জুলফিকার আলি
বুধবার, এপ্রিল ১৫, ২০২০
কোলাঘাটে শান্তিপুরে খাদ্য সামগ্রী বিলি চললো
কোলাঘাটে রক্তদান শিবির
জুলফিকার আলি,
অযথা ঘুরাঘুরি করলে সিঙ্গুর পুলিশ মারছে লাঠি
সুভাষ মজুমদার
লকডাউনের দ্বিতীয় দফায় অযথা ঘোরাঘুরি করতে দেখলেই সিঙ্গুরে লাঠি চার্জ পুলিশের।
প্রথম দফার লকডাউন শেষ ,আজ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন।
এই দ্বিতীয় দফার লোকডাউনের শুরুতেই আবারও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল সিঙ্গুর থানার পুলিশ কর্মীদের।
এদিন সকাল থেকেই সিঙ্গুরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নামে পুলিশ।সিঙ্গুর বাজার এলাকায় উপযুক্ত কারণ ছাড়াই রাস্তায় বের হওয়া সাধরণ মানুষ কে বোঝানোর পাশাপাশি যারা লকডাউন অগ্রাহ্য করে রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের উপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ।
এছাড়া কোরোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধরণ মানুষ কে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশ কর্মীরা।
অন্যদিকে মাস্ক বিহীন পথ চারীদের হুমকি দিতেও দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের।
করোনা ও যান্ত্রিক নববর্ষ - অদিতি চট্টপাধ্যায়
'করোনা' ও 'যান্ত্রিক-নববর্ষ' !
অদিতি চট্টপাধ্যায়,
ক্যালেন্ডারের পাতা উলটিয়ে দেখতে দেখতে আরও একটা নতুন বছর (1427 ) চলে এল | বছর ভরকার লাভ-লোকসানের হিসেব-নিকেশ, চাওয়া-পাওয়া বাদ দিয়েও এবারের নববর্ষটা যেন একটু অন্যরকম | যেন কিছুটা হলেও ফিকে | এ নববর্ষ যেন যান্ত্রিক ! কেন ?
কারণ "করোনা" নামক এক ভাইরাস মানব জীবনকে ক্রমশঃ অতিস্থ্য করে দিয়েছে | চিন থেকে এর উৎপাত শুরু হয়ে কম-বেশি বিশ্বের আজ দুশোটি দেশে এই ভাইরাসের অবাধ বিচরণ | আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে | দেশব্যাপী শুরু হয়েছে লক ডাউন অর্থাৎ গৃহবন্দী | মাছ, মাংস, ওষুধ, সবজি সহ প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার ও দোকান খোলা থাকলেও নিদিষ্ট্য দূরত্ব মেনে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সংগ্রহ করতে হবে | এ যেন বড় জ্বালা ! গিন্নির ফরমায়েশ ও কর্তার কপালে চিন্তার ভাঁজ ! চাকরি হারানোর আশঙ্কা | আমেরিকার মত বিত্ত্ববান, সংমৃদ্ধিশালী দেশের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভারতের মত দেশে যেখানে বর্তমানে জিডিপির হার তলানিতে থেকেছে সেই দেশের 130 কোটি মানুষের ঠিক কি অবস্থা হতে পারে ? চিন্তায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা আজ সকলেই ! বিশেজ্ঞদদের মতে ঠিক সময়ে যদি লক ডাউন না হত দেশে সংক্রমণের হার আট লক্ষেরও কিছু কম-বেশি হত | ওপর দিকে লক ডাউনের জেরে দিন পিছু কোটি কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি অর্থাৎ লোকসান | প্রচুর টাকার রাজস্ব ঘাটতি | প্রাইভেট কর্মীদের চাকরি থাকবে কি থাকবে না দুশ্চিন্তার মাথা-ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের | যে যে পেশাতেই থাকুক না কেন আজ যেন আয়- ব্যায়ের সমতা বজায় থাকছে না | পেট যে কোন কিছুর বাঁধ মানে না !
মহানগর থেকে জেলা, ছাড়িয়ে মফস্বল, গ্রামাঞ্চল সব জায়গাতেই একশো টাকায় জোড়া টি-শার্ট সেই চেনা পরিচিত সুর এবছর কানে এলনা | বছরভর আমজনতা চৈত্র সেলের জন্য অপেক্ষা করে থাকে | গৃহস্থের টানাপোড়েনের মধ্যে যা কিছু কেনার খামতি থেকে যায় তা কেনার যেন এটাই মোক্ষম সময় | কিন্তু এবারে সব মাটি ! জমজমাট বাজারগুলি চেনা যেন দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে | গাঁ ঘরের গিন্নির ভাষায়, আ মরণ, 'কি যে করোনা নামক ভাইরাস এল, জীবনটাকে পুরো ছাড়খার করে দিল গাঁ ! কত সাধ ছিল বাবুলের বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এবারে একটা বালুচরি তাঁত কিনবো তা আর এ বছর হল না ! ধুর ছাই' !
অগত্যা ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট | বাড়িতে বসেই কোনোরকমে আড়ম্বর ছাড়া তা পালন করা | শিশু মন কিন্তু এতসব কিছুতে বাঁধ মানে না ! আগেরবার বছর পাঁচেকের রাজুকে মনসুর চাচা তাঁর দর্জির দোকানে ডেকে নিয়ে গিয়ে বড় বড় চমচম খাইয়েছিল | পাশের বাড়ি কার্তিক কাকুও হালখাতার মিষ্টি পাঠিয়েছিল | আম্মিও হাসিনা চাচির বাড়িতে রান্না শেষে মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে এসেছিল | এবারে কি মনসুর চাচা, কার্তিক কাকু, হাসিনা চাচীরা মিষ্টি দেবে না আব্বু !
লকডাউনে পুলিশের কড়াকড়ি আরও বাড়ুক
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে ২৪ শে মার্চ গোটা রাজ্যে ঘোষিত হলো লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ। পুলিশ সক্রিয় হলো। আইন অমান্যকারীদের কঠোর হাতে দমন করা শুরু হলো।কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ পুলিশি হেনস্থার শিকার হলেও অধিকাংশ মানুষ পুলিশের ভূমিকাকে স্বাগত জানাল। কিন্তু তারপরই কোনো এক অজানা কারণে পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তেই গোটা রাজ্য জুড়ে একশ্রেণির মানুষ লকডাউন ভাঙার খেলায় মেতে উঠল। শহরগুলোর চিত্র টিভির পর্দায় নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। একদল তথাকথিত সচেতন মানুষের অজ্ঞতার পরিচয় পেয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠল।
গ্রামগুলোও পেছিয়ে থাকলনা। বিভিন্ন ক্লাবে, আটচালায় বা চায়ের দোকানে নিয়মিত ভিড় বাড়ছে। কোনো কোনো স্হান থেকে মদের ভাটি চালুরও খবর পাওয়া যাচ্ছে।পুলিশের ডাণ্ডার ভয় না থাকায় অপ্রয়োজনে বাইকে তিন জন করে চেপে অযথা আড্ডা মারতে বের হচ্ছে। মুখে থাকছেনা মাস্ক। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে কাজ করতে যাওয়া রাজমিস্ত্রিরা ব্যবহার করছেনা মাস্ক। যত্রতত্র থুতু ফেলছে। ফলে গ্রাম বাংলাতেও ধীরে ধীরে একটা অজানা আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পুলিশ আধিকারিক বললেন - মানুষের জীবন রক্ষার জন্য নিজেদের জীবন বিপন্ন করে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্হ্য কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে। আর পরিবারের কথা না ভেবে আমরা পুলিশ কর্মীরা রয়েছি রাস্তায়।অথচ একদল মানুষ আইন ভাঙার খেলায় মেতে উঠেছে। তারা বুঝতে চাইছেনা আমাদের রাজ্যে করোনা একবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অনুরোধে যখন কাজ হচ্ছেনা তখন এদের জন্য প্রয়োজন কড়াকড়ি।তার আক্ষেপ গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি দেখে মানুষ আর কবে সচেতন হবে !
একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়প্রকাশ বাবু বললেন -গণতান্রিক দেশে পুলিশি রাজ কাম্য না হলেও এই সময় পুলিশকে যদি ডাণ্ডা ব্যবহারের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে মমতা ব্যানার্জ্জীর সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের রাজ্যেও করোনা অতিমারির রূপ ধারণ করবে। একই সুর শোনা যাচ্ছে বহু মানুষের কণ্ঠে। তাদের বক্তব্য - পুলিশ যতই চেষ্টা করুক ডাণ্ডা ব্যবহার না করলে কোনো লাভ হবেনা।বড় বিপদ ঘটার আগে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত পুলিশকে আবার কড়াকড়ি করার নির্দেশ দেওয়া।
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৪, ২০২০
করোনায় চুঁচড়ায় চললো খাদ্য সামগ্রী বিলি
সুভাষ মজুমদার
খাদ্য সামগ্রী বিলিতে ইফফো কৃষাণ সেবা ট্রাস্ট
সুভাষ মজুমদার
অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী বিলিতে 'সুসম্পর্ক'
আজ ১৪ এপ্রিল, একাধারে পহেলা বৈশাখ অন্যদিকে ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী।তাই আজকের এই বিশেষ দিন থেকে কলকাতার ঠাকুরপুকুরের চোঙার বোন এবং ধাড়াপাড়া অঞ্চলের ৫২ জন দুস্থ শিশুর এবং লকডাউনে জেরে কর্মহারা তাদের অসহায় পরিবারের তথা পরিবারের সমস্ত সদস্যের দৈনন্দিন অত্যাবশকীয় পণ্যের দায়িত্ব নিলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক'।মঙ্গলবার তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোলো গড়ে ৩ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম মুড়ি, বিস্কুট ও সাবান।এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সুসম্পর্ক' এর পরিবারের পক্ষ থেকে সম্পাদক শ্রী অরবিন্দ সিংহ জানিয়েছেন - "সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রত্যেকটি মানুষের কাছে অনুরোধ দয়া করে আপনারা এগিয়ে আসুন কারণ প্রচুর মানুষ আজ অনাহারে রয়েছে এবং আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমাদের কর্মকান্ড কখনোই সফল হবে না" ।
আগরপাড়ায় তুলি কলম এর আকাশ পত্রিকা প্রকাশিত হল
নববর্ষে তুলি কলম এর আকাশ পত্রিকা প্রকাশ আগরপাড়া তে
সংবাদদাতাঃ সংস্কৃতি প্রেমী গৃহবন্দি দের কথা মাথায় রেখে আগরপাড়ার গাঙ্গুলী পাড়ার চারুচন্দ্র আট সেন্টারের অভিনব উদ্যোগ একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংখ্য কবি লেখক প্রবন্ধকার চিত্রশিল্পী , ফটোগ্রাফার ক্রিয়েটিভ মানুষেরা তাদের সৃষ্টি পাঠিয়েছেন সম্পাদক দীপঙ্কর সমাদ্দারের কাছে। দীপঙ্কর বাবু জানালেন সংস্কৃতি জগতের মানুষদের সৃষ্টিশীল কাজে সম্মান জানাতে নববর্ষে নতুন পরিকল্পনা একটি পত্রিকা প্রকাশের। তুলির কলম এর আকাশ নামাঙ্কিত একটি পত্রিকা প্রকাশ হলো নববর্ষের দিন সকালে । ঝকঝকে সম্পূর্ণ একটি রঙিন পত্রিকা তুলি কলমের আকাশ ।। গল্প লিখেছেন ডক্টর রমলা মুখার্জি, তনুশ্রী গুহ ।অনুগল্প লিখেছেন উজ্জ্বল সামন্ত ,কাঞ্চন কুমার গাঙ্গুলী , ইন্দ্রাশিষ মুখার্জি, চিরঞ্জিত সাহা, লক্ষ্মী বিশ্বাস ভৌমিক ,প্রতিমা ভট্টাচার্য্য মন্ডল । কবিতা লিখেছেন লিটন দাস ,জয়ন্তী দাস, মানব মন্ডল, ভাস্কর পাল ,অভিষেক ঘোষ, অঞ্জনা দেব রায়, বাণীব্রত, অষ্টপদ মালিক , ওমর ফারুক, অনির্বাণ বসু , কৃষ্ণা দাস,পরাশর বন্দোপাধ্যায় , শ্যামল রায়, পূর্ণেন্দু মিত্র , বদরুদ্দোজা শেখু ,বিলাস ঘোষ ,শ্রী রঞ্জীব, হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় জয়া ঘটক প্রমুখ।প্রখ্যাত অ্যাডভোকেট তপন জ্যোতি সিদ্ধান্তের আইনি পরামর্শ ,আর্ট গ্যালারিতে রয়েছে নবীন ও প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী দের চিত্র ।রয়েছে ক্রিয়েটিভ হাতের কাজ । দেশ ও বিদেশের ফটোগ্রাফারদের ছবি নিয়ে ফ্যাশন আকাশ নামে একটি সম্পূর্ণ রঙিন পাতা । সম্পাদক জানালেন বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পত্রিকা এখন সব থেকে জনপ্রিয়। তাই খুব সহজেই তাদের পত্রিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের দরবারে দেশ-বিদেশে পৌঁছে যাবে বলে তার আশা । আগামী দিনে পত্রিকাটিতে আরো চমকপ্রদ কিছু দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে । এমন একটি পত্রিকাতে বিজ্ঞাপনদাতারা সমান ভাবে এগিয়ে এসেছেন। সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা তার সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর্ট গ্যালারিতে বিখ্যাত চিত্র শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সুশান্ত সরকার, তপন পাত্র ,অপূর্ব ব্যানার্জি, অরিন্দম মুখার্জী ,স্বরুপ চক্রবর্টি ,অঙ্কিতা মজুমদার , দেবস্মিতা দাস । ফটোগ্রাফি গ্যালারিতে রয়েছে বিখ্যাত চিত্র ফটোগ্রাফার মনিশ কুশারী ,শুভঙ্কর সোম, সৌরভ মুখার্জি, বিনয় সেন ,রঞ্জন ভট্টাচার্য , ইন্দ্রনীল ঘোষ ,অনিন্দ্য দে এবং সুদূর আমেরিকা থেকে কল্লোল তালুকদারের আলোকচিত্র। এককথায় পত্রিকাটি রঙিন ঝকঝকে খুব সুন্দর প্রশংসার দাবি রাখে।
লকডাউনে গতি শিথিল খেজুড়িতে
জুলফিকার আলি,
খেজুরির থানার হলুদবাড়ী অঞ্চলে আজ সকাল থেকে সাধারণ মানুষ লক ডাউনকে উপেক্ষা করে বিশাল লাইন পড়েছে ব্যাংকের সামনে, স্থানীয় মাঠে বসা বাজারেও ভিড় ...যদিও স্থানীয় কিছু যুবক প্রতিবাদ ও দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেও কোনো কাজ হয়নি.. স্থানীয় মানুষ থানায় ফোন করেন তাতে কোনো কাজ হয়নি. ...স্থানীয় মানুষের আশংক্ষা এই ভাবে মানুষ লক ডাউন উপেক্ষা করলে সংক্রমণ বাড়তে পারে.
