তীতে শিক্ষার অঙ্গনে একটি অনেক বড় নাম । ‘গ্রাম দিয়ে নগরায়নকে আটকিয়ে’ দেওয়ার যে শ্লোগান ষাটের দশক পরবর্তী সময়ে উঠেছিল সেই প্রেক্ষপটে এক ঝাক লেখক উঠে এসেছিলেন এই বাংলায় । গ্রামের প্রকৃতিকে গায়ে মেখে গ্রাম্য সুবাস নিয়েই হাজির হয়েছিলেন প্রচুর লেখক কবি সেই সময়কালে । বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেমন হুমায়ূন আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ভাষায় কথা বলেছেন আর মানুষ অকাতরে তার সাহিত্যকে একেবারে নিজের করে নিয়ে আজও এগিয়ে চলেছে, সেই ঘরানার এক লেখক / ঔপন্যাসিক হলেন নলিনী বেরা । আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন গতবছর ‘সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা’ উপন্যাসের জন্য । বাংলা কথা সাহিত্যের অনেক সম্পদকে আরও সমৃদ্ধ করেছে এই উপন্যাস । 
জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় -  
“তোমাকে দিলাম কবিতার বন্ধুতা
রুদ্র পলাশ ভুবনডাঙ্গার মাঠ
তোমাকে দিলাম নীল এক শামিয়ানা
বান্ধবময় স্নিগ্ধ বাগানঘাট
তোমাকে দিলাম সাত রঙ স্বরলিপি
প্রসাধনহীন বেদুইন ভালোবাসা
তোমাকে দিলাম স্বপ্নেতে লেখা চিঠি
বর্ষার রাত, জ্যোৎস্নার পরিভাষা ।“  
বাংলা আধুনিক সাহিত্যকে কাব্যধারায় সুললিত শব্দের প্রয়োগে গত কয়েকশো বছর ধরে যে সকল বাঙ্গালী সাহিত্যিক সমৃদ্ধ করে চলেছেন – আজকের প্রজন্মে এসে অবশ্যই তার অনেকখানি দায় নিতে শুরু করেছেন এই প্রজন্মের লেখক কবিরা । অবশ্যই তার মধ্যে উজ্জ্বল একটি নক্ষত্রের নাম শ্রী জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় । তিনি যে শুধুমাত্র নতুন প্রজন্মের নতুন লেখক তা কিন্তু নয়, সাহিত্য সম্রাট বংকিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বংশের পঞ্চম প্রজন্ম তিনি ।

ডঃ বিজলী সরকার – রবীন্দ্র ও বঙ্কিম গবেষক অধ্যাপিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ । বঙ্কিম গবেষণাগারে বর্তমানে কর্মরত আছেন । সাহিত্যবিকাশে ও ‘রবীন্দ্রনাথের রাজনীতি’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথের বঙ্কিমচন্দ্র’ ও আরও অনেক অনেক কাজ তিনি করেই চলেছেন আগামী প্রজন্মকে এক সদর্থক বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই । 

ডঃ ললিতা পত্রী –  অধ্যাপিকা ললিতা পত্রী যদিও রসায়ন বিজ্ঞানের ছাত্রী এতদসত্ত্বেও তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি তার অকৃত্রিম টানে তিনি দু-দশখানা পুস্তক রচনা করে ফেলেছেন । আর কলকাতার বিখ্যাত সাহিত্য পরিবার ‘পত্রী পরিবারের’ ভ্রাতৃবঁধু তিনি, সদ্যপ্রয়াত শিল্পী কবি  পূর্ণেন্দুশেখর পত্রীর স্ত্রী এই পরিচয়কে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধতার মধ্যে না রেখে তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন বাংলার সাহিত্য অঙ্গনে ।  

কবি আরণ্যক বসু -  
পরের জন্মে বয়স যখন ষোলই সঠিক
আমরা তখন প্রেমে পড়বো
মনে থাকবে ? ...
হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল গড়াবে ...
এই জন্মের দুরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব ...
এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের জন্মে থাকে যেন ...

প্রেমের অকুণ্ঠ আহ্বান নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই আলোড়িত করেই । প্রেমের সদর্থক বার্তা বুঝিবা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কবি সাহিত্যিকের হাত ধরেই এসেছে বারাবারে – সমস্ত সমাজ ভাঙ্গনের চিন্তাকে সরিয়ে দিয়েছে অনেক অনেক দূরে । 

কবি অমিত চক্রবর্তী – পুরনোকে ভেঙ্গে নয়, পুরনো ডাক দেয় নতুনকে – আর সেই আহবানে সাড়া দেন পরবর্তী প্রজন্ম । নতুন প্রজন্মের নতুন এক স্বাক্ষর রাখতে চলেছেন কবি অমিত চক্রবর্তী তার লেখনীকে পাথেয় করে । 
সোনালী কাজী – বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহ ছড়িয়ে দেওয়ার কারিগর কবি নজরুল ইসলাম । রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর মুহূর্তে তিনি ছিলেন আকাশবাণীতে কর্মরত – ডিউটি শেষ করার আগেই এসে পৌঁছেছিল চরম দুঃখের খবর । সেই মুহূর্তে কোনো কলম নয়, কবি নিজস্বরে নিজেই তৈরি করলেন ‘রবিহারা’ কবিতা । যেটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমুল্য সম্পদ । সেই বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের তৃতীয় প্রজন্ম শ্রীমতী সোনালী কাজী । বাচিক শিল্পজগতে ক্রমে তিনি মেলে ধরার চেষ্টা করছেন নিজেকে সাথে সাথে তার কলমও চলছে আজকের সমাজের প্রেক্ষিতে । 
দীপঙ্কর সেন  - বাচিক শিল্পী জগতে ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে একটি নাম আর তিনি হলেন আকাশবাণীতে কর্মরত শ্রী দীপঙ্কর সেন মহাশয় । 