গণপরিবহন কর্মীদের আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে স্মারকলিপি
জুলফিকার আলি
বেলিয়াঘাটা বাজারে নেই কোন লকডাউন
ওয়াসিম বারি,
শুভ নববর্ষ - শর্মিস্টা মাজি
শর্মিস্টা মাজি
আবেগময় এই সকাল
আমার মন কেন এত ভয়ার্থ্য
সবাই.আজ চিন্তার মাঝে
করে বরন নতুন বছরকে।
আমরা এক সমাজ
অদ্ভুত পরিবেশ আজ
দূরে দূরে বাই বাই সবাই
তবু ঐ প্রজাতির কেন এত খাই খাই ।
তোরা কী আমাদের মাড়বি আমরা ঘরেতেই আছি ।
যাবনা মন্দির যাবনা মসজিত
ঘরেতে বসেই আনব নতুন সুদিন ।
সকলে সুস্থ থাকুক নতুন বছরে ।।
তারকেশ্বর থানায় পুলিশ কর্মীদের মাস্ক স্যানিটাইজার বিতরণ
সুভাষ মজুমদার
অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টিটিভ এর পক্ষ থেকে পুলিশ কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে তারকেশ্বর থানায় দেওয়া হলো মাস্ক,স্যনিটাইজার।
করোনা সংক্রমন এড়াতে যারা রাস্তায় থেকে নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে পুলিশ কর্মীদের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ।তাই পুলিশ কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানতে সংস্থা টির পক্ষ এই প্রয়াস বলে জানানো হয়।
এদিন তারকেশ্বর থানার পুলিশ কর্মী দের মাস্ক,স্যনিটাইজার সহ ডেটল প্রদান করা হয় অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টিটিভ এর পক্ষ থেকে।কয়েক দিন আগেই সিঙ্গুর এবং হরিপাল থানার পুলিশ কর্মীদের দেওয়া হয় এবং আগামী দিনে ধনেখালী থানার পুলিশ কর্মীদের মাস্ক,স্যনিটাইজার সহ ডেটল প্রদান করা হবে বলে জানায় সংস্থার প্রতিনিধিরা।
লকডাউনে চড়ক পুজো হলো নামমাত্র পুজো দিয়ে
জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,
সরকারি নির্দেশকে উপেক্ষা করে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ যখন লকডাউন ভাঙতে ব্যস্ত তখন চরম সমাজ সচেতনতার পরিচয় দিল পশ্চিম মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের জ্যোতি গ্রামের বাসিন্দারা।
স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় চল্লিশ বছর আগে ওপার বাংলা থেকে আসা একদল মানুষের হাত ধরে গ্রামে শুরু হয় চড়ক পুজো।মূল আকর্ষণ ছিল পিঠে বঁড়শি গেঁথে 'মানুষ' চড়ক। প্রথম দিকে টিমটিম করে হলেও পরে তার আকার বৃদ্ধি পায়। মেলা বসে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আশেপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ চড়ক দেখতে আসে। সাত-আট হাজার লোকের ভিড় হয়। কিন্তু এবার করোনা জনিত কারণে কেবলমাত্র পুজোটুকু করে সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পিণ্টু বিশ্বাস বললেন - আমাদের গ্রামের এটাই প্রধান পুজো। আত্মীয় স্বজনে গ্রাম গমগম করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধ করার জন্য আমরা এবার পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিই।কারণ চড়ক দেখতে যত মানুষ ভিড় করে তাতে 'সামাজিক দূরত্ব' বজায় রাখা অসম্ভব হতো।তিনি আরও বলেন - যেভাবে প্রশাসন করোনা সংক্রমণ রোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তাতে প্রত্যেকের উচিত প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
সমাজের স্বার্থে পুলিশ প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের তরফ থেকে উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করা হয় এবং সবাইকে যথাযথভাবে লকডাউন মেনে চলার জন্য আবেদন করা হয়।
তুমিই জানো - রাজা চৌধুরী
তুমিই জানো
রাজা চৌধুরী
তুমিই তো জানো কবি,কেমন করে পড়ন্ত বিকেলে
কুয়াশার চাদর বিছিয়ে সন্ধ্যে নামে,
রাতের আকাশে গল্পকথার কল্পনাতে একটি দুটি করে তারা ভাসে!
কেমন করে শিরায় উপশিরায় লাগে প্রেমের শিহরণ ,
কেমন করে পৌষের শীতে হৃদয় খোঁজে হৃদয়ের উষ্ণতা,
কেমন করে হেমন্তের হিমেলে উপচে পড়া অনুভূতিরা ভিড় জমায় মনের বাসরে !!
কেমন করে বসন্ত সাঁঝে দিকচক্রবাল জুড়ে
বকের ডানায় অস্তমিত দিনের কাব্য রচে !
মুক্তোর মালা গেঁথে যায় কমনীয়-চোখ
রক্তিম লজ্জায় নীলাম্বরী আঁচলে বাঁধা পড়ে প্রেম
কেমন করে দিন মাস ও বছর ধরে প্রেমিকার কানে কানে ফিস ফিস ডাকে এসো অন্তরে আগুন জ্বালি ।
সোমবার, এপ্রিল ১৩, ২০২০
করোনা পরিস্থিতিতে রক্তসংকট কাটাতে রক্তদান শিবির জয়নগরে
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
চৈত্র মাস শেষ হতে চলল প্রচণ্ড গরম আর এই গরমে তে রক্তের সংকট মেটাতে অন্য বছর প্রচুর রক্তদান শিবির সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে রক্তদান শিবির বন্ধ আছে সারা রাজ্যে। আর তাই রক্তের সংকট বেড়ে চলেছে। আর তাই আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে স্থানীয় থানার মাধ্যমে রক্তদান শিবির হচ্ছে থানা এলাকায়। সেই রকমই জয়নগর থানার উদ্যোগে শনিবার জয়নগর ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস স্কুলে এক রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। এ দিন এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জয়নগর থানার আই সি অতনু সাঁতরা, জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস, জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুজিত সরখেল, জয়নগর পূর্ব চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ সহ আরো অনেকে। এদিনের এই শিবিরে পুলিশ, সিভিক ভলানটিয়ার, চিকিৎসক ও পৌরবাসিরা অংশ নেন। এ ব্যাপারে জয়নগর থানার আই সি অতনু সাঁতরা বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বর্তমান পরিস্থিতিতে থানার উদ্যোগে থানা এলাকায় ছোট ছোট করে বিভিন্ন রক্তদান শিবির করা হচ্ছে রক্তের সংকট কাটাতে।
লকডাউন না মানায় জয়নগরে ধৃত ৩০
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়
লকডাউনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জনবহুল এলাকায় চায়ের দোকান,জুতোর দোকান সহ অন্যান্য দোকানের সামনে একসাথে অনেক মানুষ আড্ডা দেওয়ার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ। ধৃতরা জয়নগর মিএগঞ্জ বাজার, বহড়ু, দক্ষিন বারাশত, পদ্মেরহাট, খাকুড়দহহাট, গৌড়ের হাট এলাকার লোক। এ ব্যাপারে জয়নগর থানার আই সি অতনু সাঁতরা বলেন, বার বার বলা সত্বেও মানুষ লকডাউন ভেঙে বাজারে, দোকানে আড্ডা মারছে। তাই এলাকার মানুষদের বলছি আইন এভাবে ভাঙবেন না। নাহলে আইন অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন।সরকারি নির্দেশ মেনে চলুন।
রবিবার, এপ্রিল ১২, ২০২০
তমলুকে করোনা সচেতনতায় পথে আলপনা
জুলফিকার আলি,
তারকেশ্বরে অভুক্তদের খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছেন জিয়া ভাই
সুভাষ মজুমদার,
আরামবাগের বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দ জিয়াজুর রহমান সহযোগিতায় আজ তারকেশ্বর ব্লকের সন্তোষপুর কুমোরপাড়া শীতলা মন্দির এলাকায় ১৫০ পরিবারের হাতে চাল ডাল আলু তুলে দেওয়া হয় ৷ শুধু তারকেশ্বর নয় আরামবাগ মায়াপুর প্রভৃতি এলাকায় এই মহতী কাজ করে যাচ্ছেন আরামবাগ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট , যদিও এ ব্যাপারে মির্জা মোহাম্মদ তারিফ জানান যে জিয়া ভাইয়ের সহযোগিতায় আরামবাগ সহ বিভিন্ন এলাকায় আমরা এই রিলিফ দিয়ে যাবো মানুষের ঘরে ঘরে যতদিন লকডাউন চলবে' বহু গরীব মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় সেই সব মানুষের পাশে থাকবো, তাই আপনাদের কেউ বলছি আপনারা সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন ঘরের মধ্যে গৃহবন্দী' থাকুন ৷
করোনায় অসহায়দের পাশে আনন্দমার্গী কান্দী শাখা
আনন্দমার্গী কান্দী শাখা এগিয়ে এল দুস্থমানুষের পাশে
রাজকুমার দাস,
সমাজের বহু সমাজসেবামূলক সংস্থার পাশাপাশি মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছে বহু সংগঠন।কোরোনা র মোকাবিলায় মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি তে
আজ আনন্দ মার্গি দের শাখা র কর্মকর্তা রা চাল ডাল তুলে দেন কান্দী শহরের প্রায় আড়াইশো মানুষের মধ্যে।