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী – এই প্রজন্মের আর এক বলিষ্ঠ লেখক শ্রী অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী ক্রমশ পাঠক বিস্তার তার লেখাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে দিক থেকে দিগন্তে ।

আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায় এঁরা আসছেন               

এনআরসি বাতিলের মিছিলে দুকিমি হাঁটলো শালবনী

রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে , শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে NRC ও CAA এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল .. শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে  শালবনী - চাকতারিনী - রানাপাড়া পর্যন্ত ২۔۔ কিমি এই মিছিলে হাজারেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহন করে

নবীনবরণ হলো মেমারি কলেজে

সেখ সামসুদ্দিন 
মেমারি কলেজ  নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করে নিল। যদিও এই নবীন বরণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সরস্বতী পুজোর প্রারম্ভেই আবহাওয়াজনিত কারণে সেদিন এই অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছিল, যা অনুষ্ঠিত হলো।  এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মেমারি বিধানসভার বিধায়ক নার্গিস বেগম। উপস্থিত ছিলেন মেমারি কলেজের সভাপতি এম এম মুন্সী, মেমারি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সুদীপ্ত মুখার্জী, মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তী সহ কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকা, ননটিচিং স্টাফ, ছাত্র-ছাত্রী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন বিধায়িকা, সভাপতি, অধ্যক্ষ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তারপর নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের একে একে বরণ করে নেওয়া হয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

দাবি না মানলে অনশনের পথে ভিআরপিরা

দাবি না মানলে অনশনের পথে ভি আর পিরা 

সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব   

 বারাসতের সুভাষ ইন্সটিটিউট হলে  সারা বাংলা গ্রামীন সম্পদ কর্মী সংগঠনের  উত্তর ২৪ পরগনা জেলা  কমিটির  ডাকে আয়োজিত হল ভি আর পি সংগঠনের জেলা সমাবেশ । এই সমাবেশ অংশ নেন প্রোগ্রেসিভ ইউথ ফাউন্ডেশনের রাজ্য সভাপতি জনাব সিয়ামত আলী 
। জনাব সিয়ামত আলীর কথায় ভি আর পি দের ন্যায্য দাবি সরকার মেনে নিতে বাধ্য , মাত্র ১৫০ টাকায় এই দ্রব্যমূল্য বাজারে চলে না । তাই রাজ্য কেউ খাবে আর কেউ খাবে না - এই নিয়ম চলবে না । ১৫০ টাকা দিয়ে  কার্যত ভি আর পি দের শিক্ষার প্রতি অপমান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান । সমাবেশে জেলা কমিটির পদাধিকারী ও ২২ টি ব্লক কমিটির  প্রায়  তিন  শতাধিক ভি আর পি উপস্থিত ছিলেন ।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মিজানুর রহমান এর দাবি তারা দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের কাছে তাদের  কর্মের নিশ্চয়তার ব্যাপারে দরবার চলে আসছে । বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগে সরকারের দেওয়া  বহু প্রতিশ্রুতি পুরণ আজ ও হয়নি বলে তিনি দাবি করেন পাশাপাশি বর্তমান সময়ে ভি আর পি দের দুর্বিসহ ও দুরাবস্থার কথা বর্ণনা করেন । তিনি বলেন আগামী ৬ তারিখ রাজ্য ব্যাপী দিদি শুনছেন আমি ভি আর পি এর মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিয়ে পত্র বিপ্লব করে  রাজ্য সরকারের দেওয়া পুর্ব প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন । চিঠি তে ভি আর পি স্থায়ীকরনের ব্যাপারে  জোরালো দাবী থাকবে বলে জানান সংগঠনের তরফে । সংগঠন টির  রাজ্য কমিটির চেয়ারম্যান  রহমাতুল্লা খানে  বক্তব্য আর শান্তি পুরর্ণ সমাবেশ নয়, কলকাতা তে বিগত তিনটি  সমাবেশ করে ৩৩ হাজার গ্রামীন সম্পদ কর্মী দের সামান্য চাহিদা টুকুও পূরণ করতে সরকার এগিয়ে আসেনি।  তাই ভি আর পিরা কলকাতা তে অনশন কর্মসূচি করে  সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন । রাজ্য কমিটির আর এক সদস্য কৌশিক মন্ডল ও জুলফিকার শেখ  জানান সরকার যদি দুই মাসের মধ্যে কোন সুরাহা না করেন তা হলে বাধ্য হয়ে   অনশনের পথে নেমে যাবেন । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন   সংগঠনের  বাকিবিল্লা গাজী, কৌশিক নস্কর,  তুলসী গুহ,  পিনাকী চক্রবর্তী, অর্পিতা বিশ্বাস,  শ্রাবণী খাতুন সুমন সরকার , রিতা দে, মামনি মন্ডল প্রমুখ ।

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ০১, ২০২০

হুল্লোড় মুভিস অভিনয় কর্মশালার উদঘাটনে অভিনেতা রুদ্রনীল

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  
হুল্লোড় মুভিস পরিচালিত অভিনয় কর্মশালার শুভ উদঘাটন হলো শনিবার। পূর্ব মেদনীপুর জেলার মেছেদা সংলগ্ন শান্তিপুরে আজ এই কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন টলিউডে প্রখ্যাত অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এই অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল বাংলার খবরাখবর নিউজ পোর্টাল                    

রাজ্য পরিবহন দপ্তরের হাত ধরে সুন্দরবনে যোগাযোগে বাড়লো দুরন্ত গতি

সঞ্জীবন সরকার
  
।।সুন্দরবনের  নদী বক্ষে পরিবহনের নতুন দিগন্ত।।



 বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি ব্লকের দক্ষিন আকড়াতলা কালিনগর তুষখালী ধামাখালি এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নদী ও সাগরের সংযোগস্থলে যেটির শুভ উদ্বোধন পাশাপাশি জলধারা যাত্রীবাহী  ভেসেলের শুভ সূচনা করলেন রাজ্যের পরিবহন সেচ জনপথ জল সম্পদ বিকাশ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সাংসদ নুসরাত জাহান জেলা পরিষদের পরিবহন তথ্য সংস্কৃতি কর্মদক্ষ ফিরোজ কামাল গাজী সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বিধায়ক দেবেশ মন্ডল এই অনুষ্ঠানের বিশিষ্ট আহবায়ক শেখ শাহাজান জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা সহ সরকারি প্রতিনিধিরা ।ভেসেল ও জেটিঘাটের  উদ্বোধনের ফলে 2 24 পরগনার নদীপথে  যোগাযোগ সুদীর্ঘ হল। একদিকে যেমন সড়ক ও রেলপথের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ আরো সহজ হল। জেন গুরুত্বপূর্ণ নদী গুলো সুন্দরবনের বেদনী বিদ্যাধরী তুষখালী রায়মঙ্গল এই নদী গুলোর সংযোগস্থল সঙ্গে সুন্দরবনের কয়েকটি দ্বীপ সংযুক্তি হলো। যার ফলে উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ সুন্দরবন মানুষ সবমিলিয়ে আজকের এই শুভ দিনে নেজাট রাইস মিল মাঠে শুভ সূচনা হবে।

শুক্রবার, জানুয়ারী ৩১, ২০২০

'ঐশীরা প্রেরণা সবার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে' বললেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য

ঐশীরা প্রেরণা সবার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে- বললেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য

শম্পা প্রামাণিক
  
 দুর্গাপুর:-দুর্গাপুরে "দ্বিতীয় পুরুষ" বাংলা সিনেমার প্রচারে এসে CAA এবং NRC নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে JNU ছাত্রী তথা সভাপতি ঐশী ঘোষের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এক একান্ত আলাপচারিতায় অনির্বাণ বলেন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য লড়াই করতে গিয়ে, ঐশীদের উপর ফ্যাসিস্ট কায়দায় বর্বর আক্রমণ হয়েছে। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে প্রতিবাদী ছাত্র ছাত্রীরা মার খাচ্ছে। তা চাপিয়ে দেওয়া রাজনীতির ফল। এমন অবস্থায় 'ঐশীরা' বিভিন্ন জায়গায় গর্জে ওঠছে। তবে ঐশীদের মাথা ফাটিয়ে প্রতিবাদের থামানো যাবে না, তা এতদিনে বোঝা উচিত ছিল। অনেকেই CAA এবং NRC সমর্থন করেনা। এমনও মানুষের প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে ঐশিরা। লড়াইয়ের প্রেরণা হতে পারে।

দিল্লির রাজপথে বন্দুকবাজের হাতে আক্রান্ত প্রতিবাদী ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় শঙ্কিত অভিনেতা দাবি করেন দেশের সীমানায় সেনারা পাহারায় আছেন আর চতুর্দিক থেকে সুরক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু দেশের ভিতরে বন্দুকবাজদের হাত থেকে কে রক্ষা করবে; তা নিয়ে সরকার এখনও নীরব। এমন অবস্থায় আগামী দিনে সুরক্ষা কে দেবে! তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই সরকার আমাদের সুরক্ষা দিতে পারছে না। এমন অবস্থায় সময়ই সরকারকে জবাব দেবে।

অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ বলেন ছোটবেলা থেকে এমন ভারতবর্ষ আমি দেখিনি। সংবিধান প্রদেয় স্বাধীনতা কখনো আটকানো উচিত না। কারো উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়াও উচিত না। কারোর ওপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া আমি সমর্থন করি না। শ্রমিক আন্দোলনের পীঠস্থান শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী বলেন প্রতিবাদের সঙ্গে আছি। ব্যক্তিগত কারণে রাজপথের মিছিলে পা মেলাতে পারিনি। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে যা ঘটছে তা দুঃখজনক।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন ভারতবর্ষের মতন দেশে ঐক্য কতটা প্রয়োজনীয় তা বর্তমান রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বোঝা যাচ্ছে। সারা দেশ জুড়ে মানুষ মিছিলে হাঁটছেন। একজন কলেজ পড়ুয়া হিসেবে ঐশী ঘোষকে প্রেরণা বলে মনে করি। কারণ একজন মানুষ হিসাবে কিভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় তা শিখিয়েছে ঐশী ঘোষ।

ইনসুলিন ইনজেকশন কিভাবে ব্যবহার করবেন ডায়াবেটিস রোগে?