জীব সেবার মাধ্যমেই মানুষের যে পূর্ন লাভ ,তাই মহামারী কোরোনা র থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে এই মহাবিপদে তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ।
যদি চলে যাই - গাছ মাস্টার
যদি চলে যাই
গাছমাস্টার
যদি চলে যাই , না-দেখা কিছু দেখে গেলাম
দেখে গেলাম প্রকৃতির পায়ে মানুষের সেলাম।
দেখে গেলাম শর্তহীন বন্ধ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ
আর রক্তহীন কারবালার গভীর নৈঃশব্দ্য ।
মানুষ ভালোবাসে নিজেকে বড়, দেখলাম
হিসাব করে না -কী পাইনি আর কী পেলাম ।
এত সুবৈভব মাখা যে চাঁদ আর রজনী
নদীজলে স্ফটিক থাকে আগে ভাবিনি ।
শীতঘুমে কার্বন নাগ, স্তব্ধ বিষ নিঃশ্বাস
মুঠো নয়, ভুবন ভরা নির্মল স্নিগ্ধ বাতাস ।
দেখলাম, নিমফুল চৈতি চাঁদের মাখামাখি
ঘুম ভাঙ্গাতে ভোরে এত পাখির ডাকাডাকি ।
মানুষকে ও, দেখলাম তার সুপ্ত দেবত্ব
মানুষ বাঁচাতে বিলায় সে ,আছে তার যত ।
যদি চলে যাই , রেখে গেলাম অন্তিম বারতা-
ভাব যে দেব সে নয়, মানুষই দানব আর দেবতা ।
লকডাউনে কৃষির ক্ষতির জন্য শস্যবিমা দাবি
জুলফিকার আলি,
রক্তদান শিবির আয়োজনে ভগবানপুর যুব সংঘ
জুলফিকার আলি,
শনিবার, এপ্রিল ১১, ২০২০
আহত ভালোবাসা - দুর্গা মিত্র
আহত ভালোবাসা
দুর্গা মিত্র
সারাটি জীবনের কষ্ট দুঃখ
মোর কাছে গেলে রেখে,
আমার জগৎ ছিল তোমাকে ঘিরে
প্রানটা সঁপে ছিলাম হাসিমুখে।
কত ব্যথা-বেদনা সয়েছে
এই হৃদয় খানি,
সময়ের ঘাত-প্রতিঘাতে
হয়েছিল অভিমানী।
ভুগেছি অজানা রোগ-অসুখে
হারানোর ব্যাথা বেজেছে বুকে
খুশি ছিলাম তবু ব্যস্ত জীবনে
মিথ্যে পাওয়ার ক্ষনিক সুখে।
সারাটা জীবন অবহেলা দিয়ে
কাঁদালে তুমি আমায়,
চলে গেলে দুর হতে দুরে
একাকিনী আমি পথ চায়।
বেদনায় মন কাঁদে অবিরাম
অপুর্ন প্রেম নিয়ে বুকে,
তার ছেঁড়া বীণা বাজে হৃদি মাঝে
আহত ভালোবাসার পরশ মেখে।
তালিদে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে জয় হিন্দ বাহিনী
সেখ রতন
বর্ধমান ১ নং ব্লক জয় হিন্দ বাহিনী র সভাপতি সেখ হালিম সাহেবের উদ্যোগে আজ তালিত গ্ৰামে আনুমানিক ৮০০ জন মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হল। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা জয় হিন্দ বাহিনী র সভাপতি রবীন নন্দী মহাশয়,,, বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ মালিক মহাশয়,,, পুলিশ আধিকারিক মাননীয় সুব্রত মন্ডল মহাশয় ,,, বর্ধমান উত্তর বিধানসভা জয় হিন্দ বাহিনী র চেয়ারম্যান সেখ ডালিম,,, পূর্ব বর্ধমান জেলা কিষান ক্ষেতমজুর সেলের কার্যকারী সভাপতি আব্দুল খালেক খন্দেকার,,, বর্ধমান ১ ব্লক জয় হিন্দ বাহিনী র সভাপতি সেখ মালেক,,, রায়ান ১ অঞ্চল জয় হিন্দ বাহিনী র সভাপতি সেখ আলাউদ্দিন,,, চেয়ারম্যান পাপ্পু খান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব বৃন্দ।
দেবীপুরে ৭০০ জনের অন্নভোগ চললো
সেখ সামসুদ্দিন
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার পূণ্যগ্রামে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্রীকৃষ্ণানন্দ মিশনের উদ্যোগে দেবীপুর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে অন্য জেলা থেকে কৃষিকাজে আসা ৭০০ শ্রমিককে অন্নসেবা করা হয়। মহারাজ কৃষ্ণানন্দ বাল্য ব্রহ্মচারী জানান এই আশ্রমে নিয়মিত নীলমাধব গোপালের পূজা, আরতি হয়। এই আশ্রমে নিয়মিত প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২২ জনকে বিনাপারিশ্রমে পাঠ দেওয়া হয়, যার মধ্যে পাঁচজনই দেবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ফাস্টবয়। বছরে চক্ষু দান শিবির, শীতবস্ত্র প্রদান এবং চৈত্রমাসে বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে নয় কুমারী পূজা ও বস্ত্রদান করা হয়। এবছর করোনা মোকাবেলায় সমস্ত উৎসব বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পর চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষের সমাগমে একটা বড় অনুষ্ঠান হয়। এখানে সমস্ত কর্মসূচি ভক্তদের দানে চলে, কোনো সরকারি সহায়তা নেই। মহারাজের সহকারী সনৎ ব্রহ্মচারী বলেন এখানে মহাপ্রভুর আবির্ভাবের চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে এবং একটি আকবরী মুদ্রা সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। এখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিডিএস দিদিমণি, কর্মী, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আব্দুল হাকিম সহ ভক্ত মা ও পুরুষেরা। আব্দুল হাকিম বলেন আশ্রমে বিদ্যুৎায়ন করেছেন এবং রাস্তারও অর্ডার হয়ে আছে, লকডাউনে অর্থ না আসায় আটকে আছে। এদিন দুইটি ম্যাটাডোর গাড়িতে রান্না করা খাবার ভাত, ডাল, সবজি ও চাটনি নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে শ্রমিকদের বিতরণের উদ্দেশ্যে মহারাজ সহ ভক্তরা বেরিয়ে পড়েন। দেবীপুর অঞ্চলের পুন্যগ্রাম, বাগগড়িয়া, ধামাস, তাহেরপুর, নলসাড়া, গোবিন্দপুর, ছিলিন্দা, পূর্ব কাশীয়ারা, চৌপিড়া, ডাঙা পাড়া, দেবীপুর, পলতা, ইছাবাছা সহ বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া থেকে আসা চাষের কাজের ৭০০ শ্রমিককের মধ্যে অন্নভোগ দেওয়া হয়।
অপরদিকে পাশের বাগিলা গ্রামে ১৩৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হরিহর আশ্রমে থাকা দুই পুরোহিতের সাহায্যে এগিয়ে আসে গ্রামবাসী। এই আশ্রমেও গোপাল ঠাকুরের নিত্য পূজা, হোম, আরতি চলে। আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীমদ্ প্রাণ গোপাল গোস্বামী গুরুদেব। বর্তমানে তাঁর চতুর্থ বংশধররা চালাচ্ছেন। বর্তমানের পরিচালক দয়াল গোস্বামী। আশ্রমটি চলে সম্পূর্ণ দানের উপর। বর্তমানে লকডাউনে বাইরে থেকে ভক্তরা আসতে না পারায় খাদ্য সংকটে থাকা পুরোহিতদের পাশে দাঁড়াল গ্রামবাসী। পঞ্চায়েত সদস্য প্রলয় পাল, রাজেশ কুমার, শঙ্কর পাল, সুদীপ কৈবর্ত্য, অনুপ দাস, অমিত মন্ডল প্রমুখ গ্রামবাসীবৃন্দ ১৫কেজি চাল, ১০ কেজি আলু, মাস্ক, স্যানিটাইজার পুরোহিতদের হাতে তুলে দেন এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনে তারা আছেন এবং আরো দেবেন বলে আসেন।
বর্ধমান - দুর্গাপুর জাতীয় সড়কে অভুক্তদের খাওয়ানো চলছে
সেখ নিজাম আলম
গত ৩০ শে মার্চ থেকে আজ অবধি পথের ভিখারি থেকে শুরু করে মানসিক রোগী ও আটকে থাকা খালাসী-ড্রাইভারদের বিভিন্ন খাবার বিতরণ করলেন ন্যাসন্যাল হাইওয়ের পক্ষ থেকে। ন্যাশনাল হাইওয়ের ইনসিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার দেব সেনাপতি জানান, এই কর্মসূচি আমাদের চলতেই থাকবে। কখনও ফলের যুশ,কখনও খেচুরী রান্না আবার কখনও কাঁচা সব্জি যেমন,চাল,আলু,তেল,টমেটো প্রভৃতি বিতরণ করা হচ্ছে। জানা যায়, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জনকে কখনও রান্না করে খাবার দেওয়া আবার কখনও কাঁচা সব্জি বিতরণ করা হচ্ছে। দূর্গাপুরের অধীনে পি,আই,ইউ পানাগড়- পালসিট বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ও ব্যাবস্থাপক কারিগরির নেতৃত্বে নেতৃত্বাধীন পানাগড়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সি,ও,ভিউ-১৯ এর বর্তমান সঙ্কট পরিস্থিতি বিবেচনা করে দূর্গাপুরীদের মাঝে খাদ্যপ্যাকার বিতরণ করা হলো। পালসিট সেকশন আই,এম,টি সহ আদ্যা কনস্ট্রাকশনের অন্যান্য আধিকারীকরা সমস্ত গভঃ গাইড, গাইডলাইন পর্যবেক্ষণ করে এই প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন। দেব সেনাপতি জানান,আমদের দৃঢ় বিশ্বাস এই সংকট আমরা কাটিয়ে তুলবো।
নতুন দিনের অপেক্ষায় - রাজকুমার দাস
নতুন দিনের অপেক্ষায়
রাজকুমার দাস,
এক একটা দিন এখন বেশ ক্লান্ত
সারা রাত চোখে ঘুম নেই প্রায়;
নিঃস্তবধতার মাঝে পুরানো যত স্মৃতি
আজ যেন প্রতিধ্বনি হয়ে ভেসে বেড়ায় কোরোনা র বাতাসে।
সারা বিশ্বের মানুষ আজ কাতরে মর্মাহত,
কেউ স্বজন শোকে আবার কেউ আক্রান্ত
মরণ ভাইরাস চীন থেকে প্রস্ফুটিত;
তবে ভারতের মতো একশো ত্রিশ কোটির লড়াই যেন থমকে নেই।
আমরা করবো জয়,আমরা করবো জয় একদিন,
এই মন্ত্রতে আজ গোটা বিশ্ব
কোরোনা কে এই যুদ্ধে পরাজিত যে হতেই হবে! নতুন সূর্য্যের হাসিতে খেলবে নব জন্মের ন্যায়
আমাদের সবুজ ঘেরা হিংসামুক্ত পৃথিবী।
আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় মাত্র.......