ভালো ডায়াবেটিস পরিচালনার মূল মন্ত্রহল ইনসুলিন ইনজেকশনের সঠিক কৌশল: 


রাজকুমার দাস
  
 
ইনসুলিন থেরাপি প্রায়শই ডায়াবেটিস পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।টাইপ 2 ডায়াবেটিসরোগীদের শেষপর্যন্ত কার্যকরী গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণেরজন্য রোগের সময় ইনসুলিনথেরাপির প্রয়োজন হয় এবংএই প্রক্রিয়াটিতে ইনজেকশন কৌশলটি হল গুরুত্বপূর্ণ।নিরাপদ ইনসুলিন ইনজেকশন অনুশীলন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, বিডি-ইন্ডিয়ার দ্বারা ইনসুলিন ইনজেকশন দিবসে শীর্ষস্থানীয় এন্ডোক্রিনোলজিস্টদের নিয়ে একাধিক শহরে শিক্ষামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।ইনসুলিন ইনজেকশন দিবসে কানাডার টরোন্টো জেনারেল হাসপাতালে ১১ই জানুয়ারী ১৯২২-এ প্রথম সফল ইনসুলিন প্রয়োগের৯৮তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক 
সম্মেলনে, কলকাতা ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইন ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং এন্ডোক্রাইন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সভাপতি  অধ্যাপক দেবাশীষ মাঝি বলেন,“ইনসুলিনইনজেকশন থেরাপির সাফল্য এবং এর আনুগত্য বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে যেমন পরামর্শ অনুসারে একটি মসৃণ ইনসুলিন আরম্ভের প্রক্রিয়া যা সূঁচের ভয়, ইনসুলিন ব্যবস্থা, সূঁচের দৈর্ঘ্য এবং প্রয়োগের পদ্ধতি উপশম করে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ইনসুলিন চিকিৎসা রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাবশ্যক,এবং কোনও অনুপযুক্ত ইঞ্জেকশন দক্ষতা ডোজের নির্ভুলতা এবং এর কার্যকারিতার সঙ্গে আপোষ করতে পারে।আপনি কীভাবে এবং কোথায় ইনজেকশন করছেন তার সাথেসমানভাবে গুরুত্বপূর্ণআপনি কি ইনজেক্ট করছেন।এটি সুপারিশ করা হয় যে সূঁচগুলি পুনরায় ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ ভোঁতা সূঁচগুলি টিস্যুগুলিকে ক্ষতি করতে পারে এবং জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।আমি আনন্দিত যে বিডি ইনসুলিন ইনজেকশন দিবসে সচেতনতামূলক প্রচারকে সমর্থন করছে যাতে ইনসুলিন ইনজেকশনগুলির যথাযথ ব্যবহারকে উৎসাহিত করা যায় এবং রোগীদের উন্নত জীবন যাপনে সহায়তা করা যায়।”

কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও প্রধান, এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (ডিএআই), পশ্চিমবঙ্গ প্রফেসর নীলাঞ্জন সেনগুপ্ত,  জানানএকটি সঠিক ইনজেকশন কৌশল হল ভালবাবে গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণ অর্জন এবং এর ফলে ইনসুলিনে ডায়াবেটিস রোগীদের জটিলতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ।যদি সূঁচের মতো ইনজেকশন ডিভাইসগুলিসঠিক ভাবে ব্যবহার না করা হয় বা পুনরায় ব্যবহার করা হয়, তবে এর ফলে অন্যান্য জটিলতার সাথেরক্তক্ষরণ এবং ক্ষত এবং সূঁচগুলি ভেঙে ব্যথা করতে পারে।বিডির ইনসুলিন ইনজেকশন দিবসের প্রচারের মাধ্যমে, ইনসুলিন ইনজেকশন স্থল এবং স্থলেরআবর্তন সহ উপযুক্ত ইনজেকশন কৌশল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোও সমানগুরুত্বপূর্ণ”
বিশেষজ্ঞরা এও জোর দিয়েছিলেন যে ভুল ইনসুলিন ইনজেকশন কৌশলটি রোগীর স্বাভাবিক ইনজেকশনস্থলগুলির ত্বকের নিচে ঘন ও ঘষে ফুলে যাওয়া লাইপোহাইপ্রোট্রফির কারণ হতে পারে।লাইপোহাইপারট্রফির ফলেগ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণ, হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং পরিবর্তনশীল গ্লাইসেমিক হতে পারে।

ফোরাম ফর ইনজেকশনটেকনিক এবং থেরাপিএক্সপার্ট রেকমেন্ডেশন (ফিটার) ইন্ডিয়ার সুপারিশগুলির জন্য কয়েকটি প্রস্তাব নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে:

ফিটারের কিছু ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের সুপারিশ

সাইটের আবর্তন

·      ইনজেকশন থেরাপি শুরু হওয়ার পরে রোগীদের সহজে অনুসরণ করার  একটি রোটেশন স্কিম শিখানো উচিত।

*সূঁচ / সিরিঞ্জ স্বাস্থ্যকরন

·      সূঁচ পুনরায় ব্যবহার করবেন না। প্রতিটি ইনজেকশনের জন্য একটি নতুন সূঁচ ব্যবহার করুন।

*লিপোহাইপারট্রফি

·      ইনজেকশন স্থলগুলি প্রতিটি দর্শনে পরীক্ষা করা উচিত।রোগীদের তাদের নিজস্ব স্থলগুলি পরীক্ষা করতে শেখানো এবং লিপোহাইপারট্রফি কীভাবে সনাক্ত করা যায় সে সম্পর্কে প্রশিক্ষণও দেওয়া উচিত।

*ইনজেকশন স্থল

·      পরিষ্কার হাত দিয়ে একটি পরিষ্কার সাইটে ইঞ্জেকশন দেওয়া উচিত।

·      ইনজেকশন দেওয়ার আগে সাইটটি লাইপোহাইপারট্রফির জন্য স্পর্শ করে পরীক্ষা এবং জখম, ক্ষত বাফোস্কা পরীক্ষা করতে হয়।

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পাল্লারোডে

সেখ সামসুদ্দিন
 
পাল্লারোড পশপুকুর সুসৌর গাঁওতা ক্লাব আয়োজিত সরস্বতী পূজা উপলক্ষে নানান সামাজিক ও সাংকৃতিক কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আদিবাসী সংস্কৃতি ধরে রাখতে আদিবাসী নাচ গানের পাশাপাশি তীরন্দাজ সহ নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পশপুকুর সহ আশপাশের এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের বস্ত্রবিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেমারি থানার তরফে পৃথ্বিশ বিশ্বাস, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমাজসেবী ও আকাশবাণীর সঙ্গীত শিল্পী সরকার মান্ডি সহ বাদল মুরমু ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, পল্লীমঙ্গল সম্পাদক সন্দীপন সরকার, অসিত চৌধুরী সহ স্থানীয় এলাকার বিশিষ্ট মানুষজন। পাল্লারোড পশপুকুর সুসৌর গাঁওতা ক্লাবের তরফে অজিত মুরমু ও প্রদীপ মুরমুরা জানান এইবার দ্বিতীয় বছরে পড়ল এই ক্লাবের এই উদ্যোগ,  ভবিষ্যতেও এইধরণের কর্মকান্ড তারা জারি রাখবেন।

মঙ্গলকোটে কুমুদ সাহিত্যমেলায় যারা সংবর্ধনা পাচ্ছেন

মোল্লা জসিমউদ্দিন

(সম্পাদক কুমুদ সাহিত্যমেলা কমিটি)       


২০২০ (৩ রা মার্চ) এর কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা প্রাপকরা হলেন


স্নেহাশিস চক্রবর্তী (প্রাবন্ধিক),   মনিরুল  ইসলাম ( রাস্ট্রপ্রতি পুরস্কার প্রাপ্ত  শিল্পী),  নিগমানন্দ মন্ডল (প্রকাশক), ফারুক  আহমেদ (সাহিত্যিক),  বৈশাখী মিত্র চ্যাটার্জি (লেখিকা),   তুহিনা সুলতানা (কবি),  স্মৃতিকণা ভাদুড়ি (বাচিক শিল্পী),  রফিকুল ইসলাম (বাউলশিল্পী),   তন্ময় ঘোষ (কৃষি গবেষক), আব্দুর রব (লেখক), দীপঙ্কর চক্রবর্তী (লিটিল ম্যাগাজিন সম্পাদক),   সেখ নিজাম আলম (সাংবাদিক),  দীপঙ্কর সমাদ্দার (চিত্রশিল্পী),৷ চন্দ্রনাথ  মুখোপাধ্যায় (সাংবাদিক), নন্দিনী  ভট্টাচার্য ( মানবাধিকার কর্মী),  অরবিন্দ সিংহ (সমাজসেবী), মিনতি নায়েক (কবি),   মিতালী  চ্যাটার্জি (অধ্যাপিকা),  শফিকুল ইসলাম (শিক্ষাব্রতী) , রাজকুমার দাস ( চিত্রপরিচালক) ,  ডঃ হরিদাস মন্ডল ( কার্ডিওলজি),   তপন রায় (যাত্রাশিল্পী),  শ্যামলাল মকদমপুরী (ছড়াকার) 





এছাড়া তিন সাংবাদিক ( সুদিন মন্ডল -ভাতার, সুভাষ মজুমদার -তারকেশ্বর,  সুরজ প্রসাদ - সদর বর্ধমান)  দের 'উদার আকাশ' পত্রিকার তরফে সম্মানিত করা হবে।

আদ্রা আসানসোল রুটে ট্রেনে আত্মঘাতী হত এই পরিবার

পুলকেশ ভট্টাচার্য   
  

তখন বেলা একটা। আসানসোল - পুরুলিয়া রেলরুটে জয়চন্ডী পাহাড় স্টেশনে বেশকিছু মালগাড়ী দাঁড়িয়ে রয়েছে, আসানসোল গামী লোকাল ট্রেন কে পাশ দেবে বলে। সিগন্যাল লাল থেকে সবুজ হলো। আদ্রাগামী মালগাড়িটি প্লাটফর্ম ছাড়ছে লোকাল ট্রেন আসবে। শতাধিক ট্রেন যাত্রীরা তখন অপেক্ষায়। এইমত অবস্থায় তিন সন্তান কে নিয়ে মালগাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো স্থানীয় মাঝবয়েসী এক মহিলা। যেহেতু দীর্ঘক্ষণ প্লাটফর্মে দাড়িয়ে ছিল মালগাড়ি। তাই সেসময় প্লাটফর্ম পরিত্যাগ করতে গতিবেগ ততটা ছিলনা। চারিদিকে এলাকাবাসীর হইচই, মালগাড়ীর চালক জোড়ে ব্রেক কষলেন। এক হাত কি দুই হাত দুরে রেললাইনের ওরা চারজন।রেলপুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে থাকা এই প্রতিবেদক ছুটলো সপরিবারে আত্মঘাতী হওয়া ওই মহিলাটির কাছে।  জানা গেল,  দাম্পত্যকলহে তিন সন্তান কে নিয়ে আত্মহত্যার পথে এগিয়েছিল এই মহিলা। তবে কয়েকজন এলাকাবাসী দ্রুত চলে যাওয়ায় মালগাড়ির ইঞ্জিনে মাথা দেওয়া হয়নি। হইহট্টগোলে  স্টেশন  থেকে   আরপিএফ এবং জিআরপির পুলিশ কর্মীরা আসে। নিয়ে যাওয়া অফিসে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার বেলা একটা নাগাদ পুরুলিয়ার জয়চন্ডী পাহাড় স্টেশনে।  আনাড়া জিআরপির  ওসি নির্মল সিং জানিয়েছেন - "এলাকাবাসীদের ধন্যবাদ, আজ ওদের জন্যই এই পরিবারটি বাঁচলো "।        