মহিষাদল পুলিশের উদ্যোগে বাড়ি পাচ্ছে অসহায় ছাত্রী
পুলিশের উদ্যোগে বাড়ি পাচ্ছে ভিক্ষুক ছাত্রী
জুলফিকার আলি,
ভিক্ষুক ছাত্রীর সরস্বতী পন্ডার আগুনে বাড়ি পুড়ে যায়। এরপর সেই খবর জানায় মহিষাদল থানার সহযোগিতায় অবশেষে বাড়ি পাচ্ছে মহিষাদলের ভিক্ষুক ছাত্রী সরস্বতী পন্ডা। শনিবার সকালে মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস ভিক্ষুক ছাত্রী সরস্বতী ও তার মা শঙ্করীর হাতে যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি তা নতুন করে গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার বিকেলে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের জেরে আগুনে পুড়ে যায় মহিষাদলের ইটামগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনপুর উপেন্দ্র মিলন বিদ্যাপীঠের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সরস্বতী পন্ডার বাড়ি। এরপর ছাত্রী সরস্বতী ও ভিক্ষুক মা শঙ্করী কি খাবে বা কোথায় থাকবে তা নিয়ে ভাবতে রাতকুলোচ্ছিল ছিল না তাদের। মা ও মেয়ে দু'জনে ভিক্ষা করেই কোনরকম চলে যেত সংসার। কিন্তু তার মাঝেই আগুনে পুড়ে যায় তাদের থাকার একমাত্র বাসস্থান টুকুও। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বেশ কিছু সামগ্রী দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু থাকবে কোথায়? সেই প্রশ্ন জাগছিল তাদের মনে। বর্তমানে গ্রামের এর বাড়ি ওর বাড়ি কাটছিল তাদের রাত। কিন্তু তাও বা কতদিন? এরপর ভিক্ষুক মা ও মেয়ের দুর্দশার খবর জানতে পারেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। এরপর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। শনিবার সকালে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় সাহায্য ও দ্রুত বাড়ি তৈরির আশ্বাস দেন। এছাড়াও ওই ছাত্রীর পুড়ে যাওয়া বই, খাতা সহ যাবতীয় সামগ্রী ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস। পুলিশের এই ধরনের উদ্যোগে খুশি সকলেও। মা ও মেয়ে জানান, "আমরা খুবই খুশি। ওনার যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করলেন তা ভুলতে পারবো না।"
মহিষাদল থানার ওসি পার্থ বিশ্বাস বলেন, "আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি।"
কোলাঘাটে সিদ্ধা ২ নং অঞ্চলে আদিবাসীরা খাদ্য সামগ্রী চাইছে
জুলফিকার আলি,
কোলাঘাট ব্লকের সিদ্ধা - ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবনি শাসন, গোপালনগর, দেহাটী,কলিশ্বর গ্রামের প্রায় শতাধিক আদিবাসী পরিবার গত ২২মার্চের পর থেকে খুবই কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করছে। এ পর্যন্ত আলাদা করে কোনো সরকারি সাহায্য ওদের কাছে পৌঁছায়নি। ওই আদিবাসী পরিবারের হাতে খাওয়ার জন্য সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়ে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ কোলাঘাট ব্লকের বিডিও মদন মন্ডলের কাছে হোয়াটস্অ্যাপ মারফত স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পরিষদের সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র নায়ক বলেন, ঐ পরিবারগুলির প্রায় তিন শতাধিক মানুষ কয়েকদিন ধরে অর্ধভুক্ত রয়েছে। ওদের অবিলম্বে সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন।
করোনায় একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের দরবারে বিজেপি
জুলফিকার আলি,
শনিবার রাজভবনে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা। রাজ্যপালের কাছে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরতে চান তাঁরা।
করোনা মোকাবিলায় অন্যতম হাতিয়ার হল পরীক্ষা করানো। সেখানে বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে যথাযথভাবে পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। এছাড়াও করোনায় মৃতের সংখ্যাও রাজ্য গোপন করছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এদিন রাজ্যপালের কাছে সেই বিষয়টি তুলে ধরতে চান তাঁরা। লকডাউনে দুঃস্থ পরিবারগুলির মুখে অন্ন তুলে দিতে বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা চালু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেক্ষেত্রেও দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিজেপির অভিযোগ। বিজেপির নেতাদের দাবি, মুখ দেখে রেশন দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীরা বেশি চাল তুলে নিচ্ছেন।
নিম্নমানের রেশন সামগ্রীর অভিযোগ চন্ডিপুরে
জুলফিকার আলি,
বিশ্ব ত্রাস করোনা মহামারীর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুর থানার পাটনা গ্রামে সকালে রেশন দোকানের বিনিয়োগ ও অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার প্রতিবাদে, সংখ্যালঘু মানুষজন সহ প্রায় তিনশত গ্রাহক রেশন ডিলার কে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই রেশন দোকান থেকে অত্যন্ত নিম্নমানের অর্থাৎ দুর্গন্ধযুক্ত আটার প্যাকেট ও পুকালাগা গম চাল ডাল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ । এই খাদ্য সামগ্রী খেয়ে বাড়ির লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে দাবি । গতকাল ওই ধরনের রেশন সামগ্রী দেওয়ার প্রতিবাদ জানান গ্রাহকরা।আজ সকালে পুনরায় একই ধরনের রেশন সামগ্রী দেওয়া শুরু হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। তাদের বক্তব্য, যে রেশন সামগ্রী এখন দেওয়া হচ্ছে তা বহু পুরনো মজুদ করা। আটার প্যাকেট এর এক্সপায়ারি ডেট অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। আর সদ্য পৌঁছানো ভালোমানের রেশন সামগ্রী অন্যত্র পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় স্থানীয় পর্যায়ে।
এ বিষয়ে রেশন ডিলার সন্ধারানী মাইতির বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও জানা সম্ভব হয়নি। তবে, পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষণ মাঝির বক্তব্য, কিছু আটার প্যাকেট এক্সপায়ারি ডেট ছিল। কিভাবে এলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্যা মিটে গেছে। এখন রেশন সামগ্রী সুষ্ঠুভাবে দেওয়া হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে।
করোনায় ত্রাণ সামগ্রী বিলিতে তমলুকের নজরুল সংঘ
নজরুল সংঘের ত্রাণ বিতরণ।। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার আলিনান গ্রামে নজরুল সংঘ এর উদ্যোগ এ করোনা সংক্রমন ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে চলছে লক ডাউন সেই লকডাউন সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ জনের তাই তাদের কথা ভেবে এগিয়ে এলেন নজরুল সংঘ। নজরুল সংঘ এর তরফে এলাকার ২৫০ টি পরিবার এর হাতে আলু পিয়াজ ডাল সোয়াবিন। এবং এলাকার মানুষ জন কে করোনা নিয়ে সচেতন করলেন।
করোনায় চরম সর্তকতা পূর্ব মেদনীপুর হোমগুলিতে
জুলফিকার আলি,
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট, জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর , জেলা প্রশাসনের অফিস তমলুক,পূর্ব মেদিনীপুর এর তরফ থেকে আজ 9 ই এপ্রিল ২০২০ জেলা প্রশাসন দপ্তরের কনফারেন্স হলে জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর এর আওতায় জেলার মোট 22 টি আবাসিক হোম (জুভেনাইল জাস্টিস,বৃদ্ধাশ্রম, স্বধার গৃহ) করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে হোমের আবাসিকদের সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে ব্যবহারের জন্য 22 টি হোমের প্রতিনিধিদের হাতে 180 কেজি ব্লিচিং, 750 টি মার্কস,107 হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ১০৭ টি হ্যান্ডওয়াশ তুলে দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পূর্বমেদিনীপুর এর জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা শাসক সাধারণ সুদীপ সরকার, জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক শ্রী পূর্ণেন্দু পৌরাণিক ,জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের লিগ্যাল কাম প্রবেশন অফিসার শ্রী আলোক বেরা ।
শুক্রবার, এপ্রিল ১০, ২০২০
পায়ে ইনফেকশন নিয়ে লোকের দয়ায় মেমারিতে এক ভবঘুরে
সেখ সামসুদ্দিন
করোনা সচেতনতার গান গেয়ে সাহায্যের অনুদান তুলছে দেবাঙ্কিতা
সৈয়দ রেজওয়ানুল হাবিব
করোনা ভাইরাস" এর মোকাবিলায় নিজের তিল তিল করে ঘটে জমানো খেলনা কেনার টাকা পুরোটাই তুলে দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে। খেলনা কেনার জন্য জমানো ১০০০০টাকা নিজের স্বইচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার পর মানুষকে লক ডাউন নিয়ে সচেতন করার লক্ষে এবার নিজের জীবন কে বাজি রেখে রাস্তায় নামলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গার ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে শিল্পী দেবাঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাবা,মায়ের একমাত্র ছোট্ট এই ৬ বছরের মেয়ে গানের সঙ্গে যুক্ত। বিগত দিনে বিভিন্ন ফাংশনে অর্কেষ্টাতে গান গেয়ে টাকা পেয়ে হাসতে হাসতে সেই টাকা তুলে দিত দুঃস্থ,গরীব মানুষের কল্যানার্থে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে লক ডাউন চলছে। কিন্তু টিভিতে সে খবরে দেখছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অনুরোধ করা স্বত্তেও লক ডাউন মানছেন না অনেকেই। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখছেন না অনেক মানুষ। তাই লক ডাউন নিয়ে মানুষ কে সচেতন করতে এবার রাস্তায় নামলো ওই ছোট্ট ৬ বছরের মেয়ে। সকাল থেকে কখনো বসিরহাট,বাদুড়িয়া আবার কখনো বা বনগাঁ,হাবড়া,গাইঘাটার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারগুলিতে গিয়ে নিজের গলাতে করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষ কে সচেতন করার লক্ষে করোনা সম্বন্ধীয় গান গেয়ে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চাইছে সে। পরে সেই ভিক্ষার পুরো টাকা সেই এলাকার থানার ওসি কিংবা আই সি অথবা বিডিওর হাতে তুলে দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দেওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য তার একটাই,সচেনতনা মূলক গান গেয়ে মানুষ কে বুঝিয়ে এই করোনা ভাইরাসের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা ও গরীব মানুষের কল্যানার্থে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে টাকা তুলে দেওয়া। তবে ৬ বছরের ক্ষুদে শিল্পীর এই ধরনের মানবিক প্রয়াস দেখে তাজ্জব সকলেই।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে আদালত গুলি কে স্যানিটাইজার করতে চিঠি
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে তথ্য সমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন 'বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলে'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান সদস্য আনসার মন্ডল। প্রধান বিচারপতি কে উদ্দেশ্য করে এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে। আনসার বাবু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু এর নির্দেশিকা সহ গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস এর মারণ থাবার ভয়াবহতা উল্লেখ করে রাজ্যের সমস্ত আদালত গুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন টি রেখেছেন। গত ৮ এপ্রিল এই চিঠি ইমেল মারফত পাঠানো হয়। মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে তটস্থ গোটা বিশ্ব। এদেশে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তা পুরোপুরি কার্যকর হয় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যের আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ হতে শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্টের ভিডিও কনভারেন্সে জরুরি মামলার শুনানি চালু রয়েছে। আর প্রতিটি কোর্টে এসিজেম এজলাস গুলি ঘন্টা খানেকের জন্য জামিন সংক্রান্ত মামলা গুলি শুধুমাত্র উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলখানায় সুপারের সাথে সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের ভিডিও কনভারেন্সে বিচারধীন বন্দির হাজিরা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এরেই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট এক উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমে বিচারধীন বন্দিদের সাময়িক জামিন দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ২২ টি জেলার সদর আদালত / মহকুমা আদালত / চৌকি আদালত গুলি সর্বপরি কলকাতা হাইকোর্ট, সার্কিট বেঞ্চ, ল্যান্ড ট্রাইবুনাল, স্যাট, কোম্পানি বিষয়ক আদালত গুলি কে জীবাণু মুক্ত করা হোক, তার দাবি উঠেছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে। ২২০ টি বার এসোসিয়েশন ঘর, আদালতে জার্জেস চেম্বার - এজলাস - নাজিরখানা,পুলিশ লকআপ,জিআরও রুম সেইসাথে বিচারকদের থাকবার কোয়ার্টার সহ বাংলোগুলিতে অতি স্বত্বর জীবাণু মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য আনসার মন্ডল মহাশয়। তিনি বলেন - " এখন আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ, তাই জেলা / মহকুমা স্তরের বার এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে আদালত সহ বিচারক নিবাস গুলি জীবাণু মুক্ত করা হোক "। জানা গেছে, গোটা বাংলায় ৮২ হাজার আইনজীবী, ১ লক্ষের বেশি ল ক্লাক / মুহুরি, ৩০ হাজারের বেশি আদালত কর্মী, ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী সহ ৩ হাজারের বেশি বিচারক / বিচারপতি রয়েছে। গত ১৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত গুলি একপ্রকার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারী হয়েছে। সমস্তটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধ বজায় রেখে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলবে ১৪ এপ্রিল অবধি। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে - এই লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে। তাই আইনজীবীমহলের দাবি - আদালতের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ৩ লক্ষের বেশি ব্যক্তিবর্গ সর্বপরি কোটির কাছাকাছি বিচারপ্রার্থী। তাই লকডাউনের মধ্যেই আদালত গুলি জীবাণুমুক্ত করার দাবি সর্বসম্মতিক্রমে উঠছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা মহানগরের রাস্তাঘাট সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ চলছে। যেভাবে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় ৯০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাতে এই রাজ্যের আইনজীবীমহলও শঙ্কিত। তাই লকডাউনে বিধিনিষেধ আগামী দিনে উঠে গেলেও রাজ্যের সমস্ত আদালতভবন সহ কোর্ট চত্বর গুলি জীবাণু মুক্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রতিনিধিরা সহ সমগ্র আইনজীবীমহল। এরেই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সদস্য আনসার মন্ডল প্রধান বিচারপতি কে ১৩ পাতার তথ্যসমৃদ্ধ চিঠি লিখে রাজ্যের সমস্ত আদালতগুলি স্যানিটাইজার করার আবেদন রেখেছেন। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব মহাশয় কে।
জেনে নিন কবে বসছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল বলা যায়। নিম্ন আদালতে জামিন সংক্রান্ত মামলা ছাড়া অন্য সাধারণ মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া থমকে। দফায় দফায় করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে লকডাউন বৃদ্ধি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল অবধি আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টের বার কাউন্সিলের অফিসে বৈঠক করে কলকাতা হাইকোর্টের ৩০ এপ্রিল অবধি আদালত অচল থাকার সির্দ্ধান্তে সায় দিয়েছেন। বার কাউন্সিল এর ভাইস চেয়ারম্যান সির্দ্ধাথ মুখোপাধ্যায় জানান - ",আগামী ১৭ এপ্রিল বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক বসছে আইনজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা সহ একাধিক বিষয়ে "। গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়ের জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে -' ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৫ দিন বিশেষ বেঞ্চে মামলার অনলাইন শুনানি / আদেশনামা চলবে । ২ টি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং ৩ টি করে সিঙ্গেল বেঞ্চ সর্বমোট ৫ টি বেঞ্চে চলবে ডিজিটাল বিচার-প্রক্রিয়া। ১৬ এপ্রিল, ২১ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল এবং ৩০ এপ্রিল জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে'। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশিকা। ধাপে ধাপে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ এপ্রিল অবধি রাখা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ভিডিও কনফারেন্সে বিচার প্রক্রিয়ায় মামলার পিটিশন থেকে শুনানি এমনকি রায়দান / আদেশনামা সবই হচ্ছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। মামলার প্রাক্কালে মামলাকারী আইনজীবির ইমেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগকারী আইপি নাম্বার সব বিশদে জানানো হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে।