সিন্দরি চাস রোড হাইস্কুলের বর্ষপূর্তি তে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো

সঞ্জয় হালদার
  
পুরুলিয়ার সিন্দরি চাস রোড হাই স্কুলের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রদীপ জালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত, সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হলধর মাহাত মহাশয়।

সাহিত্য সংগঠন মনন দেবে কবি সাহিত্যিকদের পুরস্কার

প্রকাশিত পুস্তকের জন্য পুরস্কার ঘোষণা

সকল প্রকাশক / লেখক / লেখিকা / পাঠকের কাছে নিবেদন ।

১ ) ‘অলকেন্দু শেখর পত্রী স্মৃতি সাহিত্য উৎকর্ষ পুরস্কার’  – ( সাহিত্য / শিল্পচেতনা সম্বন্ধে লেখা অগ্রগণ্য )

২) ‘আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার'   - ( সাহিত্য / কাব্যসাহিত্য অগ্রাধিকার )

৩) ‘শক্তিপদ রাজগুরু স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার’  - ( সাহিত্য / উপন্যাস অগ্রাধিকার )

প্রত্যেকটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ৩০০০ ( তিন হাজার ) টাকা, উত্তরীয়, মানপত্র । 

পুরস্কার প্রদান করা হবে ‘চন্দ্রপুর মনন ফর লিটারেচার’, ( রেজি. নং. এস ০০০৭৫৬৫ ) বা মনন সাহিত্য সংস্থার মঞ্চ থেকে ।


পুস্তক জমা করার সময়কাল – ১৫ ই মার্চ, ২০২০ থেকে ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ।

পুরস্কার ঘোষণা – ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ ।

অংশগ্রহণের নিয়মাবলী

১) প্রকাশিত বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রেই একমাত্র এই তিনটি পুরস্কার প্রদান করা হবে ।

২ ) ফেব্রুয়ারী, ২০২০ পর্যন্ত প্রকাশিত পুস্তক পুরস্কারের জন্য গৃহীত হবে ।

৩ ) প্রত্যেক প্রকাশক সর্বোচ্চ তিনটে করে ‘টাইটেল’ অর্থাৎ তিনটে করে প্রকাশিত পুস্তক তিনটি পুরস্কারের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে প্রদান করতে পারেন ।

৪ ) পুরস্কারের জন্য প্রকাশক / লেখক / পাঠক প্রত্যেকটি পুস্তকের দুইটি করে কপি আমাদের নিচের ঠিকানায় কুরিয়ার / রেজিস্ট্রি করে পাঠাবেন ।

৫ ) প্রত্যেক প্রকাশক তার লেটারহেডে কোন পুস্তক কোন পুরস্কারের জন্য পাঠাচ্ছেন সেটি পরিস্কার লিখবেন, সঙ্গে অবশ্যই প্রকাশকের শেষ ট্রেড লাইসেন্সের কপি দেবেন ।

৬ ) লেখক / লেখিকা নিজেরাও তাদের লেখা পুস্তক একই নিয়মে সাদা কাগজে বা নিজের টাইপ করা লেটার হেডে পুস্তক প্রদান করতে পারেন, দুই কপি করে পুস্তক সাথে দিয়ে প্রত্যেক পুরস্কারের জন্য ।

৭ ) একই প্রকাশকের প্রকাশিত পুস্তক প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা যেহেতু তিনটি পুস্তক, তাই লেখক লেখিকার বই যদি সেই প্রকাশকের হয় আর তা যদি তিনটির সীমা অতিক্রম করে যায় তাহলে সেই পুস্তক পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে না । তাই লেখক / লেখিকা / পাঠককে অনুরোধ আপনারা অবশ্যই পুস্তক প্রকাশকের সাথে কথা বলে তবেই পুস্তক প্রদান করবেন ।

৮) লেখক লেখিকা নিজে প্রকাশক বা প্রকাশিকা হলে আলাদা করে পুস্তক প্রদান করতেই পারেন ।

৯) সমাজের যে কোনো ব্যক্তি পাঠক / পাঠিকা হিসেবে যে কোনো পুস্তক পুরস্কারের জন্য পাঠাতে পারেন । তবে অবশ্যই সেই পাঠকের / পাঠিকার দায়িত্ব থাকবে লেখকের নাম ঠিকানা ইমেইল আই ডি ফোন নাম্বার আমাদের কাছে পুস্তক প্রদানের সময়ই প্রদান করবেন ।

১০ ) একবার পুরস্কৃত পুস্তক ‘চন্দ্রপুর মনন ফর লিটারেচার’ ( মনন সাহিত্য সংস্থা ) ‘র অন্য কোনো পুরস্কারের জন্য দ্বিতীয়বার বিবেচিত হবে না ।

১১ ) সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়া ‘চন্দ্রপুর মনন ফর লিটারেচার’ অধীন, এই বিষয়ে কোনোরকম তদ্বির বা খোঁজখবর পুস্তক প্রদানের পরে কেউ করবেন না ।

১২ ) ‘চন্দ্রপুর মনন ফর লিটারেচার’ গোষ্ঠীর বিচারক মণ্ডলীর নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত এই বিষয়ে চূড়ান্ত ।

পুস্তক পাঠানোর ঠিকানা

‘চন্দ্রপুর মনন ফর লিটারেচার’ ( কম্যুনিকেশান এড্রেস )
প্রজত্নে স্নেহাশীষ চক্রবর্তী
৬৯/১, এস কে দেব রোড
( এস কে দেব রোড সরাকারী আবাসন )
ব্লক – এল /১  ফ্লাট – ১৫
কলকাতা – ৭০০০৪৮
পোস্ট অফিস – শ্রীভূমি থানা – লেকটাউন
পিন – ৭০০০৪৮

( সকলকে অনুরোধ নিয়মাবলী পুঙ্খানুপুঙ্খ পড়ে তারপর ১৫ ই মার্চ, ২০২০ থেকে বই পাঠাবেন )

পল্লিমঙ্গল উৎসব পাঁচবছরে পা দিলো

পঞ্চমবর্ষের পল্লিমঙ্গল উৎসবের সূচনা
সেখ সামসুদ্দিন
 

 পাঁচ বছরে পা দিল পল্লিমঙ্গল উৎসব,  সূচনা করলেন মেমারীর বিধায়ক নার্গিস বেগম। বিতর্কসভা , পাল্লারোড গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের জিমন্যাস্টিক দিয়ে উদ্বোধন হয়। উৎসবের, আঁকা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ , শ্রুতিনাটক সহ সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে জমজমাট ছিল। এইবারের উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও নানারকম খেলাধূলার আয়োজন করা হয় উৎসবে, বিতর্কে অংশ নেন শিক্ষক থেকে রাজনীতিবিদ, বিষয় ছিল "মূল্যবোধ নয় বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধি , দেশ ভক্তি নাকি সরকার ভক্তি দরকার কার শ্রীবৃদ্ধি" স্থানিয়দের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন, মেলায় শিক্ষানিকেতনের স্টল নজর কাড়ে সবার, বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গায়ক সুরজিত চ্যাটার্জি (ভূমি), বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমাশাসক সুদীপ ঘোষ,  বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক,  মেমারীর বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিত্যানন্দ ব্যানার্জি।

উলুবেড়িয়ায় গান্ধীজির মৃত্যুদিবস পালন

ওয়াসিম বারি
  
জাতির জনক মহাত্মা গাঁধীর মৃত্যুদিন ।এই উপলক্ষে হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের চেঙ্গাইল স্টেশনের কাছে তূনমুল কংগ্রেসের উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর এক সভা হয়।উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিশ আলি বলেন, মহাত্মা গাঁধী ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক তাঁর আদর্শ ও অবদানের কথা আরও বেশি বেশি করে মানুষের মনে ছড়িয়ে দিতে হবে ।
 অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  সভাপতি বেনুকুমার সেন,তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি কাউন্সিলর বাদশা মিদ্দে, কাউন্সিলার  মহঃ সেলিম, সমাজসেবী আতিবর রহমান, শুক্লা ঘোষ প্রমুখ ।

বোরো ধান চাষ চলছে মঙ্গলকোটে

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
  

  কৃষি প্রধান মঙ্গলকোটের কৃষকরা বছরের অধিকাংশ সময় কৃষিকাজে ব্যস্ত।সবে আমন ধান ঝাড়ানর কাজ শেষ করেছে। আলু তোলার সময় এগিয়ে আসছে।এরই মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বোরো ধান নিয়ে। যেহেতু সেচখালের মাধ্যমে জল পাওয়া যায়না,তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগেই শুরু হয়েছে বোরো চাষ। কোথাও দেখা যাচ্ছে ধান পোঁতার জন্য জমিতে জল দেওয়া হয়েছে,কোথাও বা বীজতলা থেকে ধান তুলে পোঁতা হচ্ছে।
     চাণক অঞ্চলের কৃষক রঘুনাথ পাল বললেন - যেহেতু বিকল্প কোনো ফসল চাষের ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি তাই আমরা ধান, আলু নিয়েই ব্যস্ত থাকি।

সুসম্পর্ক এর শিক্ষাঙ্গনে সরস্বতী পূজা

সুসম্পর্ক সামাজিক সংগঠনের শিক্ষাঙ্গনে দুস্থ পড়ুয়াদের নিয়ে সরস্বতী পূজোর আরাধনা হলো। সারাদিন ব্যাপি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।             