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ০৯, ২০২০
লকডাউনের শবেবরাত - মোল্লা জসিমউদ্দিন
লকডাউনের শবেবরাত
মোল্লা জসিমউদ্দিন ( টিপু)
ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়েই বেঁচে থাকা তাই শবেবরাত রাতে ওরা আসে নিজ নিজ ঘরে
ওরা বলতে, যারা বেঁচে নেই এই জগতে
যারা কবরে জেগে আছে অনন্তকাল
আব্বা, তোমাকে যে চিরতরে হারিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে
মাথার উপর বটবৃক্ষ নেই, তবে আছে তোমার অফুরন্ত আর্শীবাদ
তোমার নামে পরিচিত আজ সমাজের কাছে
তোমার রক্ত যে বইছে আমার শরীরে
শবেবরাতের রাতে স্মৃতি রোমন্থনে চোখের কোনে আসে পানি
যেখানেই থাকো
ভালো থেকো
সর্বদা আছো আমার পাশে
তা উপলব্ধির শেকড়ে তা মানি
ছবি - ফাইল চিত্র
কলকাতা হাইকোর্টে জামিন খারিজ তিন চিটফান্ড কর্তার
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে যে কয়েকটি মামলা উঠেছিল জরুরি শুনানির জন্য। তার মধ্যে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিনের আবেদন মামলাটি অন্যতম।উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল। তবে রাজ্যের আদালতগুলির এসিজেম এজলাসে শুধুমাত্র জামিন / অভিযুক্তদের পেশ সংক্রান্ত পিটিশন দেখা হচ্ছে। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ বিশেষ বেঞ্চ জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলাগুলি শুনছে। তবে সমগ্র বিচার প্রক্রিয়াটি ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বিশেষ বেঞ্চে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিনের শুনানি চলে। পিনকন কোম্পানির মালিক মনোরঞ্জন রায়, এমপিএস কোম্পানির মালিক প্রমথনাথ মান্না এবং পৈলান গ্রুপের মালিক অপূর্ব সাহার জামিনের আবেদনে শুনানি হয়। মনোরঞ্জন রায়ের পক্ষে আইনজীবী দেবাশীষ রায় সওয়াল করেন। প্রমথনাথ মান্নার পক্ষে তাঁর মেয়ে সওয়াল করেন ভিডিও কনফারেন্সে। সেখানেও বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ তিন চিটফান্ড কর্তার জামিন খারিজ করে দেয়। জামিনের পক্ষে যুক্তি হিসাবে এঁদের শারীরিক অবস্থার উল্লেখ করা হয়। এমপিএসের মালিক প্রমথনাথ মান্নার ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে, তাছাড়া জেলে থাকলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে বলে দাবি ও রিপোর্ট দেখানো হয়। সেখানে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গত ১ এপ্রিলে শুনানির সময় দমদম জেল সুপারের রিপোর্ট চেয়েছিল। সেখানে আজ সেই রিপোর্টে কোন নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয় জেলখানার তরফে। তবে চিটফান্ড কর্তার মেয়ের আর্থিক সঙ্গতি খারাপের উদাহরণ শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ আরজিকর হাসপাতালে এমপিএস কর্তার চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেয়। তবে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিন খারিজ করে দিলেও বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয় - শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তারা পুনরায় এখানে আবেদন করতে পারবেন জামিনের জন্য।
করোনায় রাজ্য তথ্য গোপন করছে, এই অভিযোগে মামলা হাইকোর্টে
মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলে। করোনা পরিস্থিতিতে মামলা গুলির ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলে। এদিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চের এজলাসে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি তথ্য গোপন নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলে। মামলাকারী ডঃ ফুয়াদ হালিমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়। মামলার পিটিশনে উল্লেখ করা থাকে যে - আইসিএমআর এর গাইডলাইন মানছেনা রাজ্য। সেইসাথে করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত, নিহত সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার । এহেন বক্তব্য মামলার প্রাক্কালে ইমেল মারফত এবং বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে রাখেন মামলাকারী এবং তাঁর আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতিরা রাজ্য কে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য গুলি কে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছেন আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পুনরায় জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলার শুনানি রয়েছে।রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন নিয়ে ডঃ ফুয়াদ হালিমের পাশাপাশি স্মরজিত রায় চৌধুরী নামে আরেক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলাটি করেন। স্মরজিত বাবুর ভিডিও কনফারেন্স সওয়ালে উঠে আসে - করোনায় কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্য প্রক্রিয়া টি কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা হচ্ছে? বস্তি এলাকায় সেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি প্রচার অভিযান নেই। তাছাড়া সরকারি / বেসরকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌছাছেনা দুর্গতদের কাছে। অপরদিকে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সদর প্রশাসনিক দপ্তর নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে করোনা নিয়ে সর্বশেষ রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাতে এই রাজ্যে ৭১ জন আক্রান্ত তাও ১১ টি পরিবারের মধ্যে ৬১ জন রয়েছেন। সেইসাথে করোনায় ৫ জন মারা গেছেন বলে রাজ্যের তরফে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার, এপ্রিল ০৮, ২০২০
করোনা মোকাবিলায় মন্ত্রীর মা তুলে দিলেন বাৎসরিক পেনশন
সুভাষ মজুমদার
কোভিড ১৯(করোনা ভাইরাস) এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পাশে থাকতে এবারে ধনিয়াখালি বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অসীমা পাত্রের মা বেচারানী পাত্র নিজের এক বছরের পেনশনের ৬০,০০০( ষাট হাজার) টাকা রাজ্য সরকারের আপৎকালিন রিলিফ ফান্ডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে তিনি তুলেদেন ৷
সাংবাদিকদের করোনা সচেতনতা বাড়াতে মাস্ক বিলিতে সভাধিপতি
সেখ রতন
মেমারির বাগিলায় এসডিপিও দেখলেন করোনায় দুর্গতদের
সেখ সামসুদ্দিন,
মেমারি শহর অভিযানে এসে এসডিপিও ভিজিট করলেন মেমারি ১ ব্লকের বাগিলা অঞ্চলের বাগিলা নিম্নবুনিয়াদী স্কুলে। লকডাউন পরিস্থিতিতে হাওড়া থেকে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টার মধ্যে মেমারি থানা ১ মহিলা সহ ৩৭ জনকে ঐ স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করে। বাগিলা অঞ্চল সভাপতি তথা মেমারি ১ ব্লক যুব সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী ও যুব সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সদস্য প্রলয় পালের তত্বাবধানে তাদের থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় দেখভালের কাজ চলছে। ওখানে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা দিনের পাঁচ টাইম চা-বিস্কুট, টিফিন, দুপুর ও রাতের আহারের ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত খুশি এবং তারা বাড়িতেও জানিয়ে দেয় এখানে তারা খুব ভাল আছে, চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। তাদের বাড়ির লোকেরাও খুশি বলে জানায়। আজকের দুপুরের মেনু ছিল ভাতের সঙ্গে আম-আলু-মুসুর ডালের তরকারি এবং রাতের মেনুতে মুরগির মাংস রাখ আছে বলে জানান প্রলয় পাল। তিনি আরও জানান ইতিমধ্যে মেমারি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক রামকৃষ্ণ হাজরা ও সভাপতি কুমার কান্তি রায় চাদর ও মশারি দেয়। মেমারির আঁচল সংস্থা, বিবেকানন্দ ইয়ংস কর্নার, বাগিলা আলোক সংঘ, বাগিলা গনেশ পুজো কমিটি, দধিচী একদিন করে পৃথকভাবে খাবার দেয়। পাল্লা পল্লীমঙ্গল সমিতি খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ইত্যাদি দেয়। মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন লুঙ্গি, শাড়ি, মাজন, সাবান, মশকিট, হারপিক, ফিনাইল ইত্যাদি দেয়। তৃণমূল নেতা প্রসুন দাস ও সৌরভ সাঁতরা গেঞ্জি, মাদার টেরেসা নার্সিং হোম থেকে লুঙ্গি ও চুড়িদার এবং মেমারি নির্মাণ কর্মী ইউনিয়ন চিঁড়ে- চিনি দিয়ে যায়। এর বাইরে গ্রামের মানুষ ও মেমারি থানার পুলিশ সার্বিক সহায়তা দিচ্ছেন। প্রলয় পাল ক্ষোভ জানান এসডিও এবং এডিএম (জেলা পরিষদ) মেমারি ব্লকে এলেও একবার এই শিবির পরিদর্শনে না আসার জন্য। তবে লকডাউনের বিষয়ে ব্যাপক প্রচার করছেন অঞ্চলে, এদিনেও প্রচার পর্ব শেষ করে মধ্যাহ্নভোজের সময়ে শিবিরে আসেন। এসডিপি এই শিবিরে এসে মহিলা সহ সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। যতদিন লকডাউন চলবে নিশ্চিন্তে এখানে থাকুন শ্রমিকদের বলে যান এসডিপিও আমিনুল ইসলাম।
দক্ষিণেশ্বর যোগ্যাদা মঠের খাদ্য সামগ্রী বিলি
শ্যামল রায়
দক্ষিণেশ্বর যোগাদ্যা মঠের পক্ষ থেকে ত্রাণ প্রদান
করোনাভাইরাস এর জেরে গোটা বিশ্বের সাথে আমাদের ভারতবর্ষেও চলছে লকডাউন। লকডাউন এর জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই এই সকল গরীব অসহায় মানুষদের পাশে অনেকেই দাঁড়াচ্ছেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে।
এদিন যোগাদ্যা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া দক্ষিণেশ্বর শাখার পক্ষ থেকে ত্রাণ প্রদান অনুষ্ঠান হয়। বেলঘড়িয়া থানা কর্তৃপক্ষের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেন যোগাদ্যা মঠের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা অধ্যক্ষ স্বামী অচ্যুতানন্দ মহারাজ। জানা গিয়েছে মঠের পক্ষ থেকে বারোশো কেজি চাল দেড়শ কেজি ডাল দেড়শ কেজি তেল তিন শতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বেলঘড়িয়া থানা কর্তৃপক্ষের হাতে।
নবদ্বীপ হাসপাতাল জীবাণু মুক্ত করতে হাজির মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ
শ্যামল রায়
নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে জীবাণুমুক্ত করল দমকল বাহিনীর কর্মীরা। ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
বুধবার নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গা জীবাণুমুক্ত করল নবদ্দীপ দমকল বাহিনীর কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অন্যতম প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং হাসপাতালে বাপ্পা ঢালী সহ অনেকে।
করোনাভাইরাস এর জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। লকডাউন এর প্রাক্কালে বিভিন্ন পৌরসভা পঞ্চায়েত সমিতি এবং হাসপাতালে চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ। ইতিমধ্যে এই কাজে যুক্ত হয়েছেন দমকল বিভাগের কর্মীরা। এদিন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন প্রান্তের বিল্ডিংগুলো জীবাণুমুক্ত করল দমকল কর্মীরা। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ উপস্থিত থেকে বলেন যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে কারণ এই রোগ অতি ভয়ঙ্কর প্রতিদিন বাড়ছে তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেমন যথেষ্ট তৎপর হয়েছেন সকলকে সচেতন করতে আমিও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অসহায় গরীবদের পাশে দাঁড়াচ্ছে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলি জীবাণুমুক্ত করার কাজে নিজেকে উপস্থিত রাখতে পারছি এবং সচেতন করছি মানুষকে।
মনের অজান্তে - আরতি সেন
মনের অজান্তে
আরতি সেন
মনটা আমার হারিয়ে গেছে
অজানা দিগন্তে।
আজ আবার হারিয়ে যাচ্ছি
মনের অজান্তেই।
খুঁজে আমায় পাবেনা কেউ
অচিনপুরের মাঝে।
পথে পথে ঘুরবো কেবল
সকাল এবং সাঁঝে।
ভোরের আকাশ রাঙিয়ে দিয়ে
উঠবে যখন রবি।
দূরের থেকে দেখবো তখন
আকশের ওই ছবি।
গাছের শাখে পাখিরা সব
করবে মাতামাতি।
তারার দেশে তারা গুনে
কাটিয়ে দেবো রাতি।
মনের খবর জানবে না কেউ
চাইবে ইতিউতি।
অন্ধকার কাটবে কিছু
জোনাকি দেবে বাতি।
রাতের ফুলের সৌরভতে
আসবে জুড়িয়ে আঁখি।
সকাল হলে ঘুম ভাঙবে
ডাকবে যখন পাখি।
হারিয়ে গেছি, হারিয়ে যাবো
আজ থেকে বহুদূর।
মরুভূমির বালিয়াড়ি
কিম্বা সমুদ্রর।
পথ দেখাবে শঙ্খচিলে
আকাশ পথে যেতে।
আবার আমি হারিয়ে যাবো
অন্য দিগন্তে।
ধুবুলিয়ায় ইটভাটা মালিকরা খাদ্য সামগ্রী বিলিতে
ধুবুলিয়া থানার বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
শ্যামল রায়
বুধবার সাত সকালেই ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে এলাকার গরিব ও দুস্থদের মধ্যে চাল ডাল আলু আটা বিতরণ করা হয়। এদিন বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর রাজাপুর বাহির দীপ ঈশ্বরচন্দ্রপুর বেলপুকুর গ্রাম এলাকার গরিবদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের সদস্য ইটভাটার মালিক সুব্রত ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন ভগিরথ ঘোষ তিনি উদ্দিন শেখ জগবন্ধু ঘোষ জগদিশ মণ্ডল মধুসূদন ঘোষ প্রমুখ। জেলা পরিষদের সদস্য সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন যে আমরা ধারাবাহিকভাবে এলাকার গরিবদের জন্য প্রতিদিন চাল ডাল আলু তেল সাবান লবণ তুলে দিচ্ছি। লকডাউন এর জেরে বহু গরিব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অথচ করোনাভাইরাস অতি ভয়ঙ্কর এর হাত থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদের লকডাউন মেনে চলতে হবে তাই আমাদের রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্থানীয় বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস আমাদের সাথে থেকে আমরা এলাকার গরিব মানুষ যাতে খেতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার দিকে নজর রেখে আমরা সকলের পাশে দাঁড়াচ্ছি এবং তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছি। এলাকার ১৫ টি ইটভাটার মালিকদের তরফ থেকে আমরাই খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি।
করোনায় মনোবল বাড়াতে ধনিয়াখালি পুলিশের গান
সুভাষ মজুমদার,
এবার করোনা সচেতনতায় রাস্তায় গান গাইলেন পুলিশকর্মী।
বেশ কয়েক দিন ধরেই করোনা সংক্রমণ এড়াতে লক ডাউন সফল করতে পুলিশি ভূমিকার যে ছবি দেখা গেছে এবারে তা একবারে ভিন্ন।
এবার রাস্তায় গান গেয়ে মানুষ কে সচেতন করতে পথে নেমেছে পুলিশ।
একধিক জনপ্রিয় হিন্দি বাংলা গানের সুরে করোনা সচেতনতায় ধনিয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার পুলিশ ক্যাম্পে গান গাইলেন ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়।
ধনিয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় করোনা সচেতনতা পুলিশের ক্যাম্প করা হয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশের উদ্দ্যোগে।মঙ্গল বার সন্ধ্যায় সাধরণ মানুষ কে করোনা সচেতন করতে একধিক জনপ্রিয় হিন্দি এবং বাংলা গানের সুরে করোনা সচেতন করতে গান গাইলেন ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়।দুদিন আগেই লক ডাউন নিয়ে ধনিয়াখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর সুবীর রায়ের গাওয়া একটি গান ভাইরাল হয়েছিল।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
OLD POSTED
আরামবাগ টিভির তিন সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সেখ সফিকূল ইসলাম প্রত্যেকেই নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার শি...

KATWA SUB-DIVISONAL PRESS CORNER
-
বাকুঁড়ার কোতলপুর ব্লক তৃনমূল কমিটির পরিচালনায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা হয়।উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাতঁরা, সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলা স...