গলসিতে এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন

সেখ নিজাম আলম
  
: ""এন আর সির বিরুদ্ধে গলসীতে
বিক্ষোভ""-------

কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতি
এন,আর,সি ও সি,এ,এ এর বিরুদ্ধে গলসীতে গণ বিক্ষোভ শুরু হয়।জানা যায়, গলসি ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি
মাননীয় বাসুদেব চৌধুরী মহাশয় ও
যুবনেতা শ্রী শৈলেন হালদার মহাশয়ের নেতৃত্বে
কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতি এন,আর,সি,র বিরুদ্ধে গলসীতে এক বিশাল মিছিল বের হয়।গলসী ২নং ব্লক ও
গলসী পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত আশপাশের সমস্ত গ্ৰামের মানুষ জন এই মিছিলে সামিল হন।জাতিধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে এই মিছিলে প্রায় দশ হাজার লোকের সমাগম ঘটে।বি,জে,পি সরকারের এই জনবিরোধী নীতিতে সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এই মিছিলে নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো।তারা কেন্দ্র সরকারের খামখেয়ালি নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে পদব্রজে সারুল থেকে শুরু
করে গলসী পরিক্রমা করেন।
মাননীয় বাসুদেব চৌধুরী মহাশয়,শ্রী শৈলেন হালদার সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন কর্ণধার গন এই সভায় বক্তব্য রাখেন।তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা শ্রী শৈলেন হালদার বলেন,আমরা কেন্দ্র সরকারের এই জনবিরোধী নীতি মানছি না।আমরা কেও বাংলা  ছাড়ছি না ছাড়ব না, এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বুকচিতীয়ে লড়াই করে যাব।কেন্দ্র সরকারের এই এন আর সি নীতির বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী তথা বাংলার জননেত্রী মাননীয়া
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন।আমাদের মা মাটি মানুষের
সরকার লড়ছে ও 
লড়বে।শৈলেন বাবু র বক্তব্যে প্রায় হাজার দশেক জনতার করতালিতে মঞ্চ ভরে ওঠে।গলসী২নং পঞ্চায়েত সমিতির
সভাপতি মাননীয়
বাসুদেব চৌধুরী মহাশয়  তৃনমূল কংগ্রেসের উপস্থিত সকল জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই লড়াই চালিয়ে যাবার জন্য আহ্বান জানান।
তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, গলসি ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বান্টি বাগ প্রমুখ।

তারকেশ্বরের নছিপুরে সরস্বতী পূজা

সুভাষ মজুমদার
  
তারকেশ্বর  কেশবচক  গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন  নছিপুর সিদ্ধেশ্বরী ফুটবল ময়দানে দি কিশোর সংঘের পরিচালনায় পাঁচ দিন ব্যাপী মেলা চলবে, বিশেষ ভাবে নজর কারে  25 ফুট এর সরস্বতী ঠাকুর ও কিশোর মেলা ৷ এই মেলা 40 তম বর্ষে পা রাখলো ৷ এই মেলাকে কেন্দ্র করে শুধু গ্রামের মানুষ না বহু দূর-দূরান্ত থেকে এসে পূজা মন্ডপ ও মেলা উপভোগ করেন ৷  মেলাকে কেন্দ্র করে শুধু কচি কাঁচাদের ভীড় জমায় তা নয় বয়স্ক মানুষদের এই মেলায় দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে মেলার উদ্বোধন করে গেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক মিহির গঙ্গুলি, এছাড়াও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক দেব কুমার বেরা ,ও সভাপতি শ্রীবাস নন্দী,বুদ্ধদেব মাইতি, সহ আরো অনেকে, উল্লেখ্য যে প্রত্যহ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় ৷

প্রগেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশন সিএএ এর বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ আন্দোলন নিচ্ছে

পুলকেশ ভট্টাচার্য
  

উত্তর 24 পরগনা জেলার বারাসাতের প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের জেলা নেতৃত্ব নিয়ে এক বিশেষ বৈঠক হয়। বর্তমানে ব্লক ও জেলার বিভিন্ন সমস্যা গুলি নিয়ে আলোচিত হয়।বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালে দেশে কেন্দ্রীয় সরকার যে সংবিধান কে অবমাননা করে CAA চালু করতে চাইছে। যার বিরুদ্ধে গোটা দেশ উত্তাল ,মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে উঠেছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সিয়ামত আলি বলেন দেশে যে পরিমাণে হিংসা অসহিষ্ণুতা ও অসাংবিধানিক কার্যক্রম যেভাবে বেড়ে চলেছে তার প্রতিবাদে সারা রাজ্য জুড়ে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সি এ এ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদিনে জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত হয়। উত্তর 24 পরগনা জেলার নতুন সভাপতি হিসাবে মনোনীত করা হয় মাওলানা আবুল কালাম কে। তিনি বলেন এই আন্দোলন ব্লক তথা পঞ্চায়েত বুথ স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে হবে। রাজ্য সরকার দেরিতে হলেও বিধানসভায় সি এ এ এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানোর জন্য সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ অভিনন্দন জানানো হয়। এ দিনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পি ওয়াই এফ এর রাজ্য কোষাধক্ষ্য কাজী তৈয়েবুললা, জেলা সম্পাদক আজান আলি, যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান, সহ-সভাপতি সৌরভ লাহিড়ী, সহ-সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাইফুল মোল্লা প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২০

বস্ত্রবিলিতে বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন

তথাগত চক্রবর্তী

  সরস্বতী পুজোয় শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হল বীরভূম জার্নালিস্ট
ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। বুধবার দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পর ৭৫
জন দুঃস্থ মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। এক মঞ্চে
না থাকলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শীতবস্ত্র তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী আশিস
বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সরকারের সহ তথ্য অধিকর্তা মানস কুমার দাস,
রামপুরহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার, পুরসভার বিরোধী দলনেতা
বিজেপির শুভাশিস চৌধুরী, রামপুরহাট পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব
মল্লিক, তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রেকিব। উপস্থিত
ছিলেন রামপুরহাট মহকুমার অধিকাংশ সাংবাদিক।

OLD POSTED

আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোল্লা জসিমউদ্দিন   সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER